hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুনানে ইবনে মাজাহ

২৭. যবেহ করা

سنن ابن ماجه

২৭/ পরিচ্ছেদঃ আকীকা

৩১৬৪

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ سِيرِينَ، عَنْ سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ "‏ إِنَّ مَعَ الْغُلاَمِ عَقِيقَةً فَأَهْرِيقُوا عَنْهُ دَمًا وَأَمِيطُوا عَنْهُ الأَذَى ‏"‏ ‏.‏

সালামান বিন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ শিশুর পক্ষ থেকে আকীকা করতে হবে অতএব তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত করো (পশু যবেহ করো) এবং তার থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করো। [৩১৬৪]
[৩১৬৪] সহীহুল বুখারী ৫৪৭১, তিরমিযী ১৫১৫, নাসায়ী ৪২১৪, আবূ দাউদ ২৮৩৯, আহমাদ ২৭৫৪২, ১৫৭৯৭, ১৭৪১৫, ১৭৪২৯, দারেমী ১৯৬৭, ইরওয়া ১১৭১, সহীহ আবু দাউদ ২৫২৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

৩১৬২

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سِبَاعِ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أُمِّ كُرْزٍ، قَالَتْ سَمِعْتُ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏ "‏ عَنِ الْغُلاَمِ، شَاتَانِ مُكَافِئَتَانِ وَعَنِ الْجَارِيَةِ، شَاةٌ ‏"‏ ‏.‏

উম্মু কুরয (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ পুত্র সন্তানের পক্ষ থেকে দু’টি বকরী এবং কন্যা সন্তানের পক্ষ থেকে একটি বকরী (আকীকাস্বরূপ যবেহ করা) যথেষ্ট। [৩১৬২]
[৩১৬২] তিরমিযী ১৫১৬, নাসায়ী ৪২১৫, ৪২১৬, ৪২১৭, ৪২১৮, আবূ দাউদ ২৮৩৪, ২৮৩৫, ২৮৩৬, দারিমী ১৯৬৬। ইরওয়া’ ৪/৩৯০, ৩৯১, সহীহ আবূ দাউদ ২৫২৩-২৫২৬।

৩১৬৫

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا شُعَيْبُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ كُلُّ غُلاَمٍ مُرْتَهَنٌ بِعَقِيقَتِهِ تُذْبَحُ عَنْهُ يَوْمَ السَّابِعِ وَيُحْلَقُ رَأْسُهُ وَيُسَمَّى ‏"‏ ‏.‏

সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ প্রত্যেক শিশু তার আকীকার সাথে দায়বদ্ধ থাকে। তার জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবেহ করতে হয়, তার মাথা কামাতে হয় এবং নাম রাখতে হয়। [৩১৬৫]
[৩১৬৫] সহীহুল বুখারী ৫৪৭২, তিরমিযী ১৫৪৪, নাসায়ী ৪২২০, আবূ দাউদ ২৮৩৭, ২৮৩৮, আহমাদ ১৯৫৭৯, ২৭৭০৯, ১৯৬৭৬, ১৯৭৪৩, দারেমী ১৯৬৯, ইরওয়া ১১৬৫, মিশকাত ৪১৫৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

৩১৬৩

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنْ نَعُقَّ عَنِ الْغُلاَمِ شَاتَيْنِ وَعَنِ الْجَارِيَةِ شَاةً ‏.‏

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে পুত্র সন্তানের পক্ষ থেকে দু’টি বকরী এবং কন্যা সন্তানের পক্ষ থেকে একটি বকরী দিয়ে আকীকা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিছেন। [৩১৬৩]
[৩১৬৩] তিরমিযী ১৫১৩, ইরওয়া ১১৬৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

৩১৬৬

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ يَزِيدَ بْنَ عَبْدٍ الْمُزَنِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ يُعَقُّ عَنِ الْغُلاَمِ وَلاَ يُمَسُّ رَأْسُهُ بِدَمٍ ‏"‏ ‏.‏

ইয়াযীদ বিন আবদ আল-মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ শিশুর পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত করতে হবে (আকীকা করতে হবে) এবং তার মাথা পশুর রক্তে রঞ্জিত করা যাবে না। [৩১৬৬]
[৩১৬৬] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। ইরওয়া ৪/৩৮৮, ৩৮৯, সহীহাহ ২৪৫২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইয়াকুব বিন হুমায়দ বিন কাসিব সম্পর্কে আবু জা'ফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭০৮৬, ৩২/৩১৮ নং পৃষ্ঠা) ২. ইয়াযীদ বিন আবদ আল-মুযানী সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞাত। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়নি। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭০২৬, ৩২/২০০ নং পৃষ্ঠা)

উক্ত হাদিসটি সহীহ কিন্তু ইয়াযীদ বিন আবদ আল-মুযানী এর কারণে সানাদটি দুর্বল। সানাদে ইয়াকুব বিন হুমায়দ বিন কাসিব যদিও দুর্বল তবে তার মুতাবি' রয়েছে। হাদিসটির ২২৯ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। ১ টি জাল, ১৭ টি খুবই দুর্বল, ১২৬ টি দুর্বল, ৭২ টি হাসান, ১৩ টি সহীহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ তিরমিযি ১৫১৩, ১৫১৬, আবু দাউদ ২৮৩৪, ২৮৩৫, ২৮৩৬, ২৮৩৬, ২৮৪২, দারিমী ১৯৯৬, ১৯৬৮, মুয়াত্তা মালিক ১০৮২, আহমাদ ৬৬৯৮, ৬৭৮৩, ২২৬২৩, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৭৯৫৩, ৭৯৫৪, ৭৯৫৫।
২৭/ পরিচ্ছেদঃ ফারা‘আ ও ‘আতীরা

৩১৬৯

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْعَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ لاَ فَرَعَةَ وَلاَ عَتِيرَةَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ مَاجَهْ هَذَا مِنْ فَرَائِدِ الْعَدَنِيِّ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এখন আর ফারাআও নাই, আতীরাও নাই। ইব্‌ন মাজাহ (রহঃ) বলেন, এটা কেবলমাত্র আল-‘আদানী কর্তৃক বর্ণিত হাদীস। [৩১৬৯]
[৩১৬৯] তিরমিযী ৯৪৪। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

৩১৬৮

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَهِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ لاَ فَرَعَةَ وَلاَ عَتِيرَةَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هِشَامٌ فِي حَدِيثِهِ وَالْفَرَعَةُ أَوَّلُ النَّتَاجِ ‏.‏ وَالْعَتِيرَةُ الشَّاةُ يَذْبَحُهَا أَهْلُ الْبَيْتِ فِي رَجَبٍ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ এখন আর ফারা‘আ নাই, আতীরাও নাই। হিশাম (রাঃ) তার বর্ণনায় বলেন, ফারা‘আ হলো উট বা ছাগল-ভেড়ার প্রথম বাচ্চা। আর আতীরা হলো কোন পরিবারের লোকেরা রজব মাসে যে বকরী যবেহ করে তা। [৩১৬৮]
[৩১৬৮] সহীহুল বুখারী ৫৪৭৩, ৫৪৭৪, মুসলিম ১৯৭৬, তিরমিযী ১৫১২, নাসায়ী ৪২২২, ৪২২৩, আবূ দাউদ ২৮৩১, আহমাদ ৭০৯৫, ৭২১৫, ৭৬৯৩, ৯৯৮৩, দারেমী ১৯৬৪, ইরওয়া ১১৮০, আস-সহীহ ২৫২০, ২৫২১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

৩১৬৭

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ، بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ، عَنْ نُبَيْشَةَ، قَالَ نَادَى رَجُلٌ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا نَعْتِرُ عَتِيرَةً فِي الْجَاهِلِيَّةِ فِي رَجَبٍ فَمَا تَأْمُرُنَا قَالَ ‏"‏ اذْبَحُوا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي أَىِّ شَهْرٍ مَا كَانَ وَبَرُّوا اللَّهَ وَأَطْعِمُوا ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا نُفْرِعُ فَرَعًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَمَا تَأْمُرُنَا قَالَ ‏"‏ فِي كُلِّ سَائِمَةٍ فَرَعٌ تَغْذُوهُ مَاشِيَتُكَ حَتَّى إِذَا اسْتَحْمَلَ ذَبَحْتَهُ فَتَصَدَّقْتَ بِلَحْمِهِ - أُرَاهُ قَالَ - عَلَى ابْنِ السَّبِيلِ فَإِنَّ ذَلِكَ هُوَ خَيْرٌ ‏"‏ ‏.‏

নুবায়শাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে ডাক দিয়ে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা জাহিলী যুগে রজব মাসে আতীরা করতাম। এখন আপনি আমাদের কী হুকুম করেন? তিনি বলেনঃ তোমরা যে কোন মাসে মহামহিম আল্লাহর জন্য পশু যবেহ করো, আল্লাহর সন্তোষ লাভের উদ্দেশ্যে কোন কাজ করো এবং (দরিদ্রদের) আহার করাও। সাহাবীগণ বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা জাহিলী যুগে ফারা‘আ করতাম। এখন এ সম্পর্কে আপনি আমাদের কী বলেন? তিনি বলেনঃ প্রতিটি চরে বেড়ানো পশুতে ফারাআ রয়েছে, তাকে তোমরা ইচ্ছা অনুযায়ী আহার করাও এবং যখন ভারবোঝা বহনের উপযুক্ত হবে তখন তা যবেহ করে তার গোশ্‌ত পথিকদের মধ্যে দান-খয়রাত করলে তা তোমার জন্য কল্যাণকর। [৩১৬৭]
[৩১৬৭] নাসায়ী ৪২২৮, ৪২২৯, ৪২৩০, ৪২৩১, ৪২৩২, আবূ দাউদ ২৮৩০, আহমাদ ২০১৯৮, ২০২০২, ইরওয়া ৪/৪১২, সহীহ আবু দাউদ ২৫১৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২৭/ পরিচ্ছেদঃ যবেহ করার সময় তোমরা উত্তমরূপে যবেহ করো

৩১৭০

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ، عَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ كَتَبَ الإِحْسَانَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ فَإِذَا قَتَلْتُمْ فَأَحْسِنُوا الْقِتْلَةَ وَإِذَا ذَبَحْتُمْ فَأَحْسِنُوا الذَّبْحَ وَلْيُحِدَّ أَحَدُكُمْ شَفْرَتَهُ وَلْيُرِحْ ذَبِيحَتَهُ ‏"‏ ‏.‏

শাদ্দাদ বিন আওস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ মহান আল্লাহ প্রতিটি জিনিসের জন্য দয়া ও অনুগ্রহ নির্ধারণ করেছেন। অতএব যখন তোমরা হত্যা (যুদ্ধ) করো, তা উত্তম পন্থায় করো, যখন যবেহ করো, তাও উত্তম পন্থায় করো। তোমাদের প্রত্যেকে যেন নিজ নিজ চাক ধারালো করে নেয় এবং নিজের যবেহকৃত পশুকে আরাম দেয়। [৩১৭০]
[৩১৭০] মুসলিম ১৯৫৫, তিরমিযী ১৪০৯, নাসায়ী ৪৪০৫, ৪৪১১, ৪৪১২, ৪৪১৩, ৪৪১৪, আবূ দাউদ ২৮১৫, আহমাদ ১৬৬৬৪, ১৬৬৭৯, ১৬৬৮৯, দারেমী ১৯৭০, ইরওয়া ২২৩১, রাওদুন নাদীর ৩৫৫, সহীহ আবু দাউদ ২৫০৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

৩১৭১

খুবই দুর্বল
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ مَرَّ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِرَجُلٍ وَهُوَ يَجُرُّ شَاةً بِأُذُنِهَا فَقَالَ ‏ "‏ دَعْ أُذُنَهَا وَخُذْ بِسَالِفَتِهَا ‏"‏ ‏.‏

আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তির নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। লোকটি তখন একটি বকরীর কান ধরে হেঁচড়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। তিনি বলেনঃ তুমি এর কান ছেড়ে দাও এবং ঘাড় ধরো। [৩১৭১]
[৩১৭১] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুসা বিন মুহাম্মাদ বিন ইবরাহিম আত-তায়মী সম্পর্কে আবু বাকর আল-বায়হাকী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু জা'ফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যাবে না। আহমাদ বিন হাম্বল তাকে দুর্বল বলতেন। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬২৯৬, ২৯/১৩৯ নং পৃষ্ঠা)

৩১৭২

দুর্বল হাদিস
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ابْنُ أَخِي، حُسَيْنٍ الْجُعْفِيِّ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، حَدَّثَنِي قُرَّةُ بْنُ حَيْوَئِيلَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِحَدِّ الشِّفَارِ وَأَنْ تُوَارَى عَنِ الْبَهَائِمِ وَقَالَ ‏ "‏ إِذَا ذَبَحَ أَحَدُكُمْ فَلْيُجْهِزْ ‏"‏ ‏.‏ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُسَافِرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَسْوَدِ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِثْلَهُ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ছুরি ধারালো করতে এবং তা পশুর দৃষ্টির অগোচরে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যবেহ করার সময় যেন দ্রুত যবেহ করে।

[উপরোক্ত হাদীসে মোট ২টি সানাদের ১টি বর্ণিত হয়েছে, অপর সানাদটি হলোঃ]

৪/৩১৭২ (১). আবদুল্লাহ বিন উমার (রাঃ), নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। [৩১৭২]

তাহকীক আলবানীঃ দুর্বল।
[৩১৭২] আহমাদ ৫৮৩০। গায়তুল মারাম ৩৯, আত তা‘লীকুর রাগীব ২/১০৪।
উক্ত হাদীসের রাবী ১. ইবনু লাহীআহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদীসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় হাদীস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন, কিতাবসমূহ পুড়ে যাওয়ার যে হাদীস বর্ণনা করেছেন তা দুর্বল। আবূল কাসিম বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আবূ বাক্‌র আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদীস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আবূ হাতিম আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার কিতাবসমূহ পুড়ে যাওয়ার পর হাদীস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। বিশর ইবনুস সারী বলেন, যদি তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হতো তবে আমি তার থেকে কোন হাদীস গ্রহণ করতাম না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫১৩, ১৫/৪৮৭ নং পৃষ্ঠা) ২. জা‘ফার বিন মুসাফির সম্পর্কে আবূ হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদীস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি সালিহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদীস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী। (তাইযীবুল কামালঃ রাবী নং ৯৫৫, ৫/১০৮ নং পৃষ্ঠা)
২৭/ পরিচ্ছেদঃ যবেহ করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা

৩১৭৪

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، أَنَّ قَوْمًا، قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ قَوْمًا يَأْتُونَا بِلَحْمٍ لاَ نَدْرِي ذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ أَمْ لاَ قَالَ ‏ "‏ سَمُّوا أَنْتُمْ وَكُلُوا ‏"‏ ‏.‏ وَكَانُوا حَدِيثَ عَهْدٍ بِالْكُفْرِ ‏.‏

উম্মুল মু’মিনীন আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

একদল লোক বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কতক লোক আমাদের নিকট গোশ্‌ত নিয়ে আসে। জানি না, (তা যবেহ করার সময়) আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে কি না? তিনি বলেনঃ তোমরা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো এবং তা খাও। এটা ছিল তাদের কুফর পরিত্যাগের নিকটবর্তী কালের বিষয়। [৩১৭৪]
[৩১৭৪] সহীহুল বুখারী ২০৫৭, ৫৫০৭, ৭৩৯৮, নাসায়ী ৪৪৩৬, আবূ দাউদ ২৮২৯, মুয়াত্তা মালেক ১০৫৪, দারেমী ১৯৭৬, গায়াতুল মারাম ৩৭, সহীহ আবু দাউদ ২৫১৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

৩১৭৩

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، ‏{إِنَّ الشَّيَاطِينَ لَيُوحُونَ إِلَى أَوْلِيَائِهِمْ}‏ قَالَ كَانُوا يَقُولُونَ مَا ذُكِرَ عَلَيْهِ اسْمُ اللَّهِ فَلاَ تَأْكُلُوا وَمَا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ فَكُلُوهُ ‏.‏ فَقَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏{وَلاَ تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ}‏ ‏.‏

ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি “শয়তানেরা নিজেদের বন্ধুদের প্ররোচনা দেয়” (সূরা আনআমঃ২১) শীর্ষক আয়াত উল্লেখপূর্বক বলেন, শয়তানেরা বলে যে, যা আল্লাহর নাম নিয়ে যবেহ করা হয়েছে তা ভক্ষণ করো না এবং যা আল্লাহর নাম বাদ দিয়ে যবেহ করা হয়েছে তা খাও। অতএব মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ “যাতে আল্লাহর নাম নেয়া হয়নি তার কিছুই আহার করো না” (সূরা আনআমঃ ১২১)। [৩১৭৩]
৩১৭৩.নাসায়ী ৪৪৩৭, আবূ দাউদ ২৮১৭, ২৮১৮, ২৮১৯, সহীহ আবু দাউদ ২৫০৯। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী সিমাক বিন হারব সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তার পূর্বে বর্ণিত হাদিস যারা শ্রবন করেছেন তা সহীহ। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫৭৯, ১২/১১৫ নং পৃষ্ঠা)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন