hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

তাওহীদ পরিচিতি

লেখকঃ ড. সালিহ ইবন ফাওযান আল-ফাওযান

২০
চতুর্থ পরিচ্ছেদ: ইবাদাতের অর্থ ও ব্যাপকতা
[১] ইবাদাতের অর্থ

ইবাদাতের মূল অর্থ হচ্ছে নম্র হওয়া ও বিনয়ী হওয়া। আর শরী‘আতের পরিভাষায় ইবাদাতের অনেকগুলো সংজ্ঞা রয়েছে। তবে তার অর্থ একটিই। এর মধ্যে একটি সংজ্ঞা হলো - ইবাদাত হচ্ছে রাসূলগণের ভাষায় আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলার মাধ্যমে আল্লাহর আনুগত্য করা। আরেকটি সংজ্ঞা হলো- ইবাদাত হচ্ছে আল্লাহর জন্য বিনয়ী ও নম্র হওয়া। সুতরাং ইবাদাতের মানে হচ্ছে পরিপূর্ণ ভালোবাসার সাথে আল্লাহর উদ্দেশ্যে পরিপূর্ণভাবে বিনয় ও নম্রতা প্রকাশ করা। আর ইবাদাতের একটি ভালো সংজ্ঞা হলো- ‘ইবাদাত হচ্ছে সে সকল প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য কথা ও কাজের নাম, যা আল্লাহ ভালোবাসেন ও পছন্দ করেন’।

ইবাদাত কয়েকভাগে বিভক্ত:

১. অন্তরের ইবাদাত

২. জিহ্বা বা বাকযন্ত্রের ইবাদাত

৩. শারীরিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ইবাদাত।

ভয়, আশা, ভালোবাসা, তাওয়াক্কুল ও নির্ভরতা, নিয়ামতের প্রতি আকর্ষণ, আযাবের প্রতি ভয় পোষণ এসবই হচ্ছে অন্তরের ইবাদাত। আর জিহবা ও অন্তর দিয়ে তাসবীহ-তাহলীল পাঠ, আল্লাহর প্রশংসা ও শোকর আদায় হচ্ছে যুগপৎভাবে জিহবা ও অন্তরের ইবাদাত। এছাড়া সালাত, যাকাত, হজ ও জিহাদ -এগুলো হচ্ছে অন্তর ও শরীরের ইবাদাত। ইবাদাত আরো বহু প্রকারের রয়েছে যা অন্তর দিয়ে, জিহবা দিয়ে এবং শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে পালন করা যায়। ইবাদাতের উদ্দেশ্যেই আল্লাহ সৃষ্টিজগতকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেছেন,

﴿وَمَا خَلَقۡتُ ٱلۡجِنَّ وَٱلۡإِنسَ إِلَّا لِيَعۡبُدُونِ ٥٦ مَآ أُرِيدُ مِنۡهُم مِّن رِّزۡقٖ وَمَآ أُرِيدُ أَن يُطۡعِمُونِ ٥٧ إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلرَّزَّاقُ ذُو ٱلۡقُوَّةِ ٱلۡمَتِينُ ٥٨ ﴾ [ الذاريات : ٥٦، ٥٨ ]

“আমি জিন্ন ও ইনসানকে আমার ইবাদাতের জন্যই শুধু সৃষ্টি করেছি। আমি তাদের কাছে কোনো রিযিক চাই না এবং এটাও চাই না যে, তারা আমাকে আহার করাক। নিশ্চয় আল্লাহই রিযিকদাতা, পরাক্রমশালী শক্তির আধার।” [সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত: ৫৬-৫৮]

আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন যে, জিন্ন ও ইনসানকে সৃষ্টির হিকমত হচ্ছে তারা আল্লাহর ইবাদাত করবে, যদিও আল্লাহ তাদের ইবাদাত থেকে অমুখাপেক্ষী। বরং তারাই আল্লাহর ইবাদাতের মুখাপেক্ষী। কেননা তারা আল্লাহর মুখাপেক্ষী। সুতরাং তারা আল্লাহর শরী‘আত অনুযায়ী তাঁর ইবাদাত করবে।

আর যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদাত করতে অস্বীকার করবে সে হবে অহংকারী এবং যে ব্যক্তি তাঁর ইবাদাত করবে ও তাঁর সাথে অন্য আরেক সত্ত্বার ইবাদাত করবে সে হবে মুশরিক। আর যে ব্যক্তি শুধুমাত্র আল্লাহরই ইবাদাত করবে এমন পদ্ধতিতে যার অনুমতি তিনি দেন নি সে হবে বিদ‘আতী। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রনয়ণ করা শরী‘আতের পদ্ধতিতে শুধুমাত্র তাঁরই ইবাদাত করবে সে হবে তাওহীদবাদী মুমিন।

[২] ইবাদাতের প্রকারভেদ ও তার ব্যাপকতা:

ইবাদাতের বহু প্রকারভেদ রয়েছে। জিহবা ও শারীরিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মাধ্যমে আল্লাহর প্রকাশ্য আনুগত্যের যত কাজ রয়েছে এবং অন্তরের মাধ্যমে যত সাওয়াবের কাজ করা হয় ইবাদাত এ রকম সকল কাজকেই শামিল করে। যেমন তাসবীহ, তাহলীল, কুরআন তেলাওয়াত, সালাত, যাকাত, সিয়াম ,হজ, জিহাদ, সৎকাজের নির্দেশ প্রদান, অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করা, আত্মীয়-স্বজন-এতিম-মিসকীন ও মুসাফিরদের প্রতি ইনসাফ করা, অনুরূপভাবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে মহব্বত করা, আল্লাহকে ভয় করা, আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করা, আল্লাহর প্রতি নিষ্ঠা ও ইখলাস রাখা, আল্লাহর বিধানের প্রতি সবর করা, তাকদীর ও আল্লাহর পূর্বনির্ধারিত বিষয়ের প্রতি সন্তুষ্ট থাকা, আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করা, আল্লাহর রহমতের আশা করা, আল্লাহর আযাবকে ভয় করা। অতএব, ইবাদাত প্রকৃতপক্ষে মু’মিন বান্দার প্রত্যেক কাজকেই শামিল করে যখন ঐ কাজগুলো দ্বারা সে আল্লাহর নৈকট্যের নিয়ত করে অথবা যা নৈকট্য অর্জনে সহায়ক। এমনকি স্বভাব বা প্রথাগত কাজগুলো যেমন নিদ্রা, পানাহার, বেচাকেনা, জীবিকার সন্ধান, বিবাহ ইত্যাদি দ্বারাও যখন বান্দা ইবাদাত পালনের শক্তি অর্জনের লক্ষ্য স্থির করে তখন তার বিশুদ্ধ ও সৎ নিয়তের কারণে এগুলো ইবাদাতে পরিণত হবে, যার দ্বারা বান্দা সাওয়াব অর্জন করবে। ইবাদাত শুধু দীনের পরিচিত বড় বড় আমল করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন