HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
আমার দেখা বৃটেন
লেখকঃ ড. আব্দুল্লাহ খাতের রহ.
৮
দ্বিতীয় ঘটনা :এ নারীরই অসুস্থতার ঘটনা। তার প্রাইভেট ডাক্তার হাসপাতালের মানসিক রোগের জরুরি বিভাগে তাকে ভর্তি করেছে, যেখানে আমি কর্মরত। এখানে আমি তার বিপরীত চরিত্রই দেখলাম, টেলিভিশনের পর্দায় বা আদলত চত্বরে সাধারণ মানুষ যা প্রত্যক্ষ করে থাকে।
আমি তাকে দেখলাম দুর্বল, ভেঙ্গে পড়া অসুস্থ এক নারী। তার অনুভূতি হচ্ছে এ দুনিয়ায় সে একাই বসবাস করে। তার কোন সন্তান, স্বামী, ভাই বা আত্মীয় স্বজন বলতে কেউ নেই।
তবে অন্যান্য নারীদের চোখে সে শক্তিশালী ও নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় অভিজ্ঞ একজন আইনজীবি। সে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে বা বাড়িতে বসে থাকলে বা বার্ধক্যে উপনীত হলে, তাকে দিয়ে তাদের কোন প্রয়োজন নেই। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করার পূর্বেই তার অসুস্থতার কারণ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তবুও আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, যেহেতু রোগীদের জিজ্ঞাসা করা ও তাদের কথার গুরুত্ব দেয়া জরুরি। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম : তোমার অসুস্থতা কি, তুমি কেমন অনুভব করছ ? সে বলল :
আমি জীবন সঙ্গী হিসেবে একজন পুরুষকে চাচ্ছি, কিন্তু সে না বলে দিয়েছে !! আমি আমার জীবন ও কর্মের ব্যাপারে ত্যাক্ত, বিরক্ত।
আমি তার অসুস্থতা খুব আমানতদারীর সঙ্গে বর্ণনা করছি। আমি আমার দায়িত্ব হিসেবে তার জরুরি চিকিৎসা প্রদান করলাম। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সে তার এ অসুস্থতা থেকে কখনো সুস্থ হবে না। কারণ, সে এমন কোন পুরুষ পাবেনা, যে তার বুদ্ধিমত্তা ও সখ্যতা দিয়ে তাকে ঢেকে নেবে ও তাকে বিয়ে করবে। আর ভাগ্যক্রমে কাউকে পেলেও প্রকৃতপক্ষে সে পুরুষ হবে না বরং পুরুষ আকৃতির অন্য কেউ হবে, যে তাকে না বলে উত্তর দেবে না। আর এ ধরণের পুরুষ তার সমস্যাও সমাধান করতে সক্ষম হবে না। দ্বিতীয়ত সে সুস্থ হলে এবং সে তার সাবেক কর্মে যোগ দিলে, পুনরায় তার এ রোগ দেখা দিবে। কারণ, এ ধরণের নারীরা সর্বদা প্রসিদ্ধি কামনা করে। তারা সব সময় মানুষের প্রশংসা কুড়াতে চায়, তাদের নিজের অবস্থা যাই হোক।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ! আল্লাহর সৃষ্ট প্রকৃত স্বভাব নারীরা ত্যাগ করলে, তাদের কি অবস্থা হয়, লক্ষ্য করুন। আল্লাহ তাআলা বলেন :
فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّينِ حَنِيفًا فِطْرَةَ اللَّهِ الَّتِي فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا لَا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ اللَّهِ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ ﴿30﴾ ( سورة الروم : 30)
অতএব তুমি একনিষ্ঠ হয়ে দীনের জন্য নিজকে প্রতিষ্ঠিত রাখ। আল্লাহর প্রকৃতি, যে প্রকৃতির উপর তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই। এটাই প্রতিষ্ঠিত দীন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না। (সূরা রূম : ৩০)
মূল সমস্যা হল : মানুষ এ নারীর পূর্ণ সুস্থতা ও প্রখর বাকশক্তি অবলোকন করেছে। সে যখন বিছানায় শুয়ে মানসিক রোগে বিষন্ন ছিল, তখন তাকে কেউ দেখেনি। মানুষের প্রশংসা, গুণকীর্তণ ও তাকে নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করা থেকেই তার এ রোগের জন্ম, এটাই তার কপালপুড়ো ও হতভাগা জীবনের আসল কারণ। এটা আমার চোখে দেখা ঘটনা। এ ধরণের ঘটনা অনেক। যারা আরো দেখতে চায়, তাদের উচিত পাশ্চাত্য সমাজে মানসিক রোগাক্রান্ত নারীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা। বরং আমাদের সমাজেও তার নমুনা বিদ্যমান।
নিশ্চয় সংসার ও বাড়িতে স্ত্রী ও তার সন্তানের জন্য পুরুষের অভিভাবকত্ব অত্যন্ত কল্যাণকর। এর থেকে পিছু হটা নারীর জন্য জাহান্নাম, যা বরদাস্ত করা তার শক্তি ও সামর্থ বর্হিভূত। নারী-পুরুষের সমান অধিকার একটা মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা, যা ইয়াহুদ, ক্রুসেট ও সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী নাস্তিকদের উদ্ভাবন। সকল ধরণের পরিসংখ্যান ও জরিপ, তাদের এ পরিকল্পনা মিথ্যা প্রমাণিত করেছে। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে :
অতএব যারা তার নির্দেশের বিরুদ্ধাচারণ করে তারা যেন তাদের ওপর বিপর্যয় নেমে আসা অথবা যন্ত্রণাদায়ক আযাব পৌঁছার ভয় করে। (ফোরকান : ৬৩)
সমাপ্ত
আমি তাকে দেখলাম দুর্বল, ভেঙ্গে পড়া অসুস্থ এক নারী। তার অনুভূতি হচ্ছে এ দুনিয়ায় সে একাই বসবাস করে। তার কোন সন্তান, স্বামী, ভাই বা আত্মীয় স্বজন বলতে কেউ নেই।
তবে অন্যান্য নারীদের চোখে সে শক্তিশালী ও নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় অভিজ্ঞ একজন আইনজীবি। সে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে বা বাড়িতে বসে থাকলে বা বার্ধক্যে উপনীত হলে, তাকে দিয়ে তাদের কোন প্রয়োজন নেই। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করার পূর্বেই তার অসুস্থতার কারণ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তবুও আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, যেহেতু রোগীদের জিজ্ঞাসা করা ও তাদের কথার গুরুত্ব দেয়া জরুরি। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম : তোমার অসুস্থতা কি, তুমি কেমন অনুভব করছ ? সে বলল :
আমি জীবন সঙ্গী হিসেবে একজন পুরুষকে চাচ্ছি, কিন্তু সে না বলে দিয়েছে !! আমি আমার জীবন ও কর্মের ব্যাপারে ত্যাক্ত, বিরক্ত।
আমি তার অসুস্থতা খুব আমানতদারীর সঙ্গে বর্ণনা করছি। আমি আমার দায়িত্ব হিসেবে তার জরুরি চিকিৎসা প্রদান করলাম। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সে তার এ অসুস্থতা থেকে কখনো সুস্থ হবে না। কারণ, সে এমন কোন পুরুষ পাবেনা, যে তার বুদ্ধিমত্তা ও সখ্যতা দিয়ে তাকে ঢেকে নেবে ও তাকে বিয়ে করবে। আর ভাগ্যক্রমে কাউকে পেলেও প্রকৃতপক্ষে সে পুরুষ হবে না বরং পুরুষ আকৃতির অন্য কেউ হবে, যে তাকে না বলে উত্তর দেবে না। আর এ ধরণের পুরুষ তার সমস্যাও সমাধান করতে সক্ষম হবে না। দ্বিতীয়ত সে সুস্থ হলে এবং সে তার সাবেক কর্মে যোগ দিলে, পুনরায় তার এ রোগ দেখা দিবে। কারণ, এ ধরণের নারীরা সর্বদা প্রসিদ্ধি কামনা করে। তারা সব সময় মানুষের প্রশংসা কুড়াতে চায়, তাদের নিজের অবস্থা যাই হোক।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ! আল্লাহর সৃষ্ট প্রকৃত স্বভাব নারীরা ত্যাগ করলে, তাদের কি অবস্থা হয়, লক্ষ্য করুন। আল্লাহ তাআলা বলেন :
فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّينِ حَنِيفًا فِطْرَةَ اللَّهِ الَّتِي فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا لَا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ اللَّهِ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ ﴿30﴾ ( سورة الروم : 30)
অতএব তুমি একনিষ্ঠ হয়ে দীনের জন্য নিজকে প্রতিষ্ঠিত রাখ। আল্লাহর প্রকৃতি, যে প্রকৃতির উপর তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই। এটাই প্রতিষ্ঠিত দীন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না। (সূরা রূম : ৩০)
মূল সমস্যা হল : মানুষ এ নারীর পূর্ণ সুস্থতা ও প্রখর বাকশক্তি অবলোকন করেছে। সে যখন বিছানায় শুয়ে মানসিক রোগে বিষন্ন ছিল, তখন তাকে কেউ দেখেনি। মানুষের প্রশংসা, গুণকীর্তণ ও তাকে নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করা থেকেই তার এ রোগের জন্ম, এটাই তার কপালপুড়ো ও হতভাগা জীবনের আসল কারণ। এটা আমার চোখে দেখা ঘটনা। এ ধরণের ঘটনা অনেক। যারা আরো দেখতে চায়, তাদের উচিত পাশ্চাত্য সমাজে মানসিক রোগাক্রান্ত নারীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা। বরং আমাদের সমাজেও তার নমুনা বিদ্যমান।
নিশ্চয় সংসার ও বাড়িতে স্ত্রী ও তার সন্তানের জন্য পুরুষের অভিভাবকত্ব অত্যন্ত কল্যাণকর। এর থেকে পিছু হটা নারীর জন্য জাহান্নাম, যা বরদাস্ত করা তার শক্তি ও সামর্থ বর্হিভূত। নারী-পুরুষের সমান অধিকার একটা মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা, যা ইয়াহুদ, ক্রুসেট ও সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী নাস্তিকদের উদ্ভাবন। সকল ধরণের পরিসংখ্যান ও জরিপ, তাদের এ পরিকল্পনা মিথ্যা প্রমাণিত করেছে। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে :
অতএব যারা তার নির্দেশের বিরুদ্ধাচারণ করে তারা যেন তাদের ওপর বিপর্যয় নেমে আসা অথবা যন্ত্রণাদায়ক আযাব পৌঁছার ভয় করে। (ফোরকান : ৬৩)
সমাপ্ত
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন