HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
প্রাচ্যবিদ্যা পরিভাষা বিশ্লেষণ
লেখকঃ ফয়সাল বিন খালেদ
৬
الاستعراب و المستعرب (আরববিদ্যা এবং আরববিদ) الاستعراب বা আরববিদ্যা মূলত প্রাচ্যবিদ্যারই একটি শাখা। প্রাচ্যবিদ্যার শেষ পর্বে প্রাচ্যবিদরা যখন প্রাচ্যের একটি অংশ আরব ও আরবীয় সভ্যতার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেন এবং কোনো কোনো প্রাচ্যবিদ বিশেষভাবে শুধু আরব নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তখনই এই পরিভাষাটি গড়ে উঠে। সুতরাং মুস্তারিব বা আরববিদ মানে বিশেষভাবে আরব সভ্যতা-ভাষা-সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণাকারী পশ্চিমা গবেষক। তবে শব্দটি কখনো কখনো আরেকটু ব্যাপক অর্থেও ব্যবহৃত হয়। তখন শব্দটি আরবীয় সভ্যতা-সংস্কৃতি-আরবীয় চিন্তা-দর্শন-ভাষা-সাহিত্যের যেকোনো গবেষককেই (তিনি পাশ্চাত্যের হন বা প্রাচ্যের) নির্দেশ করে। সেই অর্থে কোনো জাপানী যদি আরবীয় সভ্যতা-সংস্কৃতি-চিন্তা-দর্শন নিয়ে গবেষণা করেন তাহলে তাকে মুস্তারিব বলা যাবে। তবে তাকে মুস্তাশরিক বা প্রাচ্যবিদ বলা যাবে না। কারণ, ভৌগোলিক বিচারে তিনি প্রাচ্যের। তবে প্রাচ্যবিদ্যার ব্যাপক যে সংজ্ঞা (যাতে প্রধান বিচার্যের বিষয় ধর্ম) সেই অনুসারে খ্রিস্টান জাপানী মুস্তারিবকে মুস্তাশরিকও বলা যাবে।
ইউরোপের আরবী ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক দিনের। ইউরোপিয়ানদের আরব চর্চার প্রবণতার সবচেয়ে তীব্র কাল ১১০০-১৫০০, স্পেনে যখন সমৃদ্ধ এক আরবীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছে। ইউরোপের ইতিহাসে এই কালটি ‘আরবীয় ইউরোপ’ নামে চি হ্নিত হয়ে আছে। এ সময় যা কিছু আরবীয়, ইউরোপের যুবক শিক্ষার্থীরা তার প্রতি প্রবলভাবে ঝুঁকে পড়েছিলেন। তখনকার এক খ্রিস্টান ধর্মযাজকের এক জবানিতে তা ফুটে উঠেছে এভাবে:
‘আমাদের ধর্মীয় ভাইরা আরবী কবিতা ও রূপকথা খুব উপভোগ করেন। ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে তারা মুসলিম দার্শনিক ও ধর্মতাত্ত্বিকদের রচনা পড়েন। কেন? তার সমালোচনা করার জন্য! হায় কপাল!! তারা এসব দার্শনিক ও ধর্মতাত্ত্বিকদের রচনা পড়েন তার বিশুদ্ধ সুন্দর আরবী শৈলী রপ্ত করার জন্য। এখন তুমি গির্জার লোকদের ছাড়া এমন একজন খ্রিস্টানও পাবে না যে ব্যক্তি পবিত্র গ্রন্থের ল্যাটিন ব্যাখ্যাগুলো পড়ে, তারা ছাড়া কেউই এখন আর প্রফেট এবং তার হাওয়ারীদের কাহিনীগুলো পড়ে না। হায় কপাল! খৃস্টান মেধাবী যুবকরা এখন আরবী ভাষা সাহিত্য নিয়ে মেতে আছে, তারা তা খুব পছন্দ করে, মনোযোগ দিয়ে তা অধ্যয়ন করে। আরবী বই পুস্তকের পিছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে এবং সর্বত্র স্পষ্ট বলে বেড়ায় আরবী ভাষা-সাহিত্য আসলেই খুব মুগ্ধকর ব্যাপার। তাদেরকে যদি খৃস্টীয় পবিত্র গ্রন্থগুলোর কথা বল তাহলে তারা খোলাখুলি বলবে এগুলো তাদের মনোযোগ পাবার যোগ্য নয়। হায় ঈশ্বর!! খ্রিস্টানরা তাদের নিজেদের ভাষা পর্যন্ত ভুলে গেছে। হাজারেও তুমি এমন একজন পাবে না যে নিজে নির্ভুল একটি চিঠি পর্যন্ত লিখতে পারে। পক্ষান্তরে আরবী লেখা? তুমি এমন অসংখ্য খ্রিস্টান পাবে যারা বিশুদ্ধ এবং খুবই মান সম্মত আরবী লিখতে সক্ষম; বরং এখন তারা আরবী কবিতাও লিখছে এবং তাদের অনেকের কবিতা শিল্প-সাহিত্যের বিচারে, স্বয়ং আরবদের কবিতার চেয়ে অনেক ভালো।’
এই হলো ইতিহাস- ইউরোপের ইস্তেরাবের। কিন্তু বর্তমান হচ্ছে আমাদের ইস্তেগরাব। আমাদের শিক্ষিত ও তথাকথিত সংস্কৃতিমনা লোকজন অনারবীয় ভাষায় কথা বলতে পছন্দ করেন, অনারব সাহিত্য উপভোগ করেন, ইংরেজি-ফরাসী পত্র-পত্রিকা পড়েন সব সময়, অনায়াসে। তবে তাদের অধিকাংশরই অবস্থা হচ্ছে তারা নির্ভুলভাবে এক পৃষ্ঠা আরবী পড়তে সক্ষম নন।
অবশেষে পাশ্চাত্যের কয়েকজন মুস্তারিব বা আরববিদের নাম উল্লেখ করে রাখি: ইতালির উমবারটো রিজিটানো, তিনি বেলেরমু বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবী ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। স্পেনের গার্সিয়া গোমেজ এবং আরবী ভাষা ও আঞ্চলিক আরবী ভাষার বিশেষজ্ঞ জার্মান গবেষক ফিশার।
সমাপ্ত
ইউরোপের আরবী ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক দিনের। ইউরোপিয়ানদের আরব চর্চার প্রবণতার সবচেয়ে তীব্র কাল ১১০০-১৫০০, স্পেনে যখন সমৃদ্ধ এক আরবীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছে। ইউরোপের ইতিহাসে এই কালটি ‘আরবীয় ইউরোপ’ নামে চি হ্নিত হয়ে আছে। এ সময় যা কিছু আরবীয়, ইউরোপের যুবক শিক্ষার্থীরা তার প্রতি প্রবলভাবে ঝুঁকে পড়েছিলেন। তখনকার এক খ্রিস্টান ধর্মযাজকের এক জবানিতে তা ফুটে উঠেছে এভাবে:
‘আমাদের ধর্মীয় ভাইরা আরবী কবিতা ও রূপকথা খুব উপভোগ করেন। ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে তারা মুসলিম দার্শনিক ও ধর্মতাত্ত্বিকদের রচনা পড়েন। কেন? তার সমালোচনা করার জন্য! হায় কপাল!! তারা এসব দার্শনিক ও ধর্মতাত্ত্বিকদের রচনা পড়েন তার বিশুদ্ধ সুন্দর আরবী শৈলী রপ্ত করার জন্য। এখন তুমি গির্জার লোকদের ছাড়া এমন একজন খ্রিস্টানও পাবে না যে ব্যক্তি পবিত্র গ্রন্থের ল্যাটিন ব্যাখ্যাগুলো পড়ে, তারা ছাড়া কেউই এখন আর প্রফেট এবং তার হাওয়ারীদের কাহিনীগুলো পড়ে না। হায় কপাল! খৃস্টান মেধাবী যুবকরা এখন আরবী ভাষা সাহিত্য নিয়ে মেতে আছে, তারা তা খুব পছন্দ করে, মনোযোগ দিয়ে তা অধ্যয়ন করে। আরবী বই পুস্তকের পিছনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে এবং সর্বত্র স্পষ্ট বলে বেড়ায় আরবী ভাষা-সাহিত্য আসলেই খুব মুগ্ধকর ব্যাপার। তাদেরকে যদি খৃস্টীয় পবিত্র গ্রন্থগুলোর কথা বল তাহলে তারা খোলাখুলি বলবে এগুলো তাদের মনোযোগ পাবার যোগ্য নয়। হায় ঈশ্বর!! খ্রিস্টানরা তাদের নিজেদের ভাষা পর্যন্ত ভুলে গেছে। হাজারেও তুমি এমন একজন পাবে না যে নিজে নির্ভুল একটি চিঠি পর্যন্ত লিখতে পারে। পক্ষান্তরে আরবী লেখা? তুমি এমন অসংখ্য খ্রিস্টান পাবে যারা বিশুদ্ধ এবং খুবই মান সম্মত আরবী লিখতে সক্ষম; বরং এখন তারা আরবী কবিতাও লিখছে এবং তাদের অনেকের কবিতা শিল্প-সাহিত্যের বিচারে, স্বয়ং আরবদের কবিতার চেয়ে অনেক ভালো।’
এই হলো ইতিহাস- ইউরোপের ইস্তেরাবের। কিন্তু বর্তমান হচ্ছে আমাদের ইস্তেগরাব। আমাদের শিক্ষিত ও তথাকথিত সংস্কৃতিমনা লোকজন অনারবীয় ভাষায় কথা বলতে পছন্দ করেন, অনারব সাহিত্য উপভোগ করেন, ইংরেজি-ফরাসী পত্র-পত্রিকা পড়েন সব সময়, অনায়াসে। তবে তাদের অধিকাংশরই অবস্থা হচ্ছে তারা নির্ভুলভাবে এক পৃষ্ঠা আরবী পড়তে সক্ষম নন।
অবশেষে পাশ্চাত্যের কয়েকজন মুস্তারিব বা আরববিদের নাম উল্লেখ করে রাখি: ইতালির উমবারটো রিজিটানো, তিনি বেলেরমু বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবী ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। স্পেনের গার্সিয়া গোমেজ এবং আরবী ভাষা ও আঞ্চলিক আরবী ভাষার বিশেষজ্ঞ জার্মান গবেষক ফিশার।
সমাপ্ত
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন