HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে জামা‘আতে সালাত আদায় [বিধান, ফযীলত, ফায়েদা ও নিয়ম-কানূন]

লেখকঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইবন আব্দুল আযীয আল-মাদানী

জামা‘আতে সালাত আদায় করতে যাওয়ার ফযীলত:
জামা‘আতে সালাত আদায় করতে যাওয়া একটি মহান ইবাদাত। যার অনেকগুলো ফযীলত হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। যার কিয়দংশ নিম্নরূপ:

১. সর্বদা মসজিদে গিয়ে জামা‘আতে নামাজ পড়তে ব্যাকুল ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলার আর্শের নিচে ছায়া পাবে:

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمْ اللهُ تَعَالَى فِيْ ظِلِّهِ يَوْمَ لاَ ظِلَّ إِلاَّ ظِلُّهُ : إِمَامٌ عَدْلٌ، وَشَابٌّ نَشَأَ فِيْ عِبَادَةِ اللهِ، وَرَجُلٌ قَلْبُهُ مُعَلَّقٌ فِيْ الـْمَسَاجِدِ، وَرَجُلاَنِ تَحَابَّا فِيْ اللهِ اجْتَمَعَا عَلَيْهِ وَتَفَرَّقَا عَلَيْهِ، وَرَجُلٌ دَعَتْهُ امْرَأَةٌ ذَاتُ مَنْصِبٍ وَجَمَالٍ فَقَالَ : إِنِّيْ أَخَافُ اللهَ، وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ فَأَخْفَاهَا حَتَّى لاَ تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا تُنْفِقُ يَمِيْنُهُ، وَرَجُلٌ ذَكَرَ اللهَ خَالِيًا فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ» .

“সাত শ্রেণির লোককে আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন আর্শের নিচে ছায়া দিবেন যে দিন আর কোনো ছায়া থাকবে না। প্রথম শ্রেণি হচ্ছে এমন রাষ্ট্রপতি যিনি সর্বদা ইন্সাফের ওপরই প্রতিষ্ঠিত। দ্বিতীয় শ্রেণি হচ্ছে এমন যুবক যে ছোট থেকেই আল্লাহ তা‘আলার ইবাদাতের ওপর বেড়ে উঠেছে। তৃতীয় শ্রেণি হচ্ছে এমন ব্যক্তি যার অন্তর সর্বদা মসজিদের সাথেই লাগানো। চতুর্থ শ্রেণি হচ্ছে এমন দু’ ব্যক্তি যারা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির জন্যই একে অপরকে ভালোবেসেছে। আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির জন্যই তারা পরস্পর একত্রিত হয় এবং তাঁরই সন্তুষ্টির জন্য তারা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়। পঞ্চম শ্রেণি হচ্ছে এমন পুরুষ যাকে কোনো প্রভাবশালী সুন্দরী মহিলা ব্যভিচারের জন্য ডাকছে অথচ সে বলছেঃ আমি তা করতে পারবো না। নিশ্চয় আমি আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় পাচ্ছি। ষষ্ট শ্রেণি হচ্ছে এমন ব্যক্তি যে এরূপ লুক্কায়িতভাবে সাদাকা করেছে যে, তার বাম হাত জানছে না তার ডান কি সাদাকা করছে। সপ্তম শ্রেণি হচ্ছে এমন ব্যক্তি যে একাকীভাবে আল্লাহ তা‘আলার কথা স্মরণ করে দু’ চোখের পানি প্রবাহিত করছে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৪২৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৩১।]

অন্য বর্ণনায় রয়েছে,

«وَرَجُلٌ مُعَلَّقٌ بِالْـمَسْجِدِ إِذَا خَرَجَ مِنْهُ حَتَّى يَعُودَ اِلَيْهِ» .

“তৃতীয় শ্রেণি হচ্ছে এমন ব্যক্তি যার অন্তর সর্বদা মসজিদের সাথেই লাগানো থাকে যখন সে মসজিদ থেকে বের হয় যতক্ষণ না সে মসজিদে ফিরে আসে”।

মসজিদের সাথে অন্তর লেগে থাকা মানে মসজিদকে অধিক ভালোবাসা এবং তাতে জামা‘আতে সালাত আদায়ের প্রতি অধিক নিষ্ঠাবান হওয়া। এর মানে দুনিয়ার সকল কাজ বাদ দিয়ে মসজিদে সর্বদা বসে থাকা নয়।

২. জামা‘আতে সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে যাওয়া মসজিদগামী ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধি, গুনাহ মাফ ও অধিক সাওয়াব লাভের একটি বিশেষ মাধ্যম।

আব্দুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন:

«وَمَا مِنْ رَجُلٍ يَتَطَهَّرُ فَيُحْسِنُ الطُّهُوْرَ ثُمَّ يَعْمَدُ إِلَى مَسْجِدٍ مِنْ هَذِهِ الـْمَسَاجِدِ إِلاَّ كَتَبَ اللهُ لَهُ بِكُلِّ خُطْوَةٍ يَخْطُوْهَا حَسَنَةً وَيَرْفَعَهُ بِهَا دَرَجَةً، وَيَحُطُّ عَنْهُ بِهَا سَيِّئَةً» .

“যে কেউ সুন্দরভাবে পবিত্রতার্জন করে মসজিদগামী হয় আল্লাহ তা‘আলা তাকে প্রতি কদমের বদৌলতে একটি করে পুণ্য দিবেন ও একটি করে তার মর্যাদা উন্নীত করবেন এবং একটি করে তার গুনাহ মুছে দিবেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৫৪; আবু দাউদ, হাদীস নং ৫৫০।]

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«وَذلِكَ أنَّ أحَدَكُمْ إِذَا تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ثُمَّ أَتَى الـمَسْجِدَ لاَ يُرِيدُ إلاَّ الصَلاَة لَمْ يَخْطُ خَطْوَةً إلاَّ رَفَعَهُ الله بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً» .

“আর তা এ ভাবে যে, তোমাদের কেউ যদি ভালোভাবে অযু করে শুধুমাত্র সালাতের উদ্দেশ্যেই মসজিদে আসে তা হলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে তার প্রতি কদমের বদৌলতে একটি করে মর্যাদা উন্নীত করবেন এবং একটি করে গুনাহ মুছে দিবেন”। [বুখারী, হাদীস নং ৬৪৭ মুসলিম, হাদীস নং ৬৪৯]

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَنْ تَطَهَّرَ فِي بَيْتِهِ ثُمَّ مَشَى إِلَى بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِ اللَّهِ لِيَقْضِيَ فَرِيضَةً مِنْ فَرَائِضِ اللَّهِ كَانَتْ خَطْوَتَاهُ إِحْدَاهُمَا تَحُطُّ خَطِيئَةً وَالْاُخْرَى تَرْفَعُ دَرَجَةً» .

“যে ব্যক্তি নিজ ঘরে পবিত্রতার্জন করে কোনো ফরয সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে গেলো তার প্রতি দু’ কদমের একটি এক একটি করে তার গুনাহ মুছে দিবে আর অপরটি এক একটি করে তার মর্যাদা বাড়িয়ে দিবে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৬৬]

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«أَلاَ أَدُلُّكُمْ عَلَى مَا يَمْحُوْ اللهُ بِهِ الْـخَطَايَا وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ؟ قَالُوْا : بَلَى، يَا رَسُوْلَ اللهِ ! قَالَ : إِسْبَاغُ الْوُضُوْءِ عَلَى الْمَكَارِهِ وَكَثْـرَةُ الْـخُطَا إِلَى الـْمَسَاجِدِ، وَانْتِظَارُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ، فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ، فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ» .

“আমি তোমাদেরকে এমন কিছু আমলের সংবাদ দেবো কি? যা সম্পাদন করলে আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন ও মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন। সাহাবীগণ বললেন: হাঁ, হে আল্লাহর রাসুল! উত্তরে তিনি বললেন: কষ্টের সময় অযুর অঙ্গগুলো ভালভাবে ধৌত করবে, মসজিদের প্রতি অধিক পদক্ষেপণ করবে এবং এক সালাত শেষে অন্য সালাতের জন্য অপেক্ষায় থাকবে। পরিশেষে তিনি বলেন: এগুলো যেন একটি প্রতিরক্ষা বাহিনীরই কাজ। এগুলো যেন একটি প্রতিরক্ষা বাহিনীরই কাজ”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫১; তিরমিযী, হাদীস নং ৫১; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৩৩।]

৩. জামা‘আতে সালাত আদায়ের জন্য মসজিদে গেলে যেমনিভাবে মসজিদগামী ব্যক্তির মসজিদে যাওয়ার প্রতিটি কদম তার আমলনামায় লেখা হবে তেমনিভাবে তার মসজিদ থেকে ঘরে ফেরার প্রতিটি কদমও তার আমলনামায় লেখা হবে।

উবাই ইবন কা‘ব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি যার বাড়ি ছিলো মসজিদ থেকে সব চাইতে বেশি দূরে অথচ তার কোনো জামা‘আতের সালাতই কখনো হাত ছাড়া হতো না। তাকে বলা হলো অথবা আমিই তাকে একদা বললাম: তুমি যদি একটি গাধা কিনে নিতে তা হলে রাতের অন্ধকারে এবং দিনের প্রখর তাপে তাতে চড়ে মসজিদে আসতে পারতে। উত্তরে সে বললো: আমি চাই না যে আমার ঘরটি মসজিদের পাশেই হোক। বরং আমি চাই যে, আমার মসজিদে আসা-যাওয়ার প্রতিটি কদম আমার আমলনামায় লিখা হোক। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন:

«قَدْ جَمَعَ اللَّهُ لَكَ ذَلِكَ كُلَّهُ» .

“আল্লাহ তা‘আলা তোমার প্রতিটি কদমই তোমার আমলনামায় সংরক্ষণ করেছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৬৩।]

অন্য বর্ণনায় রয়েছে,

«إِنَّ لَكَ مَا احْتَسَبْتَ» .

“তুমি সাওয়াবের আশায় যতগুলো কদম ফেলেছো তার সাওয়াব অবশ্যই পাবে”।

আবু মূসা আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«إِنَّ أَعْظَمَ النَّاسِ أَجْرًا فِي الصَّلَاةِ أَبْعَدُهُمْ إِلَيْهَا مَمْشًى فَأَبْعَدُهُمْ وَالَّذِي يَنْتَظِرُ الصَّلَاةَ حَتَّى يُصَلِّيَهَا مَعَ الْإِمَامِ أَعْظَمُ أَجْرًا مِنْ الَّذِي يُصَلِّيهَا ثُمَّ يَنَامُ» .

“সে ব্যক্তিই জামা‘আতে সালাত আদায়ের সাওয়াব সব চাইতে বেশি পাবে যাকে জামা‘আতের সালাতে উপস্থিত হওয়ার জন্য সব চাইতে বেশি দূরের পথ পাড়ি দিতে হয়। অতঃপর যাকে আরো দূরের পথ পাড়ি দিতে হয় তার সাওয়াব আরো বেশি। আর যে ব্যক্তি ইমামের সাথে জামা‘আতে সালাত আদায়ের অপেক্ষায় থাকে তার সাওয়াব অনেক বেশি ওর চাইতে যে ঘরে একাকী সালাত পড়েই ঘুমিয়ে পড়ে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৫১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৬২।]

জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা মসজিদের আশপাশের এলাকাগুলো খালি হয়ে গিয়েছিলো। তখন সালিমাহ গোত্রের লোকেরা মসজিদের পাশেই স্থানান্তরের চিন্তা-ভাবনা করছিলো। উক্ত ব্যাপারটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কর্ণগোচর হলে তিনি তাদেরকে বললেন:

«إِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّكُمْ تُرِيدُونَ أَنْ تَنْتَقِلُوا قُرْبَ الْـمَسْجِدِ قَالُوا نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ أَرَدْنَا ذَلِكَ فَقَالَ يَا بَنِي سَلِمَةَ دِيَارَكُمْ تُكْتَبْ آثَارُكُمْ دِيَارَكُمْ تُكْتَبْ آثَارُكُمْ» .

“আমার কাছে খবর এসেছে তোমরা না কি মসজিদের আশপাশেই স্থানান্তর হতে চাচ্ছো? তারা বললো: জি হ্যাঁ। হে আল্লাহর রাসূল আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমরা তাই চাচ্ছিলাম। তখন তিনি বললেন: হে সালিমাহ গোত্রের লোকেরা! তোমরা নিজ স্থানেই অবস্থান করো। সেখান থেকে কোথাও স্থানান্ততির হয়ো না। তোমাদের প্রতিটি কদমই তোমাদের আমলনামায় লেখা হবে। তোমরা নিজ স্থানেই অবস্থান করো। সেখান থেকে কোথাও স্থানান্তরিত হয়ো না। তোমাদের প্রতিটি কদমই তোমাদের আমলনামায় লেখা হবে”। [বুখারী, হাদীস নং ৬৫৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৬৫।]

৪. ভালোভাবে অযু করে জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে গেলে মসজিদগামী ব্যক্তির সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়:

উসমান ইবন আফ্ফান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَنْ تَوَضَّأَ لِلصَّلَاةِ فَأَسْبَغَ الْوُضُوءَ، ثُمَّ مَشَى إِلَى الصَّلَاةِ الْـمَكْتُوبَةِ فَصَلَّاهَا مَعَ النَّاسِ أَوْ مَعَ الْـجَمَاعَةِ أَوْ فِي الْـمَسْجِدِ غَفَرَ اللهُ لَهُ ذُنُوبَهُ» .

“যে ব্যক্তি ভালোভাবে অযু করে ফরয সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে গিয়ে মানুষের সাথে অথবা জামা‘আতে অথবা মসজিদে সালাত আদায় করলো আল্লাহ তা‘আলা তার সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩২।]

৫. যে ব্যক্তি জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে সকাল-সন্ধ্যা মসজিদে আসা-যাওয়া করে আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাতে সকাল ও সন্ধ্যায় এক বিশেষ আপ্যায়নের ব্যবস্থা করবেন:

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَنْ غَدَا إِلَى الْـمَسْجِدِ أَوْ رَاحَ أَعَدَّ الله لَهُ فِي الْـجَنَّةِ نُزُلًا كُلَّمَا غَدَا أَوْ رَاحَ» .

“যে ব্যক্তি জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে সকাল-সন্ধ্যায় মসজিদে আসা-যাওয়া করলো আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাতে সকাল ও সন্ধ্যা বেলায় এক বিশেষ আপ্যায়নের ব্যবস্থা করবেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৬২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৬৯।]

৬. ভালোভাবে অযু করে জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে গেলে জামা‘আত না পেলেও জামা‘আতের সাওয়াব অবশ্যই পাওয়া যাবে:

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ وُضُوْءَهُ ثُمَّ رَاحَ فَوَجَدَ النَّاسَ قَدْ صَلَّوْا أَعْطَاهُ الله جَلَّ وَعَزَّ مِثْلَ أَجْرِ مَنْ صَلَّاهَا وَحَضَرَهَا لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أَجْرِهِمْ شَيْئًا» .

“যে ব্যক্তি ভালোভাবে অযু করে মসজিদে গেলো অতঃপর দেখলো মানুষ সালাত পড়ে ফেলেছে তখন আল্লাহ তা‘আলা তাকে সালাত পড়ুয়াদের ন্যায় জামা‘আতের সাওয়াব দিয়ে দিবেন। এমনকি তাদের সাওয়াবে একটুও ঘাটতি করা হবে না”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৫৬৪।]

৭. কেউ নিজ ঘরে অযু করে জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে গেলে তাকে সালাতরত বলেই গণ্য করা হবে যতক্ষণ না সে আবার নিজ ঘরে ফিরে আসে:

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«إِذَا تَوَضَّأَ أَحَدُكُمْ فِيْ بَيْتِهِ ثُمَّ أَتَى الْـمَسْجِدَ كَانَ فِيْ صَلاَةٍ حَتَّى يَرْجِعَ فَلاَ يَقُلْ هَكَذَا : وَشَبَّكَ بَيْنَ أَصَابِعِهِ» .

“যখন তোমাদের কেউ নিজ ঘরে অযু করে মসজিদের দিকে রওয়ানা করে তখন তাকে সালাতরত বলেই গণ্য করা হয় যতক্ষণ না সে আবার ঘরে ফিরে আসে। সুতরাং সে যেন হাতের আঙ্গুলগুলোকে একটির মধ্যে আরেকটি ঢুকিয়ে না দেয়”। [ইবন খুযাইমাহ, হাদীস নং ৪৩৯, ৪৪৭; হাকিম, হাদীস নং ৭৪৪।]

৮. কেউ নিজ ঘর থেকে পবিত্রতার্জন করে জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে গেলে তাকে একজন ইহরামরত হাজীর সাওয়াব দেওয়া হবে:

আবু উমামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَنْ خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ مُتَطَهِّرًا إِلَى صَلَاةٍ مَكْتُوبَةٍ فَأَجْرُهُ كَأَجْرِ الْحَاجِّ الْـمُحْرِمِ» .

“যে ব্যক্তি নিজ ঘর থেকে পবিত্রতার্জন করে কোনো ফরয সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে বের হয় তার সাওয়াব হবে একজন ইহ্রামরত হাজীর ন্যায়”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৫৫৮।]

৯. জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে নিজ ঘর থেকে বের হওয়া ব্যক্তি সর্বদা আল্লাহ তা‘আলার জিম্মায় থাকেন:

আবু উমামাহ বাহিলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«ثَلَاثَةٌ كُلُّهُمْ ضَامِنٌ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ رَجُلٌ خَرَجَ غَازِيًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَهُوَ ضَامِنٌ عَلَى اللَّهِ حَتَّى يَتَوَفَّاهُ فَيُدْخِلَهُ الْـجَنَّةَ أَوْ يَرُدَّهُ بِمَا نَالَ مِنْ أَجْرٍ وَغَنِيمَةٍ وَرَجُلٌ رَاحَ إِلَى الْـمَسْجِدِ فَهُوَ ضَامِنٌ عَلَى اللَّهِ حَتَّى يَتَوَفَّاهُ فَيُدْخِلَهُ الْـجَنَّةَ أَوْ يَرُدَّهُ بِمَا نَالَ مِنْ أَجْرٍ وَغَنِيمَةٍ وَرَجُلٌ دَخَلَ بَيْتَهُ بِسَلَامٍ فَهُوَ ضَامِنٌ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ» .

“তিন জাতীয় ব্যক্তির দায়-দায়িত্ব আল্লাহ তা‘আলা সরাসরি নিজ হাতেই নিয়ে থাকেন। তার মধ্যে একজন হচ্ছে যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে যুদ্ধের জন্য বের হয় সে আল্লাহ তা‘আলার জিম্মায় থাকে যতক্ষণ না তার মৃত্যু হয় অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান অথবা তাকে সাওয়াব ও যুদ্ধলব্ধ মাল সহ ঘরে ফিরিয়ে দেন। আর দ্বিতীয় জন হচ্ছে যে ব্যক্তি (জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে) মসজিদের দিকে বের হয় সেও আল্লাহ তা‘আলার জিম্মায় থাকে যতক্ষণ না তার মৃত্যু হয় অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান অথবা তাকে সাওয়াব ও লাভ সহ ঘরে ফিরিয়ে দেন। আর তৃতীয় জন হচ্ছে যে ব্যক্তি সালাম দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে অথবা ফিতনার ভয়ে ঘরের বাইরে না গিয়ে একান্ত নিজ ঘরেই সর্বদা অবস্থান করে ইবাদাতে নিমগ্ন থাকে সেও আল্লাহ তা‘আলার জিম্মায় থাকে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ২৪৯৪।]

১০. জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদের দিকে পায়ে হেঁটে যাওয়ার আমলটুকু দ্রুত লেখা ও আকাশের দিকে নিয়ে যাওয়া নিয়ে আল্লাহ তা‘আলার নিকটবর্তী ফিরিশতাগণ পরস্পর প্রতিযোগিতা করে, উহার মর্যাদা ও ফযীলত নিয়ে পরস্পর কথোপকথন করে এবং তা নিয়ে তারা মানুষের সাথে ঈর্ষা করে:

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«أَتَانِي اللَّيْلَةَ رَبِّيْ تَبَارَكَ وَتَعَالَى فِيْ أَحْسَنِ صُوْرَةٍ، قَالَ : أَحْسَبُهُ قَالَ : فِيْ الْـمَنَامِ، فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ ! هَلْ تَدْرِي فِيْـمَ يَخْتَصِـمُ الْـمَلَأُ الْأَعْلَى؟ قَالَ : قُلْتُ : لَا، قَالَ : فَوَضَعَ يَدَهُ بَيْـنَ كَتِفَـيَّ، حَتَّى وَجَدْتُ بَـرْدَهَا بَيْنَ ثَدْيَيَّ أَوْ قَالَ : فِي نَحْــرِيْ، فَعَلِمْتُ مَا فِـيْ السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ قَالَ : يَا مُحَمَّدُ ! هَلْ تَدْرِي فِيْمَ يَخْتَصِمُ الْـمَلَأُ الْأَعْلَى؟ قُلْتُ : نَعَمْ، قَالَ : فِيْ الْكَفَّارَاتِ، وَالْكَفَّارَاتُ : الْـمُكْثُ فِي الْمَسَاجِدِ بَعْدَ الصَّلَوَاتِ، وَالْـمَشْيُ عَلَى الْأَقْدَامِ إِلَى الْجَمَاعَاتِ، وَإِسْبَاغُ الْوُضُوءِ فِيْ الْـمَكَارِهِ، وَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ عَاشَ بِخَيْرٍ وَمَاتَ بِخَيْرٍ وَكَانَ مِنْ خَطِيئَتِهِ كَيَوْمَ وَلَدَتْهُ اُمُّهُ» .

“আমার রব এক সুন্দর অবয়বে গত রাত্রিতে আমার নিকট আসলেন। বর্ণনাকারী বলেন: আমার ধারণা, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তা ছিলো একান্ত স্বপ্ন যোগে। অতঃপর আমার প্রভু বললেন: হে মুহাম্মাদ! তুমি কি জানো? কি নিয়ে আমার নিকটবর্তী সম্মানিত ফিরিশতাগণ প্রতিযোগিতা, আলোচনা ও ঈর্ষা করে। আমি বললাম: না। আমি জানি না। তখন তিনি নিজ হাতখানা আমার দু’ কাঁধের মাঝখানে তথা পিঠে রাখলেন। এমনকি আমি উহার ঠান্ডাটুকু আমার বুকেও অনুভব করলাম। অতঃপর আমি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সব কিছুই জানতে পারলাম। তখন আমার প্রভু বললেন: হে মুহাম্মাদ! তুমি কি জানো? কি নিয়ে আমার নিকটবর্তী সম্মানিত ফিরিশতাগণ প্রতিযোগিতা, আলোচনা ও ঈর্ষা করে। আমি বললাম: হ্যাঁ। আমি এখন তা জানি। বর্ণনাকারী বলেন: তিনি বললেন: কাফ্ফারা তথা ব্যক্তির গুনাহ্গুলো মুছে দেওয়ার বিষয় সমূহ নিয়ে। কাফ্ফারার বিষয়গুলো হলো: ফরয সালাতগুলো শেষ হওয়ার পর মসজিদে কিছুক্ষণ অবস্থান করা, জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদের দিকে পায়ে হেঁটে যাওয়া এবং অযুর সময় পানি পৌঁছানো কষ্টকর এমন অঙ্গগুলো ভালোভাবে ধৌত করা। যে ব্যক্তি এ কাজগুলো ভালোভাবে সম্পাদন করলো সে তার জীবদ্দশায় কল্যাণকর জীবন যাপন করবে এবং তার মৃত্যুও হবে কল্যাণকর। তদুপরি সে তার পাপ সমূহ থেকে এমনিভাবে মুক্ত হবে যেন সে আজ নিজ মায়ের গর্ভ থেকে নিষ্পাপ ভূমিষ্ঠ হলো”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৩২৩৩, ৩২৩৪, ৩২৩৫।]

১১. জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদগামী হওয়া দুনিয়া ও আখিরাতের সমূহ কল্যাণ প্রাপ্তির এক বিশেষ মাধ্যম।

উপরোক্ত হাদীসটি এর বিশেষ প্রমাণ। যাতে বলা হয়েছে,

«وَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ عَاشَ بِخَيْرٍ وَمَاتَ بِخَيْرٍ» .

“যে ব্যক্তি এ কাজগুলো ভালোভাবে সম্পাদন করলো সে তার জীবদ্দশায় কল্যাণকর জীবন যাপন করবে এবং তার মৃত্যুও হবে কল্যাণকর”।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿مَنۡ عَمِلَ صَٰلِحٗا مِّن ذَكَرٍ أَوۡ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤۡمِنٞ فَلَنُحۡيِيَنَّهُۥ حَيَوٰةٗ طَيِّبَةٗۖ وَلَنَجۡزِيَنَّهُمۡ أَجۡرَهُم بِأَحۡسَنِ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ٩٧ ﴾ [ النحل : ٩٧ ]

“যে কোনো পুরুষ ও নারী ঈমানদার অবস্থায় সৎ কাজ করে তাকে আমি নিশ্চয় পবিত্র ও আনন্দময় জীবন দান করবো এমনকি তাদেরকে দেবো তাদের কর্মের শ্রেষ্ঠ প্রতিদান”। [সূরা আন-নাহল, আয়াত: ৯৭]

১২. নিজ ঘরে অযু করে জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে আগমনকারীকে আল্লাহ তা‘আলা বিশেষভাবে সম্মানিত করেন:

সালমান ফার্সী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَنْ تَوَضَّأَ فِيْ بَيْتِهِ فَأَحْسَنَ الْوُضُوْءَ ثُمَّ أَتَى الْـمَسْجِدَ فَهُوَ زَائِرُ اللهِ، وَحَقٌّ عَلَى الْـمَزُوْرِ أَنْ يُكْرِمَ الزَّائِرَ » .

“যে ব্যক্তি নিজ ঘরে ভালোভাবে অযু করে (জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে) মসজিদে আসে সে আল্লাহ তা‘আলার একান্ত সাক্ষাৎ পিয়াসি। আর যার সাক্ষাৎ কামনা করা হচ্ছে তার দায়িত্ব হবে তার একান্ত সাক্ষাৎ পিয়াসির সম্মান করা”। [ত্বাবারানী/কবীর, হাদীস নং ৬১৩৯, ৬১৪৫; ইবন আবী শাইবাহ, হাদীস নং ১৬৪৬৫।]

উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«الْـمَسَاجِدُ بُيُوتُ اللهِ فِي الأَرْضِ، وَحَقٌّ عَلَى الْمَزُورِ أَنْ يُكْرِمَ زَائِرَهُ» .

“মসজিদগুলো পৃথিবীতে আল্লাহর ঘর। আর যার সাক্ষাৎ কামনা করা হচ্ছে তার দায়িত্ব হবে তার একান্ত সাক্ষাৎ পিয়াসির সম্মান করা”। [ইবন আবী শাইবাহ, হাদীস নং ৩৫৭৫৮।]

১৩. জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে কেউ ভালোভাবে অযু করে মসজিদে গেলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে দেখে অত্যন্ত খুশি হোন যেমনিভাবে দীর্ঘ দিন অনুপস্থিত ব্যক্তিকে দেখে তার পরিবার খুশি হয়:

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«لاَ يَتَوَضَّأُ أَحَدُكُمْ فَيُحْسِنُ وُضُوْءَهُ وَيُسْبِغُهُ ثُمَّ يَأْتِيْ الـْمَسْجِدَ لاَ يُرِيْدُ إِلاَّ الصَّلاَةَ فِيْهِ إِلاَّ تَبَشْبَشَ اللهُ إِلَيْهِ كَمَا يَتَبَشْبَشُ أَهْلُ الْغَائِبِ بِطَلْعَتِهِ» .

“কেউ সুন্দরভাবে পরিপূর্ণ অযু করে জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে আসলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে দেখে অত্যন্ত খুশি হোন যেমনিভাবে দীর্ঘ দিন অনুপস্থিত ব্যক্তিকে দেখে তার পরিবার খুশি হয়”। [ইবন খুযাইমাহ, হাদীস নং ১৪৯১।]

১৪. জামা‘আতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে অন্ধকারে মসজিদের দিকে রওয়ানা করলে কিয়ামতের দিন প্রয়োজনের সময় পরিপূর্ণ আলোর সন্ধান মিলবে:

বুরাইদাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«بَشِّرْ الْـمَشَّائِينَ فِي الظُّلَمِ إِلَى الْـمَسَاجِدِ بِالنُّورِ التَّامِّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» .

অন্ধকারে মসজিদগামী ব্যক্তিদেরকে কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ আলোর সুসংবাদ দাও”।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন