HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
নাবালক ছেলের ইমামতের বিধান
লেখকঃ সানাউল্লাহ নজির আহমদ
৩
নাবালক ছেলের ইমামত বৈধ:নাবালক ছেলে যদি বুঝের বয়সে উপনীত হয়, যদি সে ভালোমন্দ বুঝে, সালাতের আহকাম জানে ও বিশুদ্ধভাবে সালাত আদায়ে সক্ষম হয়, তাহলে তার ইমামত দুরস্ত আছে। জুমার সালাতেও সে ইমামতি করতে পারবে।
দলিল আমর ইব্ন সালামার হাদিস, ইমাম বুখারি রাহিমাহুল্লাহু বর্ণনা করেন:
فَلَمَّا كَانَتْ وَقْعَةُ أَهْلِ الْفَتْحِ بَادَرَ كُلُّ قَوْمٍ بِإِسْلَامِهِمْ، وَبَدَرَ أَبِي قَوْمِي بِإِسْلَامِهِمْ، فَلَمَّا قَدِمَ، قَالَ : جِئْتُكُمْ وَاللَّهِ مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَقًّا، فَقَالَ : " صَلُّوا صَلَاةَ كَذَا فِي حِينِ كَذَا، وَصَلُّوا صَلَاةَ كَذَا فِي حِينِ كَذَا، فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلَاةُ، فَلْيُؤَذِّنْ أَحَدُكُمْ وَلْيَؤُمَّكُمْ أَكْثَرُكُمْ قُرْآنًا " ، فَنَظَرُوا فَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ أَكْثَرَ قُرْآنًا مِنِّي لِمَا كُنْتُ أَتَلَقَّى مِنَ الرُّكْبَانِ، فَقَدَّمُونِي بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَأَنَا ابْنُ سِتٍّ أَوْ سَبْعِ سِنِينَ، وَكَانَتْ عَلَيَّ بُرْدَةٌ كُنْتُ إِذَا سَجَدْتُ تَقَلَّصَتْ عَنِّي، فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنَ الْحَيِّ : أَلَا تُغَطُّوا عَنَّا اسْتَ قَارِئِكُمْ؟ فَاشْتَرَوْا، فَقَطَعُوا لِي قَمِيصًا فَمَا فَرِحْتُ بِشَيْءٍ فَرَحِي بِذَلِكَ الْقَمِيصِ "
“যখন ফাত্হে মক্কা সংঘটিত হল, প্রত্যেক কওম ইসলাম গ্রহণ করার জন্য প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হল। আমার পিতা আমার সম্প্রদায়ের লোকদের নিয়ে দ্রুত ইসলাম গ্রহণ করলেন। তিনি ফিরে এসে বললেন: আমি তোমাদের নিকট সত্য নবীর কাছ থেকে এসেছি। তিনি বলেছেন: তোমরা অমুক সময় অমুক সালাত আদায় কর, আর অমুক সময় অমুক সালাত আদায় কর। যখন সালাতের সময় হয় তখন যেন তোমাদের কেউ আযান দেয়, এবং তোমাদের মধ্যে অধিক কুরআনধারী ব্যক্তি যেন ইমামত করে। তারা নজর দিয়ে দেখল, আমার চেয়ে অধিক কুরআনধারী কেউ নেই, কারণ আমি পথিকদের থেকে কুরআন গ্রহণ করতাম। তারা আমাকে তাদের সামনে অগ্রসর করে দিল (ইমামতের জন্য), আমি তখন ছয় অথবা সাত বছরের ছেলে। আমার গায়ে ছিল ডোরা-কাটা চাদর, যখন আমি সেজদায় যেতাম, তা গুটিয়ে ওপরে ওঠে যেত। গ্রামের এক মহিলা বলল: তোমাদের ইমামের নিতম্ব আমাদের থেকে তোমরা আড়াল কর। ফলে তারা কাপড় খরিদ করে আমাকে একটা জামা তৈরি করে দিল, আমি সে জামা পেয়ে এতো খুশি হয়েছি, কোন জিনিসের কারণে কখনো সেরূপ খুশি হয়নি”। বুখারি: (৪৩০২), আবু দাউদ: (৫৮৫), নাসায়ি: (২/৮২), নাসায়িতে রয়েছে: “আমি তখন আট বছরের ছেলে”। আবু দাউদে রয়েছে: “আমি তখন সাত অথবা আট বছরের ছেলে”।
শাওকানি রাহিমাহুল্লাহ “নাইলুল আওতার” গ্রন্থে বলেছেন: فَقَدَّمُونِي بَيْنَ أَيْدِيهِمْ “তারা আমাকে তাদের সামনে অগ্রসর করল” বাণী থেকে নাবালক ছেলের ইমামতের বৈধতা প্রমাণিত হয়।
অপর দলিল আবু মাসউদ আনসারি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী:
" يَؤُمُّ الْقَوْمَ، أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ، فَإِنْ كَانُوا فِي الْقِرَاءَةِ سَوَاءً، فَأَعْلَمُهُمْ بِالسُّنَّةِ، فَإِنْ كَانُوا فِي السُّنَّةِ سَوَاءً، فَأَقْدَمُهُمْ هِجْرَةً، فَإِنْ كَانُوا فِي الْهِجْرَةِ سَوَاءً، فَأَقْدَمُهُمْ سِلْمًا، وَلَا يَؤُمَّنَّ الرَّجُلُ الرَّجُلَ فِي سُلْطَانِهِ، وَلَا يَقْعُدْ فِي بَيْتِهِ عَلَى تَكْرِمَتِهِ، إِلَّا بِإِذْنِهِ "
“অধিক কুরআনধারী ব্যক্তি লোকদের ইমামত করবে; যদি তারা তিলাওয়াতে বরাবর হয়, তাহলে তাদের মধ্যে যে সুন্নতে পারদর্শী সে; যদি তারা সুন্নতে বরাবর হয়, তাহলে তাদের মধ্যে যে হিজরতে অগ্রগামী সে; যদি তারা হিজরতে বরাবর হয়, তাহলে তাদের মধ্যে যে বয়সে বড় সে; আর কোন ব্যক্তি অপর ব্যক্তির কর্তৃত্বে ইমামত করবে না; কোন ব্যক্তি অপর ব্যক্তির বিছানায় তার অনুমতি ব্যতীত বসবে না”। মুসলিম: (১০৮৪)
এখানে يَؤُمُّ الْقَوْمَ، أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ “অধিক কুরআনধারী ব্যক্তি লোকদের ইমামত করবে” বাণীর ব্যাপকতা নাবালক ও সাবালক সবাইকে শামিল করে। অতএব ভালোমন্দ বুঝের অধিকারী নাবালক ছেলে যদি উপস্থিত লোকদের মধ্যে কুরআনে অধিক পারদর্শী হয়, সবচেয়ে বেশী কুরআন তার মুখস্থ থাকে, তাহলে সে ইমামতের অধিক হকদার।
দলিল আমর ইব্ন সালামার হাদিস, ইমাম বুখারি রাহিমাহুল্লাহু বর্ণনা করেন:
فَلَمَّا كَانَتْ وَقْعَةُ أَهْلِ الْفَتْحِ بَادَرَ كُلُّ قَوْمٍ بِإِسْلَامِهِمْ، وَبَدَرَ أَبِي قَوْمِي بِإِسْلَامِهِمْ، فَلَمَّا قَدِمَ، قَالَ : جِئْتُكُمْ وَاللَّهِ مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَقًّا، فَقَالَ : " صَلُّوا صَلَاةَ كَذَا فِي حِينِ كَذَا، وَصَلُّوا صَلَاةَ كَذَا فِي حِينِ كَذَا، فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلَاةُ، فَلْيُؤَذِّنْ أَحَدُكُمْ وَلْيَؤُمَّكُمْ أَكْثَرُكُمْ قُرْآنًا " ، فَنَظَرُوا فَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ أَكْثَرَ قُرْآنًا مِنِّي لِمَا كُنْتُ أَتَلَقَّى مِنَ الرُّكْبَانِ، فَقَدَّمُونِي بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَأَنَا ابْنُ سِتٍّ أَوْ سَبْعِ سِنِينَ، وَكَانَتْ عَلَيَّ بُرْدَةٌ كُنْتُ إِذَا سَجَدْتُ تَقَلَّصَتْ عَنِّي، فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنَ الْحَيِّ : أَلَا تُغَطُّوا عَنَّا اسْتَ قَارِئِكُمْ؟ فَاشْتَرَوْا، فَقَطَعُوا لِي قَمِيصًا فَمَا فَرِحْتُ بِشَيْءٍ فَرَحِي بِذَلِكَ الْقَمِيصِ "
“যখন ফাত্হে মক্কা সংঘটিত হল, প্রত্যেক কওম ইসলাম গ্রহণ করার জন্য প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হল। আমার পিতা আমার সম্প্রদায়ের লোকদের নিয়ে দ্রুত ইসলাম গ্রহণ করলেন। তিনি ফিরে এসে বললেন: আমি তোমাদের নিকট সত্য নবীর কাছ থেকে এসেছি। তিনি বলেছেন: তোমরা অমুক সময় অমুক সালাত আদায় কর, আর অমুক সময় অমুক সালাত আদায় কর। যখন সালাতের সময় হয় তখন যেন তোমাদের কেউ আযান দেয়, এবং তোমাদের মধ্যে অধিক কুরআনধারী ব্যক্তি যেন ইমামত করে। তারা নজর দিয়ে দেখল, আমার চেয়ে অধিক কুরআনধারী কেউ নেই, কারণ আমি পথিকদের থেকে কুরআন গ্রহণ করতাম। তারা আমাকে তাদের সামনে অগ্রসর করে দিল (ইমামতের জন্য), আমি তখন ছয় অথবা সাত বছরের ছেলে। আমার গায়ে ছিল ডোরা-কাটা চাদর, যখন আমি সেজদায় যেতাম, তা গুটিয়ে ওপরে ওঠে যেত। গ্রামের এক মহিলা বলল: তোমাদের ইমামের নিতম্ব আমাদের থেকে তোমরা আড়াল কর। ফলে তারা কাপড় খরিদ করে আমাকে একটা জামা তৈরি করে দিল, আমি সে জামা পেয়ে এতো খুশি হয়েছি, কোন জিনিসের কারণে কখনো সেরূপ খুশি হয়নি”। বুখারি: (৪৩০২), আবু দাউদ: (৫৮৫), নাসায়ি: (২/৮২), নাসায়িতে রয়েছে: “আমি তখন আট বছরের ছেলে”। আবু দাউদে রয়েছে: “আমি তখন সাত অথবা আট বছরের ছেলে”।
শাওকানি রাহিমাহুল্লাহ “নাইলুল আওতার” গ্রন্থে বলেছেন: فَقَدَّمُونِي بَيْنَ أَيْدِيهِمْ “তারা আমাকে তাদের সামনে অগ্রসর করল” বাণী থেকে নাবালক ছেলের ইমামতের বৈধতা প্রমাণিত হয়।
অপর দলিল আবু মাসউদ আনসারি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী:
" يَؤُمُّ الْقَوْمَ، أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ، فَإِنْ كَانُوا فِي الْقِرَاءَةِ سَوَاءً، فَأَعْلَمُهُمْ بِالسُّنَّةِ، فَإِنْ كَانُوا فِي السُّنَّةِ سَوَاءً، فَأَقْدَمُهُمْ هِجْرَةً، فَإِنْ كَانُوا فِي الْهِجْرَةِ سَوَاءً، فَأَقْدَمُهُمْ سِلْمًا، وَلَا يَؤُمَّنَّ الرَّجُلُ الرَّجُلَ فِي سُلْطَانِهِ، وَلَا يَقْعُدْ فِي بَيْتِهِ عَلَى تَكْرِمَتِهِ، إِلَّا بِإِذْنِهِ "
“অধিক কুরআনধারী ব্যক্তি লোকদের ইমামত করবে; যদি তারা তিলাওয়াতে বরাবর হয়, তাহলে তাদের মধ্যে যে সুন্নতে পারদর্শী সে; যদি তারা সুন্নতে বরাবর হয়, তাহলে তাদের মধ্যে যে হিজরতে অগ্রগামী সে; যদি তারা হিজরতে বরাবর হয়, তাহলে তাদের মধ্যে যে বয়সে বড় সে; আর কোন ব্যক্তি অপর ব্যক্তির কর্তৃত্বে ইমামত করবে না; কোন ব্যক্তি অপর ব্যক্তির বিছানায় তার অনুমতি ব্যতীত বসবে না”। মুসলিম: (১০৮৪)
এখানে يَؤُمُّ الْقَوْمَ، أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ “অধিক কুরআনধারী ব্যক্তি লোকদের ইমামত করবে” বাণীর ব্যাপকতা নাবালক ও সাবালক সবাইকে শামিল করে। অতএব ভালোমন্দ বুঝের অধিকারী নাবালক ছেলে যদি উপস্থিত লোকদের মধ্যে কুরআনে অধিক পারদর্শী হয়, সবচেয়ে বেশী কুরআন তার মুখস্থ থাকে, তাহলে সে ইমামতের অধিক হকদার।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন