মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
যারা আখিরাতে ঈমান রাখে না, তাদের জন্য মন্দ উদাহরণ এবং আল্লাহর জন্য রয়েছে সর্বোচ্চ উদাহরণ। আর তিনিই পরাক্রমশালী, মহাজ্ঞানী। (সূরা আন্-নাহল: ১৬: ৬০)
‘সর্বোচ্চ উদাহরণ’ অর্থ হলো সর্বোচ্চ গুণ।
বুদ্ধিগত দলিল হলো: বাস্তবে অস্তিত্ববান প্রতিটি বস্তুরই অবশ্যই কিছু গুণবৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ গুণবৈশিষ্ট্য হয়ত পূর্ণাঙ্গ হবে, অথবা অপূর্ণাঙ্গ। দ্বিতীয়টি অর্থাৎ অপূর্ণাঙ্গ গুণ রব তা‘আলার ক্ষেত্রে অপ্রযোজ্য, বরং তা বাতিল। এ কারণেই আল্লাহ তা‘আলা মূর্তিসমূহের ইলাহ হওয়ার বাতুলতা এভাবে প্রকাশ করেছেন যে তা অপূর্ণাঙ্গতা ও অক্ষমতার বৈশিষ্ট্যে বিশিষ্ট। ইরশাদ হয়েছে:
তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে, যে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কাউকে ডাকে, যে কিয়ামত দিবস পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দেবে না? আর তারা তাদের আহবান সম্পর্কে উদাসীন। (সূরা আল আহকাফ: ৪৬: ৫)
আর তারা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে ডাকে, তারা কিছু সৃষ্টি করতে পারে না, বরং তাদেরকেই সৃষ্টি করা হয়। (তারা) মৃত, জীবিত নয় এবং তারা জানে না কখন তাদের পুনরুজ্জীবিত করা হবে। (সূরা আন্ নাহল: ১৬: ২০-২১)
আর ইব্রাহীম আ. তাঁর পিতার বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরে যা বলেছেন তার বর্ণনায় আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে:
সে বলল, ‘তাহলে কি তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর ইবাদাত কর, যা তোমাদের কোনো উপকার করতে পারে না এবং কোন ক্ষতিও করতে পারে না’? ‘ধিক তোমাদেরকে এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের ইবাদাত কর তাদেরকে! ‘তবুও কি তোমরা বুঝবে না’? (সূরা আল আম্বিয়া: ২১: ৬৬ -৬৭)
উপরন্তু অনুভূতি ও দৃষ্টির অভিজ্ঞতা থেকে এটা প্রমাণিত যে সৃষ্টিজীবেরও কিছু পূর্ণাঙ্গ গুণ রয়েছে, আর তা আল্লাহ তা‘আলারই দেওয়া। অতএব যিনি পূর্ণাঙ্গ বিষয় দিতে পারেন তিনি তো পূর্ণাঙ্গতার ব্যাপারে অধিক হকদার।
স্বচ্ছ মানবপ্রকৃতি তথা ফিতরতগত দলিল হলো: মানব অন্তরসমূহ মূলত এভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে যে তা আল্লাহ তা‘আলাকে মহববত করবে, তাঁকে তা‘যীম ও ইবাদত করবে। স্বচ্ছ অন্তরের অধিকারী প্রতিটি মানুষের এটাই হলো প্রত্যাশা। আর এরূপ অন্তর কেবল ওই সত্তাকেই মহব্বত, তা‘যীম ও ইবাদত করতে পারে যার ব্যাপারে জানা আছে যে তিনি তাঁর রুবুবিয়ত ও উলুহিয়তের উপযুক্ত পূর্ণাঙ্গ গুণ মাধুরিতে গুণান্বিত।
যদি কোনো গুণ এমন থাকে যা অসম্পূর্ণ তবে তা আল্লাহর জন্য প্রযোজ্য হবে না। যেমন মৃত্যু, অজ্ঞতা, ভুলে যাওয়া, অক্ষমতা, অন্ধত্ব, বধিরত্ব ইত্যাদি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
আর ইয়াহূদীরা বলে: আল্লাহর হাত বাঁধা, তাদের হাতই বেঁধে দেওয়া হয়েছে এবং তারা যা বলেছে তার জন্য তারা লা‘নতগ্রস্ত হয়েছে বরং তাঁর দু’ হাত প্রসারিত, তিনি যেভাবে ইচ্ছা খরচ করেন’। (সূরা আল-মায়েদা: ৫: ৬৪)
নিশ্চয় আল্লাহ তাদের কথা শুনেছেন, যারা বলেছে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ দরিদ্র এবং আমরা ধনী’। অচিরেই আমি লিখে রাখব তারা যা বলেছে এবং নবীদেরকে তাদের অন্যায়ভাবে হত্যার বিষয়টিও এবং আমি বলব, ‘তোমরা উত্তপ্ত আযাব আস্বাদন কর’। (সূরা আল ইমরান: ৩: ১৮১)
তারা আল্লাহ তা‘আলার ওপর যেসব অপূর্ণাঙ্গ গুণ আরোপ করে তা থেকে যে তিনি পবিত্র এ বিষয়টি ঘোষণা করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
‘তারা যা ব্যক্ত করে তোমার রব তা থেকে পবিত্র মহান, সম্মানের মালিক। আর রাসূলদের প্রতি সালাম। আর সকল প্রশংসা সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর জন্য।’ (সূরা আস-সাফফাত: ৩৭: ১৮০ -১৮২)
আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেননি, তাঁর সাথে অন্য কোন ইলাহও নেই। (যদি থাকত) তবে প্রত্যেক ইলাহ নিজের সৃষ্টিকে নিয়ে পৃথক হয়ে যেত এবং একে অন্যের উপর প্রাধান্য বিস্তার করত; তারা যা বর্ণনা করে তা থেকে আল্লাহ কত পবিত্র! (সূরা আল মুমিনূন:৯১)
আর যদি গুণটি এমন হয় যা এক অবস্থায় পূর্ণাঙ্গ এবং অন্য অবস্থায় অপূর্ণাঙ্গ, তবে তা উন্মুক্তভাবে আল্লাহর সঙ্গে সম্পৃক্ত করা বৈধও নয়, আবার নিষিদ্ধও নয়। বরং এ ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা রয়েছে। অর্থাৎ যে অবস্থায় গুণটি পূর্ণাঙ্গ সে অবস্থায় তা আল্লাহর সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যাবে। আর যে অবস্থায় তা অপূর্ণাঙ্গ সে অবস্থায় তা আল্লাহর সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যাবে না। যেমন ষড়যন্ত্র, কৌশল অবলম্বন, ধোঁকা ইত্যাদি। এসব গুণ ওই অবস্থায় পূর্ণাঙ্গ বলে বিবেচিত হবে যে অবস্থায় তা এমন কারো বিরুদ্ধে করা হবে যে অনুরূপ কর্ম করতে সক্ষম; কেননা তা সে অবস্থায় এটা বোঝাবে যে এ কর্মের কর্তা অভিন্ন ধরনের কর্ম অথবা তার থেকেও শক্তিশালী কর্ম দিয়ে তার শত্রুর মোকাবিলা করতে সক্ষম। এ অবস্থার বিপরীত হলে এ গুণগুলো অপূর্ণাঙ্গ গুণ বলে বিবেচিত হবে। এ কারণেই আল্লাহ তা‘আলা তা এমন লোকদের মোকাবিলায় উল্লেখ করেছেন যারা তার সঙ্গে এবং তাঁর রাসূলের সঙ্গে একই আচরণ করে। যেমন ইরশাদ হয়েছে:
আর যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে, অচিরেই আমি তাদেরকে ধীরে ধীরে এমনভাবে পাকড়াও করব যে, তারা জানতেও পারবে না। আর আমি তাদেরকে অবকাশ দিচ্ছি। নিশ্চয় আমার কৌশল শক্তিশালী। (সূরা আল আরাফ: ৭: ১৮২-১৮৩)
আর যখন তারা মুমিনদের সাথে মিলিত হয়, তখন বলে ‘আমরা ঈমান এনেছি’ এবং যখন গোপনে তাদের শয়তানদের সাথে একান্তে মিলিত হয়, তখন বলে, ‘নিশ্চয় আমরা তোমাদের সাথে আছি। আমরা তো কেবল উপহাসকারী’। আল্লাহ তাদের প্রতি উপহাস করেন। (সূরা আল বাকারা: ২: ১৪-১৫)
এ কারণেই, যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাদের মোকাবিলায় আল্লাহ তা‘আলাও বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, এ কথা বলা হয় নি। ইরশাদ হয়েছে:
আর যদি তারা তোমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার ইচ্ছা করে, তাহলে তারা তো পূর্বে আল্লাহর সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। অতঃপর তিনি তাদের উপর (তোমাকে) শক্তিশালী করেছেন। আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাবান। (সূরা আল আনফাল: ৮: ৭১)
এখানে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন যে ‘তিনি তাদের ওপর (তোমাকে) শক্তিশালী করেছেন’, একথা বলেননি যে ‘তিনিও তাদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন; কেননা বিশ্বাসঘাতকতা আমানতদারির মোকাবিলায় ব্যবহার করা হয়। আর এটা সর্বাবস্থায় খারাপ গুণ।
এ থেকে বুঝা গেল যে, কিছু সাধারণ লোকেরা যে বলে থাকে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে, আল্লাহও তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন’, এ কথাটি নিতান্তই জঘন্য। তা থেকে নিষেধ করা ওয়াজিব।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/520/13
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।