hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সহীহ হাদীস সম্বলিত অহী ও ঈমান বিশ্বকোষ

লেখকঃ দ্বিয়াউর রহমান আব্দুল্লাহ আল-আ‘যামী

২০
৬- পরিচ্ছেদ: ইবাদত বন্দেগী (সৎকাজ) কম করার কারণে ঈমান কম হওয়ার বর্ণনা
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ، قَالَ : خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَضْحَى أَوْ فِطْرٍ إِلَى المُصَلَّى، فَمَرَّ عَلَى النِّسَاءِ، فَقَالَ : «يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ تَصَدَّقْنَ فَإِنِّي أُرِيتُكُنَّ أَكْثَرَ أَهْلِ النَّارِ» فَقُلْنَ : وَبِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ : «تُكْثِرْنَ اللَّعْنَ، وَتَكْفُرْنَ العَشِيرَ، مَا رَأَيْتُ مِنْ نَاقِصَاتِ عَقْلٍ وَدِينٍ أَذْهَبَ لِلُبِّ الرَّجُلِ الحَازِمِ مِنْ إِحْدَاكُنَّ»، قُلْنَ : وَمَا نُقْصَانُ دِينِنَا وَعَقْلِنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ : «أَلَيْسَ شَهَادَةُ المَرْأَةِ مِثْلَ نِصْفِ شَهَادَةِ الرَّجُلِ» قُلْنَ : بَلَى، قَالَ : «فَذَلِكِ مِنْ نُقْصَانِ عَقْلِهَا، أَلَيْسَ إِذَا حَاضَتْ لَمْ تُصَلِّ وَلَمْ تَصُمْ» قُلْنَ : بَلَى، قَالَ : «فَذَلِكِ مِنْ نُقْصَانِ دِينِهَا» .

আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, একবার ঈদুল আযহা বা ঈদুল ফিতরের সালাত আদায়ের জন্য রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি মহিলাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেন, “হে মহিলা সমাজ! তোমরা সদকা করতে থাকো। কারণ আমি দেখেছি জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে তোমরাই অধিক। তারা বললেন, কী কারণে, ইয়া রাসূলাল্লাহ্? তিনি বললেন, তোমরা অধিক পরিমাণে অভিশাপ দিয়ে থাকো আর স্বামীর না-শোকরী করে থাকো। বুদ্ধি ও দীনের ব্যাপারে ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও একজন সদাসতর্ক ব্যক্তির বুদ্ধি হরণে তোমাদের চাইতে পারদর্শী আমি আর কাউকে দেখি নি। তারা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাদের দীন ও বুদ্ধির ত্রুটি কোথায়? তিনি বললেন, একজন মহিলার সাক্ষ্য কি একজন পুরুষের সাক্ষ্যের অর্ধেক নয়? তারা উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, এ হচ্ছে তাদের বুদ্ধির কমতি আর হায়েয অবস্থায় তারা কি সালাত ও সিয়াম থেকে বিরত থাকে না? তারা বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন: এ হচ্ছে তাদের দীনের কমতি”।

মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি, সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩০৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮০।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ : «يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ، تَصَدَّقْنَ وَأَكْثِرْنَ الِاسْتِغْفَارَ، فَإِنِّي رَأَيْتُكُنَّ أَكْثَرَ أَهْلِ النَّارِ» فَقَالَتِ امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ جَزْلَةٌ : وَمَا لَنَا يَا رَسُولَ اللهِ أَكْثَرُ أَهْلِ النَّارِ؟ قَالَ : «تُكْثِرْنَ اللَّعْنَ، وَتَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ، وَمَا رَأَيْتُ مِنْ نَاقِصَاتِ عَقْلٍ وَدِينٍ أَغْلَبَ لِذِي لُبٍّ مِنْكُنَّ» قَالَتْ : يَا رَسُولَ اللهِ، وَمَا نُقْصَانُ الْعَقْلِ وَالدِّينِ؟ قَالَ : «أَمَّا نُقْصَانُ الْعَقْلِ : فَشَهَادَةُ امْرَأَتَيْنِ تَعْدِلُ شَهَادَةَ رَجُلٍ فَهَذَا نُقْصَانُ الْعَقْلِ، وَتَمْكُثُ اللَّيَالِيَ مَا تُصَلِّي، وَتُفْطِرُ فِي رَمَضَانَ فَهَذَا نُقْصَانُ الدِّينِ» .

আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “হে নারীগণ! তোমরা দান-খয়রাত করতে থাকো এবং বেশি করে ইস্তিগফার করো; কেননা আমি দেখেছি, জাহান্নামের অধিবাসীদের অধিকাংশই নারী। জনৈকা বুদ্ধিজীবি মহিলা প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসূল! জাহান্নামে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণ কী? বললেন, তোমরা বেশি বেশি অভিসম্পাত করে থাকো এবং স্বামীর প্রতি (অকৃতজ্ঞতা) প্রকাশ করে থাকো। আর দীন ও জ্ঞান-বুদ্ধিতে ত্রুটিপূর্ণ কোনো সম্প্রদায়, জ্ঞানীদের ওপর তোমাদের চেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী আর কাউকে আমি দেখি নি। প্রশ্নকারী মহিলা জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! জ্ঞান-বুদ্ধি ও দীনে আমাদের কমতি কিসে? তিনি বললেন, তোমাদের জ্ঞান-বুদ্ধির ত্রুটি হলো দুজন স্ত্রীলোকের সাক্ষ্য একজন পুরুষের সাক্ষ্যের সমান; এটিই তোমাদের বুদ্ধির ত্রুটির প্রমাণ। স্ত্রীলোক (প্রতিমাসে) কয়েকদিন সালাত থেকে বিরত থাকে আর রমযান মাসে সাওম ভঙ্গ করে (ঋতুমতী হওয়ার কারণে); এটাই দীনের ত্রুটি”।

সহীহ, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৯।

হাদীসে উল্লিখিত «امرأة منهن جزلة» এ জীম অক্ষরে ফাতহা ও যা অক্ষরে সুকুন যোগে অর্থ হলো জ্ঞান-বুদ্ধি সম্পন্ন মহিলা। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকেও অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।

সহীহ, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮০।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، انْصَرَفَ مِنَ الصُّبْحِ يَوْمًا فَأَتَى النِّسَاءَ فِي الْمَسْجِدِ، فَوَقَفَ عَلَيْهِنَّ، فَقَالَ : «يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ، مَا رَأَيْتُ مِنْ نَوَاقِصِ عُقُولٍ وَدِينٍ أَذْهَبَ بِقُلُوبِ ذَوِي الْأَلْبَابِ مِنْكُنَّ، وَإِنِّي قَدْ رَأَيْتُ أَنَّكُنَّ أَكْثَرَ أَهْلِ النَّارِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، فَتَقَرَّبْنَ إِلَى اللهِ مَا اسْتَطَعْتُنَّ " ، وَكَانَ فِي النِّسَاءِ امْرَأَةُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ، فَأَتَتْ إِلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ فَأَخْبَرَتْهُ بِمَا سَمِعَتْ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَخَذَتْ حُلِيًّا لَهَا، فَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ : أَيْنَ تَذْهَبِينَ بِهَذَا الْحُلِيِّ؟ فَقَالَتْ : أَتَقَرَّبُ بِهِ إِلَى اللهِ وَرَسُولِهِ لَعَلَّ اللهَ أَنْ لَا يَجْعَلَنِي مِنْ أَهْلِ النَّارِ، فَقَالَ : وَيْلَكِ، هَلُمَّ تَصَدَّقِي بِهِ عَلَيَّ وَعَلَى وَلَدِي، فَأَنَا لَهُ مَوْضِعٌ، فَقَالَتْ : لَا وَاللهِ، حَتَّى أَذْهَبَ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَهَبَتْ تَسْتَأْذِنُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالُوا لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : هَذِهِ زَيْنَبُ تَسْتَأْذِنُ يَا رَسُولَ اللهِ، فَقَالَ : " أَيُّ الزَّيَانِبِ هِيَ؟ " فَقَالُوا : امْرَأَةُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ، فَقَالَ : " ئْذَنُوا لَهَا " ، فَدَخَلَتْ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ : يَا رَسُولَ اللهِ، إِنِّي سَمِعْتُ مِنْكَ مَقَالَةً، فَرَجَعْتُ إِلَى ابْنِ مَسْعُودٍ فَحَدَّثْتُهُ، وَأَخَذْتُ حُلِيًّا أَتَقَرَّبُ بِهِ إِلَى اللهِ وَإِلَيْكَ، رَجَاءَ أَنْ لَا يَجْعَلَنِي اللهُ مِنْ أَهْلِ النَّارِ، فَقَالَ لِي ابْنُ مَسْعُودٍ : تَصَدَّقِي بِهِ عَلَيَّ وَعَلَى وَلَدِي فَإِنَّا لَهُ مَوْضِعٌ، فَقُلْتُ : حَتَّى أَسْتَأْذِنَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : «تَصَدَّقِي بِهِ عَلَيْهِ، وَعَلَى بَنِيهِ فَإِنَّهُمْ لَهُ مَوْضِعٌ» . ثُمَّ قَالَتْ : يَا رَسُولَ اللهِ، أَرَأَيْتَ مَا سَمِعْتُ مِنْكَ حِينَ وَقَفْتَ عَلَيْنَا : " مَا رَأَيْتُ مِنْ نَوَاقِصِ عُقُولٍ قَطُّ وَلَا دِينٍ أَذْهَبَ بِقُلُوبِ ذَوِي الْأَلْبَابِ مِنْكُنَّ " ، قَالَتْ : يَا رَسُولَ اللهِ، فَمَا نُقْصَانُ دِينِنَا وَعُقُولِنَا؟ فَقَالَ : أَمَّا مَا ذَكَرْتُ مِنْ نُقْصَانِ دِينِكُنَّ فَالْحَيْضَةُ الَّتِي تُصِيبُكُنَّ، تَمْكُثُ إِحْدَاكُنَّ مَا شَاءَ اللهُ أَنْ تَمْكُثَ لَا تُصَلِّي وَلَا تَصُومُ، فَذَلِكَ مِنْ نُقْصَانِ دِينِكُنَّ، وَأَمَّا مَا ذَكَرْتُ مِنْ نُقْصَانِ عُقُولِكُنَّ، فَشَهَادَتُكُنَّ إِنَّمَا شَهَادَةُ الْمَرْأَةِ نِصْفُ شَهَادَةٍ » .

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকালের (ফজরের) সালাত শেষে মসজিদে মহিলাদের কাছে আসলেন। তাদের সম্মুখে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, হে নারীগণ! বুদ্ধি ও দীনের ব্যাপারে ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও একজন সদাসতর্ক ব্যক্তির বুদ্ধি হরণে তোমাদের চাইতে পারদর্শী আমি আর কাউকে দেখি নি। আমি দেখেছি কিয়ামতের দিনে জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে তোমরাই অধিক। সুতরাং তোমরা সাধ্যমত আল্লাহর ইবাদত বন্দেগীতে মনোনিবেশ করো এবং তাঁর নিকটবর্তী হও (অর্থাৎ দান সদকা করতে থাকো)। তাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর স্ত্রী ছিলেন। তিনি আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর কাছে এসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যা শুনেছেন তা বর্ণনা করলেন। তিনি তার গহনাদি নিলেন। আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু জিজ্ঞেস করলেন, এসব গহনা নিয়ে কোথায় যাচ্ছো? তিনি বললেন, এগুলো দ্বারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সন্তুষ্ট অর্জনের উদ্দেশ্যে যাচ্ছি। হয়ত এগুলোর (দানের) কারণে আল্লাহ আমাকে জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত করবেন না। তিনি বললেন, এসো, এগুলো আমাকে ও আমার সন্তান সন্ততিদেরকে দান করো। আমি এগুলোর হকদার। তার স্ত্রী বললেন, না, যতক্ষণ আমি এগুলো রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে নিয়ে যাবো (তিনি অনুমতি দিলে আমি তোমাকে দান করতে পারবো)। তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে গেলেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে যাওয়ার অনুমতি চাইলেন। সাহাবীরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, ইনি যয়নাব, আপনার কাছে প্রবেশের অনুমতি চাচ্ছেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কোন যয়নাব? তারা বললেন, আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদের স্ত্রী যয়নাব। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অনুমতি দিলে তিনি তাঁর কাছে প্রবেশ করলেন। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনার থেকে নসিহত শুনেছি, অতঃপর তা আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বর্ণনা করেছি। আমি আমার গহনাদি দান করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সন্তুষ্টি অর্জন করতে চাই, যাতে আল্লাহ আমাকে জাহান্নামের অধিবাসী না করেন। তখন আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, এগুলো আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে দান করো; কেননা আমি এগুলোর অধিক হকদার ও দানের উপযুক্ত লোক। তখন আমি তাকে বলেছি, আমি আগে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুমতি নিবো। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি এগুলো তাকে ও তার সন্তানদেরকে দান করে দাও, কেননা তারা এগুলো পাওয়ার উপযুক্ত ও হকদার। অতঃপর তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনার থেকে শুনেছি যে, বুদ্ধি ও দীনের ব্যাপারে ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও একজন সদাসতর্ক ব্যক্তির বুদ্ধি হরণে তোমাদের চাইতে পারদর্শী আমি আর কাউকে দেখি নি। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের দীন ও বুদ্ধির ত্রুটি কোথায়? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি তোমাদের দীনের ত্রুটি সম্পর্কে ইতোপূর্বে আলোচনা করেছি, তা হলো তোমাদের কেউ হায়েয অবস্থায় যতোদিন আল্লাহ চায় হায়েয থাকে ততোদিন সালাত ও সাওম থেকে বিরত থাকে। এ হচ্ছে তাদের দীনের ত্রুটি। আর বুদ্ধির ত্রুটি সম্পর্কে যা আলোচনা করেছি, তা হলো, একজন মহিলার সাক্ষ্য একজন পুরুষের সাক্ষ্যের অর্ধেক (এ হচ্ছে তোমাদের বুদ্ধির ত্রুটি)”।

হাসান, মুসনাদ আহমদ, হাদীস নং৮৮৬২; ইবন খুযাইমা, হাদীস নং ২৪৬১।

عَنْ عَبْدِ اللهِ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : «تَصَدَّقْنَ يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ، وَلَوْ مِنْ حُلِيِّكُنَّ، فَإِنَّكُنَّ أَكْثَرُ أَهْلِ النَّارِ . فَقَامَتِ امْرَأَةٌ لَيْسَتْ مِنْ عِلْيَةِ النِّسَاءِ، فَقَالَتْ : لِمَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ : لِأَنَّكُنَّ تُكْثِرْنَ اللَّعْنَ، وَتَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ » .

وفي رواية : «وَمَا رَأَيْتُ مِنْ نَاقِصَاتِ عَقْلٍ وَدِينٍ أَغْلَبَ لِذِي لُبٍّ مِنْكُنَّ» .

আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “হে নারীগণ! তোমরা দান-খয়রাত করতে থাকো; যদিও তোমাদের গহনাদি থেকে হয়; কেননা আমি দেখেছি যে, জাহান্নামের অধিবাসীদের অধিকাংশই নারী। জনৈকা মহিলা দাঁড়িয়ে গেলো, যিনি মহিলাদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত ছিল না, সে প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসূল! জাহান্নামে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণ কী? তিনি বললেন, তোমরা বেশি বেশি অভিসম্পাত করে থাকো এবং স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকো”।

অন্য বর্ণনায় এসেছে, “দীন ও জ্ঞান-বুদ্ধিতে ত্রুটিপূর্ণ কোনো সম্প্রদায়, জ্ঞানীদের ওপর তোমাদের চেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী আর কাউকে আমি দেখি নি”।

হাসান, মুসনাদ আহমদ, হাদীস নং ৩৫৬৯, ৪১৫২; আবু ইয়া‘লা, হাদীস নং ৫১১২, ৫১৪৪; হাকিম, হাদীস নং ২/১৯০।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন