HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
হজের পরে
লেখকঃ মুহাম্মাদ আব্দুর রব আফ্ফান
৬
সৎ আমলের ওপর স্থায়ী ও অটল থাকার প্রভাব ও উপকারিতা:আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সৎ আমলের হিফাযতকারী বান্দাদেরকে বহুভাবে সম্মানিত ও উপকৃত করে থাকেন। যেমন,
১। স্রষ্টার সাথে তার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ, যা তাকে অগাধ শক্তি, দৃঢ়তা, আল্লাহর সাথে নিবিড় সম্পর্ক ও তাঁর ওপর মহা আস্থা তৈরি করে দেয়। এমনকি তার দুঃখ-কষ্ট ও চিন্তা-ভাবনায় আল্লাহই যথেষ্ট হয়ে যান। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَمَن يَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱللَّهِ فَهُوَ حَسۡبُهُ﴾ [ الطلاق : ٣ ]
“যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করবে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট”। [সূরা আত-ত্বালাক, আয়াত: ৩]
২। অলসতা-উদাসীনতা থেকে অন্তরকে ফিরিয়ে রেখে সৎ আমলকে আঁকড়ে ধরার প্রতি অভ্যস্ত করা, যেন ক্রমান্নয়ে তা সহজ হয়ে যায়। যেমন, কথিত আছে, “তুমি তোমার অন্তরকে যদি সৎ আমলে পরিচালিত না কর, তবে সে তোমাকে গুনাহের দিকে পরিচালিত করবে”।
৩। এ নীতি অবলম্বন হলো আল্লাহর মুহাব্বত ও অভিভাবকত্ব লাভের উপায়। যেমন, হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ বলেন,
«مَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إِلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ»
“আমার বান্দা নফল ইবাদাতসমূহ দ্বারা আমার নৈকট্য অর্জন করতেই থাকে, এমনকি তাকে আমি মুহাব্বত করতে শুরু করি---”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৫০২।]
৪। সৎ আমলে অবিচল থাকা বিপদ-আপদে মুক্তির একটি কারণ। যেমন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে উপদেশ দেন:
«احفظ الله يحفظْك، احفظ الله تَجدْه أمامك، تَعَرَّف إليه في الرخاء يَعْرِفْك في الشدة»
“আল্লাহকে হিফাযত কর তিনি তোমাকে হিফাযত করবেন, আল্লাহকে হিফাযত কর, তুমি তাঁকে তোমার সামনে পাবে; সুখে-শান্তিতে তাঁকে চেন, তিনি তোমাকে বিপদে চিনবেন”। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ২৮০৪।]
৫। সৎ আমলে অবিচলতা অশ্লীলতা ও মন্দ আমল থেকে বিরত রাখে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿إِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ تَنۡهَىٰ عَنِ ٱلۡفَحۡشَآءِ وَٱلۡمُنكَرِۗ ﴾ [ العنكبوت : ٤٥ ]
“নিশ্চয় সালাত অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে”। [সূরা আল-‘আনকাবূত, আয়াত: ৪৫]
৬। সৎ আমলে অবিচল থাকা গুনাহ-খাতা মিটে যাওয়ার একটি কারণ। যেমন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهَرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ فِيهِ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسًا، مَا تَقُولُ : ذَلِكَ يُبْقِي مِنْ دَرَنِهِ " قَالُوا : لاَ يُبْقِي مِنْ دَرَنِهِ شَيْئًا، قَالَ : «فَذَلِكَ مِثْلُ الصَّلَوَاتِ الخَمْسِ، يَمْحُو اللَّهُ بِهِ الخَطَايَا»
“তোমাদের কারো দরজায় যদি একটি নদী থাকে, আর সে তাতে প্রতিদিন পাঁচবার করে গোসল করে, তবে তার দেহে কি কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে? সাহাবীগণ বলেন, না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন: এমনই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, আল্লাহ যার দ্বারা গুনাহসমূহকে মিটিয়ে দেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫২৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৬৭।]
৭। সৎ আমলে স্থায়ী ও অটল থাকা, উত্তম শেষ পরিণামের কারণ। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَٱلَّذِينَ جَٰهَدُواْ فِينَا لَنَهۡدِيَنَّهُمۡ سُبُلَنَاۚ وَإِنَّ ٱللَّهَ لَمَعَ ٱلۡمُحۡسِنِينَ ٦٩﴾ [ العنكبوت : ٦٩ ]
“যারা আমাদের পথে চেষ্টা-সাধনা করবে অবশ্যই আমরা তাদেরকে আমাদের পথ দেখিয়ে দিব। নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মশীলদের সাথে আছেন”। [সূরা আল-‘আনকাবূত: ৬৯]
৮। এটি কিয়ামতের দিন হিসাব সহজ হওয়া ও আল্লাহর ক্ষমা লাভের উপায়।
৯। এ নীতি মুনাফেকী থেকে অন্তরের পরিশুদ্ধতা ও জাহান্নামের আগুন থেকে পরিত্রাণের একটি উপায়। যেমন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ صَلَّى لِلَّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا فِي جَمَاعَةٍ يُدْرِكُ التَّكْبِيرَةَ الأُولَى كُتِبَ لَهُ بَرَاءَتَانِ : بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ، وَبَرَاءَةٌ مِنَ النِّفَاقِ»
“যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন (ক্রমাগত) জামা‘আতের সাথে প্রথম তাকবীর পেয়ে আল্লাহর জন্য সালাত আদায় করবে তার জন্য দু’প্রকার মুক্তির ঘোষণা: (১) জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি ও (২) মুনাফেকী থেকে মুক্তি। [তিরমিযী, হাদীস নং ২৪১।]
১০। এটি জান্নাতে প্রবেশের উপায়: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«مَنْ أَنْفَقَ زَوْجَيْنِ فِي سَبِيلِ اللهِ نُودِيَ فِي الْجَنَّةِ : يَا عَبْدَ اللهِ، هَذَا خَيْرٌ، فَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّلَاةِ، دُعِيَ مِنْ بَابِ الصَّلَاةِ، وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الْجِهَادِ، دُعِيَ مِنْ بَابِ الْجِهَادِ، وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّدَقَةِ، دُعِيَ مِنْ بَابِ الصَّدَقَةِ، وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصِّيَامِ، دُعِيَ مِنْ بَابِ الرَّيَّانِ»
“যে ব্যক্তি কোনো জিনিসের দু’প্রকার আল্লাহর রাস্তায় খরচ করল, তাকে জান্নাতের দরজাসমূহ থেকে আহ্বান করা হবে। জান্নাতের রয়েছে আটটি দরজা, সুতরাং যে ব্যক্তি সালাত আদায়কারী, তাকে সালাতের দরজা দিয়ে আহ্বান করা হবে, যে ব্যক্তি মুজাহিদ, তাকে জিহাদের দরজা দিয়ে আহ্বান করা হবে, যে ব্যক্তি দান-খয়রাতকারী, তাকে দান-খয়রাতের দরজা দিয়ে আহ্বান করা হবে এবং যে ব্যক্তি সাওম পালনকারী তাকে রাইয়্যান নামক দরজা দিয়ে আহ্বান করা হবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৯৭, ৩৬৬৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০২৭।]
১১। যে ব্যক্তি নিয়মিত সৎ আমল করে, অতঃপর অসুস্থতা, সফর বা অনিচ্ছাকৃত ঘুমের কারণে যদি সে আমল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তবে তার জন্য সে আমলের সাওয়াব লিখা হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “বান্দা যখন অসুস্থ হয় বা সফর করে, তবে তার জন্য অনুরূপ সাওয়াব লিখা হয়, যা সে গৃহে অবস্থানরত অবস্থায় ও সুস্থ অবস্থায় করত”। [সহীহ বুখারী।] এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَا مِنَ امْرِئٍ تَكُونُ لَهُ صَلَاةٌ بِلَيْلٍ فَغَلَبَهُ عَلَيْهَا نَوْمٌ إِلَّا كَتَبَ اللَّهُ لَهُ أَجْرَ صَلَاتِهِ، وَكَانَ نَوْمُهُ صَدَقَةً عَلَيْهِ»
“যে ব্যক্তির রাতে সালাত ছিল; কিন্তু তা হতে নিদ্রা তার ওপর প্রভাব বিস্তার করে, তবে আল্লাহ তার জন্য সে সালাতের সাওয়াব লিখে দিবেন এবং তার সে নিদ্রা হবে তার জন্য সদকাস্বরূপ। [নাসাঈ, হাদীস নং ১৭৮৪।]
অতএব, আমরা যারা হজ মৌসুমে নিজেকে সংশোধন ও পরিবর্তন করেছি তাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করি, আমরা যেন নিম্নের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য করি:
১। স্রষ্টার সাথে তার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ, যা তাকে অগাধ শক্তি, দৃঢ়তা, আল্লাহর সাথে নিবিড় সম্পর্ক ও তাঁর ওপর মহা আস্থা তৈরি করে দেয়। এমনকি তার দুঃখ-কষ্ট ও চিন্তা-ভাবনায় আল্লাহই যথেষ্ট হয়ে যান। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَمَن يَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱللَّهِ فَهُوَ حَسۡبُهُ﴾ [ الطلاق : ٣ ]
“যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করবে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট”। [সূরা আত-ত্বালাক, আয়াত: ৩]
২। অলসতা-উদাসীনতা থেকে অন্তরকে ফিরিয়ে রেখে সৎ আমলকে আঁকড়ে ধরার প্রতি অভ্যস্ত করা, যেন ক্রমান্নয়ে তা সহজ হয়ে যায়। যেমন, কথিত আছে, “তুমি তোমার অন্তরকে যদি সৎ আমলে পরিচালিত না কর, তবে সে তোমাকে গুনাহের দিকে পরিচালিত করবে”।
৩। এ নীতি অবলম্বন হলো আল্লাহর মুহাব্বত ও অভিভাবকত্ব লাভের উপায়। যেমন, হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ বলেন,
«مَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إِلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ»
“আমার বান্দা নফল ইবাদাতসমূহ দ্বারা আমার নৈকট্য অর্জন করতেই থাকে, এমনকি তাকে আমি মুহাব্বত করতে শুরু করি---”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৫০২।]
৪। সৎ আমলে অবিচল থাকা বিপদ-আপদে মুক্তির একটি কারণ। যেমন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে উপদেশ দেন:
«احفظ الله يحفظْك، احفظ الله تَجدْه أمامك، تَعَرَّف إليه في الرخاء يَعْرِفْك في الشدة»
“আল্লাহকে হিফাযত কর তিনি তোমাকে হিফাযত করবেন, আল্লাহকে হিফাযত কর, তুমি তাঁকে তোমার সামনে পাবে; সুখে-শান্তিতে তাঁকে চেন, তিনি তোমাকে বিপদে চিনবেন”। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ২৮০৪।]
৫। সৎ আমলে অবিচলতা অশ্লীলতা ও মন্দ আমল থেকে বিরত রাখে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿إِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ تَنۡهَىٰ عَنِ ٱلۡفَحۡشَآءِ وَٱلۡمُنكَرِۗ ﴾ [ العنكبوت : ٤٥ ]
“নিশ্চয় সালাত অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে”। [সূরা আল-‘আনকাবূত, আয়াত: ৪৫]
৬। সৎ আমলে অবিচল থাকা গুনাহ-খাতা মিটে যাওয়ার একটি কারণ। যেমন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهَرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ فِيهِ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسًا، مَا تَقُولُ : ذَلِكَ يُبْقِي مِنْ دَرَنِهِ " قَالُوا : لاَ يُبْقِي مِنْ دَرَنِهِ شَيْئًا، قَالَ : «فَذَلِكَ مِثْلُ الصَّلَوَاتِ الخَمْسِ، يَمْحُو اللَّهُ بِهِ الخَطَايَا»
“তোমাদের কারো দরজায় যদি একটি নদী থাকে, আর সে তাতে প্রতিদিন পাঁচবার করে গোসল করে, তবে তার দেহে কি কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে? সাহাবীগণ বলেন, না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন: এমনই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, আল্লাহ যার দ্বারা গুনাহসমূহকে মিটিয়ে দেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫২৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৬৭।]
৭। সৎ আমলে স্থায়ী ও অটল থাকা, উত্তম শেষ পরিণামের কারণ। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَٱلَّذِينَ جَٰهَدُواْ فِينَا لَنَهۡدِيَنَّهُمۡ سُبُلَنَاۚ وَإِنَّ ٱللَّهَ لَمَعَ ٱلۡمُحۡسِنِينَ ٦٩﴾ [ العنكبوت : ٦٩ ]
“যারা আমাদের পথে চেষ্টা-সাধনা করবে অবশ্যই আমরা তাদেরকে আমাদের পথ দেখিয়ে দিব। নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মশীলদের সাথে আছেন”। [সূরা আল-‘আনকাবূত: ৬৯]
৮। এটি কিয়ামতের দিন হিসাব সহজ হওয়া ও আল্লাহর ক্ষমা লাভের উপায়।
৯। এ নীতি মুনাফেকী থেকে অন্তরের পরিশুদ্ধতা ও জাহান্নামের আগুন থেকে পরিত্রাণের একটি উপায়। যেমন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَنْ صَلَّى لِلَّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا فِي جَمَاعَةٍ يُدْرِكُ التَّكْبِيرَةَ الأُولَى كُتِبَ لَهُ بَرَاءَتَانِ : بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ، وَبَرَاءَةٌ مِنَ النِّفَاقِ»
“যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন (ক্রমাগত) জামা‘আতের সাথে প্রথম তাকবীর পেয়ে আল্লাহর জন্য সালাত আদায় করবে তার জন্য দু’প্রকার মুক্তির ঘোষণা: (১) জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি ও (২) মুনাফেকী থেকে মুক্তি। [তিরমিযী, হাদীস নং ২৪১।]
১০। এটি জান্নাতে প্রবেশের উপায়: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«مَنْ أَنْفَقَ زَوْجَيْنِ فِي سَبِيلِ اللهِ نُودِيَ فِي الْجَنَّةِ : يَا عَبْدَ اللهِ، هَذَا خَيْرٌ، فَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّلَاةِ، دُعِيَ مِنْ بَابِ الصَّلَاةِ، وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الْجِهَادِ، دُعِيَ مِنْ بَابِ الْجِهَادِ، وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّدَقَةِ، دُعِيَ مِنْ بَابِ الصَّدَقَةِ، وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصِّيَامِ، دُعِيَ مِنْ بَابِ الرَّيَّانِ»
“যে ব্যক্তি কোনো জিনিসের দু’প্রকার আল্লাহর রাস্তায় খরচ করল, তাকে জান্নাতের দরজাসমূহ থেকে আহ্বান করা হবে। জান্নাতের রয়েছে আটটি দরজা, সুতরাং যে ব্যক্তি সালাত আদায়কারী, তাকে সালাতের দরজা দিয়ে আহ্বান করা হবে, যে ব্যক্তি মুজাহিদ, তাকে জিহাদের দরজা দিয়ে আহ্বান করা হবে, যে ব্যক্তি দান-খয়রাতকারী, তাকে দান-খয়রাতের দরজা দিয়ে আহ্বান করা হবে এবং যে ব্যক্তি সাওম পালনকারী তাকে রাইয়্যান নামক দরজা দিয়ে আহ্বান করা হবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৯৭, ৩৬৬৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০২৭।]
১১। যে ব্যক্তি নিয়মিত সৎ আমল করে, অতঃপর অসুস্থতা, সফর বা অনিচ্ছাকৃত ঘুমের কারণে যদি সে আমল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তবে তার জন্য সে আমলের সাওয়াব লিখা হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “বান্দা যখন অসুস্থ হয় বা সফর করে, তবে তার জন্য অনুরূপ সাওয়াব লিখা হয়, যা সে গৃহে অবস্থানরত অবস্থায় ও সুস্থ অবস্থায় করত”। [সহীহ বুখারী।] এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
«مَا مِنَ امْرِئٍ تَكُونُ لَهُ صَلَاةٌ بِلَيْلٍ فَغَلَبَهُ عَلَيْهَا نَوْمٌ إِلَّا كَتَبَ اللَّهُ لَهُ أَجْرَ صَلَاتِهِ، وَكَانَ نَوْمُهُ صَدَقَةً عَلَيْهِ»
“যে ব্যক্তির রাতে সালাত ছিল; কিন্তু তা হতে নিদ্রা তার ওপর প্রভাব বিস্তার করে, তবে আল্লাহ তার জন্য সে সালাতের সাওয়াব লিখে দিবেন এবং তার সে নিদ্রা হবে তার জন্য সদকাস্বরূপ। [নাসাঈ, হাদীস নং ১৭৮৪।]
অতএব, আমরা যারা হজ মৌসুমে নিজেকে সংশোধন ও পরিবর্তন করেছি তাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করি, আমরা যেন নিম্নের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য করি:
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন