HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
মুসলিম নারীর অবশ্য পালনীয় কতিপয় আমল
লেখকঃ কামাল উদ্দিন মোল্লা
৭
মুমিনা নারীদের শরী‘আতসম্মত পালনীয় কিছু আদব-কায়দাহে মুমিনা! জেনে রাখুন, আপনি ও আপনার ন্যায় মুমিনা নারীদের শরী‘আতসম্মত পালনীয় কিছু আদব-কায়দা রয়েছে। আপনার ওপর দায়িত্ব হলো সেগুলো মান্য করা। সারা জীবনব্যাপী তার ওপর নিজেকে চালাতে চেষ্টা করা। এ আদব-কায়দাগুলোর মধ্যে কয়েকটি আপনাদেরকে স্বরণ করিয়ে দিচ্ছি। যা পালন আপনার জন্য উত্তম অলঙ্কারসদৃশ হবে।
১. আপনি যেকোনো কাজ করবেন তার শুরুতেই বিসমিল্লাহ বলবেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু’মিনদের জন্য জগতের সর্বোৎকৃষ্ট আদর্শ। যখন তিনি কোনো কাজ করতেন সর্বাবস্থাতেই আল্লাহর নাম পাঠ করতেন। কাজেই আল্লাহ তা‘আলার নাম স্মরণ করুন খাবার সময়, পান করার সময়, পোশাক পরিধান করার সময়, পবিত্রতা হাসিলের সময়, অযু করার সময় অর্থাৎ সর্বাবস্থাতেই বিসমিল্লাহ্ বলুন।
২. সর্বদা আপনার পোশাক-পরিচ্ছদকে পরিস্কার রাখুন। আপনার শরীর, বাসস্থান, বিছানা, সমস্ত কিছুই পরিস্কার রাখতে চেষ্টা করুন। কারণ, পবিত্রতা ঈমানের অংশ। (সহীহ মুসলিম)
আবর্জনা ও দুর্গন্ধযুক্ত জিনিস পবিত্রতার প্রতিকূল। আপনার বাচ্চাদের পোশাক পরিচ্ছদ, তাদের শরীর, মুখ-মণ্ডল, দাঁত ইত্যাদি পাক-পরিস্কার রাখতে চেষ্টা করুন। কারণ, আপনার ওপরই রয়েছে তাদের দেখাশুনার দায়িত্ব। আর তারা ভালোভাবে গড়ে উঠবে আপনার মাধ্যমেই। তাদের জীবন হবে কল্যাণময় দু জাহানে।
৩. জামা কিংবা কামিজকে এতটা লম্বা রাখুন যেন উহা আপনার পায়ের পাতাদ্বয়কে ঢেকে রাখে এবং মাথাকে এমনভাবে কাপড় দিয়ে আবৃত করুন যেন বাহির থেকে চুল দেখা না যায়। আপনার নিজের বাড়িতে পরিবারের লোকজনের মধ্যে মাতা-পিতা, ভাই বোন ও সন্তানদের সম্মুখে এভাবেই চলাফেরা করবেন। মনে রাখবেন আপনার দেহ হতে যেন সুগন্ধি বের না হয়। আর অতিরিক্ত সাজগোছ করে বের হবেন না।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«أيُّمَا إمْرَأةٍ أَصَابَتْ بُخُوْراً فَلَا تَشْهَدَ مَعَنَا الْعِشَاءَ الأخِرَةَ» .
“যে নারী সুগন্ধি ব্যবহার করেছে সে যেন এশার সালাতে অংশ গ্রহণ না করে।” (সহীহ মুসলিম)
৪. অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবেন না। কারণ, ঘর হতে বেশি বেশি বের হওয়া কখনো প্রশংসনীয় নয়; বরং ধিকৃত। এভাবে বের হওয়ার ফলে আস্তে আস্তে লজ্জা-শরম ও নম্রতা দূর হয়ে যায়। আর লজ্জা হলো ঈমানের অংশ। যখন লজ্জা চলে যাবে, তখন ধীরে ধীরে ঈমানও চলে যাবে।
৫. প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে যাওয়া। যেমন আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে যাওয়া, উত্তম কাজ তথা ওয়াজ মাহফিল ইত্যাদিতে যোগদান করা, সালাতের জন্য মসজিদে গমন করা। তখন আপনি আপনার শরীরকে মাথা হতে পায়ের পাতা পর্যন্ত উত্তমরূপে ঢেকে বের হবেন। আপনার কোনো অলংকার যেন বাহির হতে দেখা না যায়। এমন কি বোরকার নিচের পোশাকও নয়। কারণ তা মুমিনা মহিলাদের পর্দার খেলাফ এবং শরী‘আতের ও খেলাফ; আর শরীয়ত মেনে চলা হলো সমস্ত কল্যাণের মূল।
৬. দরজার সামনে এমনভাবে দাঁড়াবেন না যেন বাইরের লোক আপনাকে দেখতে পায়, এমনকি ছাদে কিংবা বারান্দায় দাড়াবেন না। কারণ, এর ফলে নানা রকম অসুবিধার সৃষ্টি হয়, শান্তির বিঘ্ন ঘটে এবং বিপদেরও সম্মুখীন হতে হয়। কাজেই আপনার রবকে খুশী করার জন্য আনন্দ চিত্তে ঘরে থাকতে অভ্যস্ত হউন। তিনি আপনাকে যা দিচ্ছেন তাতেই সন্তুষ্ট থাকুন।
আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে যে সমস্ত আদেশ উল্লেখ করেছেন তা পরিপূর্ণভাবে মেনে চলুন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীগণ হলেন, মুমিনদের মা এবং জগতের সবচেয়ে উত্তম নারী। তাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামিন পবিত্র কুরআনে বলেন:
﴿وَقَرۡنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجۡنَ تَبَرُّجَ ٱلۡجَٰهِلِيَّةِ ٱلۡأُولَىٰۖ وَأَقِمۡنَ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتِينَ ٱلزَّكَوٰةَ وَأَطِعۡنَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُ﴾ [ الاحزاب : ٣٣ ]
“আর তোমরা নিজগৃহে অবস্থান করো, প্রাচীন জাহিলী যুগের মত নিজদেরকে প্রদর্শন করো না এবং তোমরা সালাত কায়েম করো, যাকাত দাও এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য থাক।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৩৩]
৭. যদি কোনা কারণে বাইরে যেতে হয় তা হলে রাস্তার একপাশ দিয়ে চলুন আর চলার পথে রাস্তা-ঘাটে বাজারে জনসম্মুখে খাবেন না। যাত্রা কালে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলবেন না। কারণ, তা আপনার সম্ভ্রমকে নীচু করে। আপনার দীনের জন্যও ক্ষতিকর। পথে ঘাটে দেখবেন অনেক নারী খাবার খাচ্ছে, গল্প করছে, আড্ডা দিচ্ছে তাদের দেখে ধোকায় পড়বেন না। কারণ, তারা অমুসলিম নারীদেরকে তাদের আদর্শ বানিয়েছে। আপনি সর্বদা নিজের মুসলিম পরিচয়কে বুকে ধারণ করুন। এতে আপনি সকল ফিৎনা হতে রক্ষা পাবেন।
সমাপ্ত
১. আপনি যেকোনো কাজ করবেন তার শুরুতেই বিসমিল্লাহ বলবেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু’মিনদের জন্য জগতের সর্বোৎকৃষ্ট আদর্শ। যখন তিনি কোনো কাজ করতেন সর্বাবস্থাতেই আল্লাহর নাম পাঠ করতেন। কাজেই আল্লাহ তা‘আলার নাম স্মরণ করুন খাবার সময়, পান করার সময়, পোশাক পরিধান করার সময়, পবিত্রতা হাসিলের সময়, অযু করার সময় অর্থাৎ সর্বাবস্থাতেই বিসমিল্লাহ্ বলুন।
২. সর্বদা আপনার পোশাক-পরিচ্ছদকে পরিস্কার রাখুন। আপনার শরীর, বাসস্থান, বিছানা, সমস্ত কিছুই পরিস্কার রাখতে চেষ্টা করুন। কারণ, পবিত্রতা ঈমানের অংশ। (সহীহ মুসলিম)
আবর্জনা ও দুর্গন্ধযুক্ত জিনিস পবিত্রতার প্রতিকূল। আপনার বাচ্চাদের পোশাক পরিচ্ছদ, তাদের শরীর, মুখ-মণ্ডল, দাঁত ইত্যাদি পাক-পরিস্কার রাখতে চেষ্টা করুন। কারণ, আপনার ওপরই রয়েছে তাদের দেখাশুনার দায়িত্ব। আর তারা ভালোভাবে গড়ে উঠবে আপনার মাধ্যমেই। তাদের জীবন হবে কল্যাণময় দু জাহানে।
৩. জামা কিংবা কামিজকে এতটা লম্বা রাখুন যেন উহা আপনার পায়ের পাতাদ্বয়কে ঢেকে রাখে এবং মাথাকে এমনভাবে কাপড় দিয়ে আবৃত করুন যেন বাহির থেকে চুল দেখা না যায়। আপনার নিজের বাড়িতে পরিবারের লোকজনের মধ্যে মাতা-পিতা, ভাই বোন ও সন্তানদের সম্মুখে এভাবেই চলাফেরা করবেন। মনে রাখবেন আপনার দেহ হতে যেন সুগন্ধি বের না হয়। আর অতিরিক্ত সাজগোছ করে বের হবেন না।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«أيُّمَا إمْرَأةٍ أَصَابَتْ بُخُوْراً فَلَا تَشْهَدَ مَعَنَا الْعِشَاءَ الأخِرَةَ» .
“যে নারী সুগন্ধি ব্যবহার করেছে সে যেন এশার সালাতে অংশ গ্রহণ না করে।” (সহীহ মুসলিম)
৪. অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবেন না। কারণ, ঘর হতে বেশি বেশি বের হওয়া কখনো প্রশংসনীয় নয়; বরং ধিকৃত। এভাবে বের হওয়ার ফলে আস্তে আস্তে লজ্জা-শরম ও নম্রতা দূর হয়ে যায়। আর লজ্জা হলো ঈমানের অংশ। যখন লজ্জা চলে যাবে, তখন ধীরে ধীরে ঈমানও চলে যাবে।
৫. প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে যাওয়া। যেমন আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতে যাওয়া, উত্তম কাজ তথা ওয়াজ মাহফিল ইত্যাদিতে যোগদান করা, সালাতের জন্য মসজিদে গমন করা। তখন আপনি আপনার শরীরকে মাথা হতে পায়ের পাতা পর্যন্ত উত্তমরূপে ঢেকে বের হবেন। আপনার কোনো অলংকার যেন বাহির হতে দেখা না যায়। এমন কি বোরকার নিচের পোশাকও নয়। কারণ তা মুমিনা মহিলাদের পর্দার খেলাফ এবং শরী‘আতের ও খেলাফ; আর শরীয়ত মেনে চলা হলো সমস্ত কল্যাণের মূল।
৬. দরজার সামনে এমনভাবে দাঁড়াবেন না যেন বাইরের লোক আপনাকে দেখতে পায়, এমনকি ছাদে কিংবা বারান্দায় দাড়াবেন না। কারণ, এর ফলে নানা রকম অসুবিধার সৃষ্টি হয়, শান্তির বিঘ্ন ঘটে এবং বিপদেরও সম্মুখীন হতে হয়। কাজেই আপনার রবকে খুশী করার জন্য আনন্দ চিত্তে ঘরে থাকতে অভ্যস্ত হউন। তিনি আপনাকে যা দিচ্ছেন তাতেই সন্তুষ্ট থাকুন।
আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে যে সমস্ত আদেশ উল্লেখ করেছেন তা পরিপূর্ণভাবে মেনে চলুন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীগণ হলেন, মুমিনদের মা এবং জগতের সবচেয়ে উত্তম নারী। তাদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামিন পবিত্র কুরআনে বলেন:
﴿وَقَرۡنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجۡنَ تَبَرُّجَ ٱلۡجَٰهِلِيَّةِ ٱلۡأُولَىٰۖ وَأَقِمۡنَ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتِينَ ٱلزَّكَوٰةَ وَأَطِعۡنَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُ﴾ [ الاحزاب : ٣٣ ]
“আর তোমরা নিজগৃহে অবস্থান করো, প্রাচীন জাহিলী যুগের মত নিজদেরকে প্রদর্শন করো না এবং তোমরা সালাত কায়েম করো, যাকাত দাও এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য থাক।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৩৩]
৭. যদি কোনা কারণে বাইরে যেতে হয় তা হলে রাস্তার একপাশ দিয়ে চলুন আর চলার পথে রাস্তা-ঘাটে বাজারে জনসম্মুখে খাবেন না। যাত্রা কালে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলবেন না। কারণ, তা আপনার সম্ভ্রমকে নীচু করে। আপনার দীনের জন্যও ক্ষতিকর। পথে ঘাটে দেখবেন অনেক নারী খাবার খাচ্ছে, গল্প করছে, আড্ডা দিচ্ছে তাদের দেখে ধোকায় পড়বেন না। কারণ, তারা অমুসলিম নারীদেরকে তাদের আদর্শ বানিয়েছে। আপনি সর্বদা নিজের মুসলিম পরিচয়কে বুকে ধারণ করুন। এতে আপনি সকল ফিৎনা হতে রক্ষা পাবেন।
সমাপ্ত
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন