hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হাদীছের প্রামাণিকতা

লেখকঃ প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব

১৯
তাবলীগীদের অলীক কাহিনী সমূহের কিছু নমুনা
( بعض القصص المنكرة للتبليغيين )

১. ছূফী সাইয়িদ আহমাদ রিফা‘ঈ হজ্জের পরে মদীনায় গিয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কবর যিয়ারত করেন ৫৫৫ হিজরীতে এবং সেখানে গিয়ে রাসূল (ছাঃ)-এর প্রশংসায় দু’লাইন কবিতা পাঠ করেন। তখন রাসূল (ছাঃ) খুশী হয়ে তাঁর দু’হাত বের করে দিলেন ও রিফা‘ঈ তাতে চুমু খেলেন’। লেখক শায়খুল হাদীছ (?) মাওলানা যাকারিয়া এক ধাপ বাড়িয়ে বলেন যে, ঐ সময় সেখানে প্রায় ৯০,০০০ লোক উপস্থিত ছিলেন, যারা উক্ত দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন। যাদের মধ্যে (‘বড় পীর’) আব্দুল কাদের জীলানী ( ৪৭০-৫৬১ হিঃ) উপস্থিত ছিলেন’।[1]

২. মাওলানা যাকারিয়া নিজের ‘দালায়েলুল খায়রাত’ বইটি লেখার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন যে, তিনি একদা সফর অবস্থায় ওযূর পানির সংকটে পড়েন। দড়ি-বালতি না থাকার কারণে তিনি কূয়া থেকে পানি উঠাতে পারছিলেন না। একটি মেয়ে এ দৃশ্য দেখে কূয়ার নিকটে এসে তাতে থুথু নিক্ষেপ করল। সাথে সাথে কূয়ার পানি কিনারা পর্যন্ত উঠে এলো। লেখক বিস্মিত হয়ে মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করলে সে বলল, এটি দরূদ শরীফের বরকত। এ ঘটনার পর আমি উক্ত বইটি লিখি’।[2]

পাঠকগণ ভালভাবেই জানেন যে, হিজরতের পর পানির কষ্টে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরাম মদীনায় কিভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। অবশেষে জনৈক ইহুদীর নিকট থেকে ওছমান (রাঃ) বি’রে রূমাহ ( بئر رومة ) নামক বিখ্যাত কূয়াটি খরিদ করে সেটি মুসলমানদের জন্য ওয়াকফ করে দেন।[3] অথচ একটি সাধারণ বালিকার থুথু নিক্ষেপে কূয়া ভরে গেল। গল্প আর কাকে বলে!!

৩. শায়খ আবুল খায়ের আক্বত্বা‘ বলেন, আমি পাঁচদিন যাবত কিছু খেতে না পেয়ে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর উপর দরূদ পাঠ অন্তে তাঁর মেহমান হিসাবে তাঁর কবরের নিকটে ঘুমিয়ে গেলাম। এমতাবস্থায় স্বপ্নে আমার নিকটে রাসূল (ছাঃ) তাঁর তিন সাথী আবুবকর, ওমর ও আলী (রাঃ)-কে নিয়ে এলেন। আমি উঠে দাঁড়িয়ে রাসূল (ছাঃ)-এর কপালে চুমু খেলাম। অতঃপর তিনি আমাকে একটি রুটি দান করলেন। অর্ধেক রুটি খাওয়া শেষ না হ’তেই আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। তখন দেখি যে, বাকী অর্ধেক রুটি আমার হাতে ধরা আছে’।[4]

তাবলীগী নেছাবের প্রায় সর্বত্র এ ধরনের উদ্ভট স্বপ্ন ও ভিত্তিহীন গল্পসমূহ উদ্ধৃত হয়েছে। যা পাঠককে পথভ্রষ্ট করে মাত্র।

৪. দরূদেই জান্নাত :

(ক) জনৈক ছূফী বলেন, মিসত্বাহ নামে আমার এক প্রতিবেশী ছিল, যে সর্বদা মদে চূর হয়ে থাকত। তার দিন-রাতের কোন খবর থাকত না। আমি তাকে বহু উপদেশ দিয়েছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। আমি তাকে তওবা করতে বলতাম। কিন্তু সে তাও করেনি। অবশেষে যখন সে মারা গেল, তখন আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, সে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদার সাথে আছে। কারণ জিজ্ঞেস করলে সে বলল, আমি এক মুহাদ্দিছের মজলিসে ছিলাম। এক সময় তিনি বললেন, যে ব্যক্তি উচ্চৈঃস্বরে দরূদ পড়বে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হবে। একথা শুনে আমি জোরসে দরূদ পড়ি এবং অন্যেরাও পড়ে। ফলে ঐ মজলিসে উপস্থিত আমাদের সকলের গোনাহ মাফ হয়ে যায়। আর সেকারণেই আমি আজ জান্নাতে এসেছি।[5]

শুধু মদখোর মিসত্বাহ নয়, ইমাম শাফেঈ (রাঃ)-এর মত উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন মহান ব্যক্তিও নাকি কেবল দরূদ পাঠের কারণে জান্নাত লাভ করেছেন। তাঁর অন্য নেক আমলের কারণে নয়। যেমন (খ) তাঁর একজন শাগরেদের বরাতে লেখা হয়েছে, আমি আমার উস্তাদের মৃত্যুর পরে তাঁকে স্বপ্নে দেখলাম। জিজ্ঞেস করলাম, উস্তাদজী কেমন আছেন? তিনি বললেন, আমাকে খুবই সম্মানের সাথে জান্নাতে নেওয়া হয়েছে। আর এসবই হয়েছে কেবলমাত্র দরূদের বরকতে’।[6]

নিকৃষ্ট পাপী ও শ্রেষ্ঠ পুণ্যবান দু’জনের দু’টি বানোয়াট গল্প দিয়ে লেখক শায়খুল হাদীছ বুঝাতে চেয়েছেন যে, আমলের কোন প্রয়োজন নেই; কেবল দরূদ পাঠ করলেই জান্নাত অবধারিত। জান্নাত লাভ যদি এতই সস্তা হ’ত, তাহ’লে ওহোদের ময়দানে রাসূল (ছাঃ)-এর দাঁত ভাঙতো না এবং তাঁর ও ছাহাবায়ে কেরামের জীবনে এত কষ্ট হ’ত না। শুধু ঘরে বসে দরূদ পড়লেই ইসলাম কায়েম হ’ত।

কেবল ছূফী ও ইমামের নামে নয় এবার সরাসরি ছাহাবী, তাবেঈ ও রাসূলের নামে মিথ্যাচার। যেমন (গ) হযরত আব্দুর রহমান বিন সামুরাহ (রাঃ) বলেন যে, একদিন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বাইরে এলেন এবং আমাদের বললেন, আমি রাত্রিতে স্বপ্নে একটি আশ্চর্য দৃশ্য দেখলাম যে, একজন ব্যক্তি পুলছেরাতের উপর কখনো পা ঘেঁষে চলছে, কখনো হাঁটুতে ভর করে চলছে, কখনো যেন কোন কিছুতে আটকে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে আমার উপর দরূদ তার নিকটে পৌঁছে গেল এবং সে তাকে দাঁড় করিয়ে পুলছেরাত পার করে দিল।’ (ঘ) ‘বিখ্যাত তাবেঈ হযরত সুফিয়ান বিন ওয়ায়না (রাঃ) হযরত খালাফ থেকে বর্ণনা করেন যে, আমার এক বন্ধু ছিল যে আমার সঙ্গে হাদীছ পড়ত, তার মৃত্যু হয়ে গেল। আমি তাকে স্বপ্নে দেখলাম যে নতুন সবুজ কাপড় পরে সে দৌড়-ঝাপ করছে। আমি বললাম, তুমি তো আমার হাদীছের সহপাঠি ছিলে। তোমার এত উচ্চ সম্মান ও মর্যাদা কি কারণে হ’ল? সে বলল, হাদীছ তো আমি তোমার সাথেই লিখতাম। কিন্তু যখনই হাদীছের নীচে নবী করীম (ছাঃ)-এর নাম আসত, তখনই আমি তার নীচে ‘ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম’ লিখে দিতাম। আল্লাহ জাল্লা শানুহু তারই বিনিময়ে আমাকে এই মহা সম্মান দান করেছেন, যা তুমি দেখছ’।[7]

এইসব ভিত্তিহীন গল্প দিয়ে এরা মুসলমানকে কুরআন-হাদীছ থেকে দুরে সরিয়ে নিয়ে পীর-মাশায়েখ, ছূফী-বুযর্গ ও বিদ‘আতী মুরববীদের গোলামে পরিণত করেছে এবং হাদীছ বাদ দিয়ে এদের অলীক কেচ্ছা-কাহিনী ও কাশফ-কারামতের উপর বিশ্বাসী করে গড়ে তুলেছে। অথচ নবী ব্যতীত অন্য কারু ইলহাম ও স্বপ্ন ইসলামে কোন দলীল হিসাবে গৃহীত নয়। সম্ভবতঃ এ কারণেই তাবলীগী ভাইয়েরা তাদের কোন তা‘লীমে কুরআনের তাফসীর বা কোন অনূদিত হাদীছ গ্রন্থ পাঠ করেন না। ফলে সারা জীবন তাবলীগ করেও এরা ছহীহ তরীকায় ছালাতটুকু আদায় করতে শিখে না। মসজিদগুলিতে এখন কুরআন-হাদীছের তা‘লীমের বদলে এদের এইসব মিথ্যা গল্পে ভরা তাবলীগী নেছাবের তা‘লীম হয়ে থাকে। কেননা তাদের শুনানো হয় যে, একবার তাবলীগে গেলে তার প্রতিটি নেক আমলের বিনিময়ে ঊনপঞ্চাশ কোটি নেকী হয়।[8]

এই নেকীর পাহাড় তাদের বর্তমান মুরববীদের আবিষ্কার। যেমন তারা এখন আবার চালু করেছে যে, যারা তাদের বার্ষিক ইজতেমায় (টঙ্গী) যায় এবং আখেরী মুনাজাতে অংশ নেয়, তারা একটি কবুল হজ্জের নেকী পায়। অর্থাৎ সে ঐদিনের মত পাপমুক্ত হয়, যেদিন তার মা তাকে নিষ্পাপ অবস্থায় প্রসব করেছিল। ফলে বহু লোক এখন মক্কায় হজ্জে যাওয়ার চাইতে টঙ্গী যাওয়াকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। সেখানে এখন প্রতিবছর লাখো মানুষের ঢল নামছে। অথচ বোকারা জানেনা যে, কোটি মানুষের জমায়েত হ’লেও তা কখনো হজ্জের নেকীর সাথে তুলনীয় নয়। এরপরেও সেখানে গিয়ে শেখার কিছু নেই, দেশী-বিদেশী ভাষায় ছয় উছূলের বর্ণনা আর তাবলীগী নেছাবের চর্বিত চর্বণ ছাড়া। মানুষ ভাবে এখানে এলাম, হজ্জের ছওয়াব পেলাম। বহু পূর্বে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এ বিষয়ে উম্মতকে হুঁশিয়ার করে গিয়েছেন এই বলে যে, لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى لاَ يُحَجَّ الْبَيْتُ ‘ক্বিয়ামত হবেনা যতদিন না বায়তুল্লাহর হজ্জ বন্ধ হয়’।[9] হ্যাঁ, সেটাই শুরু করেছে তাবলীগী ভাইয়েরা। ওদিকে আরেক দল ছুটছে ‘ওরসে’ গরু-খাসি নিয়ে মৃত পীরের অসীলায় ও তার গদ্দীনশীন হুযুরের দো‘আ ও তাবাররুক নিয়ে অভীষ্ট লাভের উদ্দেশ্যে কিংবা জান্নাত পাবার মিথ্যা ধারণার বশবর্তী হয়ে। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন!

‘ফাযায়েলে দরূদ শরীফে’ বর্ণিত ৫০টি গল্পের শেষ গল্পে মাওলানা যাকারিয়া বলেন, ফাযায়েলের পুস্তিকা সমূহ লিখার সময়কালে এই নাচীয ও তার অনেক বন্ধু স্বপ্নের মধ্যে সুসংবাদ প্রাপ্ত হন। শেষে ‘ফাযায়েলে দরূদ শরীফ’ লেখার সময় দু’বার স্বপ্ন দেখি যে, এই পুস্তিকা শেষে ক্বাছীদা (প্রশংসামূলক দীর্ঘ কবিতা) অবশ্যই লিখো। তখন আমি মোল্লা জামীর বিখ্যাত ক্বাছীদা লেখার সিদ্ধান্ত নিই। কেননা উক্ত ক্বাছীদা লিখে হজ্জে গেলে তিনি যখন মদীনায় গিয়ে রাসূল (ছাঃ)-এর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে তা পড়তে এরাদা করেন, তখন রাসূল (ছাঃ) মক্কার আমীরকে পরপর দু’বার স্বপ্নে বলে দেন যে, জামী যেন মদীনায় না আসে। তখন তাকে গ্রেফতার করে জেলখানায় রাখা হয়। পরে তৃতীয়বার স্বপ্নে তিনি আমীরকে বলেন যে, লোকটি অপরাধী নয়। তবে সে আমার প্রশংসায় ক্বাছীদা লিখেছে, যা সে আমার কবরে এসে পড়তে চায়। তাতে তার সাথে মুছাফাহার জন্য কবর থেকে আমার হাত বের হবে। তখন লোকদের মধ্যে ফিৎনার সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য আমি তাকে এখানে আসতে নিষেধ করেছি।’ এরপর তাকে জেল থেকে বের করা হয় ও উচ্চ সম্মান দেওয়া হয়। লেখক মাওলানা যাকারিয়া বলেন, উক্ত কাহিনী জানার কারণেই তাঁর লিখিত ক্বাছীদার প্রতি নাচীযের হৃদয় আকৃষ্ট হয় এবং এখনও পর্যন্ত সেই ধারণায় কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। অতঃপর তিনি ৩২ লাইনের ফার্সী ক্বাছীদা উর্দূ অনুবাদ সহ যোগ করেছেন (পৃঃ ১১২-১১৩)।

উপরে বর্ণিত কাহিনীর মাধ্যমে মাওলানা যাকারিয়ার কুরআন-হাদীছ বিরোধী আক্বীদা পরিষ্কার হয়ে গেছে। কেননা কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘তুমি কোন কবরবাসীকে শুনাতে পারো না’ (ফাত্বির ৩৫/২২)। ‘তুমি কোন মৃতব্যক্তিকে শুনাতে পারো না’ (নামল ২৭/৮০)। মৃতব্যক্তি কারু উপকার বা ক্ষতি করতে পারে না। সেটা সম্ভব হলে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-এর কবরের পাশেই ইমামতি করা অবস্থায় খলীফা ওমর (রাঃ)-এর উপর আততায়ীর হামলা ও পরে শাহাদাত লাভ এবং মসজিদের পাশেই তৃতীয় খলিফা হযরত ওছমান গণী (রাঃ)-এর উপর বিদ্রোহীদের হামলা ও শাহাদাত লাভ রাসূল (ছাঃ) ঠেকিয়ে দিতেন বা অন্যদের স্বপ্ন দেখিয়ে ঠেকাতে বলতেন। অথচ উপরে বর্ণিত এক উদ্ভট স্বপ্নকেই মাওলানা যাকারিয়া তাঁর তাবলীগী নেছাব লেখার উদ্দেশ্য হিসাবে গ্রহণ করেছেন, যা একেবারেই ইসলাম বিরোধী।

দলবদ্ধ চিল্লার প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের মধ্যে তাদের মূল উদ্দেশ্য থাকে দেউবন্দী ভ্রান্ত তা‘লীম ও ছূফী আক্বীদা-বিশ্বাস লোকদের হৃদয়ে প্রোথিত করা। মাওলানা যাকারিয়ার তাবলীগী নেছাবের মাধ্যমে যেটা সর্বত্র প্রচারিত হচ্ছে। সাথে সাথে এই জামা‘আতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াসের ভ্রান্ত আক্বীদা তার নিজ যবানীতে নিম্নরূপ :

‘স্বপ্নের মধ্যে বিশুদ্ধ জ্ঞান সমূহ প্রক্ষিপ্ত হয়। যা নবুঅতের চল্লিশ ভাগের একভাগ।’ ‘আজকাল স্বপ্নের মাধ্যমে আমার মধ্যে বিশুদ্ধ ইলম সমূহ ( علوم صحيحہ ) প্রক্ষিপ্ত হচ্ছে। এজন্য চেষ্টা করব যাতে আমার ঘুম বেশী হয়। ফলে মাথায় তেল মালিশ করায় তার ঘুম খুব বেশী হ’তে লাগল’। অতঃপর তিনি (মাওলানা ইলিয়াস) বললেন, اس تبليغ كا طريقہ بهى مجھ پر خواب ميں منكشف ہوا ‘তাবলীগের এই তরীকাও আমার উপর স্বপ্নের মধ্যে বিকশিত হয়েছে’।[10]

এইভাবে পুরা তাবলীগী নিছাব অলীক স্বপ্নে ও ভিত্তিহীন গল্পে ও কাহিনীতে ভরপূর। যা পড়লে ও শুনলে যে কেউ সব কাজ ও দায়িত্ব ছেড়ে কেবল স্বপ্ন ও কল্পনার রাজ্যে বিচরণ করবে। ফলে মুখে ‘রাসূলের তরীকায় শান্তি’ বলে হর-হামেশা প্রচার চালালেও এটা মূলতঃ ইলিয়াসী তরীকার প্রচার, যা মানুষকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছমুখী না করে তাদের নিজেদের আবিষ্কৃত ভ্রান্ত তরীকামুখী করে।

[1]. ফাযায়েলে হজ্জ, ২/১৩০-১৩১ পৃঃ।

[2]. ফাযায়েলে দরূদ শরীফ ১/৮৩ গল্প নং ৬।

[3]. তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত হা/৬০৬৬, সনদ হাসান; আলবানী, ইরওয়াউল গালীল হা/১৫৯৪।

[4]. ফাযায়েলে দরূদ পৃঃ ১০৫ গল্প নং ৪৮(২); ফাযায়েলে হজ্জ পৃঃ ১২৮ গল্প নং ৮।

[5]. ফাযায়েলে দরূদ শরীফ পৃঃ ৮৬ গল্প নং ১৭।

[6]. ফাযায়েলে দরূদ শরীফ পৃঃ ৮২, গল্প নং ৩।

[7]. ফাযায়েলে দরূদ শরীফ পৃঃ ৮৯ গল্প নং ২৩ ও ২৪।

[8]. এজন্য দু’টি যঈফ হাদীছ (আবুদাঊদ হা/২৪৯৮ ‘জিহাদ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৪; ইবনু মাজাহ হা/২৭৬১ অনুচ্ছেদ-৪, মিশকাত হা/৩৮৫৭) সাতশো দ্ধ সাত লক্ষ নেকী গুণ করে এই ঊনপঞ্চাশ কোটি বানানো হয়েছে।

[9] বুখারী হা/১৫৯৩; ‘হজ্জ’ অধ্যায়-২৫, অনুচ্ছেদ-৪৭।

[10]. আব্দুর রহমান উমরী, তাবলীগী জামা‘আত আওর উসকা নিছাব (নয়াদিল্লী : দারুল কিতাব, ১৯৮৮ খৃঃ), পৃঃ ১৩; গৃহীত : মালফূযাতে মাওলানা ইলিয়াস পৃঃ ৫১।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন