hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সাওম বিষয়ক আধুনিক কিছু মাসআলা

লেখকঃ ফিকহী গবেষণা সেন্টার, আল-ইমাম ইউনিভার্সিটি

১৪
অবশকারক/অনুভূতিনাশক ঔষধ/অবেদন পদ্ধতি (Anesthesia/এনেসথেসিয়া) সাওমে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা [মূল বইয়ের ৪৪২ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।]
বিবরণ: বিভিন্ন কারণে কিছু কিছু অপারেশনে অবশ করে নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। অবশ দুই ধরণের হয়ে থাকে: ১. সম্পূর্ণ অবশ, ২. নির্দিষ্ট কোনো অঙ্গ অবশ। আর কয়েকভাবে অবশ করা হয়ে থাকে। যেমন,

ক. নাকের মাধ্যমে অবশ: এই পদ্ধতিতে রোগী গ্যাসীয় এক প্রকার পদার্থ শুঁকে, যা তার স্নায়ুতে প্রভাব ফেলে। এভাবে অবশ হয়ে যায়।

খ. শুষ্ক অবশ/অবেদন: এটি চীনের এক ধরণের চিকিৎসা পদ্ধতি। এতে রোগীর ইন্দ্রিয়ে চামড়ার নিচে তরল বা বায়বীয় আকারে নয় এমন কঠিন ও শুষ্ক সুঁই প্রবেশ করানো হয়। এর বিশেষ কার্যকারিতায় রোগী অনুভূতি ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট কোনো অঙ্গ অবশ করা হয়। এতে শরীরের অভ্যন্তরে কোনো কিছু প্রবেশ করে না।

গ. ইনজেকশনের মাধ্যমে অবশ: এই পদ্ধতিতে কখনও নির্দিষ্ট কোনো অঙ্গ, আবার কখনও রোগীকে সম্পূর্ণরূপে অবশ করা হয়। তবে রোগীকে সম্পূর্ণরূপে অবশ করার সময় দ্রুত কার্যকরী ওষুধের মাধ্যমে শিরায় ইনজেকশন দেওয়া হয়। এতে রোগী কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঘুমিয়ে যায়। এরপর নাকের মাধ্যমে শ্বাসনালীতে সরাসরি পাইপ প্রবেশ করানো হয়। অতঃপর যন্ত্রের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা হয়। এই পদ্ধতিতে সম্পূর্ণরূপে অনুভূতিনাশক গ্যাসীয় পদার্থও ভেতরে প্রবেশ করানো হয়। এক্ষণে, এসব অবেদন পদ্ধতি সাওমে কি ধরণের প্রভাব ফেলতে পারে?

হুকুম: ইনজেকশনের মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে অবশ করার পদ্ধতি ছাড়া উল্লেখিত আর কোনো পদ্ধতি সাওম ভঙ্গকারী হিসাবে গণ্য হবে না। প্রথম পদ্ধতিতে নাকের মধ্যে যে গ্যাসীয় পদার্থ প্রবেশ করানো হয়, তার একদিকে যেমন কোনো বাহ্যিক অবয়ব নেই, অন্যদিকে তেমনি তাতে কোনো খাদ্য উপাদানও নেই। অতএব, তা সাওমে কোনো প্রভাব ফেলবে না। আর চীনের পদ্ধতি এবং ইনজেকশনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোনো অঙ্গ অবশ করার পদ্ধতিতে যেহেতু পেটে কোনো প্রকার পদার্থ প্রবেশ করে না, সেহেতু তাও সাওম ভঙ্গ করবে না।

তবে সাওম পালনকারী রোগীকে ইনজেকশনের মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে অবশ করলে সে পুরোপুরি অনুভূতিশূন্য হয়ে যায়। আর সাওম পালনকারী অনুভূতিশূন্য হলে তার সাওম ভাঙ্গবে কিনা সে বিষয়ে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। অনুভূতি লোপ দুই ধরণের হয়ে থাকে:

এক. সারা দিন অনুভূতিশূন্য থাকা: অধিকাংশ ফক্বীহ্‌র নিকট, সারা দিন কারো অনুভূতি না থাকলে তার সাওম শুদ্ধ হবে না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ বলেন,

«كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ لَهُ، إِلَّا الصِّيَامَ، فَإِنَّهُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ»

“সাওম ব্যতীত বনী আদমের প্রত্যেকটি আমল তার নিজের। সাওম আমার জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দেব”।

সহীহ মুসলিমের অন্য বর্ণনায় এসেছে,

«يَدَعُ شَهْوَتَهُ وَأَكْلَهُ وَشُرْبَهُ مِنْ أَجْلِي»

“সে আমার জন্য তার যৌন বাসনা এবং খানা পরিত্যাগ করেছে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯০৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৫১।] হাদীসে এসব বিষয় বর্জন সাওম পালনকারীর দিকে সম্বন্ধিত করা হয়েছে; কিন্তু কোনো বেহুশের ক্ষেত্রে এমন সম্বন্ধ যথাযথ হবে না।

মুহাম্মাদ উসাইমীন রহ. এই মত সমর্থন করেছেন।

কারো কারো মতে, ঐ সাওম পালনকারীর সাওম শুদ্ধ হবে। কেননা সে সাওমের নিয়্যত করেছে। আর অনুভূতিশূন্য হয়ে যাওয়ার বিষয়টি ঠিক ঘুমের মত; এতে কোনো ক্ষতি হবে না।

দুই. দিনের কিছু অংশ অনুভূতিশূন্য থাকা: ইমাম মালেক রহ.-এর মতে, এমতাবস্থায় তার সাওম শুদ্ধ হবে না। ইমাম শাফে‘ঈ ও আহমাদ রহ.–এর মতে, সে দিনের যে কোনো অংশে জ্ঞান ফিরে পেলে তার সাওম শুদ্ধ হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন