hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হাদীছের প্রামাণিকতা

লেখকঃ প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব

ভারতীয় স্কুল (مدرسة الهند)
১. স্যার সৈয়দ আহমাদ খান (১৮১৭-১৮৯৮ খৃঃ)

আরব বিশ্বে মিসরীয় পন্ডিত মুফতী মুহাম্মাদ আবদুহু (১৮৪৯-১৯০৫ খৃঃ) ও তাঁর অনুসারীদের ফিৎনার সমসাময়িক কালে ভারত উপমহাদেশে স্যার সৈয়দ আহমাদ খান ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ এই ফিৎনার সূতিকাগার হিসাবে গণ্য হয়।

ডঃ আহমাদ আমীনের ভাষায় هو في الهند أشبه شيئ بالشيخ محمد عبده في مصر ‘মিসরে মুফতী মুহাম্মাদ আবদুহু-র ন্যায় তিনি ছিলেন ভারতে’। তিনি বলেন, والإصلاح عندهما إصلاح العقلية ‘তাদের দু’জনের সংস্কার কার্য ছিল যুক্তিবাদ ভিত্তিক সংস্কার’।

সৈয়দ আহমাদ খান যদিও ভারতে ইংরেজ শাসনের সমর্থক ছিলেন। তথাপি তিনি তাদের খৃষ্টানীকরণের তীব্র বিরোধী ছিলেন। তিনি তাদের বিরুদ্ধে ও ইসলামের পক্ষে জোরালো কলমী যুদ্ধ চালিয়েছেন। কিন্তু এক্ষেত্রে তিনি কুরআন-হাদীছের চাইতে মানতিক্ব ও যুক্তিবাদের উপরে অধিক নির্ভর করেছেন। তাঁর জ্ঞান তাঁর ইল্মের চাইতে বেশী ছিল। কুরআনের যুক্তি ভিত্তিক তাফসীর করতে গিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, ‘কুরআন যখন সঠিকভাবে বুঝা যাবে, তখন তা জ্ঞানের সাথে মিলে যাবে।..... অতএব জ্ঞান ও রুচির আলোকে তাফসীর করা ওয়াজিব’। এর ফলে তিনি তাঁর জ্ঞান ও রুচি বিরোধী বহু আয়াত ও ছহীহ হাদীছের ভুল অর্থ ও দূরতম তাবীল করেছেন। জ্ঞান মোতাবেক না হওয়ায় তিনি নবীদের মু‘জেযাকে অস্বীকার করেছেন এবং বহু ছহীহ হাদীছকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাঁর আক্বীদাসমূহের ছিটেফোঁটা নিম্নরূপ :

(১) হৃদয়ের বিশ্বাসকেই মাত্র ঈমান বলা হয়। যদি কেউ হৃদয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি আনুগত্য পোষণ করে, সে ব্যক্তি মুমিন। যদিও সে অন্য ধর্মের বাহ্যিক নিদর্শনাদির সাথে সামঞ্জস্য রাখে। যেমন হিন্দুদের ন্যায় গলায় ও বগলের নীচ দিয়ে পৈতা ঝুলানো, ইহুদী-খৃষ্টান ও মজূসীদের ন্যায় কোমরে বেল্ট বা শিকল পরিধান করা কিংবা গলায় ক্রুশ (বা তার সদৃশ বস্ত্ত) ঝুলানো, তাদের পূজা- পার্বণ, বড় দিন ইত্যাদি উৎসবাদিতে যোগদান করা (২) ‘নবুঅত’ উন্নত চরিত্রের একটি দৃঢ় স্বভাবগত ক্ষমতার নাম (৩) নবীদের মু‘জেযা তাঁদের নবুঅতের প্রমাণের অন্তর্ভুক্ত নয় (৪) কুরআন উন্নত ভাষা ও অলংকারের জন্য معجز বা হতবুদ্ধিকারী নয়; বরং হেদায়াত ও শিক্ষাসমূহের কারণে (৫) কুরআনের কোন আয়াত শব্দগত, অর্থগত বা হুকুমগত কোন দিক দিয়েই ‘মানসূখ’ বা হুকুম রহিত নয় (৬) আসমানী কোন কিতাবে কখনোই কোন ‘তাহরীফ’ বা শাব্দিক পরিবর্তন হয়নি (৭) রাসূল (ছাঃ)-এর পরবর্তী খলীফাগণ ‘নবুঅতের প্রতিনিধি’ নন ইত্যাদি।

তাঁর এই কল্পনানির্ভর অতি যুক্তিবাদী ধ্যান-ধারণা বহু বিলাসী পন্ডিতের মনোজগতে নাড়া দেয় এবং তারাও একই পথ ধরে হাদীছ অস্বীকারের চোরা পথ বেছে নেন। যেমন মৌলবী চেরাগ আলী, আব্দুল্লাহ চকড়ালবী, আহমাদ দ্বীন অমৃতসরী প্রমুখ পন্ডিত প্রকাশ্যে বলতে থাকেন যে, দ্বীনী বিষয়সমূহে কুরআনই যথেষ্ট, হাদীছের কোন প্রয়োজন নেই। তবে যেগুলি তাদের প্রবৃত্তির অনুকূলে হ’ত, সেগুলিকে তারা গ্রহণ করতেন।

২. চেরাগ আলী

সৈয়দ আহমাদ খানের চিন্তাধারার অনুসারী মৌলবী চেরাগ আলী বলেন, ‘সত্য-মিথ্যার মানদন্ড হিসাবে হাদীছের বিশুদ্ধতা যাচাইয়ের কোন প্রয়োজন নেই। কেননা চূড়ান্ত বিচারে হাদীছের উপরে ভরসা করা সম্ভব নয়’।

৩. আব্দুল্লাহ চকড়ালবী

সৈয়দ আহমাদ খানের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ইনি ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দে লাহোরে হাদীছ অস্বীকারের আন্দোলন শুরু করেন এবং বেশ কিছু বই রচনা করেন। তিনি বলেন, ‘লোকেরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর উপরে মিথ্যারোপ করেছে এবং তার নামে হাদীছ বর্ণনা করেছে’। তিনি তাঁর দলীয় লোকদের জন্য ছালাতের নতুন নিয়ম-বিধি জারি করেন এবং বলেন যে, আযান ও এক্বামত দেওয়া বিদ‘আত। এ ধরনের আরও কিছু বিদ‘আতী নিয়ম তিনি চালু করেন।

৪. মুহিববুল হক আযীমাবাদী

সৈয়দ আহমাদ খানের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ইনি পাটনাতে ইনকারে হাদীছের আন্দোলন শুরু করেন, যেমন আব্দুল্লাহ চকড়ালবী লাহোরে আন্দোলন শুরু করেন।

৫. নাযীর আহমাদ দেহলভী

আরবী ভাষা ও সাহিত্যে তাঁর যথেষ্ট দখল ছিল। তিনি হাদীছের রাবীদের সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, ‘এরা মূর্খ। এরা হাদীছের তাৎপর্য বুঝে না’। তিনি বৃদ্ধ বয়সে কুরআন হেফয করেন এবং উর্দূ ভাষায় কুরআনের তরজমা ও তাফসীর করেন। উক্ত তাফসীরের মধ্যে তিনি অগ্রাহ্য কথা সমূহ ভরে দিয়েছেন।

৬. আহমাদ দ্বীন অমৃতসরী

আব্দুল্লাহ চকড়ালবীর সহযোগী এই ব্যক্তি পূর্ব পাঞ্জাবের অমৃতসরে ইনকারে হাদীছের আন্দোলনে জোরালো ভূমিকা পালন করেন। ‘আল-উম্মাতুল ইসলামিয়াহ’ (ইসলামী দল) নামক দলের তিনি প্রতিষ্ঠাতা।

৭. এনায়াতুল্লাহ মাশরেক্বী

লন্ডনের কেমব্রীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রীধারী এই পন্ডিত উগ্র আধুনিকতার ঝান্ডা উড্ডীন করেন ও সালাফে ছালেহীনের পথ থেকে বিচ্যুত হন। তিনি আলেমদের থেকে ও তাঁদের অনুসৃত ইসলাম থেকে নিজেকে বিমুক্ত ঘোষণা করেন। তিনি হাদীছ থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং তার বইসমূহে দ্বীনের মূলনীতিসমূহের ব্যাপারে বিদ্রুপ করেন। তিনি শুধুমাত্র কুরআনের ভিত্তিতে জীবন পরিচালনার মূলনীতি সমূহ তৈরী করেন এবং এজন্য ১০ টি উছূল বা মূলনীতি নির্ধারণ করেন ও ধারণা করেন যে, এগুলিই হ’ল কুরআনের সারবস্ত্ত ও রিসালাতের মূল কথা।

৮. ক্বাযী মুহাম্মাদ শফী‘

হাদীছ সম্পর্কে তার লেখনীসমূহে বহু বিচ্যুতি রয়েছে। যেমন তিনি বলেন, ‘বহু হাদীছ এমন রয়েছে, যা যৌন সাহিত্যের সাথে সামঞ্জস্য রাখে’ (নাঊযুবিল্লাহ)।

৯. আসলাম জয়রাজপুরী

হাদীছ অস্বীকারকারীদের মধ্যে উপমহাদেশে শীর্ষস্থানীয়দের অন্যতম। ইনি হাদীছ অস্বীকারকারীদের নেতা গোলাম আহমাদ পারভেয-এর প্রধান সহযোগী, বরং উস্তায ছিলেন। ইনিই হাদীছের বিরুদ্ধে তার নষ্ট চিন্তাধারা সমূহ ‘মাক্বামে হাদীছ’ (হাদীছের স্থান) নামে উর্দূতে দু’খন্ডে বই আকারে প্রকাশ করেন।

১০. গোলাম আহমাদ পারভেয

‘আহলে কুরআন’ (কুরআনের অনুসারী) নামক হাদীছ বিরোধী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এই ব্যক্তি তার সংগঠনের মুখপত্র ‘তুলূ‘এ ইসলাম’ ( طلوع إسلام বা ইসলামের উদয়) নামক পত্রিকার মাধ্যমে এবং হাদীছের বিরুদ্ধে বহু বই ও পুস্তিকা প্রকাশের মাধ্যমে ইনকারে হাদীছের আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। কুরআন ও হাদীছের ইল্মে অজ্ঞ কতিপয় ইংরেজী শিক্ষিত পন্ডিত বিজাতীয় ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তার সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে হাদীছের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক দুশমনী শুরু করেন। তাদের প্রতিপাদ্য বিষয় হ’ল : আধুনিক যুগে প্রাচীন যুগের ফেলে আসা হাদীছের অনুসরণ বাতিল।’

ডঃ মুহাম্মাদ মুছত্বফা আ‘যমী বলেন, প্রাচীন ও আধুনিক যুগের সকল মুনকিরে হাদীছ ছালাত, যাকাত, হজ্জ ইত্যাদি ফরযসমূহ ও এসবের ত্রিুয়ানুষ্ঠানসমূহ কবুল করে নিয়েছে। কিন্তু ‘আহলে কুরআন’ গ্রুপ এমন কট্টর হাদীছ দুশমন যে, তারা এসব সর্বজন গৃহীত ইবাদত সমূহকেও অস্বীকার করেছে। তারা বলে যে, ‘কুরআন আমাদের বারবার ছালাতের ও যাকাতের হুকুম করেছে। এভাবে পুনরুক্তি না করে আল্লাহ ইচ্ছা করলে এসবের ব্যাখ্যা দিতে পারতেন এবং বলতে পারতেন ‘তোমরা যোহর, আছর ও এশা চার রাক‘আত, মাগরিব তিন রাক‘আত ও ফজর দু’রাক‘আত পড়; কিন্তু তিনি এসব বলেননি। অতএব আনুষ্ঠানিকভাবে ছালাত, যাকাত, ছিয়াম, হজ্জ ইত্যাদি ইবাদতের কোন বাধ্যবাধকতা নেই’।

এতেই বুঝা যায়, তারা হাদীছের বিরোধিতায় কতদূর পৌঁছে গেছে। তারা বুঝে না যে, কুরআন ও হাদীছ উভয়ের বর্ণনাকারী হ’লেন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এবং উভয়ের বাহক ও প্রচারক হ’লেন ছাহাবায়ে কেরাম। তারা হাদীছকে অস্বীকার করে পরোক্ষভাবে রাসূলকেই অস্বীকার করেছে (নাঊযুবিল্লাহ)।

হাদীছ দুশমনদের উক্ত কাতারে অগ্রণীদের মধ্যে উর্দূ পত্রিকা ‘নুকার’ ( نُكَار ‘নিষ্কৃতি’)-এর সম্পাদক নিয়ায ফতেহপুরী এবং ইনকারে হাদীছ বিষয়ে বিভিন্ন পুস্তিকার লেখক গোলাম জীলানী বার্ক্ব ছিলেন অন্যতম। হাদীছের প্রামাণিকতার বিরুদ্ধে তাদের বহু ভ্রান্তিকর ও অমার্জনীয় লেখনীসমূহ রয়েছে। তবে তারা উভয়ে মৃত্যুর পূর্বে তওবা করে গেছেন (আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করুন!)। কিন্তু যে সকল লেখনী তাদের বেরিয়ে গেছে[1], যা লোকদের জন্য স্থায়ী ভ্রান্তির উৎস হয়ে আছে, সেগুলি পড়ে যেন কোন অল্প বুদ্ধি লোক বিভ্রান্ত না হন, সেদিকে সুধী পাঠক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

[1]. নিয়ায ফতেহপুরী রচিত উর্দূ ‘ছাহাবিয়াত’ বইটি ‘মহিলা সাহাবী’ নামে বাংলায় অনুবাদ করেছেন জনাব গোলাম সোবহান সিদ্দিকী। প্রকাশক : আল-ফালাহ পাবলিকেশন্স, ঢাকা। যেখানে ১৪ জন মহিলা ছাহাবীর জীবনী আলোচিত হয়েছে। আলোচনায় লেখক তাঁর উদ্দেশ্য ঠিক রেখেছেন। যেমন মা আয়েশা (রাঃ)-এর জীবনী আলোচনা শেষে ‘একটি পর্যালোচনা’ শিরোনামে তিনি বলেন, তিনি (অর্থাৎ আয়েশা (রাঃ) যা কিছু বলতেন, যে ব্যাখ্যা করতেন, তা ছিল সম্পূর্ণ বুদ্ধিবৃত্তিক এবং যুক্তি নির্ভর। তাঁর এমন বর্ণনা খুব কমই পাওয়া যাবে, যা বিশ্বাস করার জন্য অহেতুক ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়ে।.... তিনি ছিলেন অন্ধ অনুকরণের ঘোর বিরোধী। রাসূলে খোদার কথা ও কাজের সত্যিকার তাৎপর্যে উপনীত হওয়ার জন্য সর্বদা চেষ্টা করতেন তিনি। শরীয়তে সবচেয়ে যুক্তিযুক্তের অনুবর্তনের যে প্রবল ধারা তার বর্ণনা থেকে প্রতিভাত হয়, তা সাধারণতঃ অন্য কারো বর্ণনায় পরিলক্ষিত হয় না’ (মহিলা সাহাবী পৃঃ ৬৫)।

পাঠক! নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে, লেখক এখানে মা আয়েশা (রাঃ)-এর যুক্তিবাদী মেধাকেই অগ্রগণ্য করেছেন। তাঁর হাদীছ অনুসরণকে নয়। অথচ আলী (রাঃ) বলেছেন, যদি দ্বীন মানুষের ‘রায়’ বা জ্ঞান মোতাবেক হ’ত, তাহ’লে মোযার নীচে মাসাহ করা উত্তম হ’ত মোযার উপরে মাসাহ করার চাইতে’ (আবুদাঊদ হা/১৬২ ‘মাসাহ’ অনুচ্ছেদ নং ৬৩)। নিঃসন্দেহে ইসলাম জ্ঞান ও যুক্তিবাদী র্ধম। কিন্তু তাই বলে তার সবকিছুই সর্বদা সকলের যুক্তি ও জ্ঞান মোতাবেক হবে, এমনটি কখনোই নয়। কেননা মানুষের জ্ঞান সবার সমান নয় এবং আল্লাহর জ্ঞানের সাথে মানুষের জ্ঞান তুলনীয় নয়। অতএব চোখ-কান খোলা রেখে এসব লেখকদের বই পড়তে হবে। নইলে নিজের অজান্তেই এদের পাতানো ফাঁদে আটকে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যাবে। -লেখক।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন