hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুনানে ইবনে মাজাহ

২১. রক্তপণ

سنن ابن ماجه

২১/ পরিচ্ছেদঃ অন্যায়ভাবে কোন মুসলমানকে হত্যা করার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি

২৬১৫

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَوَّلُ مَا يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي الدِّمَاءِ ‏"‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ (বিন মাসঊদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: কিয়ামতের দিন মানুষের (অপরাধের) মধ্যে সর্বপ্রথম নরহত্যার (অপরাধের) বিচার করা হবে। [২৬১৫]
[২৬১৫] ইবনু মাজাহ ২৬১৭, সহীহুল বুখারী ৬৫৩৩, ৬৮৬৪, মুসলিম ১৬৭৮, তিরমিযী ১৩৯৬, ১৩৯৭, নাসায়ী ২৯৯১, ২৯৯২, ২৯৯৩, ২৯৯৪, ২৯৯৬, আহমাদ ৩৬৬৫, ৪২০১, সহীহাহ ১৭৪৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

২৬১৬

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ تُقْتَلُ نَفْسٌ ظُلْمًا إِلاَّ كَانَ عَلَى ابْنِ آدَمَ الأَوَّلِ كِفْلٌ مِنْ دَمِهَا لأَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ سَنَّ الْقَتْلَ ‏"‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ (বিন মাসঊদ) (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন মানুষ অন্যায়ভাবে নিহত হলেই তার পাপের একটি অংশ আদম (আঃ) এর প্রথম সন্তানের (কাবীলের) আমলনামায় যোগ হয়। কারন সে-ই সর্বপ্রথম নরহত্যা প্রচলন করেছিল। [২৬১৬]
সহীহুল বুখারী ৩৩৩৬, ৬৮৬৭, ৭৩২১, মুসলিম ১৬৭৭, তিরমিযী ২৬৭৩, নাসায়ী ৩৯৮৫, আহমাদ ৩৬২৩, ৪০৮১, ৪১১২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

২৬১৭

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ الأَزْهَرِ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، عَنْ شَرِيكٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَوَّلُ مَا يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي الدِّمَاءِ ‏"‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে সর্বপ্রথম নরহত্যার (অপরাধের) বিচার করা হবে। [২৬১৭]
ইবনু মাজাহ ২৬১৫, সহীহুল বুখারী ৬৫৩৩, ৬৮৬৪, মুসলিম ১৬৭৮, তিরমিযী ১৩৯৬, ১৩৯৭, নাসায়ী ২৯৯১, ২৯৯২, ২৯৯৩, ২৯৯৪, ২৯৯৬, আহমাদ ৩৬৬৫, ৪২০১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

২৬১৮

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَائِذٍ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ لَقِيَ اللَّهَ لاَ يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا لَمْ يَتَنَدَّ بِدَمٍ حَرَامٍ دَخَلَ الْجَنَّةَ ‏"‏ ‏.‏

উকবাহ বিন আমির আল-জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ এর সাথে এমতাবস্থায় সাক্ষাত করবে যে, সে আল্লাহর সাথে কোন কিছু শরীক করেনি এবং অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করেনি, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। [২৬১৮]
আহমাদ ১৬৮৮৮, ১৬৯৩০। মুত্তাসিলুস সহীহাহ ২৯২৩। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

২৬১৯

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ جَنَاحٍ، عَنْ أَبِي الْجَهْمِ الْجُوزَجَانِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لَزَوَالُ الدُّنْيَا أَهْوَنُ عَلَى اللَّهِ مِنْ قَتْلِ مُؤْمِنٍ بِغَيْرِ حَقٍّ ‏"‏ ‏.‏

আল-বারা’ বিন আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, একজন ঈমানদার ব্যক্তির অন্যায়ভাবে নিহত হওয়ার চেয়ে গোটা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়া আল্লাহ এর নিকট অধিক সহজ ও সাধারণ ব্যাপার। [২৬১৯]
হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। গায়াতুল মারাম ৪৩৯, আত-তালীকুর রাগীব ৩/২০২। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

২৬২০

খুবই দুর্বল
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زِيَادٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ أَعَانَ عَلَى قَتْلِ مُؤْمِنٍ بِشَطْرِ كَلِمَةٍ لَقِيَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ مَكْتُوبٌ بَيْنَ عَيْنَيْهِ آيِسٌ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মিশকাত ৩৪৮৪, যইফাহ ৫০৩, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ২০২। তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল। উক্ত হাদিসের রাবী ইয়াযীদ বিন যিয়াদ সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল, তিনি মুনকার। ইমাম তিরমিযি বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মিথ্যার সাথে জড়িত। ইমাম দারাকুতনী বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহণযোগ্য নয়। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৯৯০, ৩২/১৩৪ নং পৃষ্ঠা)
[২৬২০] হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। মিশকাত ৩৪৮৪। দঈফাহ ৫০৩, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ২০২।
২১/ পরিচ্ছেদঃ ঈমানদার মুসলমানের হত্যাকারীর তওবা কবুল হবে কি?

২৬২১

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمَّارٍ الدُّهْنِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، قَالَ سُئِلَ ابْنُ عَبَّاسٍ عَمَّنْ قَتَلَ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا ثُمَّ تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ صَالِحًا ثُمَّ اهْتَدَى ‏.‏ قَالَ وَيْحَهُ وَأَنَّى لَهُ الْهُدَى سَمِعْتُ نَبِيَّكُمْ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ يَجِيءُ الْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مُتَعَلِّقٌ بِرَأْسِ صَاحِبِهِ يَقُولُ رَبِّ سَلْ هَذَا لِمَ قَتَلَنِي ‏"‏ ‏.‏ وَاللَّهِ لَقَدْ أَنْزَلَهَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى نَبِيِّكُمْ ثُمَّ مَا نَسَخَهَا بَعْدَ مَا أَنْزَلَهَا ‏.‏

সালিম বিন আবুল জা‘দ থেকে বর্ণিতঃ

ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো যে কোন ঈমানদার মুসলমানকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করলো, অতঃপর তওবা করলো, ঈমান আনলো (ইসলাম গ্রহন করলো), সৎকাজ করলো, অতঃপর হেদায়েত মত চললো। তিনি বলেন, আফসোস তার জন্য! কোথায় তার জন্য হেদায়েত? আমি তোমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ কিয়ামতের দিন হত্যাকারী তার মাথার সাথে নিহত ব্যক্তির মাথা লটকানো অবস্থায় উপস্থিত হবে। নিহত ব্যক্তি বলবে, হে প্রভু! তাকে জিজ্ঞেস করুন, সে কেন আমাকে হত্যা করেছে? আল্লাহর শপথ! অবশ্যি আল্লাহ্ তাআলা তোমাদের নবীর উপর এ কথা নাযিল করেছেন এবং অতঃপর এমন কিছু নাযিল করেননি যা উক্ত কথাকে রহিত করতে পারে। [২৬২১]
নাসায়ী ৩৯৯৯, আহমাদ ১৯৪২, মিশকাত ৩৪৭৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

২৬২২

অন্যান্য
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَنْبَأَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ النَّاجِيِّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِمَا سَمِعْتُ مِنْ فِي رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعَتْهُ أُذُنَايَ وَوَعَاهُ قَلْبِي إِنَّ عَبْدًا قَتَلَ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ نَفْسًا ثُمَّ عَرَضَتْ لَهُ التَّوْبَةُ فَسَأَلَ عَنْ أَعْلَمِ أَهْلِ الْأَرْضِ فَدُلَّ عَلَى رَجُلٍ فَأَتَاهُ فَقَالَ إِنِّي قَتَلْتُ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ نَفْسًا فَهَلْ لِي مِنْ تَوْبَةٍ قَالَ بَعْدَ تِسْعَةٍ وَتِسْعِينَ نَفْسًا قَالَ فَانْتَضَى سَيْفَهُ فَقَتَلَهُ فَأَكْمَلَ بِهِ الْمِائَةَ ثُمَّ عَرَضَتْ لَهُ التَّوْبَةُ فَسَأَلَ عَنْ أَعْلَمِ أَهْلِ الْأَرْضِ فَدُلَّ عَلَى رَجُلٍ فَأَتَاهُ فَقَالَ إِنِّي قَتَلْتُ مِائَةَ نَفْسٍ فَهَلْ لِي مِنْ تَوْبَةٍ فَقَالَ وَيْحَكَ وَمَنْ يَحُولُ بَيْنَكَ وَبَيْنَ التَّوْبَةِ اخْرُجْ مِنْ الْقَرْيَةِ الْخَبِيثَةِ الَّتِي أَنْتَ فِيهَا إِلَى الْقَرْيَةِ الصَّالِحَةِ قَرْيَةِ كَذَا وَكَذَا فَاعْبُدْ رَبَّكَ فِيهَا فَخَرَجَ يُرِيدُ الْقَرْيَةَ الصَّالِحَةَ فَعَرَضَ لَهُ أَجَلُهُ فِي الطَّرِيقِ فَاخْتَصَمَتْ فِيهِ مَلَائِكَةُ الرَّحْمَةِ وَمَلَائِكَةُ الْعَذَابِ قَالَ إِبْلِيسُ أَنَا أَوْلَى بِهِ إِنَّهُ لَمْ يَعْصِنِي سَاعَةً قَطُّ قَالَ فَقَالَتْ مَلَائِكَةُ الرَّحْمَةِ إِنَّهُ خَرَجَ تَائِبًا قَالَ هَمَّامٌ فَحَدَّثَنِي حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ أَبِي رَافِعٍ قَالَ فَبَعَثَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ مَلَكًا فَاخْتَصَمُوا إِلَيْهِ ثُمَّ رَجَعُوا فَقَالَ انْظُرُوا أَيَّ الْقَرْيَتَيْنِ كَانَتْ أَقْرَبَ فَأَلْحِقُوهُ بِأَهْلِهَا قَالَ قَتَادَةُ فَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ قَالَ لَمَّا حَضَرَهُ الْمَوْتُ احْتَفَزَ بِنَفْسِهِ فَقَرُبَ مِنْ الْقَرْيَةِ الصَّالِحَةِ وَبَاعَدَ مِنْهُ الْقَرْيَةَ الْخَبِيثَةَ فَأَلْحَقُوهُ بِأَهْلِ الْقَرْيَةِ الصَّالِحَةِ حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ إِسْمَعِيلَ الْبَغْدَادِيُّ حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ فَذَكَرَ نَحْوَهُ

আবূ রাফি‘ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি (আবূ সাঈদ খুদরী) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মুখে শুনেছি এবং যা আমার দু’ কান শুনেছে এবং আমার অন্তর যা সংরক্ষণ করেছে তা কি তোমাদের অবহিত করবো না? এক বান্দা নিরানব্বই ব্যক্তিকে হত্যা করেছিল। এরপর তার তওবা করার খেয়াল হলে সে জানতে চাইলো যে, পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় আলেম কে? তাকে একটি লোক সম্পর্কে অবহিত করা হলো। সে তার কাছে এসে বললো, আমি নিরানব্বই ব্যক্তি কে হত্যা করেছি, আমার জন্য কি তওবার কোন সুযোগ আছে? লোকটি বললো, নিরানব্বই ব্যক্তিকে হত্যা করার পর (এখন আবার তওবা)! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তখন সে তার তরবারি কোষমুক্ত করে তাকে হত্যা করলো এবং তার দ্বারা এক শতজন পূর্ণ করলো। পুনরায় তার তওবার খেয়াল হলে সে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আলেম ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলো। তাকে এক লোক সম্পর্কে বলা হলে সে তার নিকট গিয়ে বললো, আমি একশত ব্যক্তি কে হত্যা করেছি, আমার জন্য কি তওবার কোন সুযোগ আছে? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সেই লোকটি বললো, তোমার জন্য আফসোস! তোমার এবং তওবার মধ্যে কে প্রতিবন্ধক হতে পারে? তুমি যে নিকৃষ্ট জনপদে আছো সেখান থেকে রওয়ানা হয়ে উত্তম জনপদে, অমুক অমুক জনপদে যাও। সেখানে গিয়ে তোমার রবের ইবাদত করো। অতঃপর সে সেই উত্তম জনপদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলো। পথিমধ্যে তার মৃত্যু এসে উপস্থিত হলো। তখন তার ব্যাপারে রহমাতের ফেরেশতা ও আযাবের ফেরেশতা বিবাদে লিপ্ত হলো। ইবলীস বললো, আমিই তার উপযুক্ত হকদার। সে মুহূর্তের জন্যও আমার অবাধ্য হয়নি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, রহমাতের ফেরেশতা বললেন, সে অনুতপ্ত হয়ে যাত্রা করেছে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তখন মহামহিম আল্লাহ একজন ফেরেশতা পাঠান। উভয় ফেরেশতা তার কাছে মামলা রুজু করলেন। মীমাংসাকারী ফেরেশতা বললেন, তোমরা দেখো, উভয় জনপদের যেটি তার নিকটবর্তী তাকে সেই জনপদের অন্তর্ভুক্ত করো। কাতাদা (রাঃ) বলেন, হাসান (রাঃ) আমাদের নিকট একথাও বর্ণনা করেছেন যে, তার মৃত্যু এসে গেলে সে হামাগুরি দিয়ে উত্তম জনপদের নিকটবর্তী হয়ে গেল এবং নিকৃষ্ট জনপদের থেকে দূরে সরে গেলো। তাই ফেরেশতাগণ তাকে উত্তম জনপদের বাসিন্দাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। [২৬২২]

৩/২৬২২(১). <আবুল আব্বাস বিন আব্দুল্লাহ বিন ইসমাঈল আল-বাগদাদী><আফ্ফান><হাম্মাম><কাতাদাহ><আবুস সিদ্দীক আন-নাজী><আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ)><আবুল আব্বাস বিন আবদুল্লাহ বিন ইসমাঈল আল-বাগদাদী><আফ্ফান><হাম্মাম বিন ইয়াহইয়া><হুমায়দ আত-তাবীল><বাকর বিন আবদুল্লাহ><আবূ রাফি (রাঃ)> [২৬২২]

তাহকীক আলবানীঃ “তার মৃত্যু এসে গেলে সে হামাগুড়ি দিয়ে উত্তম জনপদের নিকটবর্তী হয়ে গেলো এবং নিকৃষ্ট জনপদ থেকে দূরে সরে গেলো। তাই ফেরেস্তাগণ তাকে উত্তম জনপদের বাসিন্দাদের অন্তর্ভুক্ত করেন।” এ বাক্য ব্যতীত সহীহ। কারণ, বাক্যটি হাসান।
সহীহুল বুখারী ৩৪৭০, মুসলিম ২৭৬৬, আহমাদ ১০৭৭০, ১১২৯০। তাহকীক আলবানীঃ "তার মৃত্যু এসে গেলে সে হামাগুড়ি দিয়ে উত্তম জনপদের নিকটবর্তী হয়ে গেলো এবং নিকৃষ্ট জনপদ থেকে দূরে সরে গেলো। তাই ফেরেশতাগণ তাকে উত্তম জনপদের বাসিন্দাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। " এ বাক্য ব্যাতিত সহীহ। কারণ বাক্যটি হাসান।
২১/ পরিচ্ছেদঃ নিহত ব্যক্তির ওয়ারিসগণের তিনটি বিকল্প ব্যবস্থার যে কোন একটি গ্রহণ করার এখতিয়ার থাকবে।

২৬২৩

দুর্বল হাদিস
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ، وَأَبُو بَكْرٍ ابْنَا أَبِي شَيْبَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، ح وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، وَعَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ، جَمِيعًا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ فُضَيْلٍ، أَظُنُّهُ عَنِ ابْنِ أَبِي الْعَوْجَاءِ، وَاسْمُهُ، سُفْيَانُ عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ أُصِيبَ بِدَمٍ أَوْ خَبْلٍ - وَالْخَبْلُ الْجُرْحُ - فَهُوَ بِالْخِيَارِ بَيْنَ إِحْدَى ثَلاَثٍ فَإِنْ أَرَادَ الرَّابِعَةَ فَخُذُوا عَلَى يَدَيْهِ أَنْ يَقْتُلَ أَوْ يَعْفُوَ أَوْ يَأْخُذَ الدِّيَةَ فَمَنْ فَعَلَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَعَادَ فَإِنَّ لَهُ نَارَ جَهَنَّمَ خَالِدًا مُخَلَّدًا فِيهَا أَبَدًا ‏"‏ ‏.‏

আবূ শুরায়হ আল-খুযাঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যার কেউ নিহত হয় অথবা যাকে আহত করা হয় তার তিনটি বিকল্প বিষয়ের যেকোন একটি গ্রহন করার এখতিয়ার আছে। সে চতুর্থটি গ্রহন করতে চাইলে তোমরা তার উভয় হাত ধরে রাখো (তাকে বাধা দাও)। সে হত্যাকারীকে হয় হত্যা করবে অথবা ক্ষমা করবে অথবা দিয়াত (আর্থিক ক্ষতিপূরন) গ্রহন করবে। যে ব্যক্তি এই (তিনটি বিকল্পের) যেকোন একটি গ্রহন করার পর আরও কিছু (অতিরিক্ত) দাবি করবে তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন, সেখানে সে স্থায়ী হবে। [২৬২৩]
আবূ দাউদ ৪৪৯৬, আহমাদ ১৫৯৪০, দারেমী ২৩৫১, ইরওয়া ৭/২৭৮। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আবু খালিদ আল আহমার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সালেহ কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ ও ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫০৪, ১১/৩৯৪ নং পৃষ্ঠা) ২. মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা) ৩. (সুফইয়ান) ইবনু আবুল আওজা সম্পর্কে আবু আহমাদ আল-হাকিম বলেন, তার হাদিস নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় প্রসিদ্ধ নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম বাখারী বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৪১২, ১১/১৭৬ নং পৃষ্ঠা)

২৬২৪

সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ إِمَّا أَنْ يَقْتُلَ وَإِمَّا أَنْ يُفْدَى ‏"‏ ‏.‏

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যার কেউ নিহত হয় তার দুটি বিকল্প ব্যবস্থার যে কোন একটি গ্রহনের এখতিয়ার রয়েছে। (হত্যাকারীকে কিসাসস্বরূপ) হত্যা করা হবে অথবা ফিদয়া (দিয়াত) আদায় করা হবে। [২৬২৪]
সহীহুল বুখারী ১১২, ২৪৩৪, ৬৮৮০, মুসলিম ১৩৫৫, তিরমিযী ১৪০৫, নাসায়ী ৪৭৮৫, ৪৭৮৬, ৪৫০৫, আহমাদ ৭২০১, ইরওয়া ৪/২৪৯, ৭/২৫৮, ২১৯৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
২১/ পরিচ্ছেদঃ যাকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা হয়েছে তার ওয়ারিসগন দিয়াত গ্রহণে সম্মত হলে

২৬২৬

হাসান হাদিস
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَاشِدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ قَتَلَ عَمْدًا دُفِعَ إِلَى أَوْلِيَاءِ الْقَتِيلِ فَإِنْ شَاءُوا قَتَلُوا وَإِنْ شَاءُوا أَخَذُوا الدِّيَةَ وَذَلِكَ ثَلاَثُونَ حِقَّةً وَثَلاَثُونَ جَذَعَةً وَأَرْبَعُونَ خَلِفَةً وَذَلِكَ عَقْلُ الْعَمْدِ مَا صُولِحُوا عَلَيْهِ فَهُوَ لَهُمْ وَذَلِكَ تَشْدِيدُ الْعَقْلِ ‏"‏ ‏.‏

আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি (কাউকে) ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করলে তাকে নিহত ব্যক্তির অভিভাবকদের নিকট সোপর্দ করা হবে। তারা ইচ্ছা করলে তাকে হত্যা করবে অথবা ইচ্ছা করলে দিয়াত গ্রহণ করবে। আর দিয়াত হলো তিরিশটি হিক্কা (চার বছরের উট), তিরিশটি জাযাআ (পাঁচ বছরের উট), এবং চল্লিশটি খালিফা (গর্ভধাত্রী উষ্ট্রী)। এটাই হলো ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যার দিয়াত। উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা (সোলেহ)-ও হতে পারে। আর এটা হলো কঠোর দিয়াত। [২৬২৬]
তিরমিযী ১৩৮৭, ইরওয়া ২১৯৯। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন রাশিদ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার বর্ণনায় কোন সমস্যা নেই। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী তার হাদিস হাসান। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন, তার কাদারিয়া মতাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে। শু'বাহ ইবনুল হাজ্জাজ বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫২০৮, ২৫/১৮৬ নং পৃষ্ঠা)

২৬২৫

দুর্বল হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ضُمَيْرَةَ، حَدَّثَنِي أَبِي وَعَمِّي، وَكَانَا، شَهِدَا حُنَيْنًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالاَ صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ ثُمَّ جَلَسَ تَحْتَ شَجَرَةٍ فَقَامَ إِلَيْهِ الأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ - وَهُوَ سَيِّدُ خِنْدِفَ يَرُدُّ - عَنْ دَمِ مُحَلِّمِ بْنِ جَثَّامَةَ وَقَامَ عُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنٍ يَطْلُبُ بِدَمِ عَامِرِ بْنِ الأَضْبَطِ وَكَانَ أَشْجَعِيًّا فَقَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ تَقْبَلُونَ الدِّيَةَ ‏"‏ ‏.‏ فَأَبَوْا فَقَامَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي لَيْثٍ يُقَالُ لَهُ مُكَيْتِلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهِ مَا شَبَّهْتُ هَذَا الْقَتِيلَ فِي غُرَّةِ الإِسْلاَمِ إِلاَّ كَغَنَمٍ وَرَدَتْ فَرُمِيَتْ فَنَفَرَ آخِرُهَا ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَكُمْ خَمْسُونَ فِي سَفَرِنَا وَخَمْسُونَ إِذَا رَجَعْنَا ‏"‏ ‏.‏ فَقَبِلُوا الدِّيَةَ ‏.‏

যায়দ বিন দুমায়রাহ থেকে বর্ণিতঃ

আমার পিতা ও আমার চাচা আমাকে হাদীস শুনিয়েছেন এবং তারা উভয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে হুনায়নের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তারা উভয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুহরের নামায পড়ার পর একটি গাছের নিচে বসলেন। তখন আকরা‘ বিন হারিস তাঁর সামনে দাঁড়ালেন। তিনি ছিলেন খিনদিফ গোত্রের নেতা। তিনি (নিহত) মুহাল্লিম বিন জাসসামার কিসাসের দাবি উত্থাপন করলেন। অপরদিকে উয়াইনা বিন হিসনও দাঁড়িয়ে আমের বিন আদবাত আল-আশজাঈর কিসাসের দাবি উত্থাপন করেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা দিয়াত গ্রহণ করো। তারা তা অস্বীকার করলো। তখন লাইছ গোত্রের মুকাইতিল নামক এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আল্লাহর শপথ, ইসলামের বিজয় যুগে এ হত্যার দৃষ্টান্ত হলো সেই মেষ পালের মতো যা পানি পান করতে আসলে তার প্রতি তীর নিক্ষিপ্ত হলো এবং ভয়ে শেষের মেষটি পর্যন্ত পলায়ন করলো। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আমাদের সফরে থাকা অবস্থায় (এখানে) তোমরা পঞ্চাশটি উট পাবে এবং (মদীনায়) প্রত্যাবর্তনের পর পঞ্চাশটি উট পাবে। অতএব তারা দিয়াত গ্রহণ করলো। [২৬২৫]
আবূ দাউদ ৪৫০৩, আহমাদ ২০৫৭, ২৩৩৬২। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু খালিদ আল আহমার সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু তার হাদিস দলীলযোগ্য নয়। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু আদী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সালেহ কিন্তু হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ ও ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫০৪, ১১/৩৯৪ নং পৃষ্ঠা) ২. মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। সুলায়মান বিন তারখান ও সুলায়মান বিন মিহরান বলেন, তিনি মিথ্যুক। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন