HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
আমার দেখা বৃটেন
লেখকঃ ড. আব্দুল্লাহ খাতের রহ.
২
আমার দেখা বৃটেনঅভিজ্ঞতা মানুষের জ্ঞান ও জানার পরিধি সমৃদ্ধ করার অন্যতম উপকরণ। যদি তা সুস্থ বিবেক দ্বারা সঠিক মাপকাঠিতে পরখ ও যাচাই করা হয়, তবে তা থেকে নিশ্চত ফলাফল পাওয়া যাবেই। অভিজ্ঞতা একজন মানুষের অবস্থা ও সংবাদের উপর ভিত্তি করে সৃষ্টি হয় না, তার সংখ্যা যত বেশিই হোক না কেন। অভিজ্ঞতা সৃষ্টি হয় বারবার সংগঠিত ঘটনা ও অবস্থার প্রেক্ষিতে, যদিও মাঝে-সাজে তার বিপরীতও দেখা যায়। আর এ জন্যই কুরআন পূর্বের বিভিন্ন জাতি ও উম্মতের নানা উপাখ্যানের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তাদের অবস্থা, জীবনের মূলগতি ও পরিণতি সম্পর্কে চিন্তা-ফিকির করার আহব্বান জানিয়েছে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন :
فَكَأَيِّنْ مِنْ قَرْيَةٍ أَهْلَكْنَاهَا وَهِيَ ظَالِمَةٌ فَهِيَ خَاوِيَةٌ عَلَى عُرُوشِهَا وَبِئْرٍ مُعَطَّلَةٍ وَقَصْرٍ مَشِيدٍ ﴿45﴾ أَفَلَمْ يَسِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَتَكُونَ لَهُمْ قُلُوبٌ يَعْقِلُونَ بِهَا أَوْ آَذَانٌ يَسْمَعُونَ بِهَا فَإِنَّهَا لَا تَعْمَى الْأَبْصَارُ وَلَكِنْ تَعْمَى الْقُلُوبُ الَّتِي فِي الصُّدُورِ ﴿46﴾ ( سورة الحج : 45-46)
অতঃপর কত জনপদ আমি ধ্বংস করেছি যেগুলির বাসিন্দারা ছিল যালিম, তাই এইসব জনপদ তাদের ঘরের ছাদসহ ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছিল, কত কূপ পরিত্যক্ত হয়েছে এবং কত সুদৃঢ় প্রাসাদ ধ্বংস হয়েছে! তারা কি যমীনে ভ্রমণ করেনি, তাহলে তাদের হত এমন হৃদয় যা দ্বারা তারা উপলব্ধি করতে পারত এবং এমন কান যা দ্বারা তারা শুনতে পারত। বস্তুত চোখ তো অন্ধ হয় না, বরং অন্ধ হয় বক্ষস্থিত হৃদয়। (সূরা হজ : ৪৫-৪৬)
কোন জাতির নির্দিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার সময়, সে জাতির ইতিবাচক দিকগুলো ভুলে যাওয়া মোটেও উচিত নয়। তবে অভিজ্ঞতা ও উপদেশ গ্রহণের জন্য মাপকাঠি হিসেবে সে জাতির গুরুত্বপূর্ণ ও মানবিক জীবনের প্রধান প্রধান বিষয় নিয়ে চিন্তা-ফিকির করাই যথেষ্ট। যার সম্পর্ক রূহ ও তার উন্নতির সঙ্গে, বিবেক ও তার পরিপক্কতার সঙ্গে, মানবিক জীবনের সঙ্গে তা-ই ওতোপ্রোত জড়িত। আর যার সম্পর্ক প্রবৃত্তি ও পার্থিব স্বার্থের সঙ্গে তা মূলত জীবনের মূল স্রোতের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, বরং তার আনুষাঙ্গিক।
পাশ্চাত্য ও তাদের জীবন সংক্রান্ত আলোচনা খুব দীর্ঘ। যুগযুগ ধরে বিভিন্ন স্থানে তাদের সমাজে নানা বিশৃংখলা সৃষ্টি হতে চলেছে, তাদের সমাজই আজ মানসিক ইজ্জত ও সম্মানসহ বাঁচার অনুপযোগী হয়ে গেছে। আল্লাহর এ নিদর্শন বুঝার জন্য শুধু আকল ও বিবেক যথেষ্ট নয়।
আমরা খুব গভীরভাবে দেখছি যে, এসব অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হওয়া ও তা থেকে উপদেশ গ্রহণ করা এ উম্মতের পুনর্জাগরণ খুব জরুরি। এ উম্মত তার দীন পরিত্যাগ করে চলছে ও তা থেকে খুব দূরে অবস্থান করছে। তাই আমরা আজ পাশ্চাত্যের অবস্থা ও তাদের হালাতকে কুরআন-সুন্নাহ ও উত্তম যুগের সঙ্গে তুলনা করে দেখবো। তবে বর্তমান যুগের মুসলমানদের অবস্থার সঙ্গে তুলনা করে নয়, কারণ তারা ইসলামি আদর্শ থেকে বিচ্যুত। বরং পাশ্চাত্য সমাজের ন্যায় বর্তমান মুসলিম সমাজেও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া অসম্ভব কিছু নয়। যেহেতু তারা কথা-কাজ, সম্পর্ক স্থাপন ও বিচ্ছিন্ন করণ ইত্যাদিতে কুরআন-সুন্নার অনুসরণ পরিত্যাগ করে অহরহ পাশ্চাত্যেরই অনুসরণ করেছে।
তাই আমরা ড. আব্দুল্লাহ খাতের রহ. এ কিতাব উপস্থাপন করছি। এগুলো মূলত: তার দেখা বৃটেনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার সমৃদ্ধ বিক্ষিপ্ত প্রবন্ধ, যা তিনি আরবি একটি পত্রিকার উদ্দেশ্যে লিখেছেন। এ অভিজ্ঞতা তাদের সমাজের সার্বিক পরিস্থিতি ও বিস্তৃত চিত্রের নমুনা মাত্র। যাতে আমাদের সমাজে বিদ্যমান এক বিশেষ শ্রেনী, যারা পাশ্চাত্যের দ্বারা প্রভাবিত ও প্রতারিত, তারা পাশ্চাত্যের বিশৃংখলা, অপরাধ, মনুষত্বহীন ও বিস্বাদ জীবন দেখে ভাবে এবং আল্লাহর এ আয়াত নিয়ে চিন্তা করে :
وإن تتولوا يستبدل قوما غيركم ثم لايكونوا أمثالكم . ( سورة محمد : 38)
যদি তোমরা ফিরে যাও, আল্লাহ তোমাদের পরিবর্তে এমন এক জাতি নিয়ে আসবে, অতঃপর তারা তোমাদের ন্যায় হবে না। (মুহাম্মদ : ৩৮)
আল্লাহর কাছে দোয়া করছি, তিনি এর দ্বারা সবাইকে উপকৃত করুন, লেখককে এর সওয়াব দান করুন ও আমাদের নিয়তকে পরিশুদ্ধ করুন ও আমাদের বিরাট প্রতিদান প্রদান করুন।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য......
আমি লণ্ডনে প্রায় তিন বৎসর অতিবাহিত করেছি, সেখানে আমার পেশা ছিল মনোবিজ্ঞানের চিকিৎসা। লণ্ডনের ব্যাকহাম মসজিদে আমার কিছু ইসলামি প্রোগ্রাম ছিল। এ মসজিদে বিভিন্ন আরব রাষ্ট্রের উল্লেখ যোগ্য বহু যুবক জমায়েত হতো। আমি বৃটেনের রাজধানীতে কিছু জিনিস প্রত্যক্ষ করেছি, যা লিপিবদ্ধ করে জনগনের সামনে পেশ করা জরুরি মনে করছি। মানুষের বুঝা ও তাতে চিন্তা করার সুবিধার্থে ধাপে ধাপে কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করছি। আল্লাহ সহায়।
فَكَأَيِّنْ مِنْ قَرْيَةٍ أَهْلَكْنَاهَا وَهِيَ ظَالِمَةٌ فَهِيَ خَاوِيَةٌ عَلَى عُرُوشِهَا وَبِئْرٍ مُعَطَّلَةٍ وَقَصْرٍ مَشِيدٍ ﴿45﴾ أَفَلَمْ يَسِيرُوا فِي الْأَرْضِ فَتَكُونَ لَهُمْ قُلُوبٌ يَعْقِلُونَ بِهَا أَوْ آَذَانٌ يَسْمَعُونَ بِهَا فَإِنَّهَا لَا تَعْمَى الْأَبْصَارُ وَلَكِنْ تَعْمَى الْقُلُوبُ الَّتِي فِي الصُّدُورِ ﴿46﴾ ( سورة الحج : 45-46)
অতঃপর কত জনপদ আমি ধ্বংস করেছি যেগুলির বাসিন্দারা ছিল যালিম, তাই এইসব জনপদ তাদের ঘরের ছাদসহ ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছিল, কত কূপ পরিত্যক্ত হয়েছে এবং কত সুদৃঢ় প্রাসাদ ধ্বংস হয়েছে! তারা কি যমীনে ভ্রমণ করেনি, তাহলে তাদের হত এমন হৃদয় যা দ্বারা তারা উপলব্ধি করতে পারত এবং এমন কান যা দ্বারা তারা শুনতে পারত। বস্তুত চোখ তো অন্ধ হয় না, বরং অন্ধ হয় বক্ষস্থিত হৃদয়। (সূরা হজ : ৪৫-৪৬)
কোন জাতির নির্দিষ্ট কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার সময়, সে জাতির ইতিবাচক দিকগুলো ভুলে যাওয়া মোটেও উচিত নয়। তবে অভিজ্ঞতা ও উপদেশ গ্রহণের জন্য মাপকাঠি হিসেবে সে জাতির গুরুত্বপূর্ণ ও মানবিক জীবনের প্রধান প্রধান বিষয় নিয়ে চিন্তা-ফিকির করাই যথেষ্ট। যার সম্পর্ক রূহ ও তার উন্নতির সঙ্গে, বিবেক ও তার পরিপক্কতার সঙ্গে, মানবিক জীবনের সঙ্গে তা-ই ওতোপ্রোত জড়িত। আর যার সম্পর্ক প্রবৃত্তি ও পার্থিব স্বার্থের সঙ্গে তা মূলত জীবনের মূল স্রোতের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, বরং তার আনুষাঙ্গিক।
পাশ্চাত্য ও তাদের জীবন সংক্রান্ত আলোচনা খুব দীর্ঘ। যুগযুগ ধরে বিভিন্ন স্থানে তাদের সমাজে নানা বিশৃংখলা সৃষ্টি হতে চলেছে, তাদের সমাজই আজ মানসিক ইজ্জত ও সম্মানসহ বাঁচার অনুপযোগী হয়ে গেছে। আল্লাহর এ নিদর্শন বুঝার জন্য শুধু আকল ও বিবেক যথেষ্ট নয়।
আমরা খুব গভীরভাবে দেখছি যে, এসব অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হওয়া ও তা থেকে উপদেশ গ্রহণ করা এ উম্মতের পুনর্জাগরণ খুব জরুরি। এ উম্মত তার দীন পরিত্যাগ করে চলছে ও তা থেকে খুব দূরে অবস্থান করছে। তাই আমরা আজ পাশ্চাত্যের অবস্থা ও তাদের হালাতকে কুরআন-সুন্নাহ ও উত্তম যুগের সঙ্গে তুলনা করে দেখবো। তবে বর্তমান যুগের মুসলমানদের অবস্থার সঙ্গে তুলনা করে নয়, কারণ তারা ইসলামি আদর্শ থেকে বিচ্যুত। বরং পাশ্চাত্য সমাজের ন্যায় বর্তমান মুসলিম সমাজেও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া অসম্ভব কিছু নয়। যেহেতু তারা কথা-কাজ, সম্পর্ক স্থাপন ও বিচ্ছিন্ন করণ ইত্যাদিতে কুরআন-সুন্নার অনুসরণ পরিত্যাগ করে অহরহ পাশ্চাত্যেরই অনুসরণ করেছে।
তাই আমরা ড. আব্দুল্লাহ খাতের রহ. এ কিতাব উপস্থাপন করছি। এগুলো মূলত: তার দেখা বৃটেনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার সমৃদ্ধ বিক্ষিপ্ত প্রবন্ধ, যা তিনি আরবি একটি পত্রিকার উদ্দেশ্যে লিখেছেন। এ অভিজ্ঞতা তাদের সমাজের সার্বিক পরিস্থিতি ও বিস্তৃত চিত্রের নমুনা মাত্র। যাতে আমাদের সমাজে বিদ্যমান এক বিশেষ শ্রেনী, যারা পাশ্চাত্যের দ্বারা প্রভাবিত ও প্রতারিত, তারা পাশ্চাত্যের বিশৃংখলা, অপরাধ, মনুষত্বহীন ও বিস্বাদ জীবন দেখে ভাবে এবং আল্লাহর এ আয়াত নিয়ে চিন্তা করে :
وإن تتولوا يستبدل قوما غيركم ثم لايكونوا أمثالكم . ( سورة محمد : 38)
যদি তোমরা ফিরে যাও, আল্লাহ তোমাদের পরিবর্তে এমন এক জাতি নিয়ে আসবে, অতঃপর তারা তোমাদের ন্যায় হবে না। (মুহাম্মদ : ৩৮)
আল্লাহর কাছে দোয়া করছি, তিনি এর দ্বারা সবাইকে উপকৃত করুন, লেখককে এর সওয়াব দান করুন ও আমাদের নিয়তকে পরিশুদ্ধ করুন ও আমাদের বিরাট প্রতিদান প্রদান করুন।
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য......
আমি লণ্ডনে প্রায় তিন বৎসর অতিবাহিত করেছি, সেখানে আমার পেশা ছিল মনোবিজ্ঞানের চিকিৎসা। লণ্ডনের ব্যাকহাম মসজিদে আমার কিছু ইসলামি প্রোগ্রাম ছিল। এ মসজিদে বিভিন্ন আরব রাষ্ট্রের উল্লেখ যোগ্য বহু যুবক জমায়েত হতো। আমি বৃটেনের রাজধানীতে কিছু জিনিস প্রত্যক্ষ করেছি, যা লিপিবদ্ধ করে জনগনের সামনে পেশ করা জরুরি মনে করছি। মানুষের বুঝা ও তাতে চিন্তা করার সুবিধার্থে ধাপে ধাপে কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করছি। আল্লাহ সহায়।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন