HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হজের পরে

লেখকঃ মুহাম্মাদ আব্দুর রব আফ্‌ফান

কতিপয় আমল কবূলের কারণ ও উপায়
১। স্বীয় আমলকে বড় মনে না করা ও তার ওপর গর্ব না করা:

মানুষ যত আমলই করুক না কেন আল্লাহ তার দেহ থেকে শুরু করে সার্বিকভাবে যত নি‘আমত তাকে প্রদান করেছেন, সে তুলনায় মূলত সে আল্লাহর কিছুই হক আদায় করতে পারে নি। সুতরাং একনিষ্ট ও খাঁটি মুমিনের চরিত্র হলো তারা তাদের আমলসমূহকে তুচ্ছ জ্ঞান করবে, বড় মনে করে গর্ব-অহংকার করবে না; যার ফলে তাদের সাওয়াব নষ্ট হয়ে যায় ও সৎ আমল করার ক্ষেত্রে অলসতা এসে যায়।

স্বীয় আমলকে তু্চ্ছ জ্ঞান করার সহায়ক বিষয়: (১) আল্লাহ তা‘আলা সম্পর্কে যথাযথভাবে জানা (২) আল্লাহর নি‘আমতসমূহ উপলব্ধি করা ও (৩) নিজের গুনাহ-খাতা ও অসম্পূর্ণতাকে স্মরণ করা। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গুরু দায়িত্ব অর্পণের পরে অসীয়ত করেন,

﴿وَلَا تَمۡنُن تَسۡتَكۡثِرُ ٦﴾ [ المدثر : ٦ ]

“(নবুওয়াতের বোঝা বহন করতঃ) আপনি (আপনার রবের প্রতি) অনুগ্রহ প্রকাশ করবেন না, বরং বেশি বেশি আমল করতে সচেষ্ট থাকুন। [সূরা আল-মুদ্দাসসির, আয়াত: ৬]

২। আমলটি কবূল হবে কিনা, এ মর্মে শঙ্কিত থাকা:

সালাফে সালেহীন-সাহাবায়ে কিরাম আমল কবূল হওয়ার ব্যাপারটিকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতেন, এমনকি তারা ভয় ও আশঙ্কায় থাকতেন। যেমন, আল্লাহ তাদের অবস্থা বর্ণনা করে বলেন

﴿ وَٱلَّذِينَ يُؤۡتُونَ مَآ ءَاتَواْ وَّقُلُوبُهُمۡ وَجِلَةٌ أَنَّهُمۡ إِلَىٰ رَبِّهِمۡ رَٰجِعُونَ ٦٠ ﴾ [ المؤمنون : ٦٠ ]

“যারা ভীত কম্পিত হয়ে দান করে যা দান করার; কেননা তারা তাদের রবের নিকট প্রত্যাবর্তন করবে। [সূরা আল-মুমিনূন, আয়াত: ৬০]

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়াতটির ব্যাখ্যা করেন, তারা সাওম পালন করে, সালাত আদায় করে, দান-খয়রাত করে আর ভয় করে যে, মনে হয় তা কবূল হয় না।

আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তোমাদের পক্ষ থেকে তোমাদের আমলসমূহ কবূল হওয়ার ব্যাপারে তোমরা খুব বেশি গুরুত্ব প্রদান কর। তোমরা কি আল্লাহর বাণী শ্রবণ কর না,

﴿إِنَّمَا يَتَقَبَّلُ ٱللَّهُ مِنَ ٱلۡمُتَّقِينَ﴾ [ المائ‍دة : ٢٧ ]

“নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকীদের পক্ষ হতেই কবূল করে থাকেন”। [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ২৭]

৩। আমল কবূলের আশা পোষণ ও দো‘আ করা:

আল্লাহর প্রতি ভয়ই যথেষ্ট নয়, বরং অনুরূপ তাঁর নিকট আশা পোষণ করতে হবে। কেননা আশা বিহীন ভয় নিরাশ হওয়ার কারণ এবং ভয় বিহীন আশা আল্লাহর শাস্তি থেকে নিজেকে মুক্ত মনে করার কারণ। অথচ উভয়টিই দোষণীয়, যা মানুষের আকীদা ও আমলে মন্দ প্রভাব বিস্তার করে।

জেনে রাখুন! আমল প্রত্যাখ্যান হয়ে যাওয়ার ভয়-আশঙ্কার সাথে সাথে আমল কবূলের আশা পোষণ মানুষের জন্যে বিনয়-নম্রতা ও আল্লাহ ভীতি এনে দেয়। যার ফলে তার ঈমান বৃদ্ধি পায়। যখন বান্দার মধ্যে আশা পোষণের গুণ সাব্যস্ত হয় তখন সে অবশ্যই তার আমল কবূল হওয়ার জন্য তার প্রভূর নিকট দু’হাত তুলে প্রার্থনা করে; যেমন করেছিলেন আমাদের পিতা ইবরাহীম খলীল ও তার পুত্র ইসমাঈল আলাইহিমাস সালাম, যা আল্লাহ তা‘আলা তাদের কা‘বাগৃহ নির্মাণের ব্যাপারটি উল্লেখ করে বর্ণনা করেন,

﴿وَإِذۡ يَرۡفَعُ إِبۡرَٰهِ‍ۧمُ ٱلۡقَوَاعِدَ مِنَ ٱلۡبَيۡتِ وَإِسۡمَٰعِيلُ رَبَّنَا تَقَبَّلۡ مِنَّآۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ ١٢٧﴾ [ البقرة : ١٢٧ ]

“যখন ইবরাহীম ও ইসমাঈল বায়তুল্লাহ’র ভিত্তি বুলন্দ করেন, (দো‘আ করেন) হে আমাদের রব তুমি আমাদের দো‘আ কবূল করে নিও। নিশ্চয় তুমি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১২৭]

৪। বেশি বেশি ইস্তেগফার-ক্ষমা প্রার্থনা:

মানুষ তার আমলকে যতই পরিপূর্ণ করার জন্য সচেষ্ট হোক না কেন, তাতে অবশ্যই ত্রুটি ও অসম্পূর্ণতা থেকেই যাবে। এজন্যেই আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে শিক্ষা দান করেছেন, কীভাবে আমরা সে অসম্পূর্ণতাকে দূর করবো। সুতরাং তিনি আমাদেরকে ইবাদাত-আমলের পর ইস্তেগফার-ক্ষমা প্রার্থনার শিক্ষা দান করেন। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা হজের হুকুম বর্ণনার পর বলেন,

﴿ثُمَّ أَفِيضُواْ مِنۡ حَيۡثُ أَفَاضَ ٱلنَّاسُ وَٱسۡتَغۡفِرُواْ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ١٩٩﴾ [ البقرة : ١٩٩ ]

“অতঃপর তোমরা (আরাফাত) থেকে প্রত্যাবর্তন করে, এসো যেখান থেকে লোকেরা প্রত্যাবর্তন করে আসে। আর আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাক, নিশ্চয় আল্লাহ মহা ক্ষমাশীল ও দয়াবান”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৯৯]

তাই তো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক সালাতের পর তিনবার করে “আস্তগফিরুল্লাহ” (আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি) বলতেন।

৫। বেশি বেশি সৎ আমল করা:

নিশ্চয় সৎ আমল একটি উত্তম বৃক্ষ। বৃক্ষ চায় তার পরিচর্যা, যেন সে বৃদ্ধি লাভ করে সুদৃঢ় হয়ে যথাযথ ফল দিতে পারে। সৎ আমলের পর সৎ আমল করে যাওয়া অবশ্যই আমল কবূলের একটি অন্যতম আলামত। আর এটি আল্লাহর বড় অনুগ্রহ ও নি‘আমত, যা তিনি তার বান্দাকে প্রদান করে থাকেন। যদি বান্দা উত্তম আমল করে ও তাতে ইখলাস বজায় রাখে তখন আল্লাহ তার জন্য অন্যান্য উত্তম আমলের দরজা খুলে দেন। যার ফলে তার নৈকট্যও বৃদ্ধি পায়।

৬। সৎ আমলের স্থায়ীত্ব ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখা:

যে ব্যক্তি নেকী অর্জনের মৌসুম অতিবাহিত করার পর সৎ আমলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চায়, তার জন্য জরুরি হলো সে যেন সৎ আমলে স্থায়ী ও অটল থাকার গুরুত্ব, ফযীলত, উপকারিতা, তার প্রভাব, তা অর্জনের সহায়ক বিষয় ও এক্ষেত্রে সালাফে সালেহীনের অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন