hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহ তা‘আলার হক বা প্রাপ্য

লেখকঃ সানাউল্লাহ নজির আহমদ

প্রথম অধিকার: আল্লাহ তা‘আলার ওপর ঈমান আনা
আল্লাহ তা‘আলার ওপর ঈমান চারটি জিনিস অন্তর্ভুক্ত করে:

এক: আল্লাহ তা‘আলার অস্তিত্বের ঈমান বা বিশ্বাস: আল্লাহ তা‘আলার মাখলুকাত তথা সৃষ্টি জগত দেখে তাঁর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। যেহেতু স্রষ্টা ছাড়া কোনো সৃষ্টি নিজেকে নিজে সৃষ্টি করতে কিংবা অস্তিত্বে আনতে পারে না; কারণ, প্রত্যেক জিনিসই তার অস্তিত্বের পূর্বে বিলুপ্ত, অবিদ্যমান ও অস্তিত্বহীন থাকে, বিধায় সৃষ্টি করার প্রশ্নই আসে না। আবার কোনো জিনিস হঠাৎ বা আকস্মিকভাবে অস্তিত্বে বা দৃশ্যপটে চলে আসবে তাও সম্ভব নয়। কারণ, প্রতিটি ঘটমান বস্তু বা সম্পাদিত কাজের নেপথ্যে সংঘটক বা সম্পাদনকারী থাকা জরুরী।

অতএব, যখন আমরা জানতে পারলাম এ বিশ্বজগত নিজে-নিজেই দৃশ্যপটে চলে আসে নি, আবার অকস্মাৎ তৈরি হয়েও যায় নি, তাই আমাদের কাছে সুনির্দিষ্টভাবে পরিষ্কার হয়ে গেল, এর একজন স্রষ্টা রয়েছেন। আর তিনি হলেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন।

দুই: রুবুবিয়্যাতের ঈমান: আল্লাহ তা‘আলার রুবুবিয়্যাতের ওপর ঈমান রাখা; অর্থাৎ সৃষ্টি তার, মালিকানা তার, পরিচালনার দায়িত্ব তার, তিনি ছাড়া কেউ মালিক নয়, কেউ পরিচালনাকারী নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿أَلَا لَهُ ٱلۡخَلۡقُ وَٱلۡأَمۡرُۗ تَبَارَكَ ٱللَّهُ رَبُّ ٱلۡعَٰلَمِينَ﴾ [ الاعراف : ٥٤ ]

“শুনে রেখ, তাঁরই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ করা।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৫৪]

আরো বলেন,

﴿ذَٰلِكُمُ ٱللَّهُ رَبُّكُمۡ لَهُ ٱلۡمُلۡكُۚ وَٱلَّذِينَ تَدۡعُونَ مِن دُونِهِۦ مَا يَمۡلِكُونَ مِن قِطۡمِيرٍ﴾ [ فاطر : ١٣ ]

“তিনিই আল্লাহ! তোমাদের রব, সাম্রাজ্য তাঁরই। তাঁর পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা তুচ্ছ খেজুর আঁটিরও অধিকারী নয়।” [সূরা ফাতির, আয়াত: ১৩]

দুনিয়ার ইতিহাসে এমন কাউকে পাওয়া যায় নি যে, অন্তরের সাক্ষ্য, প্রাকৃতিক বাস্তবতার প্রতি দৃষ্টিপাত করে আল্লাহ তা‘আলার রুবুবিয়্যাতকে অস্বীকার করেছে। তবে এমন অনেকেই আছে, যারা জেদ ধরে অহংকারবশত, নিজের কথায় আস্থা না থাকা সত্ত্বেও আল্লাহ তা‘আলার রুবুবিয়্যাত অস্বীকার করেছে। যেমন, ফির‘আউন তার সম্প্রদায়কে বলেছিল:

﴿أَنَا۠ رَبُّكُمُ ٱلۡأَعۡلَىٰ﴾ [ النازعات : ٢٤ ]

“আমিই তোমাদের বড় রর।” [সূরা আন-নাযি‘আত, আয়াত: ২৪] অন্য জায়গায় বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلۡمَلَأُ مَا عَلِمۡتُ لَكُم مِّنۡ إِلَٰهٍ غَيۡرِي﴾ [ القصص : ٣٨ ]

“হে পরিষদবর্গ, আমি জানি না যে আমি ব্যতীত তোমাদের কোনো উপাস্য আছে কি-না।” [সূরা আল-কাসাস, আয়াত: ৩৮] ফির‘আউন নিজের ওপর আস্থা কিংবা বিশ্বাস রেখে এ কথা বলে নি। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন,

﴿وَجَحَدُواْ بِهَا وَٱسۡتَيۡقَنَتۡهَآ أَنفُسُهُمۡ ظُلۡمٗا وَعُلُوّٗا﴾ [ النمل : ١٤ ]

“তারা অহংকার করে নিদর্শনাবলী প্রত্যাখ্যান করল, যদিও তাদের অন্তর এগুলোকে সত্য বলে বিশ্বাস করেছিল।” [সূরা আন-নামল, আয়াত: ১৪] মূসা আলাইহিস সালাম ফির‘আউনকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন,

﴿لَقَدۡ عَلِمۡتَ مَآ أَنزَلَ هَٰٓؤُلَآءِ إِلَّا رَبُّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ بَصَآئِرَ وَإِنِّي لَأَظُنُّكَ يَٰفِرۡعَوۡنُ مَثۡبُورٗا﴾ [ الاسراء : ١٠٢ ]

“তুমি অবশ্যই জান যে, আসমান ও জমিনের রবই এসব নিদর্শনাবলী প্রত্যক্ষ প্রমাণস্বরূপ নাযিল করেছেন। হে ফির‘আউন, আমার ধারণা তুমি ধ্বংস হতে চলেছ।” [সূরা আল-ইসরা, আয়াত: ১০২]

এর দ্বারা প্রমাণিত হলো যে মুশরিকরা আল্লাহ তা‘আলার الألوهية ‘উলুহিয়্যাতে’ শরীক করেও الربوبية ‘রুবুবিয়্যাতে’-কে স্বীকার করতো। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿قُل لِّمَنِ ٱلۡأَرۡضُ وَمَن فِيهَآ إِن كُنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ٨٤ سَيَقُولُونَ لِلَّهِۚ قُلۡ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ ٨٥ قُلۡ مَن رَّبُّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ ٱلسَّبۡعِ وَرَبُّ ٱلۡعَرۡشِ ٱلۡعَظِيمِ ٨٦ سَيَقُولُونَ لِلَّهِۚ قُلۡ أَفَلَا تَتَّقُونَ ٨٧ قُلۡ مَنۢ بِيَدِهِۦ مَلَكُوتُ كُلِّ شَيۡءٖ وَهُوَ يُجِيرُ وَلَا يُجَارُ عَلَيۡهِ إِن كُنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ٨٨ سَيَقُولُونَ لِلَّهِۚ قُلۡ فَأَنَّىٰ تُسۡحَرُونَ ٨٩﴾ [ المؤمنون : ٨٤، ٨٩ ]

“বলুন, পৃথিবী এবং পৃথিবীতে যারা আছে, তা কার? যদি তোমরা জান, তবে বল। এখন তারা বলবে: সবই আল্লাহর। বলুন, তবুও কি তোমরা চিন্তা করো না? বলুন: সপ্ত আকাশ ও মহা-আরশের মালিক কে? এখন তারা বলবে আল্লাহ। বলুন, তবুও কি তোমরা ভয় করবে না ? বলুন, তোমাদের জানা থাকলে বল, কার হাতে সব বস্তুর কর্তৃত্ব, যিনি রক্ষা করেন এবং যার কবল থেকে কেউ রক্ষা করতে পারে না। এখন তারা বলবে আল্লাহর। বলুন, তাহলে কোথা থেকে তোমাদেরকে জাদু করা হচ্ছে?” [সূরা আল-মুমিনূন, আয়াত: ৭৯-৮৪] অন্যত্র বলা হচ্ছে:

﴿وَلَئِن سَأَلۡتَهُم مَّنۡ خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَ لَيَقُولُنَّ خَلَقَهُنَّ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡعَلِيمُ ٩﴾ [ الزخرف : ٩ ]

“(হে নবী) আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন: কে নভোমণ্ডল ও ভূ-মণ্ডল সৃষ্টি করেছে? তারা অবশ্যই বলবে, এগুলো সৃষ্টি করেছেন পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহ।” [সূরা আয-যুখরূপ, আয়াত: ৯] আরো বলা হচ্ছে:

﴿وَلَئِن سَأَلۡتَهُم مَّنۡ خَلَقَهُمۡ لَيَقُولُنَّ ٱللَّهُۖ فَأَنَّىٰ يُؤۡفَكُونَ ٨٧﴾ [ الزخرف : ٨٧ ]

“আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, কে তাদেরকে সৃষ্টি করেছে ? তবে অবশ্যই তারা বলবে আল্লাহ।” [সূরা আয-যুখরুফ, আয়াত: ৮৭]

তিন: আল্লাহ তা‘আলার উলুহিয়্যাতের ওপর ঈমান: অর্থাৎ ‘আল্লাহ সুবহানাহু ও তা‘আলাই একমাত্র উপাস্য’ এ কথার ওপর ঈমান রাখা। যথা তিনি সত্যিকারার্থে প্রভূ। বিনয় ও মহব্বত সম্বলিত ইবাদতের উপযুক্ত। তিনি ছাড়া কেউ ইবাদতের উপযুক্ত নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَإِلَٰهُكُمۡ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞۖ لَّآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلرَّحۡمَٰنُ ٱلرَّحِيمُ ١٦٣﴾ [ البقرة : ١٦٣ ]

“আর তোমাদের উপাস্য একমাত্র তিনিই। তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই, তিনিই কেবল পরম করুণাময় দয়ালু।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৬৩] আরো বলেন,

﴿ءَأَرۡبَابٞ مُّتَفَرِّقُونَ خَيۡرٌ أَمِ ٱللَّهُ ٱلۡوَٰحِدُ ٱلۡقَهَّارُ ٣٩ مَا تَعۡبُدُونَ مِن دُونِهِۦٓ إِلَّآ أَسۡمَآءٗ سَمَّيۡتُمُوهَآ أَنتُمۡ وَءَابَآؤُكُم مَّآ أَنزَلَ ٱللَّهُ بِهَا مِن سُلۡطَٰنٍۚ﴾ [ يوسف : ٣٩، ٤٠ ]

“ভিন্ন ভিন্ন অনেক রব ভালো, না পরাক্রমশালী এক আল্লাহ? তোমরা আল্লাহকে ছেড়ে নিছক কতগুলো নামের ইবাদত কর, সেগুলো তোমরা এবং তোমাদের বাপ-দাদারা সাব্যস্ত করে নিয়েছ। আল্লাহ এদের ব্যাপারে কোনো প্রমাণ অবতীর্ণ করেন নি।” [সূরা ইউসূফ, আয়াত: ৩৯-৪০]

আল্লাহ তা‘আলা উল্লিখিত জিনিসগুলোর প্রভূত্ব কিছু যুক্তির মাধ্যমে খণ্ডন করেছেন:

১. মুশরিকরা যে সমস্ত বস্তুকে প্রভূ বানিয়েছিল, তাদের ভিতর প্রভূত্বের কোনো গুণ বিদ্যমান নেই। এগুলো সৃষ্টি করতে পারে না, কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না এবং তাদেরকে অনিষ্ট থেকে রক্ষা করতে পারে না। এরা তাদের জীবন-মৃত্যুর মালিক নয়। আসমান-যমীনের মাঝে কোনো জিনিসের মালিক নয় এবং এতে তাদের অংশীদারিত্বও নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَٱتَّخَذُواْ مِن دُونِهِۦٓ ءَالِهَةٗ لَّا يَخۡلُقُونَ شَيۡ‍ٔٗا وَهُمۡ يُخۡلَقُونَ وَلَا يَمۡلِكُونَ لِأَنفُسِهِمۡ ضَرّٗا وَلَا نَفۡعٗا وَلَا يَمۡلِكُونَ مَوۡتٗا وَلَا حَيَوٰةٗ وَلَا نُشُورٗا ٣﴾ [ الفرقان : ٣ ]

“তারা তার পরিবর্তে কত উপাস্য গ্রহণ করেছে, যারা কিছুই সৃষ্টি করে না এবং তারা নিজেরাই সৃষ্ট, নিজেদের ভালোও করতে পারে না, মন্দও করতে পারে না। জীবন, মরণ এবং পুনরুজ্জীবনেরও মালিক নয় তারা।” [সূরা আল-ফুরকান, আয়াত: ৩] তিনি আরো বলেন,

﴿أَيُشۡرِكُونَ مَا لَا يَخۡلُقُ شَيۡ‍ٔٗا وَهُمۡ يُخۡلَقُونَ ١٩١ وَلَا يَسۡتَطِيعُونَ لَهُمۡ نَصۡرٗا وَلَآ أَنفُسَهُمۡ يَنصُرُونَ ١٩٢﴾ [ الاعراف : ١٩١، ١٩٢ ]

“তারা কি এমন কাউকে শরীক সাব্যস্ত করে যে একটি বস্তুও সৃষ্টি করে নি বরং তাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে? আর তারা না তাদের সাহায্য করতে পারে, না নিজের সাহায্য করতে পারে!” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৯১-১৯২]

তাদের বানানো প্রভূদের এমন অসহায়ত্ব ও দুরবস্থা প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ তা‘আলাকে বাদ দিয়ে এগুলোকে প্রভূ বানানো নিরেট বোকামি, চরম বাতুলতা।

২. মুশরিকরা বিশ্বাস করতো -আল্লাহ তা‘আলাই প্রতিপালক, সৃষ্টিকর্তা, তার হাতেই সমস্ত জিনিসের মালিকানা, তিনি রক্ষা করেন, তার কবল থেকে কেউ রক্ষা করতে পারে না। আল-কুরআনে বলা হচ্ছে:

﴿وَلَئِن سَأَلۡتَهُم مَّنۡ خَلَقَهُمۡ لَيَقُولُنَّ ٱللَّهُۖ فَأَنَّىٰ يُؤۡفَكُونَ ٨٧﴾ [ الزخرف : ٨٧ ]

“আপনি যদি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন কে তাদেরকে সৃষ্টি করেছে? তাহলে অবশ্যই তারা বলবে, আল্লাহ।” [সূরা আয-যুখরুফ, আয়াত: ৮৭] আরো বলা হচ্ছে:

﴿قُلۡ مَن يَرۡزُقُكُم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ وَٱلۡأَرۡضِ أَمَّن يَمۡلِكُ ٱلسَّمۡعَ وَٱلۡأَبۡصَٰرَ وَمَن يُخۡرِجُ ٱلۡحَيَّ مِنَ ٱلۡمَيِّتِ وَيُخۡرِجُ ٱلۡمَيِّتَ مِنَ ٱلۡحَيِّ وَمَن يُدَبِّرُ ٱلۡأَمۡرَۚ فَسَيَقُولُونَ ٱللَّهُۚ فَقُلۡ أَفَلَا تَتَّقُونَ ٣١﴾ [ يونس : ٣١ ]

“তুমি জিজ্ঞেস কর, কে রুজি দান করে তোমাদেরকে আসমান থেকে ও জমিন থেকে কিংবা কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তাছাড়া কে জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করেন? এবং কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্ম-সম্পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে, আল্লাহ! তুমি বল, তারপরেও তাকওয়া অবলম্বন করছ না?” [সূরা ইউনূস, আয়াত: ৩১]

তারা যখন নিজেরাই এর সাক্ষ্য প্রদান করল, যুক্তির ভিত্তিতে এখন তাদের অবশ্য কর্তব্য একমাত্র প্রভূ, একমাত্র প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করা। ধারণাপ্রসূত ঐ সমস্ত প্রভূদের নয় -যারা নিজেদের কোনো উপকার করতে পারে না। নিজেদের থেকে কোনো বিপদ হটাতে জানে না।

চার: আল্লাহ তা‘আলার নাম ও সিফাতের ওপর ঈমান: বান্দা হিসেবে আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ঈমান আনবে। যে সমস্ত নাম ও সিফাত (বিশেষ্য ও বিশেষণ) আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় কিতাব অথবা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় হাদীসে উল্লেখ করেছেন, সেগুলোকে আল্লাহ তা‘আলার নাম ও সিফাত হিসেবে আল্লাহ তা‘আলার শানের সাথে উপযুক্ত মতে বিশ্বাস করবে, একমাত্র তার জন্য প্রযোজ্য বলে জ্ঞান করবে। কোনো ধরনের অপব্যাখ্যা, নিষ্কর্মকরণ, আকৃতি প্রদান ও সামঞ্জস্য বিধান করবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَلِلَّهِ ٱلۡأَسۡمَآءُ ٱلۡحُسۡنَىٰ فَٱدۡعُوهُ بِهَاۖ وَذَرُواْ ٱلَّذِينَ يُلۡحِدُونَ فِيٓ أَسۡمَٰٓئِهِۦۚ سَيُجۡزَوۡنَ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ١٨٠﴾ [ الاعراف : ١٨٠ ]

“আর আল্লাহর রয়েছে উত্তম নামসমূহ, কাজেই সে নাম ধরেই তাকে আহ্বান কর। আর তাদেরকে বর্জন কর, যারা তার নামের ব্যাপারে বাঁকা পথে চলে। তারা নিজেদের কৃতকর্মের ফল শীঘ্রই পাবে।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ১৮০] অন্যত্র বলেন,

﴿لَيۡسَ كَمِثۡلِهِۦ شَيۡءٞۖ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡبَصِيرُ﴾ [ الشورا : ١١ ]

“কোনো কিছুই তার অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, দেখেন।” [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১১]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন