hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুনানে ইবনে মাজাহ

১৩. বিচার ও বিধান

سنن ابن ماجه

১৩/ পরিচ্ছেদঃ বিচারকমণ্ডলী সম্পর্কে আলোচনা

২৩০৮

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ مَنْ جُعِلَ قَاضِيًا بَيْنَ النَّاسِ فَقَدْ ذُبِحَ بِغَيْرِ سِكِّينٍ ‏"‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যাকে জনগনের বিচারক নিযুক্ত করা হলো, তাঁকে বিনা ছুরিতে যবেহ করা হলো। [২৩০৮]
[২৩০৮] তিরমিযী ১৩২৫, আবূ দাউদ ৩৫৭১, ৩৫৭২, আহমাদ ৭১০৫, ৮৫৫৯, মিশকাত ৩৭৩৩, আত-তালীকুর রাগীব ৩/১৩১, রাওদুন নাদীর ১১৩৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী উসমান বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৮৫৯, ১৭/১৯৩ নং পৃষ্ঠা)

২৩০৯

দুর্বল হাদিস
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ بِلاَلِ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ سَأَلَ الْقَضَاءَ وُكِلَ إِلَى نَفْسِهِ وَمَنْ جُبِرَ عَلَيْهِ نَزَلَ إِلَيْهِ مَلَكٌ فَسَدَّدَهُ ‏"‏ ‏.‏

আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কাযীর পদ প্রার্থনা করে নেয় তাঁর দায়দায়িত্ব তার উপরই চাপানো হয়। আর যাকে এই পদ গ্রহনে বাধ্য করা হয়, তাঁর নিকট একজন ফেরেশতা অবতীর্ণ হয়ে তাঁকে সঠিক পথে চালিত করেন। [২৩০৯]
[২৩০৯] তিরমিযী ১৩২৩, ১৩২৪, আবূ দাউদ ৩৫৭৮, আহমাদ ১১৭৭৪, ১২৮৮৯, যইফাহ ১১৫৪, যইফ আল-জামি' ৫৬১৪। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবুল আলা সম্পর্কে আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, যারা হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন তিনি তাদের একজন। আবু যুরআহ আর-রাযী ও আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৬৮৪, ১৬/৩৫২ নং পৃষ্ঠা)

২৩১০

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَعْلَى، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْيَمَنِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ تَبْعَثُنِي وَأَنَا شَابٌّ أَقْضِي بَيْنَهُمْ وَلاَ أَدْرِي مَا الْقَضَاءُ قَالَ فَضَرَبَ فِي صَدْرِي بِيَدِهِ ثُمَّ قَالَ ‏ "‏ اللَّهُمَّ اهْدِ قَلْبَهُ وَثَبِّتْ لِسَانَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَمَا شَكَكْتُ بَعْدُ فِي قَضَاءٍ بَيْنَ اثْنَيْنِ ‏.‏

আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে ইয়ামানে পাঠান। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি আমাকে পাঠাচ্ছেন, অথচ আমি একজন যুবক মাত্র। আমি লোকদের মধ্যে মীমাংসা করবো, অথচ বিচার কি জিনিস তাই আমি জানি না। রাবী বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হাত দিয়ে আমার বুকে আঘাত করে বলেনঃ “ইয়া আল্লাহ! আপনি তাঁর অন্তরে হেদায়েত দান করুন এবং তাঁর জিহবাকে (বাকশক্তিকে) সুস্থির রাখুন”। আলী বলেন, এরপর পক্ষদ্বয়ের মধ্যে বিচার করতে আমি কখনো সন্দেহে পতিত হইনি। [২৩১০]
[২৩১০] তিরমিযী ১৩৩১, আবূ দাউদ ৩৫৮২, ইরওয়া ২৫০০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
১৩/ পরিচ্ছেদঃ জুলুম ও উৎকোচ সম্পর্কে কঠোর হুঁশিয়ারি

২৩১২

হাসান হাদিস
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ عِمْرَانَ الْقَطَّانِ، عَنْ حُسَيْنٍ، - يَعْنِي ابْنَ عِمْرَانَ - عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ مَعَ الْقَاضِي مَا لَمْ يَجُرْ فَإِذَا جَارَ وَكَلَهُ إِلَى نَفْسِهِ ‏"‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কাযী যতক্ষণ পর্যন্ত জুলুম না করে, আল্লাহ তাঁর সাথে থাকেন। যখন সে জুলুম করে, তখন তিনি তাকে তার নিজের উপর ছেড়ে দেন। [২৩১২]
[২৩১২] তিরমিযী ১৩৩০, আত-তালীকুর রাগীব ৩/১৩৮, মিশকাত ৩৭৪১। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন বিলাল সম্পর্কে আবু জা'ফার আল উকায়লী বলেন, আমার দৃষ্টিতে তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, আমি তার ব্যাপারে ভালো ছাড়া খারাফ কিছু শুনিনি। ইমাম যাহাবী বলেন, মানুষ যেভাবে ভুল করে তিনিও সেরকম ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৯৯, ২৪/৫৪৫ নং পৃষ্ঠা) ২. ইমরান আল-কাত্তান সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায়। আবু আবদুল্লাহ আল-হাকিম আন-নায়সাবুরী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৪৮৯, ২২/৩২৮ নং পৃষ্ঠা) ৩. হুসায়ন বিন ইমরান সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার সম্পর্কে সমালোচনা রয়েছে, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইমাম বুখারী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৩২৬, ৬/৪৫৭ নং পৃষ্ঠা)

২৩১৩

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ خَالِهِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الرَّاشِي وَالْمُرْتَشِي ‏"‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ঘুষদাতা ও ঘুষ গ্রহীতার উপর আল্লাহর অভিসম্পাত। [২৩১৩]
[২৩১৩] তিরমিযী ১৩৩৭, আবূ দাউদ ৩৫৮০, ৬৫৯৬, ৬৭৩৯, ৬৭৯১, ৬৯৪৫, ইরওয়া ২৬২০, মিশকাত ৩৭৫৩, রাওদুন নাদীর ৫৮৩, আত-তালীকুর রাগীব ৩/১৪৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

২৩১১

দুর্বল হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا مُجَالِدٌ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَا مِنْ حَاكِمٍ يَحْكُمُ بَيْنَ النَّاسِ إِلاَّ جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَلَكٌ آخِذٌ بِقَفَاهُ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَإِنْ قَالَ أَلْقِهِ أَلْقَاهُ فِي مَهْوَاةٍ أَرْبَعِينَ خَرِيفًا ‏"‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে বিচারকই মানুষের বিচার করে, সে কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় হাজির হবে যে, একজন ফেরেশতা তাঁর ঘাড় ধরে থাকবেন। অতঃপর সে আকাশের দিকে মাথা তুলবে। আল্লাহ যদি বলেন, তাঁকে নিক্ষেপ করো, তবে সেই ফেরেশতা তাঁকে একটি গর্তে নিক্ষেপ করবেন, যার মধ্যে সে চল্লিশ বছর ধরে গড়িয়ে পড়তে থাকবে। [২৩১১]
[২৩১১] আহমাদ ৪০৮৬, আত-তালীকুর রাগীব ৩/১৩৩, মিশকাত ৩৭৩৯, যইফ আল-জামি' ৫১৬৬। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুজালিদ বিন সাঈদ সম্পর্কে ইমাম বুখারী ও ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তিনি যইফ বা দুর্বল। ইবনু মাঈন বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহন করা যাবে না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৭৮০, ২৭/২১৯ নং পৃষ্ঠা)
১৩/ পরিচ্ছেদঃ বিচারকের ইজতিহাদ ক’রে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছা

২৩১৪

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ الدَّرَاوَرْدِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي قَيْسٍ، - مَوْلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ - عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ إِذَا حَكَمَ الْحَاكِمُ فَاجْتَهَدَ فَأَصَابَ فَلَهُ أَجْرَانِ وَإِذَا حَكَمَ فَاجْتَهَدَ فَأَخْطَأَ فَلَهُ أَجْرٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ يَزِيدُ فَحَدَّثْتُ بِهِ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، فَقَالَ هَكَذَا حَدَّثَنِيهِ أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَة‏.‏َ

আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ বিচারক যখন ইজতিহাদ করে (চিন্তাভাবনা করে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছার চেষ্টা করে) বিচার করে, অতঃপর সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছে যায়, তাঁর জন্য রয়েছে দু’টি পুরস্কার। আর সে যখন ইজতিহাদ করে বিচার করতে গিয়ে ভুল করে বসে তবুও তাঁর জন্য রয়েছে একটি পুরস্কার। [২৩১৪]
[২৩১৪] সহীহুল বুখারী ৭৩৫২, মুসলিম ১৭১৬, আবূ দাউদ ৩৫৭৪, আহমাদ ৬৭১৬, ১৭৩২০, ১৭৩৬০, ইরওয়া ২৫৫৮, রাওদুন নাদীর ৬৭২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল আযীয বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা'দ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। মালিক বিন আনাস তাকে সিকাহ বলেছেন। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে নিজ কিতাব ছাড়া অন্যত্র থেকে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭০, ১৮/১৮৭ নং পৃষ্ঠা)

২৩১৫

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ تَوْبَةَ، حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ خَلِيفَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو هَاشِمٍ، قَالَ لَوْلاَ حَدِيثُ ابْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ الْقُضَاةُ ثَلاَثَةٌ اثْنَانِ فِي النَّارِ وَوَاحِدٌ فِي الْجَنَّةِ رَجُلٌ عَلِمَ الْحَقَّ فَقَضَى بِهِ فَهُوَ فِي الْجَنَّةِ وَرَجُلٌ قَضَى لِلنَّاسِ عَلَى جَهْلٍ فَهُوَ فِي النَّارِ وَرَجُلٌ جَارَ فِي الْحُكْمِ فَهُوَ فِي النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ لَقُلْنَا إِنَّ الْقَاضِيَ إِذَا اجْتَهَدَ فَهُوَ فِي الْجَنَّةِ ‏.‏

বুরায়দাহ ইবনুল হাসীব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ কাযীগণ তিন শ্রেণীভুক্ত। দু’ শ্রেণীর কাযী জাহান্নামী এবং এক শ্রেণীর কাযী জান্নাতী। যে ব্যক্তি (কাযী) ন্যায়সঙ্গত ফয়সালা দান করে সে জান্নাতী। যে ব্যক্তি (কাযী) সত্য উপলদ্ধি না করে অজ্ঞতার ভিত্তিতে বিবদমান দলের মধ্যে রায় প্রদান করে সে জাহান্নামী এবং যে ব্যক্তি (কাযী) জ্ঞাতসারে অন্যায় রায় প্রদান করে সেও জাহান্নামী। আবূ হাশিম (রাঃ) বলেন, যদি বিন বুরাইদা থেকে তাঁর পিতার সুত্রে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর এ হাদীসটি না থাকতো তাহলে আমরা অবশ্যই বলতাম যে, কাযী ইজতিহাদ করে বিচার করলে সে জান্নাতী হবে। [২৩১৫]
[২৩১৫] তিরমিযী ১১৮৫, আবূ দাউদ ৩৫৭৩, ইরওয়া ২৬১৪, মিশকাত ৩৭৩৫। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী খালফ বিন খালিফাহ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, আমি আশা করি তার মাঝে কোন সমস্যা নেই। তিনি কিছু কিছু রেওয়ায়াতে ভুল করেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৭০৭, ৮/২৮৪ নং পৃষ্ঠা)
১৩/ পরিচ্ছেদঃ বিচারক উত্তেজিত অবস্থায় বিচারকার্য করবে না

২৩১৬

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، وَأَحْمَدُ بْنُ ثَابِتٍ الْجَحْدَرِيُّ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لاَ يَقْضِي الْقَاضِي بَيْنَ اثْنَيْنِ وَهُوَ غَضْبَانُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هِشَامٌ لاَ يَنْبَغِي لِلْحَاكِمِ أَنْ يَقْضِيَ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَهُوَ غَضْبَانُ ‏.‏

আবূ বাকরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ বিচারক যেন রাগান্বিত অবস্থায় দু’ (বিবাদমান) পক্ষের মধ্যকার বিচারকার্য পরিচালনা না করে। রাবী হিশাম (রাঃ) তাঁর হাদীসে বলেনঃ রাগান্বিত অবস্থায় দু’ (বিবাদমান) পক্ষের মধ্যে বিচারকার্য পরিচালনা করা বিচারকের জন্য সংগত নয়। [২৩১৬]

তাহকীক আলবানীঃ প্রথম শব্দে সহীহ।
[২৩১৬] সহীহুল বুখারী ৭১৫৮, মুসলিম ১৭১৭, তিরমিযী ১৩৩৪, নাসায়ী ৫৪০৬, ৫৪২১, আবূ দাউদ ৩৫৮৯, আহমাদ ১৯৮৬৬, ১৯৮৭৬, ১৯৮৮০, ১৯৯৫৪, ১৯৯৯৯, ইরওয়া ২৬২৬, রাওদুন নাদীর ৯২৮। তাহকীক আলবানীঃ প্রথম শব্দে সহীহ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন