মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
একজন মুসলিমের উপর ওয়াজিব হল, তার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাধ্যমত আল্লাহর বিধানের বাস্তবায়ন করা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/9/10
সুতরাং মনে রাখতে হবে, মুসলিমের উপর ওয়াজিব হল, তার সামর্থ অনুযায়ী চেষ্টা করা। কারণ, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কাউকে তার ক্ষমতার বাহিরে কোন কিছু্র দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না। এখানে বিশুদ্ধ আকীদা প্রতিষ্ঠিত করা আর বিশুদ্ধ ইবাদাত প্রতিষ্ঠার মধ্যে বাধ্যবাধকতা নাই। অনুরূপভাবে যেখানে আল্লাহর বিধান নাই সেখানে আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন করা ও না করার মধ্যে কোন বাধ্যবাধকতা নাই। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সর্ব প্রথম আল্লাহর জমিনে যে বিধান বাস্তবায়ন করতে হবে, তা হল, তাওহীদ। তবে এখানে বিশেষ কিছু কাজ বিভিন্ন সময় দেখা যায়, যেমন- একাকীত্ব অবলম্বন করা মানুষের সাথে সংমিশ্রণ হতে অতি উত্তম। একজন মুসলিম কোন নির্জন স্থানে গিয়ে দুনিয়ার সব মানুষ থেকে দূরে সরে একা হয়ে যাবে এবং সেখানে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইবাদত বন্দেগী করবে। দুনিয়ার সব ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকবে, মানুষের অনিষ্টতা থেকে সে বেঁচে থাকল এবং তার অনিষ্টতা থেমে মানুষ বেঁচে থাকল। এ বিষয়ে অনেক হাদীস বর্ণিত আছে, যদিও সত্যিকার দ্বীন হল, ইব্ন ওমর রা. হাদীসে যে কথা আসছে, তারই মর্মার্থ। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
« المؤمن الذي يخالط الناس ويصبر على أذاهم خير من المؤمن الذي لا يخالط الناس ولا يصبر على أذاهم »
যে মুমিন মানুষের সাথে উঠবস করে এবং তাদের নির্যাতনের উপর ধৈর্য্য ধারণ করে সে মুমিন উত্তম এমন মুমিন হতে যে মানুষের সাথে উঠবস করে না এবং তাদের কষ্টের উপর ধৈর্য ধারণ করে না।
মোট কথা ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রবর্তন করা আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান কায়েম করার মাধ্যম, তবে তা কোন উদ্দেশ্য নয়। কিছু দায়ীদের কর্ম দেখলে আশ্চর্য না হয়ে পারা যায় না, তারা যা করতে পারবে না তার প্রতি খুব গুরুত্ব দেয়। কিন্তু তাদের জন্য যে কাজটি করা সহজ ও যা তাদের করণীয় তা তারা ছেড়ে দেয়। কারণ, এ সব কাজগুলো করতে হলে, তাদেরকে তাদের নফসের সাথে যুদ্ধ করতে হয়। তাই তারা এ সব কাজ ছেড়ে দিয়ে, রাস্তায় নামে দ্বীন কায়েম করার জন্য। যেমন- একজন মুসলিম দায়ী সে তার অনুসারীদের ওসিয়ত করে বলেন, “তোমরা তোমাদের দেহে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম কর, তা হলে তা তোমাদের দেশেও কায়েম হয়ে যাবে”।
তারপরও আমরা দেখতে পাই, অধিকাংশ দায়ীরা এ মুলনীতির খেলাপ করে, তারা তাদের আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে একমাত্র বিধান দাতা বলে, আখ্যায়িত করে। তারা এ বিষয়টিকে প্রসিদ্ধ প্রবাদ একমাত্র বিধান দাতা আল্লাহ বলে, চালিয়ে দেন। এতে কোন স:ন্দেহ ও সংশয় নাই যে, একমাত্র বিধান দাতা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। তিনি একক, এ বিষয়ে এবং অন্য কোন বিষয়ে তার সাথে কোন শরিক নাই। আবার কিছু লোককে দেখা যায়, তারা চার মাযহাবের কোন মাযহাবকে অনুসরন করে, তারা যখন তাদের সামনে স্পষ্ট ও বিশুদ্ধ সুন্নাতকে তুলে ধরা হয়, তখন তারা বলে, এটি আমার মাযহাবের পরিপন্থি। তাহলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর বিধান অনুযায়ী আমল করার দাবি কোথায়? আবার কতক লোককে দেখা যায়, তারা সুফীদের নিয়মে আল্লাহর ইবাদাত করে থাকে। আল্লাহর রাব্বুল আলামীনের বিধান তাওহীদের উপর আমল করার বিষয়টি কোথায় গেল? তারা অন্যদের থেকে এমন কিছু চায়, যা তারা নিজেরা তাদের নিজেদের জন্য করে না। মনে রাখবে, সর্বাধিক সহজ বিষয় হল, তুমি আল্লাহর বিধানকে তোমার বিশ্বাস, ইবাদাত, চাল-চলন, তোমার ঘর, তোমার ছেলেদের লালন-পালন, তোমার ব্যবসা বাণিজ্য ইত্যাদিতে বাস্তবায়ন করবে। পক্ষান্তরে যারা আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে চলতে অভ্যস্ত, তাদের মধ্যে আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন করা ও তাদের আল্লাহর বিধানের উপর চলতে বাধ্য করা অনেক কঠিন ও দূরহ ব্যাপার। সুতরাং, তুমি কেন সহজটি ছেড়ে কঠিনটি নিয়ে হুড়াহুড়ি করবে?
এতে দুটি জিনিস প্রমাণিত হয়, এক- ভূল শিক্ষা ও অপরিপক্ক নির্দেশনা। অথবা ভূল ধারণা যা তাকে এমন কিছু করতে বাধ্য করে যা তার সামর্থ্যের মধ্যে নাই এবং তাকে এমন কাজ হতে ফিরিয়ে রাখে যা তার সাধ্যের মধ্যে আছে। বর্তমানে একমাত্র আত্মশুদ্ধি, তালীম তারবীয়ত ও মানুষকে সঠিক আক্বীদা এবং ইবাদাত বন্দেগীর প্রতি দাওয়াত দেয়া ছাড়া কোন উপায় দেখছিনা। মনে রাখতে হবে, প্রতিটি মানুষ তার যোগ্যতা ও সামর্থ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কোন মানুষকে তার সামর্থ্যের বাহিরে কোন দায়িত্ব দেন না।
والحمد لله رب العالمين . وصلى الله وسلم على نبينا محمد عليه وآله وسلم .
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/9/10
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।