HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

দুর্নীতি রোধে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা ইসলামী দৃষ্টিকোণ

লেখকঃ ড. মো. আকতার হোসেন

কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ পদ্ধতি
মহান আল্লাহ কুরআন মাজীদে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে তিনটি দিক বিবেচনার কথা বলেছেন। বিষয় তিনটি হলো, সততা ও বিশ্বস্ততা, দৈহিক শক্তি এবং জ্ঞান ও স্মৃতিশক্তি। আমরা জানি মাদইয়ানের সে মহান ব্যক্তি যখন মূসা আলাইহিস সালামকে কর্মচারী নিয়োগ করেছিলেন সে ঘটনা প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ إِنَّ خَيۡرَ مَنِ ٱسۡتَ‍ٔۡجَرۡتَ ٱلۡقَوِيُّ ٱلۡأَمِينُ ﴾ [ القصص : ٢٦ ]

“তোমার কর্মে নিয়োগের জন্য শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিই উত্তম।” [সূরা আল-কাসাস, আয়াত: ২৬]

আমরা এই আয়াতে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের জন্য দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পেলাম-দৈহিক শক্তি ও বিশ্বস্ততা। যে কোনো কর্ম সম্পাদন করার ক্ষেত্রে দৈহিক শক্তির বিকল্প নেই। দুর্বল ও ক্ষীণ ব্যক্তির পক্ষে কোনো কর্ম সম্পাদন সম্ভবপর নয়। অপরদিকে কর্মকর্তা সৎ ও বিশ্বস্ত হলে দায়িত্ব পালনে তৎপর হবে; যত্ন সহকারে কর্ম সম্পাদন করবে এবং সকল ক্ষেত্রে সততার স্বাক্ষর রাখবে। আল-কুরআনের অপর একটি আয়াতে জ্ঞান ও স্মৃতি শক্তির বিষয়টি বলা হয়েছে:

﴿قَالَ ٱجۡعَلۡنِي عَلَىٰ خَزَآئِنِ ٱلۡأَرۡضِۖ إِنِّي حَفِيظٌ عَلِيمٞ ٥٥﴾ [ يوسف : ٥٥ ]

“ইউসুফ বললেন, আপনি আমাকে দেশের ধন সম্পদের ওপর কর্তৃত্ব প্রদান করুন, আমি বিশ্বস্ত রক্ষক এবং সুবিজ্ঞ।” [সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৫৫]

জ্ঞানই শক্তি, এই জ্ঞান বা প্রজ্ঞাই মানুষের সঠিক পথের সন্ধান দেয়। দৈহিক শক্তি ও সততার সাথে জ্ঞানের সমন্বয় ঘটাতে হবে। যে কোনো কর্ম সম্পাদনের জন্য বাস্তব জ্ঞানের আবশ্যকতা অপরিহার্য। যেমন, আমরা দেখতে পাই বনী ইসরাঈলের লোকেরা তাদের নবীর কাছে তাদের জাতির জন্য একজন শাসক নিয়োগের আবেদন করলে আল্লাহ তা‘আলা নবীর মাধ্যমে তালুতের নাম ঘোষণা করেন। তখন তারা আপত্তি জানায় যে, তালুত গরীব ও সহায় সম্বলহীন, সে শাসক হওয়ার যোগ্য নয়। এর প্রতিউত্তরে আল্লাহ বলেন,

﴿قَالَ إِنَّ ٱللَّهَ ٱصۡطَفَىٰهُ عَلَيۡكُمۡ وَزَادَهُۥ بَسۡطَةٗ فِي ٱلۡعِلۡمِ وَٱلۡجِسۡمِۖ﴾ [ البقرة : ٢٤٧ ]

“আল্লাহই তাকে তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তিনি তাকে জ্ঞানে ও দৈনিক শক্তিতে সমৃদ্ধ করেছেন।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৪৭]

আমাদের দেশে নিয়োগের ক্ষেত্রে যে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয় এটা মূলতঃ তার জ্ঞান বা শিক্ষার যোগ্যতাকে পরীক্ষা করা হয়। সে উক্ত পদের যোগ্য কিনা যাচাই-বাছাই করা হয়। দরখাস্ত করার পূর্বে চারিত্রিক সনদপত্র চাওয়া হয় তার সততা ও বিশ্বস্ততার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য। এপর বিসিএস বা সরকারী নিয়োগে মেডিকেল চেকআপ করা হয় তার স্বাস্থ্য বা শক্তি-সামর্থ পরীক্ষা করা জন্য। এগুলো সবই ইসলামসম্মত। উপরের আলোচনা থেকে আমাদের কাছে এগুলো সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রে সরকারী নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাপের কারণে দলীয় অযোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দান করা হয়। আবার উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী বাদ দিয়ে অযোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেওয়া হয়। ইসলাম এর বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ার বাণী উচ্চারণ করেছে। বিশ্ব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সরকারী কর্মে যোগ্য ব্যক্তির নিয়োগ দানের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন যে, অযোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দিলে বিপর্যয় ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। দেশের উন্নতি ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে এবং দুর্নীতির প্রসার ঘটবে। যেমন, হাদীসে এসেছে:

«إِذَا وُسِّدَ الأَمْرُ إِلَى غَيْرِ أَهْلِهِ فَانْتَظِرِ السَّاعَةَ»

“যখন অযোগ্য ব্যক্তির ওপর কাজের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে তখন তুমি মহাপ্রলয়ের অপেক্ষা কর।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৯।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন