hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহর জন্য ভ্রাতৃত্ব

লেখকঃ মাজেদ আলি হাসান হাবিব

ভাইয়ের ওপর ভাইয়ের দায়িত্ব
প্রয়োজনের সময়ে সঙ্গ দেয়া এবং পাশে দাঁড়ানো। এর বিভিন্ন স্তর হতে পারে। প্রথমত: সর্বনিম্ন স্তর, অর্থাৎ যদি ভাই সাহায্য করে, তবে তাকে সাহায্য করা। দ্বিতীয়ত মধ্যবর্তী স্তর, অর্থাৎ সাহায্য প্রার্থনা ব্যতীতই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া। তৃতীয়ত সর্বোচ্চ স্তর, অর্থাৎ ভাইয়ের প্রয়োজনকে নিজের প্রয়োজনের তুলনায় অধিক গুরুত্ব প্রদান করা। আমাদের মহান পূর্বপুরুষদের মাঝে এমন দৃষ্টান্তও বিরল নয় যে, কারো মৃত্যুর পর তিনি দীর্ঘ চলিশ বছর অনবরত তার পরিবারকে সেবা দিয়ে গেছেন, তাদের প্রয়োজনসমূহ অভিভাবকের অনুরূপ পূরণ করেছেন।

ভাইয়ের উপস্থিতিতে কিংবা অনুপস্থিতিতে, সর্বাবস্থায় তার দোষ-ত্রুটি উলেখ হতে বিরত থাকা। এবং সরাসরি তার বিরোধিতায় লিপ্ত না হওয়া-তবে বিষয়টি যদি আমর বিল মা’রুফ ও নেহী আনিল মুনকারের পর্যায়-ভুক্ত হয়, তবে তা বৈধ এবং সিদ্ধ বলে গণ্য হবে। [প্রাগুক্ত : পৃষ্ঠা : ১১৫]

তার ভুল-ত্রুটিকে ক্ষমা সুন্দর মার্জনীয় দৃষ্টিতে দেখা। ত্রুটিহীন মানুষের কল্পনা এক অবাস্তব কল্পনা, এটি সর্বৈবে ভিত্তিহীন একটি বিষয়। বরং, যে ব্যক্তির মাঝে অনুত্তমের তুলনায় উত্তম আচরণ অধিক-হারে বিদ্যমান, সেই আমাদের কাছে পরম ব্যক্তিত্ব। ইবনে মুবারক রহ. বলেন, মোমিন অপরের মাঝে অপারগতার সন্ধান করে, আর মোনাফিক খুঁজে বেড়ায় ত্রুটি ও পদস্খলন।

ভালো এবং মন্দ-উভয় অবস্থায় তাকে সহায়তা প্রদান করা।

ভাইয়ের কষ্টকে বরদাশত না করা, এবং তার প্রতিকারার্থে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ভাইয়ের দু:খ-কষ্টে ভারাক্রান্ত হওয়া।

সাক্ষাৎকালীন সালাম প্রদান। তার ডাকে সাড়া দেওয়া। অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া। ইন্তেকাল করলে জানাজায় শরিক হওয়া। যদি উপদেশ চায়, তবে সৎ উপদেশ প্রদান করা।

ভাইয়ের কল্যাণে উৎফুল হওয়া, এবং কল্যাণ পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালান, নিজের কল্যাণে উৎফুল হয়ে উঠা এবং সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় রত হওয়ার মতই।

মুসলিম ভাইদের মাঝে পারস্পরিক সহযোগিতা। রাসূল সালালাহু আলাইহি ওয়াসালাম এরশাদ করেন - জালিম এবং মাজলুম-উভয় অবস্থায় তুমি তোমার ভাইকে সহযোগিতা করো। এক ব্যক্তি বলল, যখন ব্যক্তি মাজলুম হবে তাকে সহযোগিতা করব। কিন্তু যখন সে জালেম হবে, তাকে কীভাবে সহযোগিতা করব? রাসূল বললেন : তোমরা তাকে জুলুম হতে বাধা প্রদান করবে, এটিই তার জন্য সহযোগিতা। [বুখারী : ৬৯৫২] এ হাদিসের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে ইবনে উসাইমীন রহ. বলেন : উক্ত হাদিসে প্রশ্নকারী বলেছিল : হে আল্লাহর রাসূল ! আপনি বলুন, যদি সে জালিম হয়, তবে কীভাবে তাকে সহযোগিতা করব? সে কিন্তু এ কথা বলেনি যে, এ অবস্থায় আমি তাকে সহযোগিতা করব না। সে বরং, বলেছে, আমি কীভাবে তাকে সহযোগিতা করব? অর্থাৎ তাকে তো অবশ্যই সহযোগিতা করব, কিন্তু তার প্রক্রিয়াটি কি হবে? রাসূল এর উত্তরে বলেছেন : তাকে জুলুম হতে বাধা প্রদান করবে, এটিই তার জন্য সহযোগিতা। যদি দেখ জালিম মানুষের ওপর অত্যাচার করছে, তবে তাকে বাধা প্রদান করবে, এটিই তার জন্য সহযোগিতা। এ হাদিসের বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত হয়, উক্ত প্রক্রিয়ায় জালিম এবং মাজলুম-উভয়কে সহযোগিতা করা ওয়াজিব বা অবশ্য কর্তব্য। [শরহু রিয়াযিস সালেহিন : পৃষ্ঠা : ৬৪২ ; প্রাগুক্ত।]

কঠিন বিষয়গুলো তার জন্য সহজ করে তোলা।

সর্বদা তার জন্য দোয়া করা।

উপদেশ প্রদান। আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : রাসূল সালালাহু আলাইহি ওয়াসালাম বলেছেন : মোমিন তার ভাইয়ের জন্য আয়না তুল্য, মোমিন অপর মোমিনের ভাই স্বরূপ। সে তার সম্পদ রক্ষা করে এবং তার অবর্তমানে তা হেফাজত করে।। [ইমাম বুখারী আদাবে মুফরাদ গ্রন্থে হাদীসটি উলেখ করেছেন, আলবানী উক্ত হাদীসকে ‘হাসান’ বলেছেন।]

মানুষের জন্য নয়, আল্লাহর জন্য এখলাস ও বিশ্বস্ততা অবলম্বন করা। বিশ্বস্ততার মর্ম হচ্ছে সহমর্মিতা ও ভালোবাসার ওপর অটল থাকা এবং ব্যক্তির মৃত্যু অবধি, এমনকি, মৃত্যুর পরও অব্যাহত রাখা। মৃত্যুর পর-কারণ, অপরের প্রতি ভালোবাসার প্রাপ্তি পরকালীন, পার্থিব নয় কোন অর্থেই। যদি মৃত্যুর পূর্বে তাতে ব্যাঘাত ঘটে, তবে এ যাবৎকালের সব কিছু বিফলে পর্যবসিত হবে। খাদিজা রা.-এর জীবৎকালে যে নারী রাসূলের পরিবারে যাতায়াত করতেন, পরবর্তীতে তার অনুপস্থিতিতে যখন উক্ত নারী রাসূলের দরবারে আগমন করতেন, তিনি তাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন। এ ঘটনাটি এ বিষয়টির জন্য সর্বোত্তম দলীল হিসেবে উপস্থাপন করা যায়।

সহজ আচরণে তাকে আপুত করা, অতিরঞ্জন এবং কঠিন আচরণ পরিহার করা। এ প্রসঙ্গে ইমাম জাফর সাদেক বলেন : আমার কাছে সে ভাইয়ের সাহচর্য কষ্টকর, যে আমার কাছে নিজেকে উপস্থিত করে কঠিন করে, এবং আমি তার থেকে বেঁচে থাকি। আর সহজ এমন ব্যক্তির সাহচর্য, যার সাথে আমি নিজের মত থাকতে পারি। যেভাবে আমি একাকী থাকি, সেভাবে তার সাথেও কাটাতে পারি।

আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পরস্পর সাক্ষাৎ করা। এ প্রসঙ্গে রাসূল সালালাহু আলাইহি ওয়াসালাম বলেছেন : আমি কি তোমাদের জান্নাতীদের সুসংবাদ দেব না? নবি জান্নাতে অবস্থান করবেন, শহীদ জান্নাতে অবস্থান করবেন, সিদ্দীক জান্নাতে অবস্থান করবেন, নবজাতক জান্নাতে অবস্থান করবে এবং যে ব্যক্তি শহরের কোথাও তার ভাইয়ের সাথে আল্লাহর জন্য মিলিত হয়, সেও জান্নাতে অবস্থান করবে। [সহীহ জামে সগীর : পৃষ্ঠা : ২৬০১]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন