HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
যিশু কি সত্যিই ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন
লেখকঃ ডা. জাকির নায়েক
৭
৩. খ্রিস্টধর্মে ক্রুশের প্রমাণপ্যাস্টর রুক্নিঃ থ্যাঙ্ক ইউ, ডা. জাকির! আপনার লেকচারের জন্য। আপনি অনেক অযৌক্তিক কথা বললেন। আপনি পবিত্র বাইবেলের বিভিন্ন কথার ভুল ব্যাখ্যা দিলেন। আর এ ব্যাখ্যাগুলো আপনি এত অযৌক্তিকভাবে দিলেন যে, আমার জন্য আলোচনা করাটাও কঠিন। তবে আমি কিছু প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। সবগুলো নিয়ে বলছি না। আমি আপনাদের সামনে কয়েকটা পয়েন্ট বলব। কারণ, এখানে আমার উদ্দেশ্য কোনো বিতর্ক করা না। এখানে আমার উদ্দেশ্য হলো আপনাদের জীবনে মুক্তির পথ দেখানো পাপ থেকে যিশুখ্রিস্টের মাধ্যমে। সেটাই আমার উদ্দেশ্য। বিতর্কে হারলেও কোন ক্ষতি নেই। ঠিক আছে? এখানে সেটাই আমার উদ্দেশ্য।
আচ্ছা, এখন এক নম্বর হলো পবিত্র বাইবেলে কিছু আপত্তিকর কথা আছে। কারণ হলো বাইবেল আসলে সত্যের ব্যাপারে খুবই বিশ্বস্ত। এটাকে বলা যায় একটা আয়না। যদি আপনার চেহারা কুৎসিত হয় বাইবেল বলবে, আপনি সুন্দর। বাইবেল এরকমই। সেজন্য এখানে দুই ধরনের মানুষকেই দেখবেন। এখানে পাপী আর অপরাধীদের দেখবেন যে, মানুষ কতখানি ঈশ্বরকে অমান্য করতে পারে। আর একই সাথে বাইবেল দেখায় যে, ঈশ্বরকে ভালোবাসলে মানুষ কতখানি মান্য করতে পারে। আর সেজন্য বাইবেলে মানুষের দুই রকম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথাই বলা হয়েছে। বাইবেল বলবে না, সেইন্ট পল খুব ভালো মানুষ, কখনো ভুল করেও না। আপনারাই দেখবেন-সেইন্ট পলের অনেক দোষ আছে। আপনারা অন্য ধর্মে দেখেন ইসলামেও দেখবেন তারা কি করে? মানুষকে ঈশ্বরের মতো বানিয়ে দেয়। যে সেই লোক একদম নিখুঁত। কখনো ভুল করে না। একমাত্র যীশুই পাপ করেননি।
ঠিক আছে? সেইন্ট পলের ভালো দিক আছে। খারাপ দিকও আছে। সে খুব বদমেজাজী ছিল। আমি কখনোই সিনিয়র প্যাস্টর হিসেবে চাইতাম না। তিনি প্যাস্টরদের সাথে রীতিমতো যুদ্ধ করতেন। ঝগড়া করেছিলেন পিটারের সাথে, ঐযে খাবার নিয়ে জনের সাথে! আচ্ছা এমন অনেক ঘটনা। বাইবেলে আপনারা দুই চেহারাই দেখবেন। এরকম দেখবেন যে অনেক নবীর ধর্মেই দুর্বলতা ছিল। তাদেরও খুঁত ছিল। যেমন- ইউসুফ আলাইহিস সালাম। তিনি মাঝেমধ্যে স্বপ্ন দেখে ভবিষ্যদ্বাণী করতেন। ভবিষ্যতের কথা বলে দিতেন। তিনি ঈশ্বরের খুবই বিশ্বাসী ভৃত্য, তারপরও দুর্বলতা ছিল। তিনি অনেক মানুষের স্বপ্ন শুনে তাদের ভবিষ্যৎ বলে দিয়েছেন। তাহলে নবীদেরও অনেক দুর্বলতা ছিল। এরকম আরো অনেক আছে। অনেক। মানুষের যেমন ভালো দিকগুলো আছে তেমনি খারাপ দিকগুলোও আছে। বাইবেল আমাদের দেখায় যে, কেউ নিখুঁত নয়। ভালো দিকগুলো দেখায়, আবার খারাপগুলোও দেখায়।
আর একমাত্র যীশুখ্রীষ্টই জীবনে কোনোদিন কোনো পাপ করেনি। এমনকি তিনিও ছোটবেলায় বাবা-মার অবাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাদের মেনে চলেছেন। অবশ্য তিনি সেভাবে সঙ্গ দেন নি যেভাবে আশা করা যায় একটা ছেলের কাছ থেকে। ষোলো বছর বয়সের নাকি বারো বছর বয়স? তখন তারা তিরস্কার করল যিশুও তাদের মানলেন। তিনি শিখছিলেন। আর মানুষ হিসেবে তিনি আনুগত্য শিখলেন। আগে জানতেন। পরে শিখলেন। এটাই মানুষ যিশু। তবে পাপের কথা বললে তিনি কখনোই পাপ করেননি। তাহলে বাইবেল সব সত্যি কথাই বলে- ভালো আর খারাপ। আপনারা মানুষ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে চান? তাহলে বাইবেল পড়েন। জানতে চান, মানুষ কত ভালো হতে পারে। ঈশ্বর আমাদের যে কাউকে এমন করে দিতে পারেন। আর এটাও দেখবেন যে, একজন সাধারণ অশিক্ষিত জেলে পুরো পৃথিবীর একজন নেতা হতে পারে।
একথা পবিত্র বাইবেলেই পাবেন। এজন্য পিএইচডি-র দরকার নেই। এম.এস.সির কোনো দরকার নেই। এমন কোনো ডিগ্রী লাগবে না। আপনি শুধু বাইবেল পড়েন দেখবেন জন একজন সাধারণ অশিক্ষিত মানুষ। সে পুরো পৃথিবীর নেতা হবে। ঠিক আছে? এতক্ষণ বললাম, বাইবেলকে কিভাবে দেখবেন? এছাড়া ঈশ্বর রূপক হিসেবে অনেক কিছু বলেছেন। এভাবে রূপক দিয়ে ঈশ্বর অনেক কিছু বুঝিয়েছেন।
আচ্ছা গেল একটা পয়েন্ট। এবারে আমি ডিকশনারি ক্যাপিটাল R স্মল R নিয়ে কথা বলছি। আমি ডিকশনারি চেক করে দেখিনি। তবে ডা. জাকির যা বললেন, সেখান থেকে বুঝলাম ক্যাপিটাল R দিয়ে রেজারেকশন একটা উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে। আমার ধারণা উনি ভুল বুঝেছেন। তাহলে রেজারেকশন হলো পুনরুত্থান তারপর কমা, যিশু পুনরুত্থিত হয়েছেন। ক্যাপিটাল R। এটা একটা উদাহরণ। মনে হচ্ছে, উনি ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। আমার মনে হয় না এখানে ধর্মীয় কথা বলা হয়েছে। এটা উদাহরণ। আর ডিকশনারিতে শব্দ নিয়ে এমন অনেক উদাহরণ থাকে। ব্যাপারটা এমন না যে আমরা ক্যাপিটাল R দিয়ে যিশুর পুনরুত্থান বোঝাই R স্মল R দিয়ে অন্য কারো পুনরুত্থান বোঝাই। ব্যাপারটা এমন না।
আচ্ছা। উনি আরেকটা কথা বলেছেন সব আদেশ ক্রসকে কেন্দ্র করে। আসলে সেইন্ট পল এখানে শুধু আদেশের কথা বলছেন না। পল এখানে বলছেন এ আদেশ আমাদের সবাইকে কিভাবে বিচার করছে। আমি একজন পাপী। এখানে আমার বিচারের কথা বলা হয়েছে। সেই আদেশের কারণেই যিশুখ্রিষ্ট নিজে স্বেচ্ছায় ক্রুসিফাই হয়েছেন। এখানে বাইবেল অথবা অন্য কিছুকে ক্রুসিফাই করা হচ্ছে না। এটার কোনো মানে হয় না অযৌক্তিক। ঈশ্বরের আইন পবিত্র আর বিশুদ্ধ। এ আইন পাপকে উন্মোচিত করে। প্রতিকার করে না উন্মোচন করে। যিশু এ পাপের প্রতিকার করেছেন। ঠিক আছে? এখানে আদেশগুলোকে ক্রুসিফাই করা হচ্ছে না। এ আদেশগুলো আমাকে যে অভিশাপ আর শাস্তি দেয় সেগুলোকেই ক্রুসিফাই করা হযেছে। না হলে আমি হয়তো নরকেই যেতাম। যীশু আমাদের জন্য এসব করেছেন। আর যীশু মৃত থেকে জীবিত হয়েছেন।
পুরো বাইবেল বলছে। ডা. জাকির বললেন, বাইবেল বলছে না যিশু মৃত থেকে জীবিত হয়েছেন। পুরো বাইবেল বলছে। আমি কথাটা শুনে অবাক হয়েছি। আমি একটু বাইবেলটা ভালো করে দেখি। আমার প্যাস্টর বাইবেলটা দেখুক। আপনারাও পড়ে দেখতে পারেন। আমি একটা উদাহরণ দেই ম্রাথিউ ২৮৬ অনুচ্ছেদ আপনারা নিজেরাই পড়ে দেখেন। পরে এরকম আরেকটা উদাহরণ হলো আপনারা দেখবেন রেভেলিশন ১ অধ্যায়ের ১৮ অনুচ্ছেদে যিশুর আত্মা বলছেন, তিনি তার নিজের কথা বলছেন। আমি মৃত ছিলাম। এখন জীবিত হয়েছি। আমি মৃত ছিলাম এখন জীবিত হয়েছি। এখানে রূপক কিছু বলা হচ্ছে না। তিনি মারা গিয়েছিলেন। তারপর আবার জীবিত হয়েছেন।
এখানে শব্দ নিয়ে কোনোরকম খেলা করা হচ্ছে না পরিষ্কার। এবার আরেকটা ব্যাপার হলো যিশুখ্রিষ্টের আত্মাকেও তখন মানুষ যিশুর মতোই দেখাচ্ছিল। ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার পর যিশু যখন ফিরে আসলেন তখন অনেক ব্যাপারে রহস্য ছিল। আর এগুলো পরে বন্ধ ছিল তিনি দেয়াল ফুঁড়ে ঢুকেছিলেন। যিশুর নতুন শরীরে প্রাকৃতিক কিছু বাধা দিতে পারত না। দুই নম্বর, যিশু তার এ শরীরকে লুকিয়ে রাখতে পারতেন। যিশু তার দুই শিষ্যের সাথে হেঁটেছিলেন পুনরুত্থানের পর। তাঁর শিষ্যরা তখন পাশে থাকলেও তাকে চিনতে পারেননি। তারপর যিশু তাদেরকে ধর্মগ্রন্থের বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিলেন, বিভিন্ন কথা বললেন। তারপর তারা তাদের ঘরে গেল আর রুটি খেল। তখন তারা বুঝল, এটা তো যীশু। শুধু মেরী ম্যাগডালিন তাকে চেনেননি, এমনটা নয়। অন্যরাও তাকে তখন চিনতে পারেনি।
যিশু যখন নিজের পরিচয় দিলেন, তখন তারা তাকে চিনতে পারল। এতে মনে হয় যে, যিশুর সেই শরীরের কিছু বিশেষত্ব ছিল। তিনি তার আকার বদলাতে পারতেন। আর যিশুখ্রিষ্ট তার হাত দেখিয়েছিলেন কেন? তিনি তার হাতে কিছু একটা দেখাতে চেয়েছিলেন। তার হাতে তখন একটা গর্ত থাকার কথা। দেখ! আমিই সেই যিশু। যিশু তার শিষ্যদের পুরো শরীর দেখালেন যেসব জায়গায় রোমান সৈন্যরা তাকে মেরেছিল। দেখ আমি যিশু। আমি অন্য কোনো লোক নই। এ শরীরে তোমরা ক্রসের সব চিহ্নই দেখবে। এ চিহ্নগুলো যিশুর শরীরেই আছে। তাহলে যিশুর এ শরীর যদিও শরীরটা একবারে নতুন তবে সেখানে পুরোনো শরীরের চিহ্নগুলোও ছিল। রহস্য। আমরা যিশুর নতুন শরীর সম্পর্কে কিছুই জানি না। কিন্তু এটা জানি যে, সেটা অলৌকিক শরীর। শরীরের দ্যুতি ছিল অন্যরকম। অনেক উজ্জ্বল দ্যুতি।
আর সেই শরীর দেখে আপনারাও দেখতে পারতেন ঐযে ঐ হলো ব্রাদার রুক্নি। এটা তার পুনরুত্থিত শরীর। তবে অনেক সময়ে হয়তো আমাকে চিনতে পারবেন না। আমি দেয়াল ভেদ করে যেতে পারব না। তার শরীরে অনেক চিহ্ন ছিল। সেগুলো দেখিয়েছিলেন। এ যে আমার হাত এটা দেখে কিছু মনে করতে পারছ? দেখ! এই যে আমি রুক্নি। একটা বিশেষ কিছু। যিশু সেটাই বলেছেন, এ কথাগুলোই বলেছেন। তিন নম্বর যে, সমাধিটা অনেক বড় ছিল। এটা বাইবেলে পরিষ্কার বলা আছে, সমাধিটার মালিক ছিল খুব ধনী। একজন ধনী লোক কখনো সস্তা, ছোট ঘর বানাবে না। সে তার জন্য একটা বড় সমাধিই তৈরী করবে। যিশু এ সমাধির ভেতরে.....এ প্রশ্নটাই আসলে অবান্তর। তিনি তো এ সমাধিকক্ষে বসবাস করার জন্য যাননি। এটাতো কারো থাকার জায়গা না।
বাইবেলে একেবারে পরিষ্কার আছে সমাধিটা ছিল এক ধনী লোকের। আর সে তার পরিবারের সবার জন্য বড় একটা সমাধি বানাতেই পারে। আরেকটা কথা আপনাদের মনে করিয়ে দিই যে, ইব্রাহীমের সময় থেকে এটা ছিল তাদের রীতি, তারা মৃতদেহ রাখত গুহার ভেতরে। মাটিতে কবর দিত না। কখনো কখনো তারা মৃতদেহ কবর দিত। কখনো পুড়িয়ে ফেলা হতো। সাধারণত মৃতদেহকে তারা গুহার ভেতরে রাখত। ইবরাহীম আর তার স্ত্রী সারাকে একটা সমাধিতে রাখা হয়েছিল। সেটা একটা গুহা। তাদেরকে মাটিতে কবর দেয়া হয়নি। তাহলে এ ধনী লোক যিশুকে যেখানে রাখলেন সেই সমাধিটা আসলে ধনীদের জন্য। তাই আয়তনেও বড়। আপনারা বলতে পারেন যে, পাথরটা কেন সরানো হয়েছিল?
উত্তরটা খুব সোজা বাইবেলে পরিষ্কার বলা হয়েছে যে, ঈশ্বরের এক দেবদূত পাথরটা সরিয়েছিল। যিশুর এক শিষ্য সম্ভবত মেরি ম্যাগডালিন অথবা অন্য কেউ আসল। সেই দেবদূত তখন পাথরটা সরালো, পৃথিবী কেঁপে ওঠলো, সেখানে সৈন্য দু’জন ভয় পেয়ে গেল। তারপর তারা মৃত মানুষের মতো সেখানে পড়ে গেল। আর দেবদূত তখন দুই মহিলাকে বলল, তোমরা ভয় পেও না। তোমাদের দেখানোর জন্য এটা করি নি। এটার পেছনে অন্য কারণ আছে। আমি এ লোকগুলোকে ভয় দেখাতে চেয়েছি, তোমাদের না। পাথরটা সরিয়েছি তোমাদের দেখানোর জন্য। দেখ! যিশু এ সমাধির ভেতরে নেই। দেখ! সমাধিটা একেবারে খালি এটাই আসল কারণ। সমাধিটা খালি ছিল। এজন্যই দেবদূত সেই পাথরটা সরিয়েছিলেন। আজ তাদের জানিয়েছেন যিশুর শরীর সেই সমাধিতে নেই। যিশু সেই সমাধিতে নেই। আর সেই কাপড়টা পরারও কোনো প্রয়োজন নেই।
এখনকার দিনে মৃতদেহকে সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। তখনকার দিনে কি করা হতো জানি না। সেই কাপড়টাও তারপর একপাশে সরিয়ে রাখলেন। ভাঁজ করে রাখলেন। কাপড়টা খুলে ভাঁজ করে রাখলেন। এতক্ষণ বললাম, সমাধিটা বড় ছিল কেন? ঠিক আছে? পরের পয়েন্টটা হলো ইউনুস নবীর অলৌকিক ঘটনা নিয়ে। যিশু বলেছেন, যেভাবে ইউনুস নবী সেই তিমি মাছের পেটে ছিলেন। তারপর আরো অনেক কিছু। যিশু এমনটা বলেননি, আমি সেইভাবে তিমির পেটে যাবো আর তিমিটা আমাকে নিয়ে তিন দিন সাগরে ঘুরবে। যিশু এমন কথা বলেননি। তিনি বলেছেন ইউনুসের মতো।
এখানে উদাহরণ দিয়েছেন, ইউনুসের মতো আমিও এভাবে তিন দিন থাকব পৃথিবীর বুকের ভেতরে। যদি এর শব্দগত অর্থ ধরেন দেখবেন, যিশু কি তিমির পেটে গিয়েছিলেন? না যান নি। তিনি ছিলেন একটা সমাধিতে আর সেই জায়গাটা ছিল একটা কবরস্থান। এটা রূপক হিসেবে বলা হয়েছে। ইউনুস নবী যেভাবে তিন দিন তিমির পেটের ভেতরে ছিলেন একইভাবে আমিও একটা সমাধিতে থাকব তিন দিন ধরে। এছাড়াও পবিত্র বাইবেলেই বলা হয়েছে, তিনি তৃতীয় দিনে উত্থিত হয়েছেন। এখানে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি চব্বিশ ঘণ্টায় একদিন তারপর এত মিনিট এত সেকেন্ড। এক ঘণ্টা আগে, না এক ঘণ্টা পরে, তিনি কখন উঠেছিলেন সেই সময়টা উল্লেখ করা হয়নি। শুধু বলা আছে, তৃতীয় দিন তার সমাধিতে গিয়ে দেখা গেল, তিনি চলে গেছেন। এখানে নির্দিষ্ট করে কোনো সময় উল্লেখ করা হয় নি।
আর সবশেষে আপনাদের একটা কথা বলতে চাই, পবিত্র বাইবেলেই বলা হয়েছে যিশুখ্রিস্ট মৃত অবস্থা থেকে আবার জীবিত হয়েছিলেন, অর্থাৎ ক্রুসিফাই হওয়ার পরে তার পুনরুত্থান এ ব্যাপারটা সব মানুষের জন্য না। শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা বিশ্বাসী। শুধু পাঁচশো অনুসারীর জন্য; বারো জন আর একশো বিশ সব মিলিয়ে আনুমানিক পাঁচশো জন দেখেছিল। পুরো ইহুদী জাতি তার এটা কি অবিশ্বাস করেছিল? বিশ্বস্ত ছিল না। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যটা বুঝতে পারেনি। সেজন্য তারা যিশুখ্রিস্টকে মৃত থেকে পুনরুত্থিত হতে দেখেনি। তারা যিশুকে জীবিত অবস্থায় দেখেনি। তার মৃত্যুর পরে। তাই আপনাদের বলি, অবিশ্বাসীদের পথ ধরে হাঁটলে আপনারা কিছুই দেখতে পাবেন না। কারণ, ঈশ্বরই আপনার কাছে এগুলো প্রকাশ করবেন যদি আপনি ঈশ্বরকে বিশ্বাস করেন। সরল মনে বিশ্বাস করলেই আপনি সব দেখবেন। স্থির বিশ্বাস। যিশু আসলে ঈশ্বরের একটি উপহার। তাহলেই আমরা সব বুঝতে পারব। যদি আপনারা এমন করেন যে এ কমাটা একটু ডানদিকে সরাই ঐ কমাটা বামদিকে সরাই। তারপর দেখবো যে, এ কথাগুলো অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। এমন করবেন না। আজকেই যিশুকে গ্রহণ করুন। মনকে নরম করুন। আপনারা তাহলে পাপ থেকে মুক্তি পাবেন। মৃত্যু থেকে পুনরুত্থান সেটা অন্য সময়ে হবে। আপনাদের ধন্যবাদ।
প্যাস্টর রুক্নিঃ আচ্ছা এ ব্যাপারটা নতুন না। আমরা আগেও এমনটা দেখেছি। আগেকার দিনে চীন আর রাশিয়ায় এমনটা অনেক হয়েছে। মানুষকে জোর করে বিষ খাওয়ানো হয়েছে। এখানে আপনি আসলে ঈশ্বরকে নিয়ে ঠাট্টা করছেন। এ ধরনের ক্ষেত্রে আমি আপনার সাথে ঈশ্বরকে নিয়ে এ ঠাট্টা করব না। আমি এখানে এটা করব না। শুধু বিশ্বাসী হলে হবে না। এখানে আসলে এটার উপযুক্ত সময় আছে। একটা কথা চালু ছিল যে, যিশু যদি উপর থেকে পড়ে যান তার পা ভেঙ্গে যাবে না। দেবদূতরা তাকে রক্ষা করবে। শয়তান যিশুকে লাফ দিয়ে এটা প্রমাণ করতে বলল। তিনি বললেন, না। ঈশ্বরকে প্রলুব্ধ করানো। আমিও একই উত্তর দিলাম প্রলুব্ধ করবেন না।
প্যাস্টার রুক্নিঃ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আর বাইবেলের অনেক জায়গায় এটার উল্লেখ আছে। সেখানে আপনার প্রশ্নের উত্তর পাবেন। ইতিহাসে ক্রসের ব্যাপারটা অনেক জায়গায় আছে। খ্রীষ্টানরা যারা যিশুখ্রিস্টের পরে এসেছে তারা যিশুকে বিশ্বাস করে। আর তারা রক্ষা পাবে। কারণ, তারা যিশুকে বিশ্বাস করে। যিশুর আগের বিশ্বাসীরা যেমন, ইবরাহীম এছাড়াও আরো যেসব বিখ্যাত মানুষ ছিলেন তারা বিশ্বাস নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়েছেন। তারা নবী ছিলেন। আর ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়েছিলেন। যিশু কবে আসবেন সেই দিকে? তারা যিশুকে বিশ্বাস করেছেন। এজন্য তারা রক্ষা পেয়েছেন। এটা বলা আছে, তারা যখন মারা যান তখনও তারা ভবিষ্যতের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন। তারপর যিশু যখন মারা গেলেন তখন তিনি যে কাজটা সেখানে করলেন তা হচ্ছে তিনি সেখানে গেলেন যেখানে সব নবীরা ছিলেন। আর তাদের মুক্ত করে দিলেন। কারণ, তারা বিশ্বাস নিয়ে মরেছিলেন। তারা স্বর্গে যেতে পারছিল না। কারণ, তাহলে তাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত হয়নি।
এ নবীদের আত্মা তখন অন্য কোনো আধ্যাত্মিক জায়গায় ছিল। যিশুখ্রিস্ট তখন তাদের কাছে গেলেন তাদের মুক্ত করলেন। আর যিশু যখন ক্রমে মারা গেলেন দেখা গেল পুরোনা আমলের নবীদের কবরগুলো সব খালি। তাদেরকে জেরুজালেমেই দেখা গেল। সবাই নিজের চোখেই তাদের দেখেছে। তাহলে আগের লোকজনেরা ভবিষ্যতের খ্রিস্টকে দেখবে বিশ্বাস নিয়ে তাহলে রক্ষা পাবে। যিশু তাদের পাপের জন্যও প্রায়শ্চিত্ত করবেন। আর বর্তমানের লোকজন যেমন আমি আর অন্যরা পেছনে তাকাব। আর যিশুর প্রতি বিশ্বাসই আমাদের রক্ষা করবে। ক্রসের প্রভাবটা সবসময় থাকবে। ক্রসটা আসলে চিরস্থায়ী। আগের মানুষের জন্য ভবিষ্যতের জন্য বর্তমানের জন্য। আপনাদের ধন্যবাদ।
প্যাস্টর রুক্নিঃ হ্যাঁ, মানুষ আসলে সবাই পাপী হয়ে জন্মায় না। পাপের প্রকৃতি নিয়ে জন্মায়। ঠিক আছে? তার মানে সব মানুষের মধ্যেই পাপ করার প্রবৃত্তিটা রয়েছে। কিন্তু একটা শিশু মারা গেলে কি হবে? সে নিস্পাপ সে স্বর্গে যাবে। আমি এটাই বিশ্বাস করি। ঠিক আছে? তবে এ শিশু তার বাবা-মায়ের পাপের বোঝা নেবে না। আর এ ব্যাপারে ডা. জাকির বাইবেলের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন পুত্র তার পিতার পাপের বোঝা নেবে না। এখানে পাপ আর নরকে শাস্তি ভোগের কথা বলা হচ্ছে। ওকে? তাহলে পাপের প্রবৃত্তি এটা পেয়েছি আদি পিতা আদমের কাছ থেকে। পাপ করি, কারণ আমি একজন পাপী বুঝলেন? পাপী মানে পাপের প্রবৃত্তি আছে। এটা উত্তরাধিকার হিসেবে পেয়েছি। ঠিক আছে? এটা আসলে পাপী নয়। যখন মানুষ পাপ করে সে তখন শুধু নিজের ক্ষতি করে। তাহলে আপনার সমস্যাটার সমাধান হলো। অন্য ব্যাপারটা হচ্ছে মানুষের ওপর অভিশাপ পড়তে পারে। এখানে পাপ আছে। আর অভিশাপও আছে। এটা নিয়ে কিছু বলার দরকার নেই।
আমি আমার বাবার পাপের বোঝা বইবো না। আমার ওপর অভিশাপ আছে। আপনারাও এ ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন। আমার বাবা অনেক ভুল করেছেন। তবে ঈশ্বরের দয়ায় তিনি বিশ্বাসী হয়েই মারা গেছেন। তা সত্ত্বেও আমি এখন ভুগি। কারণ, তিনি অনেক ভুল করেছিলেন। উত্তরাধিকার হিসেবে আমি তার পাপের বোঝা বহন করছি না। এমনটা নয়। আমি আমার বাবার পাপের বোঝা বহন করছি না। ঠিক আছে? তিনি অনেক কাজই করেছিলেন, যেগুলো পাপ। আর দেখি যে, আজকে আমি অনেক ধরনের বাধা বিপত্তির মুখোমুখি হই। এটা অভিশাপ। আসলেই অভিশাপ। পাপ আর অভিশাপকে আলাদা করবেন। পাপ আর অভিশাপ আসলে আলাদা। অভিশাপের একটা ক্ষতি যেটা হলো এ পাপের ফলাফল। অভিশাপ হলো পাপের কারণে কষ্ট। ঠিক আছে? তাহলে যিশু আমার জীবনে দুইটা কাজ করতে পারেন। প্রথমত, তিনি আমার পাপের বোঝা বহন করেছেন। তাই ঈশ্বর আমাকে পাপের শাস্তি দেবেন না। আমি পাপমুক্ত হয়ে যাব। দ্বিতীয়ত, তিনি অভিশাপও ভেঙ্গেছেন। আমার জীবন থেকে। সেজন্য বাইবেলও বলছে। যিশু শুধুমাত্র ক্রুসিফাই হয়ে আমাদের পাপ থেকে মুক্তি দিয়েছেন, তা নয়। এছাড়াও তিনি আমাদের অভিশাপগুলোও নিজের সাথে নিয়েছেন। আমার এ অভিশাপ। এগুলোও তিনি নিয়েছেন যে, অভিশাপগুলো ছিল আসলে আপনার ওপর। যিশুকে বিশ্বাস করেন। অভিশাপগুলো আপনার জীবন থেকে চলে যাবে। তাহলে দেখবেন শুধু পাপ আরো দেখবেন অভিশাপ। দুইটা আলাদা জিনিস। আশা করি, উত্তরটা ঠিকমতো দিতে পেরেছি। আশা করি, অন্তত আপনারা তা বুঝতে পেরেছেন।
ডা. জাকির নায়েকঃ
আচ্ছা, এখন এক নম্বর হলো পবিত্র বাইবেলে কিছু আপত্তিকর কথা আছে। কারণ হলো বাইবেল আসলে সত্যের ব্যাপারে খুবই বিশ্বস্ত। এটাকে বলা যায় একটা আয়না। যদি আপনার চেহারা কুৎসিত হয় বাইবেল বলবে, আপনি সুন্দর। বাইবেল এরকমই। সেজন্য এখানে দুই ধরনের মানুষকেই দেখবেন। এখানে পাপী আর অপরাধীদের দেখবেন যে, মানুষ কতখানি ঈশ্বরকে অমান্য করতে পারে। আর একই সাথে বাইবেল দেখায় যে, ঈশ্বরকে ভালোবাসলে মানুষ কতখানি মান্য করতে পারে। আর সেজন্য বাইবেলে মানুষের দুই রকম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথাই বলা হয়েছে। বাইবেল বলবে না, সেইন্ট পল খুব ভালো মানুষ, কখনো ভুল করেও না। আপনারাই দেখবেন-সেইন্ট পলের অনেক দোষ আছে। আপনারা অন্য ধর্মে দেখেন ইসলামেও দেখবেন তারা কি করে? মানুষকে ঈশ্বরের মতো বানিয়ে দেয়। যে সেই লোক একদম নিখুঁত। কখনো ভুল করে না। একমাত্র যীশুই পাপ করেননি।
ঠিক আছে? সেইন্ট পলের ভালো দিক আছে। খারাপ দিকও আছে। সে খুব বদমেজাজী ছিল। আমি কখনোই সিনিয়র প্যাস্টর হিসেবে চাইতাম না। তিনি প্যাস্টরদের সাথে রীতিমতো যুদ্ধ করতেন। ঝগড়া করেছিলেন পিটারের সাথে, ঐযে খাবার নিয়ে জনের সাথে! আচ্ছা এমন অনেক ঘটনা। বাইবেলে আপনারা দুই চেহারাই দেখবেন। এরকম দেখবেন যে অনেক নবীর ধর্মেই দুর্বলতা ছিল। তাদেরও খুঁত ছিল। যেমন- ইউসুফ আলাইহিস সালাম। তিনি মাঝেমধ্যে স্বপ্ন দেখে ভবিষ্যদ্বাণী করতেন। ভবিষ্যতের কথা বলে দিতেন। তিনি ঈশ্বরের খুবই বিশ্বাসী ভৃত্য, তারপরও দুর্বলতা ছিল। তিনি অনেক মানুষের স্বপ্ন শুনে তাদের ভবিষ্যৎ বলে দিয়েছেন। তাহলে নবীদেরও অনেক দুর্বলতা ছিল। এরকম আরো অনেক আছে। অনেক। মানুষের যেমন ভালো দিকগুলো আছে তেমনি খারাপ দিকগুলোও আছে। বাইবেল আমাদের দেখায় যে, কেউ নিখুঁত নয়। ভালো দিকগুলো দেখায়, আবার খারাপগুলোও দেখায়।
আর একমাত্র যীশুখ্রীষ্টই জীবনে কোনোদিন কোনো পাপ করেনি। এমনকি তিনিও ছোটবেলায় বাবা-মার অবাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাদের মেনে চলেছেন। অবশ্য তিনি সেভাবে সঙ্গ দেন নি যেভাবে আশা করা যায় একটা ছেলের কাছ থেকে। ষোলো বছর বয়সের নাকি বারো বছর বয়স? তখন তারা তিরস্কার করল যিশুও তাদের মানলেন। তিনি শিখছিলেন। আর মানুষ হিসেবে তিনি আনুগত্য শিখলেন। আগে জানতেন। পরে শিখলেন। এটাই মানুষ যিশু। তবে পাপের কথা বললে তিনি কখনোই পাপ করেননি। তাহলে বাইবেল সব সত্যি কথাই বলে- ভালো আর খারাপ। আপনারা মানুষ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে চান? তাহলে বাইবেল পড়েন। জানতে চান, মানুষ কত ভালো হতে পারে। ঈশ্বর আমাদের যে কাউকে এমন করে দিতে পারেন। আর এটাও দেখবেন যে, একজন সাধারণ অশিক্ষিত জেলে পুরো পৃথিবীর একজন নেতা হতে পারে।
একথা পবিত্র বাইবেলেই পাবেন। এজন্য পিএইচডি-র দরকার নেই। এম.এস.সির কোনো দরকার নেই। এমন কোনো ডিগ্রী লাগবে না। আপনি শুধু বাইবেল পড়েন দেখবেন জন একজন সাধারণ অশিক্ষিত মানুষ। সে পুরো পৃথিবীর নেতা হবে। ঠিক আছে? এতক্ষণ বললাম, বাইবেলকে কিভাবে দেখবেন? এছাড়া ঈশ্বর রূপক হিসেবে অনেক কিছু বলেছেন। এভাবে রূপক দিয়ে ঈশ্বর অনেক কিছু বুঝিয়েছেন।
আচ্ছা গেল একটা পয়েন্ট। এবারে আমি ডিকশনারি ক্যাপিটাল R স্মল R নিয়ে কথা বলছি। আমি ডিকশনারি চেক করে দেখিনি। তবে ডা. জাকির যা বললেন, সেখান থেকে বুঝলাম ক্যাপিটাল R দিয়ে রেজারেকশন একটা উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে। আমার ধারণা উনি ভুল বুঝেছেন। তাহলে রেজারেকশন হলো পুনরুত্থান তারপর কমা, যিশু পুনরুত্থিত হয়েছেন। ক্যাপিটাল R। এটা একটা উদাহরণ। মনে হচ্ছে, উনি ভুল ব্যাখ্যা করেছেন। আমার মনে হয় না এখানে ধর্মীয় কথা বলা হয়েছে। এটা উদাহরণ। আর ডিকশনারিতে শব্দ নিয়ে এমন অনেক উদাহরণ থাকে। ব্যাপারটা এমন না যে আমরা ক্যাপিটাল R দিয়ে যিশুর পুনরুত্থান বোঝাই R স্মল R দিয়ে অন্য কারো পুনরুত্থান বোঝাই। ব্যাপারটা এমন না।
আচ্ছা। উনি আরেকটা কথা বলেছেন সব আদেশ ক্রসকে কেন্দ্র করে। আসলে সেইন্ট পল এখানে শুধু আদেশের কথা বলছেন না। পল এখানে বলছেন এ আদেশ আমাদের সবাইকে কিভাবে বিচার করছে। আমি একজন পাপী। এখানে আমার বিচারের কথা বলা হয়েছে। সেই আদেশের কারণেই যিশুখ্রিষ্ট নিজে স্বেচ্ছায় ক্রুসিফাই হয়েছেন। এখানে বাইবেল অথবা অন্য কিছুকে ক্রুসিফাই করা হচ্ছে না। এটার কোনো মানে হয় না অযৌক্তিক। ঈশ্বরের আইন পবিত্র আর বিশুদ্ধ। এ আইন পাপকে উন্মোচিত করে। প্রতিকার করে না উন্মোচন করে। যিশু এ পাপের প্রতিকার করেছেন। ঠিক আছে? এখানে আদেশগুলোকে ক্রুসিফাই করা হচ্ছে না। এ আদেশগুলো আমাকে যে অভিশাপ আর শাস্তি দেয় সেগুলোকেই ক্রুসিফাই করা হযেছে। না হলে আমি হয়তো নরকেই যেতাম। যীশু আমাদের জন্য এসব করেছেন। আর যীশু মৃত থেকে জীবিত হয়েছেন।
পুরো বাইবেল বলছে। ডা. জাকির বললেন, বাইবেল বলছে না যিশু মৃত থেকে জীবিত হয়েছেন। পুরো বাইবেল বলছে। আমি কথাটা শুনে অবাক হয়েছি। আমি একটু বাইবেলটা ভালো করে দেখি। আমার প্যাস্টর বাইবেলটা দেখুক। আপনারাও পড়ে দেখতে পারেন। আমি একটা উদাহরণ দেই ম্রাথিউ ২৮৬ অনুচ্ছেদ আপনারা নিজেরাই পড়ে দেখেন। পরে এরকম আরেকটা উদাহরণ হলো আপনারা দেখবেন রেভেলিশন ১ অধ্যায়ের ১৮ অনুচ্ছেদে যিশুর আত্মা বলছেন, তিনি তার নিজের কথা বলছেন। আমি মৃত ছিলাম। এখন জীবিত হয়েছি। আমি মৃত ছিলাম এখন জীবিত হয়েছি। এখানে রূপক কিছু বলা হচ্ছে না। তিনি মারা গিয়েছিলেন। তারপর আবার জীবিত হয়েছেন।
এখানে শব্দ নিয়ে কোনোরকম খেলা করা হচ্ছে না পরিষ্কার। এবার আরেকটা ব্যাপার হলো যিশুখ্রিষ্টের আত্মাকেও তখন মানুষ যিশুর মতোই দেখাচ্ছিল। ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার পর যিশু যখন ফিরে আসলেন তখন অনেক ব্যাপারে রহস্য ছিল। আর এগুলো পরে বন্ধ ছিল তিনি দেয়াল ফুঁড়ে ঢুকেছিলেন। যিশুর নতুন শরীরে প্রাকৃতিক কিছু বাধা দিতে পারত না। দুই নম্বর, যিশু তার এ শরীরকে লুকিয়ে রাখতে পারতেন। যিশু তার দুই শিষ্যের সাথে হেঁটেছিলেন পুনরুত্থানের পর। তাঁর শিষ্যরা তখন পাশে থাকলেও তাকে চিনতে পারেননি। তারপর যিশু তাদেরকে ধর্মগ্রন্থের বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিলেন, বিভিন্ন কথা বললেন। তারপর তারা তাদের ঘরে গেল আর রুটি খেল। তখন তারা বুঝল, এটা তো যীশু। শুধু মেরী ম্যাগডালিন তাকে চেনেননি, এমনটা নয়। অন্যরাও তাকে তখন চিনতে পারেনি।
যিশু যখন নিজের পরিচয় দিলেন, তখন তারা তাকে চিনতে পারল। এতে মনে হয় যে, যিশুর সেই শরীরের কিছু বিশেষত্ব ছিল। তিনি তার আকার বদলাতে পারতেন। আর যিশুখ্রিষ্ট তার হাত দেখিয়েছিলেন কেন? তিনি তার হাতে কিছু একটা দেখাতে চেয়েছিলেন। তার হাতে তখন একটা গর্ত থাকার কথা। দেখ! আমিই সেই যিশু। যিশু তার শিষ্যদের পুরো শরীর দেখালেন যেসব জায়গায় রোমান সৈন্যরা তাকে মেরেছিল। দেখ আমি যিশু। আমি অন্য কোনো লোক নই। এ শরীরে তোমরা ক্রসের সব চিহ্নই দেখবে। এ চিহ্নগুলো যিশুর শরীরেই আছে। তাহলে যিশুর এ শরীর যদিও শরীরটা একবারে নতুন তবে সেখানে পুরোনো শরীরের চিহ্নগুলোও ছিল। রহস্য। আমরা যিশুর নতুন শরীর সম্পর্কে কিছুই জানি না। কিন্তু এটা জানি যে, সেটা অলৌকিক শরীর। শরীরের দ্যুতি ছিল অন্যরকম। অনেক উজ্জ্বল দ্যুতি।
আর সেই শরীর দেখে আপনারাও দেখতে পারতেন ঐযে ঐ হলো ব্রাদার রুক্নি। এটা তার পুনরুত্থিত শরীর। তবে অনেক সময়ে হয়তো আমাকে চিনতে পারবেন না। আমি দেয়াল ভেদ করে যেতে পারব না। তার শরীরে অনেক চিহ্ন ছিল। সেগুলো দেখিয়েছিলেন। এ যে আমার হাত এটা দেখে কিছু মনে করতে পারছ? দেখ! এই যে আমি রুক্নি। একটা বিশেষ কিছু। যিশু সেটাই বলেছেন, এ কথাগুলোই বলেছেন। তিন নম্বর যে, সমাধিটা অনেক বড় ছিল। এটা বাইবেলে পরিষ্কার বলা আছে, সমাধিটার মালিক ছিল খুব ধনী। একজন ধনী লোক কখনো সস্তা, ছোট ঘর বানাবে না। সে তার জন্য একটা বড় সমাধিই তৈরী করবে। যিশু এ সমাধির ভেতরে.....এ প্রশ্নটাই আসলে অবান্তর। তিনি তো এ সমাধিকক্ষে বসবাস করার জন্য যাননি। এটাতো কারো থাকার জায়গা না।
বাইবেলে একেবারে পরিষ্কার আছে সমাধিটা ছিল এক ধনী লোকের। আর সে তার পরিবারের সবার জন্য বড় একটা সমাধি বানাতেই পারে। আরেকটা কথা আপনাদের মনে করিয়ে দিই যে, ইব্রাহীমের সময় থেকে এটা ছিল তাদের রীতি, তারা মৃতদেহ রাখত গুহার ভেতরে। মাটিতে কবর দিত না। কখনো কখনো তারা মৃতদেহ কবর দিত। কখনো পুড়িয়ে ফেলা হতো। সাধারণত মৃতদেহকে তারা গুহার ভেতরে রাখত। ইবরাহীম আর তার স্ত্রী সারাকে একটা সমাধিতে রাখা হয়েছিল। সেটা একটা গুহা। তাদেরকে মাটিতে কবর দেয়া হয়নি। তাহলে এ ধনী লোক যিশুকে যেখানে রাখলেন সেই সমাধিটা আসলে ধনীদের জন্য। তাই আয়তনেও বড়। আপনারা বলতে পারেন যে, পাথরটা কেন সরানো হয়েছিল?
উত্তরটা খুব সোজা বাইবেলে পরিষ্কার বলা হয়েছে যে, ঈশ্বরের এক দেবদূত পাথরটা সরিয়েছিল। যিশুর এক শিষ্য সম্ভবত মেরি ম্যাগডালিন অথবা অন্য কেউ আসল। সেই দেবদূত তখন পাথরটা সরালো, পৃথিবী কেঁপে ওঠলো, সেখানে সৈন্য দু’জন ভয় পেয়ে গেল। তারপর তারা মৃত মানুষের মতো সেখানে পড়ে গেল। আর দেবদূত তখন দুই মহিলাকে বলল, তোমরা ভয় পেও না। তোমাদের দেখানোর জন্য এটা করি নি। এটার পেছনে অন্য কারণ আছে। আমি এ লোকগুলোকে ভয় দেখাতে চেয়েছি, তোমাদের না। পাথরটা সরিয়েছি তোমাদের দেখানোর জন্য। দেখ! যিশু এ সমাধির ভেতরে নেই। দেখ! সমাধিটা একেবারে খালি এটাই আসল কারণ। সমাধিটা খালি ছিল। এজন্যই দেবদূত সেই পাথরটা সরিয়েছিলেন। আজ তাদের জানিয়েছেন যিশুর শরীর সেই সমাধিতে নেই। যিশু সেই সমাধিতে নেই। আর সেই কাপড়টা পরারও কোনো প্রয়োজন নেই।
এখনকার দিনে মৃতদেহকে সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। তখনকার দিনে কি করা হতো জানি না। সেই কাপড়টাও তারপর একপাশে সরিয়ে রাখলেন। ভাঁজ করে রাখলেন। কাপড়টা খুলে ভাঁজ করে রাখলেন। এতক্ষণ বললাম, সমাধিটা বড় ছিল কেন? ঠিক আছে? পরের পয়েন্টটা হলো ইউনুস নবীর অলৌকিক ঘটনা নিয়ে। যিশু বলেছেন, যেভাবে ইউনুস নবী সেই তিমি মাছের পেটে ছিলেন। তারপর আরো অনেক কিছু। যিশু এমনটা বলেননি, আমি সেইভাবে তিমির পেটে যাবো আর তিমিটা আমাকে নিয়ে তিন দিন সাগরে ঘুরবে। যিশু এমন কথা বলেননি। তিনি বলেছেন ইউনুসের মতো।
এখানে উদাহরণ দিয়েছেন, ইউনুসের মতো আমিও এভাবে তিন দিন থাকব পৃথিবীর বুকের ভেতরে। যদি এর শব্দগত অর্থ ধরেন দেখবেন, যিশু কি তিমির পেটে গিয়েছিলেন? না যান নি। তিনি ছিলেন একটা সমাধিতে আর সেই জায়গাটা ছিল একটা কবরস্থান। এটা রূপক হিসেবে বলা হয়েছে। ইউনুস নবী যেভাবে তিন দিন তিমির পেটের ভেতরে ছিলেন একইভাবে আমিও একটা সমাধিতে থাকব তিন দিন ধরে। এছাড়াও পবিত্র বাইবেলেই বলা হয়েছে, তিনি তৃতীয় দিনে উত্থিত হয়েছেন। এখানে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি চব্বিশ ঘণ্টায় একদিন তারপর এত মিনিট এত সেকেন্ড। এক ঘণ্টা আগে, না এক ঘণ্টা পরে, তিনি কখন উঠেছিলেন সেই সময়টা উল্লেখ করা হয়নি। শুধু বলা আছে, তৃতীয় দিন তার সমাধিতে গিয়ে দেখা গেল, তিনি চলে গেছেন। এখানে নির্দিষ্ট করে কোনো সময় উল্লেখ করা হয় নি।
আর সবশেষে আপনাদের একটা কথা বলতে চাই, পবিত্র বাইবেলেই বলা হয়েছে যিশুখ্রিস্ট মৃত অবস্থা থেকে আবার জীবিত হয়েছিলেন, অর্থাৎ ক্রুসিফাই হওয়ার পরে তার পুনরুত্থান এ ব্যাপারটা সব মানুষের জন্য না। শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা বিশ্বাসী। শুধু পাঁচশো অনুসারীর জন্য; বারো জন আর একশো বিশ সব মিলিয়ে আনুমানিক পাঁচশো জন দেখেছিল। পুরো ইহুদী জাতি তার এটা কি অবিশ্বাস করেছিল? বিশ্বস্ত ছিল না। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যটা বুঝতে পারেনি। সেজন্য তারা যিশুখ্রিস্টকে মৃত থেকে পুনরুত্থিত হতে দেখেনি। তারা যিশুকে জীবিত অবস্থায় দেখেনি। তার মৃত্যুর পরে। তাই আপনাদের বলি, অবিশ্বাসীদের পথ ধরে হাঁটলে আপনারা কিছুই দেখতে পাবেন না। কারণ, ঈশ্বরই আপনার কাছে এগুলো প্রকাশ করবেন যদি আপনি ঈশ্বরকে বিশ্বাস করেন। সরল মনে বিশ্বাস করলেই আপনি সব দেখবেন। স্থির বিশ্বাস। যিশু আসলে ঈশ্বরের একটি উপহার। তাহলেই আমরা সব বুঝতে পারব। যদি আপনারা এমন করেন যে এ কমাটা একটু ডানদিকে সরাই ঐ কমাটা বামদিকে সরাই। তারপর দেখবো যে, এ কথাগুলো অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। এমন করবেন না। আজকেই যিশুকে গ্রহণ করুন। মনকে নরম করুন। আপনারা তাহলে পাপ থেকে মুক্তি পাবেন। মৃত্যু থেকে পুনরুত্থান সেটা অন্য সময়ে হবে। আপনাদের ধন্যবাদ।
প্যাস্টর রুক্নিঃ আচ্ছা এ ব্যাপারটা নতুন না। আমরা আগেও এমনটা দেখেছি। আগেকার দিনে চীন আর রাশিয়ায় এমনটা অনেক হয়েছে। মানুষকে জোর করে বিষ খাওয়ানো হয়েছে। এখানে আপনি আসলে ঈশ্বরকে নিয়ে ঠাট্টা করছেন। এ ধরনের ক্ষেত্রে আমি আপনার সাথে ঈশ্বরকে নিয়ে এ ঠাট্টা করব না। আমি এখানে এটা করব না। শুধু বিশ্বাসী হলে হবে না। এখানে আসলে এটার উপযুক্ত সময় আছে। একটা কথা চালু ছিল যে, যিশু যদি উপর থেকে পড়ে যান তার পা ভেঙ্গে যাবে না। দেবদূতরা তাকে রক্ষা করবে। শয়তান যিশুকে লাফ দিয়ে এটা প্রমাণ করতে বলল। তিনি বললেন, না। ঈশ্বরকে প্রলুব্ধ করানো। আমিও একই উত্তর দিলাম প্রলুব্ধ করবেন না।
প্যাস্টার রুক্নিঃ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আর বাইবেলের অনেক জায়গায় এটার উল্লেখ আছে। সেখানে আপনার প্রশ্নের উত্তর পাবেন। ইতিহাসে ক্রসের ব্যাপারটা অনেক জায়গায় আছে। খ্রীষ্টানরা যারা যিশুখ্রিস্টের পরে এসেছে তারা যিশুকে বিশ্বাস করে। আর তারা রক্ষা পাবে। কারণ, তারা যিশুকে বিশ্বাস করে। যিশুর আগের বিশ্বাসীরা যেমন, ইবরাহীম এছাড়াও আরো যেসব বিখ্যাত মানুষ ছিলেন তারা বিশ্বাস নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়েছেন। তারা নবী ছিলেন। আর ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়েছিলেন। যিশু কবে আসবেন সেই দিকে? তারা যিশুকে বিশ্বাস করেছেন। এজন্য তারা রক্ষা পেয়েছেন। এটা বলা আছে, তারা যখন মারা যান তখনও তারা ভবিষ্যতের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন। তারপর যিশু যখন মারা গেলেন তখন তিনি যে কাজটা সেখানে করলেন তা হচ্ছে তিনি সেখানে গেলেন যেখানে সব নবীরা ছিলেন। আর তাদের মুক্ত করে দিলেন। কারণ, তারা বিশ্বাস নিয়ে মরেছিলেন। তারা স্বর্গে যেতে পারছিল না। কারণ, তাহলে তাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত হয়নি।
এ নবীদের আত্মা তখন অন্য কোনো আধ্যাত্মিক জায়গায় ছিল। যিশুখ্রিস্ট তখন তাদের কাছে গেলেন তাদের মুক্ত করলেন। আর যিশু যখন ক্রমে মারা গেলেন দেখা গেল পুরোনা আমলের নবীদের কবরগুলো সব খালি। তাদেরকে জেরুজালেমেই দেখা গেল। সবাই নিজের চোখেই তাদের দেখেছে। তাহলে আগের লোকজনেরা ভবিষ্যতের খ্রিস্টকে দেখবে বিশ্বাস নিয়ে তাহলে রক্ষা পাবে। যিশু তাদের পাপের জন্যও প্রায়শ্চিত্ত করবেন। আর বর্তমানের লোকজন যেমন আমি আর অন্যরা পেছনে তাকাব। আর যিশুর প্রতি বিশ্বাসই আমাদের রক্ষা করবে। ক্রসের প্রভাবটা সবসময় থাকবে। ক্রসটা আসলে চিরস্থায়ী। আগের মানুষের জন্য ভবিষ্যতের জন্য বর্তমানের জন্য। আপনাদের ধন্যবাদ।
প্যাস্টর রুক্নিঃ হ্যাঁ, মানুষ আসলে সবাই পাপী হয়ে জন্মায় না। পাপের প্রকৃতি নিয়ে জন্মায়। ঠিক আছে? তার মানে সব মানুষের মধ্যেই পাপ করার প্রবৃত্তিটা রয়েছে। কিন্তু একটা শিশু মারা গেলে কি হবে? সে নিস্পাপ সে স্বর্গে যাবে। আমি এটাই বিশ্বাস করি। ঠিক আছে? তবে এ শিশু তার বাবা-মায়ের পাপের বোঝা নেবে না। আর এ ব্যাপারে ডা. জাকির বাইবেলের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন পুত্র তার পিতার পাপের বোঝা নেবে না। এখানে পাপ আর নরকে শাস্তি ভোগের কথা বলা হচ্ছে। ওকে? তাহলে পাপের প্রবৃত্তি এটা পেয়েছি আদি পিতা আদমের কাছ থেকে। পাপ করি, কারণ আমি একজন পাপী বুঝলেন? পাপী মানে পাপের প্রবৃত্তি আছে। এটা উত্তরাধিকার হিসেবে পেয়েছি। ঠিক আছে? এটা আসলে পাপী নয়। যখন মানুষ পাপ করে সে তখন শুধু নিজের ক্ষতি করে। তাহলে আপনার সমস্যাটার সমাধান হলো। অন্য ব্যাপারটা হচ্ছে মানুষের ওপর অভিশাপ পড়তে পারে। এখানে পাপ আছে। আর অভিশাপও আছে। এটা নিয়ে কিছু বলার দরকার নেই।
আমি আমার বাবার পাপের বোঝা বইবো না। আমার ওপর অভিশাপ আছে। আপনারাও এ ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন। আমার বাবা অনেক ভুল করেছেন। তবে ঈশ্বরের দয়ায় তিনি বিশ্বাসী হয়েই মারা গেছেন। তা সত্ত্বেও আমি এখন ভুগি। কারণ, তিনি অনেক ভুল করেছিলেন। উত্তরাধিকার হিসেবে আমি তার পাপের বোঝা বহন করছি না। এমনটা নয়। আমি আমার বাবার পাপের বোঝা বহন করছি না। ঠিক আছে? তিনি অনেক কাজই করেছিলেন, যেগুলো পাপ। আর দেখি যে, আজকে আমি অনেক ধরনের বাধা বিপত্তির মুখোমুখি হই। এটা অভিশাপ। আসলেই অভিশাপ। পাপ আর অভিশাপকে আলাদা করবেন। পাপ আর অভিশাপ আসলে আলাদা। অভিশাপের একটা ক্ষতি যেটা হলো এ পাপের ফলাফল। অভিশাপ হলো পাপের কারণে কষ্ট। ঠিক আছে? তাহলে যিশু আমার জীবনে দুইটা কাজ করতে পারেন। প্রথমত, তিনি আমার পাপের বোঝা বহন করেছেন। তাই ঈশ্বর আমাকে পাপের শাস্তি দেবেন না। আমি পাপমুক্ত হয়ে যাব। দ্বিতীয়ত, তিনি অভিশাপও ভেঙ্গেছেন। আমার জীবন থেকে। সেজন্য বাইবেলও বলছে। যিশু শুধুমাত্র ক্রুসিফাই হয়ে আমাদের পাপ থেকে মুক্তি দিয়েছেন, তা নয়। এছাড়াও তিনি আমাদের অভিশাপগুলোও নিজের সাথে নিয়েছেন। আমার এ অভিশাপ। এগুলোও তিনি নিয়েছেন যে, অভিশাপগুলো ছিল আসলে আপনার ওপর। যিশুকে বিশ্বাস করেন। অভিশাপগুলো আপনার জীবন থেকে চলে যাবে। তাহলে দেখবেন শুধু পাপ আরো দেখবেন অভিশাপ। দুইটা আলাদা জিনিস। আশা করি, উত্তরটা ঠিকমতো দিতে পেরেছি। আশা করি, অন্তত আপনারা তা বুঝতে পেরেছেন।
ডা. জাকির নায়েকঃ
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন