মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
চাঁদ প্রমাণের ক্ষেত্রে জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব-নিকাশের ওপর নির্ভর করার বিধান [মূল বইয়ের ৪০০ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/135/4
বিবরণ: চাঁদ প্রমাণের জন্য চাঁদ দর্শনই ইসলামী শরী‘আতে গ্রহণযোগ্য পন্থা; কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এক্ষেত্রে জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব-নিকাশের ওপর নির্ভর করা যাবে কি? বিশেষ করে বর্তমান যুগের কোনো কোনো বিদ্যান বলে থাকেন, জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব-নিকাশ চূড়ান্ত। কেননা আল্লাহ বলেন,
“চাঁদের জন্য আমি বিভিন্ন মনযিল নির্ধারিত করেছি। অবশেষে সেটি পুরাতন খেজুর শাখার আকার লাভ করে”। [সূরা ইয়াসীন, আয়াত: ৩৯]
অন্যত্র তিনি বলেন,
﴿ٱلشَّمۡسُ وَٱلۡقَمَرُ بِحُسۡبَانٖ ٥﴾ [ الرحمن : ٥ ]
“সূর্য ও চন্দ্র নির্ধারিত হিসাব মতো চলে”। [সূরা আর-রহমান, আয়াত: ৫] অর্থাৎ সূর্য এবং চন্দ্র সুনির্দিষ্ট হিসেব অনুযায়ী পরিচালিত, যে হিসাবের কোনো ব্যত্যয় ঘটে না। অনুরূপভাবে চার ঋতুর হিসেবেরও কোনো পরিবর্তন ঘটে না। তাছাড়া কোনো অভ্যাস যখন একই নিয়ম-নীতিতে চলতে থাকে, তখন তা নিশ্চয়তার ফায়দা দেয়।
তারা বলেন, বর্তমান যুগে জ্যোতির্বিদ্যা চরম উন্নতি সাধন করেছে এবং সূক্ষ্মভাবে তারকা, নক্ষত্র এবং ছায়াপথের হিসাব-নিকাশ রাখা সহজসাধ্য হয়েছে। আর সূর্য ও চন্দ্রের হিসাবতো জ্যোতির্বিজ্ঞানীগণের নিকট খুব স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ফলে জ্যোতির্বিজ্ঞানীগণ জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব-নিকাশকে চূড়ান্ত বলে দৃঢ়তা প্রকাশ করে থাকেন। এসব কিছুই উপরোক্ত বক্তব্যকে আরো শক্তিশালী করে। তাহলে শরী‘আত যেহেতু চাঁদ প্রমাণের জন্য চাঁদ দর্শনের নিয়ম নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেহেতু জ্যোতির্বিজ্ঞানের এসব হিসাব-নিকাশ কি কোনো আমলেই আনা যাবে না? নাকি শুধুমাত্র চাঁদ না দেখার পক্ষের প্রমাণ হিসাবে এগুলোর প্রতি নির্ভর করা যাবে, চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে নয়?
পর্যালোচনা: আগের এবং বর্তমান যুগের আলিমগণ এই মাসআলায় তিনটি মত প্রকাশ করেছেন:
প্রথম মত: হানাফী, শাফে‘ঈ, মালেকী এবং হাম্বলী মাযহাবের অধিকাংশ ফকীহ’র মতে, চাঁদ দেখা বা না দেখা কোনোটার প্রমাণে জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব-নিকাশের ওপর নির্ভর করা যাবে না। মহান আল্লাহ বলেন,
“তোমরা (রমযানের) চাঁদ দেখে সাওম পালন করবে এবং (শাওয়ালের) চাঁদ দেখে সাওম ছেড়ে দিবে। মেঘ বা অন্য কোনো কারণে যদি চাঁদ দেখা বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে ৩০ দিন সাওম পালন করবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮১০; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৮১।]
“তোমরা চাঁদ দেখে সাওম পালন করবে এবং চাঁদ দেখে সাওম ছেড়ে দিবে। যদি (মেঘ বা অনুরূপ কারণে) চাঁদ দেখা বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে (৩০ দিন) হিসাব কর”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯০০; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৮০।]
এই পক্ষাবলম্বনকারীগণ বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাঁদ দেখার সাথে সাওম পালন এবং সাওম ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টিকে শর্তযুক্ত করেছেন। সাথে সাথে তিনি উম্মতকে এমর্মে নির্দেশ দিয়েছেন যে, ত্রিশতম রাতে যদি মেঘ বা অন্য কোনো কারণে চাঁদ দর্শন বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে তারা যেন ৩০দিন পূর্ণ করে নেয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাঁদ প্রমাণের জন্য এতসব হিসাব-নিকাশের নির্দেশ উম্মতকে দেন নি; বরং কেবল চাঁদ দর্শনের মধ্যেই নতুন মাস শুরু হওয়া না হওয়ার বিষয়টি সীমাবদ্ধ করে দিয়েছেন। অতএব, শরী‘আতের দৃষ্টিতে চাঁদ দর্শন ব্যতীত অন্য কোনো উপায় চাঁদ প্রমাণের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়। এই বিধানটি ক্বিয়ামত পর্যন্ত শহুরে এবং বেদুঈন সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। যদি সময় নির্ধারণের অন্য কোনো উপায় থাকত, তাহলে আল্লাহ তা তাঁর বান্দাদেরকে বলে দিতেন।
‘রাবেত্বাতুল আলাম আল-ইসলামী-এর প্রতিষ্ঠান ‘ইসলামী ফিক্বহ একাডেমী’ এই মতের পক্ষাবলম্বন করেছে। এমনকি যেসব এলাকার আকাশে বেশির ভাগ সময় মেঘ থাকে, সেসব এলাকাতেও এই বিধান প্রযোজ্য বলে মন্তব্য পেশ করেছে।
‘মুনাযযামাতুত-তা‘আউন আল-ইসলামী’-এর প্রতিষ্ঠান ‘আন্তর্জাতিক ইসলামী ফিকহ একাডেমী’ বলেছে, চাঁদ দর্শনের ওপর নির্ভর করা অপরিহার্য, তবে হাদীস এবং আধুনিক বিজ্ঞানের প্রতি খেয়াল রেখে এক্ষেত্রে জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব-নিকাশের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।
সঊদী আরবের ফাতওয়া বোর্ডের স্থায়ী কমিটি ‘আল-লাজনাহ আদ-দায়েমাহ লিল-বুহূছ আল-ইলমিয়্যাহ ওয়াল-ইফতা’-ও এই মত সমর্থন করেছেন।
দ্বিতীয়ত: জ্যোতির্বিজ্ঞানসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের অন্যান্য যে কোনো শাখা কতটা উন্নতি লাভ করেছে বা করবে, সে বিষয়ে মহান আল্লাহ সম্যক অবগত। এতদসত্ত্বেও তিনি বলেছেন, ﴿فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ ٱلشَّهۡرَ فَلۡيَصُمۡهُۖ﴾ “ফলে তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের সাওম পালন করবে” এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ “তোমরা চাঁদ দেখে সাওম রাখো এবং চাঁদ দেখে সাওম ছেড়ে দাও”। এখানে আল্লাহ চাঁদ দেখার সাথে সাওম পালন এবং সাওম ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টিকে শর্তযুক্ত করেছেন, জ্যোতির্বিদ্যার হিসাব-নিকাশের সাথে শর্তযুক্ত করেন নি, অথচ আল্লাহ জানতেন, জ্যোতির্বিজ্ঞানীগণ জ্যোতিষশাস্ত্রে এতো বেশি উন্নতি সাধন করবে। অতএব, চাঁদ দেখে সাওম পালন করা এবং চাঁদ দেখে সাওম ছেড়ে দেওয়ার ইলাহী এই বিধানের দিকে ফিরে যাওয়া প্রত্যেকটি মুসলিমের ওপর অপরিহার্য। এই বিধানটি এক ধরণের ‘ইজমা’য় পরিণত হয়েছে। ফলে যে ব্যক্তি এর বিরোধিতা করে জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব-নিকাশের ওপর নির্ভর করবে, তার কথা ব্যতিক্রমী হিসাবে প্রমাণিত হবে এবং তার কথার ওপর নির্ভর করা যাবে না।
দ্বিতীয় মত: চাঁদ না দেখতে পাওয়া বা দেখতে পাওয়া উভয়ের প্রমাণ হিসেবে জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব-নিকাশের ওপর নির্ভর করা যাবে। এই অভিমতটি ইবন সুরাইজ, যা ইমাম শাফে‘ঈর একটি মত হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, মুত্বাররিফ ইবন আব্দুল্লাহ আশ-শিখখীর, ইবন কুতায়বা, ইবনস-সুবকী প্রমুখের বলে মনে করা হয়। অবশ্য ইবন আব্দিল বার এই অভিমতটি ইমাম শাফে‘ঈ এবং মুত্বাররিফ-এর নয় বলে মন্তব্য করেছেন। ইবন হাজার রহ. বলেছেন, ইমাম শাফে‘ঈ এই মতের পক্ষে নন; বরং তিনি বেশির ভাগ বিদ্যানের মতের পক্ষে।
বর্তমান যুগের আলিম সমাজের মধ্যে শাইখ আহমাদ শাকের এবং শাইখ মোস্তফা যারক্বা রহ. মনে করেন, জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব-নিকাশের ওপর পুরোপুরিভাবে নির্ভর করা যাবে।
তারা নিম্নোক্ত আয়াতটিকে দলীল হিসাবে পেশ করে থাকেন, ﴿ٱلشَّمۡسُ وَٱلۡقَمَرُ بِحُسۡبَانٖ ٥﴾ [ الرحمن : ٥ ] “সূর্য ও চন্দ্র নির্ধারিত হিসাব মতো চলে” [সূরা আর-রহমান, আয়াত: ৫]। তারা বলেন, মহান আল্লাহ এসব গ্রহ-নক্ষত্র বিশেষ হিসাব-নিকাশ এবং প্রজ্ঞার সাথে সৃষ্টি করেছেন, এগুলো এলোপাতাড়িভাবে প্রবহমান নয়; বরং আল-কুরআনের বক্তব্য অনুযায়ী এসব গ্রহ-নক্ষত্র কীভাবে চলে, সে সম্পর্কে জানতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন,
“তিনিই সেই মহান সত্তা, যিনি সূর্যকে উজ্জ্বল আলোকময় এবং চন্দ্রকে স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে সৃষ্টি করেছেন। আর এর (গতির) জন্য মনযীলসমূহ নির্ধারিত করেছেন, যাতে তোমরা বছরসমূহের সংখ্যা ও হিসাব জানতে পার। আল্লাহ এ সমস্ত বস্তু যথার্থতার সাথে সৃষ্টি করেছেন। তিনি এই প্রমাণাদি বিশদভাবে বর্ণনা করেন ঐসব লোকের জন্য যারা জ্ঞানবান।” [সূরা ইউনূস, আয়াত: ৫] নিম্নোক্ত হাদীসদ্বয়কে তারা দলীল হিসাবে পেশ করে থাকেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“তোমরা চাঁদ দেখে সাওম পালন করবে এবং চাঁদ দেখে সাওম ছেড়ে দিবে। যদি মেঘের কারণে চাঁদ দেখা বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে হিসাব কর”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯০০; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৮০।] উক্ত হাদীসে হিসাব-নিকাশ করার এবং মস্তিষ্ক ও বুদ্ধি খাটানোর প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
অন্য হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“আমরা নিরক্ষর জাতি। আমরা লিখি না এবং (গ্রহ-নক্ষত্রের) হিসাবও করি না। তবে মাস এরূপ এরূপ হয়ে থাকে অর্থাৎ কখনও ঊনত্রিশ দিনে আবার কখনও ত্রিশ দিনে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৯১৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০৮০।]
উক্ত হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গ্রহ-নক্ষত্রের হিসাব-নিকাশ না জানার কারণে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করতে বলেছেন; কিন্তু এখন যেহেতু গ্রহ-নক্ষত্রের হিসাব-নিকাশ না জানার এই কারণটি নেই এবং মানুষের আজ চাঁদ দেখার মত বা তার চেয়ে বেশি জ্যোতির্বিজ্ঞানের ওপর আস্থা রাখা সম্ভব হয়েছে, সেহেতু মানুষ চন্দ্রমাসের শুরু প্রমাণের ক্ষেত্রে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ওপর নির্ভর করতে পারে।
এই মতাবলম্বীগণ আরো বলেন, চোখের দর্শন এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব-নিকাশ চন্দ্রমাসের শুরু প্রমাণের দু’টি মাধ্যম মাত্র। এদু’টির একটি অন্যটির স্থলাভিষিক্ত। দু’টির যেকোন একটি বিদ্যমান থাকলে মাসের শুরু প্রমাণিত হবে। আর আমরা চাঁদ দর্শনকে ইবাদত মনে করি না; বরং চাঁদকে মাস শুরু হওয়ার মাধ্যম হিসাবে সৃষ্টি করা হয়েছে মাত্র।
তারা মাসের শুরু প্রমাণের জন্য চাঁদ দর্শনকে সালাতের ওয়াক্ত প্রমাণের ওপর ক্বিয়াস করে বলেছেন, সারা পৃথিবীতে সালাতের ওয়াক্ত আজ জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব-নিকাশের ওপর নির্ভর করে চলেছে। আমরা একজন আলিমকেও জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব-নিকাশকে বাদ দিয়ে শুধু সূর্য দেখে সালাতের ওয়াক্ত প্রবেশের হিসাব কষতে দেখি না। তাহলে হিজরী মাসের প্রারম্ভ নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই হিসাব-নিকাশের বাস্তবায়ন কেন নিষিদ্ধ হবে!
তৃতীয় মত: চাঁদ না দেখতে পাওয়ার প্রমাণ হিসাবে জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব-নিকাশের ওপর নির্ভর করা যাবে; চাঁদ দেখতে পাওয়ার প্রমাণ হিসাবে নয়। অর্থাৎ জ্যোতির্বিদ্যার হিসাব-নিকাশ যদি নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করে যে, (আজ) চাঁদ দেখা সম্ভব নয়, কেননা চাঁদ আজ সূর্যের আগে ডুবে যাবে, অতঃপর সূর্য ডুবার পরে কেউ সাক্ষ্য দেয় যে, সে চাঁদ দেখেছে, তাহলে তার সাক্ষ্য প্রত্যাখ্যাত হবে। পক্ষান্তরে জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব যদি প্রমাণ করে যে, আজ সূর্য ডুবার পরে চাঁদ দেখা সম্ভব, কিন্তু মেঘ, ধূলা, ধোঁয়া বা অন্য কোনো কারণে যদি দেখা না যায়, তাহলে এক্ষেত্রে জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব-নিকাশের ওপর নির্ভর করা যাবে না; বরং ৩০ দিন পূর্ণ করতে হবে। বর্তমান যুগের কতিপয় আলিম এই মতকে সমর্থন করেছেন। তাদের মধ্যে শাইখ মুহাম্মাদ ইবন ছালেহ আল-উসাইমীন রহ.-এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
তারা বলেন, ফকীহগণের নিকট অনুসৃত মূলনীতি হচ্ছে, কোনো সাক্ষ্য যতক্ষণ তাকে মিথ্যা প্রতিপন্নকারী বিষয় থেকে মুক্ত না হতে পারবে, ততক্ষণ সেই সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে না। এই মূলনীতির আলোকে দেখা যাচ্ছে, সূর্যাস্তের পর চাঁদ দেখার সাক্ষ্য প্রদানকারীর সাক্ষ্য তার সাক্ষ্যকে মিথ্যা প্রতিপন্নকারী বিষয় থেকে মুক্ত নয়। কেননা জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব নিশ্চিতভাবে বলছে যে, আজ চাঁদ সূর্যাস্তের পূর্বে অস্তমিত হয়ে গেছে।…
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/135/4
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।