রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুকুর নিধনের নির্দেশ দেন, অতঃপর বলেনঃ লোকেদের কুকুরের কী প্রয়োজন? অতঃপর তিনি তাদের শিকারী কুকুর রাখার অনুমতি দেন। [৩২০০]

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুকুর হত্যার নির্দেশ দেন, অতঃপর বলেনঃ লোকেদের কুকুরের কী প্রয়োজন? এরপর তিনি তাদের কৃষিক্ষেত ও বাগান পাহারায় নিয়োজিত কুকুর পোষার অনুমতি দেন। বুনদার (রাঃ) বলেন, ‘আল-ঈন’ হলো মদীনার বাগানসমূহ। [৩২০১]

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কুকুর হত্যার নির্দেশ দেন। [৩২০২]

আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে উচ্চ কণ্ঠে কুকুর নিধনের নির্দেশ দিতে শুনেছি। শিকারী কুকুর অথবা পশুপাল পাহারায় নিয়োজিত কুকুর ব্যতীত অন্যান্য কুকুর হত্যা করা হতো (তাঁর যুগে) [৩২০৩]

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কুকুর যদি আল্লাহর সৃষ্ট প্রজাতিগুলোর অন্তর্ভুক্ত প্রজাতি না হতো তবে আমি তা নির্মূল করার নির্দেশ দিতাম। অতএব তোমরা এর মধ্যে কালোগুলো হত্যা করো। যে সম্প্রদায় পশুপাল পাহারায় নিয়োজিত কুকুর, শিকারী কুকুর ও কৃষিখামার পাহারায় রত কুকুর ব্যতীত অন্য কুকুর পোষে তাদের সৎকর্মের সওয়াব থেকে প্রতিদিন দুই কীরাত করে হ্রাস পায়। [৩২০৫]

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কৃষিক্ষেত অথবা পশুপাল পাহারায় রত কুকুর ব্যতীত অন্যান্য কুকুর পোষে সে তার সৎকর্ম থেকে প্রতিদিন এক কীরাত পরিমাণ হ্রাস করে। [৩২০৪]

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি কুকুর পোষে এবং তা তার কৃষিক্ষেত বা মেষপাল পাহারায় প্রয়োজন হয় না, তার আমল থেকে প্রতিদিন এক কীরাত পরিমাণ হ্রাস পায়। সুফিয়ান (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কি সরাসরি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট শুনেছেন? তিনি বলেন, হাঁ, এই মসজিদের প্রতিপালকের শপথ। [৩২০৬]

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা আহলে কিতাবের (ইহূদী-খৃস্টান) এলাকায় বসবাস করি। আমরা কখনো তাদের পাত্রে আহার করি। এখানে প্রচুর শিকার পাওয়া যায়। আমি তা আমার ধনুক ও প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত কুকুর দিয়ে শিকার করি এবং প্রশিক্ষণহীন কুকুরের সাহায্যেও শিকার করি। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তুমি যে বলছো- তোমরা আহলে কিতাবের এলাকায় বসবাস করো, একান্ত নিরুপায় না হলে তাদের পাত্রে আহার করো না। যদি তোমরা একান্ত নিরুপায় হয়ে যাও, তবে তাদের পাত্র ধৌত করার পর তাতে আহার করো। আর তুমি যে শিকারের কথা বললে তাতে তুমি তীরের সাহায্যে যে শিকার করো তার উপর আল্লাহ্‌র নাম স্মরণ করো এবং খাও। আর তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরের সাহায্যে যে শিকার ধরো তাতে আল্লাহ্‌র নাম স্মরণ করো এবং খাও। আর তুমি প্রশিক্ষণহীন কুকুরের সাহায্যে যে শিকার ধরো তা যবেহ করতে পারলে খাও। [৩২০৭]

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট জিজ্ঞেস করে বললাম, আমরা এই কুকুরের সাহায্যে শিকার ধরে থাকি। তিনি বলেন, তুমি তোমার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর আল্লাহ্‌র নাম নিয়ে শিকারের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করে থাকলে সে তোমাদের জন্য যা শিকার করে তা খাও, তা সে হত্যা করে ফেললেও, কিন্তু (তা থেকে) কুকুর খেয়ে ফেললে (তা খেও না)। যদি কুকুর (তা থেকে) খেয়ে থাকে তবে তুমি তা ভক্ষণ করো না। কারণ আমার সন্দেহ হয় যে, সে তা নিজের জন্য শিকার করেছে। আর সাথে অন্য কুকুর থাকলে তুমি তা আহার করো না। ইবনু মাজাহ (রহি) বলেন, আমি আলী ইবনু মুনযিরকে বলতে শুনেছি, আমি আটান্ন বার হাজ্জ করেছি এবং এর অধিকাংশ বার পদব্রজে। [৩২০৮]

তিনি বলেন, আমাদের অগ্নি উপাসকদের কুকুর ও পাখির ধৃত শিকার খেতে নিষেধ করা হয়েছে। [৩২০৯]

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট ঘোর কালো কুকুর সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ তা শয়তান। [৩২১০]