HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
মানব সম্পদ উন্নয়নে ইসলাম
লেখকঃ ড. হুসাইন আহমাদ
২
মানব সম্পদ উন্নয়নে ইসলামআল্লাহ তা‘আলা মানুষকে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সুন্দরতম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন এবং নবী ও রাসূল পাঠিয়ে কোরআন শিক্ষা দিয়ে আল্লাহর জমিনে তাঁর প্রতিনীতিত্বের দায়িত্ব অর্পন করেছেন। তাই সংগত কারণেই মানুষ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ হওয়া বাঞ্চনীয়। যাঁরা তাঁদের বিবেক বুদ্ধি ও আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিজেকে ও এ পৃথিবীকে সুন্দর ও কল্যানে পরিপূর্ণ করবে। কিন্তু এ মানবগোষ্ঠী নিজেদের কর্মদোষে এ পৃথিবীকে কুলষিত করেছে ও নিজেই পৃথিবীর সমস্যা ও বোঝা হয়ে গিয়েছে। পাশবিক স্বভাবে অভ্যস্থ হীনতাগ্রস্থদের হীনতমে নেমে গিয়েছে। আল্লাহ বলেন: ﴿ثُمَّ رَدَدۡنَٰهُ أَسۡفَلَ سَٰفِلِينَ ٥﴾ ‘‘অতপর আমি তাদেরকে হীনতাগ্রস্থদের হীনতমে পরিণত করি’’।
এটা বললে অতোক্তি হবে না যে, বর্তমানে মানুষ হিংস্র প্রাণী অপেক্ষা একশ্রেণীর মানুষকে অধিক ভয় পায়। এরা সম্পদ‘ত নয়ই; বরং সমাজের সমস্যার মুল কারণ। আর এক শ্রেণীর অধিকার বঞ্চিত মানুষ তাদের ভুল সীদ্ধান্তের কারনে অজ্ঞ বেকার পুঙ্গ হয়ে সমাজে সমস্যা বনে গিয়েছে। অধিকার বঞ্চিতদের অধিকার পুনঃ প্রতিষ্ঠা করে, বেকারকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে সম্পদে পরিণত করা যায়। তাছাড়া নৈতিকতা বর্জিত পাশবিক স্বভাবের মানুষকে নৈতিক আদর্শিক শিক্ষা প্রদান, শাসন ও ধর্মীয় অনুশাসন পালনে অভ্যস্থ করে সম্পদে পরিণত করা সম্ভব। আর তখনই মানব সম্পদ উন্নয়ন হয়েছে বলা যাবে। এ প্রবন্ধে মানব সম্পদ উন্নয়নের এ প্রক্রিয়াই পর্যালোচনা করা হয়েছে। এর দ্বারা মানুষের আর্থ সামাজিক ও নৈতিক ক্ষেত্রে সামান্যতম উন্নয়ন সাধন হলে আমার শ্রম স্বার্থক হবে।]
আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সুন্দরতম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿لَقَدۡ خَلَقۡنَا ٱلۡإِنسَٰنَ فِيٓ أَحۡسَنِ تَقۡوِيمٖ ٤﴾ [ التين :4]
‘‘আমি তো সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতম গঠনে’’। [আল্ কুরআনঃ সুরা তীন ৯৫: ৪] অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে দৈহিক ও মানসিক দিক দিয়ে সৌন্দর্যতা দান করেছেন। আর এ মানব জাতিকে অন্ধকার হতে আলোর পথে দিক নির্দেশনা দিয়ে সম্পদে পরিণত করার জন্য যুগে যুগে নবী ও রাসুল প্রেরিত হয়েছে। এরশাদ হয়েছে
﴿ وَلِكُلِّ قَوۡمٍ هَادٍ﴾ [ الرعد : 7 ]
‘‘এবং প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য আছে পথ প্রদর্শক’’। [আল্ কুরআনঃ রাদ ১৩: ৭] যারা মানবতার মুক্তি ও উন্নয়নের জন্য আমৃত্যু চেষ্টা ও সাধনা অব্যাহত রেখেছিলেন।
মানব সম্পদ এ দুটি শব্দের মধ্যে মানব বলতে মানুষ জাতি তথা আদম ও মাতা হাওয়া (আঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা যে জাতি সৃষ্টি করেছেন তাকে বুঝানো হয়েছে। আর সম্পদ বলতে যে সব দ্রব্য সামগ্রীর উপযোগ আছে যোগান সীমাবদ্ধ এবং বিক্রয় যোগ্য সে সব দ্রব্য সামগ্রীকে অর্থনীতিতে সম্পদ বলে। [মোঃ মাসুম আলী ও মোঃ নূরুল আলমঃ মাধ্যমিক অর্থনীতি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্ত্তক বোর্ড ঢাকা, খৃ. ২০০১ পৃ. ২৮।]
যে সমস্ত দ্রব্যের আর্থিক মূল্য আছে অর্থশাস্ত্রে উহা তাকে সম্পদ বলে। এ সম্পদের চারটি বৈশিষ্ঠ রয়েছে। ১. উপযোগ ২. অপ্রাচুর্যতা ৩. হস্তান্তর যোগ্যতা ৪. বাহ্যিকতা। [আনিসুর রহমানঃ আধুনিক অর্থশাস্ত্র, পুথিঘর লিঃ ফরাশগঞ্জ ঢাকা একাদশ সংস্করণ, খৃ. ১৯৯৮ পৃ. ৩৪।]
অর্থনীতিতে দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনে ব্যবহার ও প্রাপ্তি যোগ্য উৎপাদনকে সম্পদ বলে। অন্যভাবে বলা চলে উপকরণ হিসেবে ব্যবহার যোগ্য সেবার পরিমানই সম্পদ। বৈশিষ্ঠের প্রেক্ষিতে সম্পদের সংজ্ঞা বিবেচনা করা যায়, যে সব বস্ত্ত ও অবস্ত্তগত দ্রব্যের উপযোগ আছে কিন্তু যোগান সীমাবদ্ধ এবং হস্তান্তর যোগ্যতা আছে তাকে সম্পদ বলা যায়। [মনতোষ চক্রবর্ত্তীঃ ব্যষ্টিক অর্থনীতি ৪র্থ সংস্করণ খৃ. ২০০০ পৃ. ২৫।]
উন্নয়ন বলতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, নৈতিক ও আর্দশিক উন্নয়ন বুঝানো হয়েছে।
আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেছেন। যেমন এরশাদ হচ্ছে-
﴿وَلَقَدۡ كَرَّمۡنَا بَنِيٓ ءَادَمَ وَحَمَلۡنَٰهُمۡ فِي ٱلۡبَرِّ وَٱلۡبَحۡرِ وَرَزَقۡنَٰهُم مِّنَ ٱلطَّيِّب وَفَضَّلۡنَٰهُمۡ عَلَىٰ كَثِيرٖ مِّمَّنۡ خَلَقۡنَا تَفۡضِيلٗا ٧٠﴾ [ الإسراء : 70 ]
আমি তো আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি স্থলে ও সমুদ্রে তাদের চলাচলের বাহন দিয়েছি তাদেরকে উত্তম রিয্ক দান করেছি এবং আমি যাদেরকে সৃষ্টি করেছি তাদের অনেকের উপর তাঁদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। [আল্ কুরআনঃ সুরা বনী ইসরাঈল ১৭:৭০]
কিন্তু এ মানব জাতি নিজেদের কর্মদোষে সৃষ্টির নিন্মতম স্তরে পৌছে গিয়েছে যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “অতঃপর আমি তাদেরকে হীনতাগ্রস্তদের হীনতমে পরিনত করি” [আল্ কুরআনঃ সুরা তীন ৯৫: ৫।] আর মানুষ যখন নিম্ল স্তরে নেমে যায়। সমাজে তাদের উপযোগিতাও থাকে না বরং সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ তখন অনাকাংখিত ও বোঝা হয়ে দাড়ায় এ শ্রেনীর মানুষকে সম্পদে পরিনত করণার্থে নিম্নরুপ পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।
মানুষ যাতে সম্পদে পরিনত হতে পারে তার জন্য প্রথমত তার মৌলিক প্রয়োজন পুরনের নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে। মানুষের মৌলিক পাঁচটি প্রয়োজন হচেছ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা। [আব্দুল খালেকঃ ইসলামী অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য দ্বিতীয় সংস্করণ খৃ. ১৯৭৭ পৃ. ৩।] এ ক্ষেত্রে সম্পদের সুষম বন্টন, পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা পরিবর্তন করে যাকাত ভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা বাঞ্চনীয়। কেননা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থায় ধনী আরো সম্পদশালী আর গরীব ক্রমাম্বয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে পক্ষান্তরে যাকাত তথা ইসলামী অর্থব্যবস্থা ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে।
তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জনগনের জীবন যাত্রার মানউন্নয়নের সুচক নয়, বা তার পর্যাপ্ত প্রতি ফলনও নয়। দেশের জনসংখ্যার বৃহত অংশকে উন্নয়ন প্রক্রিয়ার থেকে দুরে, দরিদ্র, বেকারত্ব, নিরক্ষরতা, অপুষ্টি ও স্বাস্থ্যহীন পরিবেশে জীবন যাপন করে, দেশের নারী সমাজ বেকার ও শিক্ষিত যুবকেরা অর্থনৈতিক অনগ্রসর। এ অবস্থায় বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ব্যাতীত টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। অপর পক্ষে অদক্ষ পুষ্টিহীন জনশক্তি উন্নয়ন প্রক্রিয়া ব্যহত করে। [মোঃ শামসুল কবীর খানঃ বাংলাদেশের অর্থনীতি, প্রকাশনা শাখা, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জুরী কমিশন, আগাঁরগাও, ঢাকা, ১২০৭ ২য় সংস্করণ খৃ. ২০০০ পৃ. ৭৫।] সুতারং দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য জনসংখ্যাকে দক্ষ জনশক্তি তথা মানব সম্পদে পরিনত করার লক্ষে নিম্নোক্ত খাতসমূহের দুর্বলতা দ্রুততার সাথে কেটে উঠা আবশ্যক। এখাতগুলো হচেছ শিক্ষা ব্যবস্থা, পরিবার কল্যাণ, নারী ও শিশু, যুব উন্নয়ন, সমাজ কল্যাণ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কল্যান।
এ দুর্বলতা থেকে নিস্কৃতির জন্য সরকার ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করেছে যেমন প্রাথমিক শিক্ষা সার্বজনীন, বাধ্যতামুলক ও অবৈতনিক করা হয়েছে। তাছাড়া শিক্ষার বিনিময় খাদ্য কর্মসুচীর আওতায় চাল ও গম প্রদান, এইচ, এস, সি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক ও উপবৃত্তি প্রদান করছে, এবং ২০১০ সালের মধ্যে নিরক্ষর মুক্ত করার লক্ষ্যে প্রতিটি গ্রামে একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যানের জন্য স্বাস্থসেবা বৃদ্ধি করেছে।
এটা বললে অতোক্তি হবে না যে, বর্তমানে মানুষ হিংস্র প্রাণী অপেক্ষা একশ্রেণীর মানুষকে অধিক ভয় পায়। এরা সম্পদ‘ত নয়ই; বরং সমাজের সমস্যার মুল কারণ। আর এক শ্রেণীর অধিকার বঞ্চিত মানুষ তাদের ভুল সীদ্ধান্তের কারনে অজ্ঞ বেকার পুঙ্গ হয়ে সমাজে সমস্যা বনে গিয়েছে। অধিকার বঞ্চিতদের অধিকার পুনঃ প্রতিষ্ঠা করে, বেকারকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে সম্পদে পরিণত করা যায়। তাছাড়া নৈতিকতা বর্জিত পাশবিক স্বভাবের মানুষকে নৈতিক আদর্শিক শিক্ষা প্রদান, শাসন ও ধর্মীয় অনুশাসন পালনে অভ্যস্থ করে সম্পদে পরিণত করা সম্ভব। আর তখনই মানব সম্পদ উন্নয়ন হয়েছে বলা যাবে। এ প্রবন্ধে মানব সম্পদ উন্নয়নের এ প্রক্রিয়াই পর্যালোচনা করা হয়েছে। এর দ্বারা মানুষের আর্থ সামাজিক ও নৈতিক ক্ষেত্রে সামান্যতম উন্নয়ন সাধন হলে আমার শ্রম স্বার্থক হবে।]
আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সুন্দরতম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿لَقَدۡ خَلَقۡنَا ٱلۡإِنسَٰنَ فِيٓ أَحۡسَنِ تَقۡوِيمٖ ٤﴾ [ التين :4]
‘‘আমি তো সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতম গঠনে’’। [আল্ কুরআনঃ সুরা তীন ৯৫: ৪] অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে দৈহিক ও মানসিক দিক দিয়ে সৌন্দর্যতা দান করেছেন। আর এ মানব জাতিকে অন্ধকার হতে আলোর পথে দিক নির্দেশনা দিয়ে সম্পদে পরিণত করার জন্য যুগে যুগে নবী ও রাসুল প্রেরিত হয়েছে। এরশাদ হয়েছে
﴿ وَلِكُلِّ قَوۡمٍ هَادٍ﴾ [ الرعد : 7 ]
‘‘এবং প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য আছে পথ প্রদর্শক’’। [আল্ কুরআনঃ রাদ ১৩: ৭] যারা মানবতার মুক্তি ও উন্নয়নের জন্য আমৃত্যু চেষ্টা ও সাধনা অব্যাহত রেখেছিলেন।
মানব সম্পদ এ দুটি শব্দের মধ্যে মানব বলতে মানুষ জাতি তথা আদম ও মাতা হাওয়া (আঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা যে জাতি সৃষ্টি করেছেন তাকে বুঝানো হয়েছে। আর সম্পদ বলতে যে সব দ্রব্য সামগ্রীর উপযোগ আছে যোগান সীমাবদ্ধ এবং বিক্রয় যোগ্য সে সব দ্রব্য সামগ্রীকে অর্থনীতিতে সম্পদ বলে। [মোঃ মাসুম আলী ও মোঃ নূরুল আলমঃ মাধ্যমিক অর্থনীতি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্ত্তক বোর্ড ঢাকা, খৃ. ২০০১ পৃ. ২৮।]
যে সমস্ত দ্রব্যের আর্থিক মূল্য আছে অর্থশাস্ত্রে উহা তাকে সম্পদ বলে। এ সম্পদের চারটি বৈশিষ্ঠ রয়েছে। ১. উপযোগ ২. অপ্রাচুর্যতা ৩. হস্তান্তর যোগ্যতা ৪. বাহ্যিকতা। [আনিসুর রহমানঃ আধুনিক অর্থশাস্ত্র, পুথিঘর লিঃ ফরাশগঞ্জ ঢাকা একাদশ সংস্করণ, খৃ. ১৯৯৮ পৃ. ৩৪।]
অর্থনীতিতে দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনে ব্যবহার ও প্রাপ্তি যোগ্য উৎপাদনকে সম্পদ বলে। অন্যভাবে বলা চলে উপকরণ হিসেবে ব্যবহার যোগ্য সেবার পরিমানই সম্পদ। বৈশিষ্ঠের প্রেক্ষিতে সম্পদের সংজ্ঞা বিবেচনা করা যায়, যে সব বস্ত্ত ও অবস্ত্তগত দ্রব্যের উপযোগ আছে কিন্তু যোগান সীমাবদ্ধ এবং হস্তান্তর যোগ্যতা আছে তাকে সম্পদ বলা যায়। [মনতোষ চক্রবর্ত্তীঃ ব্যষ্টিক অর্থনীতি ৪র্থ সংস্করণ খৃ. ২০০০ পৃ. ২৫।]
উন্নয়ন বলতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, নৈতিক ও আর্দশিক উন্নয়ন বুঝানো হয়েছে।
আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করে শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করেছেন। যেমন এরশাদ হচ্ছে-
﴿وَلَقَدۡ كَرَّمۡنَا بَنِيٓ ءَادَمَ وَحَمَلۡنَٰهُمۡ فِي ٱلۡبَرِّ وَٱلۡبَحۡرِ وَرَزَقۡنَٰهُم مِّنَ ٱلطَّيِّب وَفَضَّلۡنَٰهُمۡ عَلَىٰ كَثِيرٖ مِّمَّنۡ خَلَقۡنَا تَفۡضِيلٗا ٧٠﴾ [ الإسراء : 70 ]
আমি তো আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি স্থলে ও সমুদ্রে তাদের চলাচলের বাহন দিয়েছি তাদেরকে উত্তম রিয্ক দান করেছি এবং আমি যাদেরকে সৃষ্টি করেছি তাদের অনেকের উপর তাঁদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। [আল্ কুরআনঃ সুরা বনী ইসরাঈল ১৭:৭০]
কিন্তু এ মানব জাতি নিজেদের কর্মদোষে সৃষ্টির নিন্মতম স্তরে পৌছে গিয়েছে যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “অতঃপর আমি তাদেরকে হীনতাগ্রস্তদের হীনতমে পরিনত করি” [আল্ কুরআনঃ সুরা তীন ৯৫: ৫।] আর মানুষ যখন নিম্ল স্তরে নেমে যায়। সমাজে তাদের উপযোগিতাও থাকে না বরং সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষ তখন অনাকাংখিত ও বোঝা হয়ে দাড়ায় এ শ্রেনীর মানুষকে সম্পদে পরিনত করণার্থে নিম্নরুপ পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।
মানুষ যাতে সম্পদে পরিনত হতে পারে তার জন্য প্রথমত তার মৌলিক প্রয়োজন পুরনের নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে। মানুষের মৌলিক পাঁচটি প্রয়োজন হচেছ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা। [আব্দুল খালেকঃ ইসলামী অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য দ্বিতীয় সংস্করণ খৃ. ১৯৭৭ পৃ. ৩।] এ ক্ষেত্রে সম্পদের সুষম বন্টন, পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা পরিবর্তন করে যাকাত ভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা বাঞ্চনীয়। কেননা পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থায় ধনী আরো সম্পদশালী আর গরীব ক্রমাম্বয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে পক্ষান্তরে যাকাত তথা ইসলামী অর্থব্যবস্থা ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে।
তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জনগনের জীবন যাত্রার মানউন্নয়নের সুচক নয়, বা তার পর্যাপ্ত প্রতি ফলনও নয়। দেশের জনসংখ্যার বৃহত অংশকে উন্নয়ন প্রক্রিয়ার থেকে দুরে, দরিদ্র, বেকারত্ব, নিরক্ষরতা, অপুষ্টি ও স্বাস্থ্যহীন পরিবেশে জীবন যাপন করে, দেশের নারী সমাজ বেকার ও শিক্ষিত যুবকেরা অর্থনৈতিক অনগ্রসর। এ অবস্থায় বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ব্যাতীত টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। অপর পক্ষে অদক্ষ পুষ্টিহীন জনশক্তি উন্নয়ন প্রক্রিয়া ব্যহত করে। [মোঃ শামসুল কবীর খানঃ বাংলাদেশের অর্থনীতি, প্রকাশনা শাখা, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জুরী কমিশন, আগাঁরগাও, ঢাকা, ১২০৭ ২য় সংস্করণ খৃ. ২০০০ পৃ. ৭৫।] সুতারং দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য জনসংখ্যাকে দক্ষ জনশক্তি তথা মানব সম্পদে পরিনত করার লক্ষে নিম্নোক্ত খাতসমূহের দুর্বলতা দ্রুততার সাথে কেটে উঠা আবশ্যক। এখাতগুলো হচেছ শিক্ষা ব্যবস্থা, পরিবার কল্যাণ, নারী ও শিশু, যুব উন্নয়ন, সমাজ কল্যাণ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কল্যান।
এ দুর্বলতা থেকে নিস্কৃতির জন্য সরকার ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করেছে যেমন প্রাথমিক শিক্ষা সার্বজনীন, বাধ্যতামুলক ও অবৈতনিক করা হয়েছে। তাছাড়া শিক্ষার বিনিময় খাদ্য কর্মসুচীর আওতায় চাল ও গম প্রদান, এইচ, এস, সি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক ও উপবৃত্তি প্রদান করছে, এবং ২০১০ সালের মধ্যে নিরক্ষর মুক্ত করার লক্ষ্যে প্রতিটি গ্রামে একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যানের জন্য স্বাস্থসেবা বৃদ্ধি করেছে।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন