HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
আমার দেখা বৃটেন
লেখকঃ ড. আব্দুল্লাহ খাতের রহ.
৩
ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির জনৈক স্কলারশিপশুরুতে আমি ইংরেজি ভাষা শিখতে অনেকটা বাধ্যই ছিলাম, যদিও আমি চিকিৎসা বিজ্ঞান ইংরেজি ভাষায় শিখেছি। কারণ, ইংরেজরা চায় সকলেই স্থানীয় ইংরেজদের মত ইংরেজি বলুক ও লেখুক। যেহেতু হাসপাতালে আমার ডিউটি ছিল সকালে, তাই প্রবন্ধ লেখার পদ্ধতি জানার জন্য একজন শিক্ষকের খুব প্রয়োজন অনুভব করছিলাম। তাদের ওখানের স্বাভাবিক নিয়ম হল, কেউ কোন কিছু করতে চাইলে, ব্যবসায়িক স্থান অথবা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে একটি বিজ্ঞাপন টাঙ্গিয়ে দেয়া। টিলিফোনের মাধ্যমে খুব দ্রুত এর উত্তর চলে আসে। আমার কাছে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির ইংরেজি সাহিত্যের সাবেক এক ছাত্র এসে উপস্থিত হল। পারস্পরিক আলোচনা অনুযায়ী সপ্তাহে দুদিন টিচিং দেয়ার সিদ্ধান্ত হল। আমার বাসায় তার পাঁচবার যাওয়া-আসার হওয়ার পর লজ্জাভরা কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করল : আমার বন্ধু-বান্ধবরা আমাকে জিজ্ঞাসা করে, তুমি পাঁচবার তোমার লোককে পড়াতে গেলে, অথচ সে তার স্ত্রীকে পরিচয়ের জন্য এখনো তোমার সামেন পেশ করেনি, এটা কেমন? তার এ প্রশ্নই আমাদের মাঝে শিক্ষা ছাড়া অন্য বিষয়ে প্রথম কোন আলোচনা। আমি শুরু থেকেই এ ধরণের প্রশ্নের আশায় ছিলাম। কারণ, আমি জানি ইংরেজরা দ্বিতীয় কোন বিষয়ে আগে বেড়ে কথা বলাকে পছন্দ করে না। তোমার উচিত, তারা নিজ থেকে কোন প্রশ্ন করলে, তখন এ সুযোগকে খুব কাজে লাগানো।
আমি তাকে যা বললাম, তার সংক্ষিপ্ত : আমাদের দীন আমাদেরকে নারীদের হিফাজত করা ও তাদের ঢেকে রাখার নির্দেশ দেয়। মাহরাম ব্যতীত অন্য কোন পুরুষের সঙ্গে তার সহবস্থান করা বা উঠাবসা করা বৈধ নয়। অতঃপর আমি তাকে বিবাহিত নারী-পুরুষের সহবস্থান ও উঠাবসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, সেখানে কি ৫% হলেও অবৈধ সম্পর্ক ও খিয়াতের সম্ভাবনা নেই? সে বলল, হ্যাঁ, বরং তার চেয়েও অনেক বেশী। আমি তাকে দ্বিতীয়বার জিজ্ঞাসা করলাম :
এ ধরণের অবৈধ সম্পর্ক কি বিশৃঃখলা ও সমাজে অনাচার সৃষ্টির মূল কারণ নয়? সে বলল : অবশ্যই।
অতঃপর আমি তাকে যা বললাম, তার সারাংশ : যেসব কারণে আমাদের দীন নারী-পুরুষের সহবস্থান নিষিদ্ধ করেছে, তার একটি কারণ এটা। দ্বিতীয়তো নারীরা আমাদের কাছে সম্মানের পাত্র। তাদের অনেক অধিকার আমাদের উপর রয়েছে। হোক না সে কন্যা, স্ত্রী বা মা। তার অভিভাবক তার ব্যয় বহন করবে এবং তার কল্যাণের জন্য কাজ করবে। আমাদের ধর্মমতে আমাদের পরিবারে মহব্বত, সহযোগীতা ও পরস্পরের মাঝে প্রতিনিধিত্ব রয়েছে, যা তোমাদের সমাজ কল্পনাও করতে পারে না। সে বলল : এটা খুব সুন্দর এবং যুক্তিসঙ্গত। আমি তার কথা সত্যতার আভাস লক্ষ্য করেছি।
আমি তাকে প্রশ্ন করলাম : তুমি ইসলাম সম্পর্কে কি জান?! সে আমাকে বলল : খোমেনী ও গাদ্দাফী!!
আমার ধারণা ছিল যে, সে ঠাট্টা করছে। কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারলাম, তার ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান এতোটুকুই। আমি আশ্চর্য হলাম, ক্যামব্রিজ ভার্সিটির একজন ছাত্র কুরআন নামে কোন গ্রন্থের কথা জানে না এবং মুহাম্মদ নামে কোন নবীর কথা জানে না। সে আমার সামনে ছোট্ট বাচ্চার মত কথা বলছিল। বরং আমাদের দেশের ছোট বাচ্চারাও তার চেয়ে বেশী জানে আল্লাহর দীন সম্পর্কে। আমি বললাম : তুমি ইসলাম সম্পর্কে কিছুই জান না, আমি জানি না তোমার এ অজ্ঞতার জন্য দায়ী কে? তোমাদের স্কুল, কলেজ ও ভার্সিটি, না তোমাদের সিলেবাস। না তুমি নিজেই নিজের জন্য এ মূর্খতা বেছে নিয়েছ? কিভাবে তোমাদের এমন একটি ধর্ম সম্পর্কে কিছুই জান না, বিভিন্ন দেশে যে ধর্মের অনুসারী প্রায় এক হাজার মিলিয়ন, দ্বিতীয়তো তোমাদের দেশের সঙ্গে ইসলামী রাষ্ট্রের তো ঐতিহাসিক সম্পর্কও রয়েছে? উক্ত শিক্ষক আমার ঘর ত্যাগ করার আগে আমি তাকে কিছু ইসলামী কিতাব দিলাম। পরে সে আমাকে টেলিফোন করে জানালো, আমি সবগুলো বই পড়েছি, অতিসত্বর ইসলাম সম্পর্কে অন্যান্য কিতাবও পড়ব।
সম্মানীত পাঠক বৃন্দ : আমি অনেক চেষ্টা করেছি, এ লোকের নিমিত্তে কিছু সময় বের করার জন্য। তবুও আমার কিছু করার ছিল না, কারণ আমি এমন একটি কাজে ব্যস্ত, যেখান থেকে সময় বের করা আমার জন্য প্রায় অসম্ভব ছিল। তবে ইসলামের দাওয়াতের ক্ষেত্রে আমার নিয়ম হল, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের আগে অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয় পেশ করা। কিন্তু এসব প্রোপাগাণ্ডাকারীরা কি তৃতীয় বিশ্বের পাশ্চাত্যের হাকিকত ও বাস্তবতা সম্পর্কে জানে?
যদি সে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির কোন ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার হত, তবে তার জন্য কোন কৈফিয়ত তলব করতে পারতাম। কিন্তু সে ইংরেজি ভাষার সাহিত্য নিয়ে স্কলারশিপ নিয়েছে, যেখানে ইসলাম সম্পর্কে কম হলেও পড়ানোর কথা।
যারা সাংস্কৃতি-সাহিত্য ও ইতিহাস বিষয়ে নিজ নিজ গবেষণায় পাশ্চাত্যের লেখকদের বেশী বেশী উদৃতি পেশ করেন, তাদের জানা উচিত যে, তারা ইসলাম সম্পর্কে কতটুকু জানে ও কি জানে? আল্লাহ যথার্থই বলেছেন : বস্তুত চক্ষুসমূহ অন্ধ হয় না বরং অন্ধ হয় বক্ষে বিদ্যমান অন্তরসমূহ।
আমি তাকে যা বললাম, তার সংক্ষিপ্ত : আমাদের দীন আমাদেরকে নারীদের হিফাজত করা ও তাদের ঢেকে রাখার নির্দেশ দেয়। মাহরাম ব্যতীত অন্য কোন পুরুষের সঙ্গে তার সহবস্থান করা বা উঠাবসা করা বৈধ নয়। অতঃপর আমি তাকে বিবাহিত নারী-পুরুষের সহবস্থান ও উঠাবসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, সেখানে কি ৫% হলেও অবৈধ সম্পর্ক ও খিয়াতের সম্ভাবনা নেই? সে বলল, হ্যাঁ, বরং তার চেয়েও অনেক বেশী। আমি তাকে দ্বিতীয়বার জিজ্ঞাসা করলাম :
এ ধরণের অবৈধ সম্পর্ক কি বিশৃঃখলা ও সমাজে অনাচার সৃষ্টির মূল কারণ নয়? সে বলল : অবশ্যই।
অতঃপর আমি তাকে যা বললাম, তার সারাংশ : যেসব কারণে আমাদের দীন নারী-পুরুষের সহবস্থান নিষিদ্ধ করেছে, তার একটি কারণ এটা। দ্বিতীয়তো নারীরা আমাদের কাছে সম্মানের পাত্র। তাদের অনেক অধিকার আমাদের উপর রয়েছে। হোক না সে কন্যা, স্ত্রী বা মা। তার অভিভাবক তার ব্যয় বহন করবে এবং তার কল্যাণের জন্য কাজ করবে। আমাদের ধর্মমতে আমাদের পরিবারে মহব্বত, সহযোগীতা ও পরস্পরের মাঝে প্রতিনিধিত্ব রয়েছে, যা তোমাদের সমাজ কল্পনাও করতে পারে না। সে বলল : এটা খুব সুন্দর এবং যুক্তিসঙ্গত। আমি তার কথা সত্যতার আভাস লক্ষ্য করেছি।
আমি তাকে প্রশ্ন করলাম : তুমি ইসলাম সম্পর্কে কি জান?! সে আমাকে বলল : খোমেনী ও গাদ্দাফী!!
আমার ধারণা ছিল যে, সে ঠাট্টা করছে। কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারলাম, তার ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান এতোটুকুই। আমি আশ্চর্য হলাম, ক্যামব্রিজ ভার্সিটির একজন ছাত্র কুরআন নামে কোন গ্রন্থের কথা জানে না এবং মুহাম্মদ নামে কোন নবীর কথা জানে না। সে আমার সামনে ছোট্ট বাচ্চার মত কথা বলছিল। বরং আমাদের দেশের ছোট বাচ্চারাও তার চেয়ে বেশী জানে আল্লাহর দীন সম্পর্কে। আমি বললাম : তুমি ইসলাম সম্পর্কে কিছুই জান না, আমি জানি না তোমার এ অজ্ঞতার জন্য দায়ী কে? তোমাদের স্কুল, কলেজ ও ভার্সিটি, না তোমাদের সিলেবাস। না তুমি নিজেই নিজের জন্য এ মূর্খতা বেছে নিয়েছ? কিভাবে তোমাদের এমন একটি ধর্ম সম্পর্কে কিছুই জান না, বিভিন্ন দেশে যে ধর্মের অনুসারী প্রায় এক হাজার মিলিয়ন, দ্বিতীয়তো তোমাদের দেশের সঙ্গে ইসলামী রাষ্ট্রের তো ঐতিহাসিক সম্পর্কও রয়েছে? উক্ত শিক্ষক আমার ঘর ত্যাগ করার আগে আমি তাকে কিছু ইসলামী কিতাব দিলাম। পরে সে আমাকে টেলিফোন করে জানালো, আমি সবগুলো বই পড়েছি, অতিসত্বর ইসলাম সম্পর্কে অন্যান্য কিতাবও পড়ব।
সম্মানীত পাঠক বৃন্দ : আমি অনেক চেষ্টা করেছি, এ লোকের নিমিত্তে কিছু সময় বের করার জন্য। তবুও আমার কিছু করার ছিল না, কারণ আমি এমন একটি কাজে ব্যস্ত, যেখান থেকে সময় বের করা আমার জন্য প্রায় অসম্ভব ছিল। তবে ইসলামের দাওয়াতের ক্ষেত্রে আমার নিয়ম হল, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের আগে অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয় পেশ করা। কিন্তু এসব প্রোপাগাণ্ডাকারীরা কি তৃতীয় বিশ্বের পাশ্চাত্যের হাকিকত ও বাস্তবতা সম্পর্কে জানে?
যদি সে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির কোন ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার হত, তবে তার জন্য কোন কৈফিয়ত তলব করতে পারতাম। কিন্তু সে ইংরেজি ভাষার সাহিত্য নিয়ে স্কলারশিপ নিয়েছে, যেখানে ইসলাম সম্পর্কে কম হলেও পড়ানোর কথা।
যারা সাংস্কৃতি-সাহিত্য ও ইতিহাস বিষয়ে নিজ নিজ গবেষণায় পাশ্চাত্যের লেখকদের বেশী বেশী উদৃতি পেশ করেন, তাদের জানা উচিত যে, তারা ইসলাম সম্পর্কে কতটুকু জানে ও কি জানে? আল্লাহ যথার্থই বলেছেন : বস্তুত চক্ষুসমূহ অন্ধ হয় না বরং অন্ধ হয় বক্ষে বিদ্যমান অন্তরসমূহ।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন