মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
সহীহ আকীদার প্রতি দাওয়াত দেয়ার জন্য প্রয়োজন অবিরাম সংগ্রাম ও আপ্রাণ চেষ্টা
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/9/7
একটি কথা মনে রাখতে হবে, তাওহীদের প্রতি দাওয়াত দেয়া এবং বিশুদ্ধ আকীদাকে মানুষের অন্তরে গেঁথে দেয়ার জন্য প্রয়োজন হল, প্রথমত: রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে সাহাবীদের মত কুরআনের আয়াতসমূহের বাহ্যিক অর্থকে গুরুত্ব দেয়া। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে সাহাবীরা আরবী ভাষা সহজেই বুঝতে পারত। ফলে তাদের জন্য কুরআন থেকে বিশুদ্ধ আকীদা জানা ও শেখা সহজ ছিল। দ্বিতীয়ত: তাদের যুগে মানতেক, হিকমত, ফালসাফা ও ইলমে কালাম ইত্যাদি না থাকার কারণে, আকীদা বিষয়ে কোন প্রকার বক্রতা বা বিকৃতি ছিল না এবং আকীদার পরিপন্থি কোন বিষয় নিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে তর্ক-বিতর্ক ছিল না। কিন্তু বর্তমানে আমাদের পরিবেশ রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগের মুসলমানদের পরিবেশের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন। সুতরাং, এ কথা ধারনা করা যাবে না যে, বর্তমানে মানুষকে বিশুদ্ধ আকীদার প্রতি দাওয়াত রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগের মত সহজ। এ বিষয়ে কাছকাছি দুটি দৃষ্টান্ত পেশ করব, যাতে কেউ দ্বি-মত পোষণ করবে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে সাহাবীরা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সরাসরি হাদিস শুনতো, তারপর তাবেয়ীরা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের থেকে সরাসরি হাদিস শুনতো, এভাবে তিনটি যুগ অতিবাহিত হয়, যাদের যুগকে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তম যুগ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এখন আমি প্রশ্ন করব, তখন কি এমন কোন ইলম ছিল, যাকে ইলমে হাদীস বলা হত? উত্তরে অবশ্যই বলতে হবে, না। এখানে এমন কোন ইলম ছিল, যাকে ইলমে জারহ বা তাদিল বলা হত? উত্তরে বলতে হবে, না। কিন্তু বর্তমানে তালেবে ইলমদের জন্য এ দুটি ইলম অবশ্যই জানা থাকতে হবে। এ দুটি ইলম শিক্ষা করা ফরজে কিফায়া। এ দুটি ইলম জানা দ্বারা একজন আলেম জানতে পারবে হাদীসটি সহীহ নাকি দূর্বল বা হাদীসটির উপর আমল করা যাবে, নাকি যাবে না। সুতরাং বর্তমানে বিষয়টি এত সহজ নয়, যেমনটি রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে সহজ ছিল। কারণ, তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখ থেতে সরাসরি হাদীস শুনতে পেত, তাদের জন্য জারাহ ও তাদীলের ইলম শিখার প্রয়োজন হত না। এ কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে বিষয় যেভাবে সহজ ছিল, বর্তমানে বিষয়টি তেমনটি সহজ নয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে ইলম ছিল খালেস, তার মধ্যে কোন প্রকার অবকাশ ছিল না। কিন্তু বর্তমানে আমরা যারা মুসলিম, তারা বিভিন্ন সমস্যার বেড়া জালে আবর্তিত। তাই আমরা যখন মানুষকে আল্লাহর একত্ববাদের প্রতি দাওয়াত দিয়ে থাকি, তখন আমাদেরকে অবশ্যই বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। আমাদের এ সব সমস্যার কারণে আমাদের আকীদার বিষয়গুলো বিদআতি ও আহলে কালামীদের পক্ষ হতে নানাবিদ প্রশ্নের সম্মুখীন।
এ বিষয়ে বিশুদ্ধ হাদীসে বর্ণিত কিছু বিষয় আলোচনা করা ভালো মনে করি। যেমন- রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঐ সব হাদীসগুলো উল্লেখ করেন, তাদের কারো কারো পঞ্চাশ গুণ সাওয়াব দেয়া হবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«للاحد منهم خمسون من الأجر " ، قالوا : منا يا رسول الله أو منهم ؟ قال : " منكم . »
“তাদের মধ্য হতে কোন একজনকে পঞ্চাশ গুণ বেশি সাওয়াব দেয়া হবে”। সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, আমাদের থেকে নাকি তাদের থেকে? রাসূল বলল, তাদের থেকে [আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ হতে হাদিসটি তাবরানী বর্ণনা করেন। হাদীসটি বিশুদ্ধ। আল্লামা আলবানী রহ. হাদিসটিকে সহীহ বলে আখ্যায়িত করেন। আবু দাউদ ৩৪৪১]।
বর্তমানে ইসলামের যে পরিণতি, এই পরিণতি ইসলামের প্রথম যুগে ছিল না। কারণ, ইসলামের প্রথম যুগের সংঘর্ষ ছিল, স্পষ্ট শিরক ও নীরেট তাওহীদের মাঝে এবং প্রকাশ্য কুফর আর প্রকৃত ঈমানের মাঝে। বর্তমানে মুসলিমদের নিজেদের সমস্যাই প্রকট। অধিকাংশ মুসলিমের তাওহীদ শিরক মিশ্রিত। তারা তাদের ইবাদাত বন্দেগীকে গাইরুল্লাহর জন্য নিবেদিত করে কিন্তু মুখে ঈমানের দাবি করে। প্রথমত এ বিষয়টি জানা আমাদের জন্য খুবই জরুরি। তারপর দ্বিতীয়ত আমাদেরকে জানতে হবে, আমাদের এ কথা বলা উচিত হবে না, আমাদের তাওহীদের ধাপকে বাদ দিয়ে ভিন্ন ধাপে এগিয়ে যেতে হবে। অর্থাৎ, রাজনৈতিক কর্ম-কাণ্ড চালিয়ে যাওয়া। কারণ, ইসলামের দাওয়াত দেয়াই হল, সত্য দাওয়াত। সুতরাং, আমাদের এ কথা বলা ঠিক হবে না, আমরা আরব । কুরআন আমাদের ভাষায় নাযিল হয়েছে। কারণ, আমাদের মনে রাখতে হবে, অনারব যারা আরবী ভাষা শিখেছে, তারা আরবদের তুলনায় কুরআন হাদীস জানা ও বুঝা সম্পর্কে অধিক অগ্রসর। কারণ, আরবরা তাদের নিজেদের ভাষা জানা ও বুঝা থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। ফলে তারা তাদের রবের কিতাব ও তাদের নবীর সুন্নাত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন হতে অনেক দূরে সরে আছে।
আমরা আরবরা সহীহ ইসলাম কি তা শিখেছি। সুতরাং আমাদের জন্য উচিত হবে না এমনভাবে রাজনৈতিক কর্ম-কাণ্ডে জড়িত হওয়া এবং মানুষকে রাজনৈতিক কাজে জড়িত হওয়ার জন্য উদ্ভুদ্ধ করা যাতে মানুষের জন্য যে কাজ করা জুরুরি যেমন ইসলাম সম্পর্কে জানা, সঠিক আকীদা সম্পর্কে জানা, মুয়ামালা সম্পর্কে জানা ইত্যাদি তা হতে মানুষকে বিরত রাখা হয়। আমরা এ কথা বিশ্বাস করি না যে, আমাদের দেশে সব জনগণ, সঠিক ইসলাম অর্থাৎ বিশুদ্ধ আকীদা, ইবাদাত ও আখলাক সম্পর্কে জানে এবং তারা তার উপর অভ্যস্থ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/9/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।