মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
‘সাবধান! গোনাহকে তুচ্ছজ্ঞান করা থেকে বেঁচে থাকো। কেননা গোনাহকে তুচ্ছজ্ঞান করা ঠিক তেমন, যেমন কোনো কওম কোনো উপত্যকায় যাত্রাবিরতি করলো। এ সময় ছোট ছোট ভাগ হয়ে লোকেরা কাঠি নিয়ে আসল, ফলে তারা তাদের রুটি পাকাতে পারল। এমনিভাবে গোনাহকে যে তুচ্ছজ্ঞান করে এই গোনাহই এক সময় তাকে ধ্বংস করে ফেলবে।’ [মুসনাদ আহমাদ ৫/৩৩১। সহীহুল জামে‘, নাসিরুদ্দিন আলবানী, আল মাকতাবুল ইসলামী, ৩য় প্রকাশ, হাদীস নং: ২৬৮৬।]
«إياكم ومحقرات الذنوب فإنهن يجتمعن على الرجل حتى يهلكنه» .
‘তোমরা গোনাহকে তুচ্ছ মনে করো না। কেননা এগুলো একত্রিত হয়ে মানবকে ধ্বংস করে দেয়।’ এ প্রসঙ্গে তিনি একটি সুন্দর উপমা টেনে বলেন:
«كرجل كان بأرض فلاة فحضر صنيع القوم فجعل الرجل يجىء بالعود والرجل يجىء بالعود حتى جمعوا من ذلك سوادًا وأججوا نارًا فأنضجوا ما قذفوا فيها»
‘যেমন এক ব্যক্তি কোনো খোলা প্রান্তরে রয়েছে। এ সময় দলের খাবার তৈরীকারী হাযির হলেন। তখন ওই লোক কিছু কাঠ নিয়ে এলো, আরেক লোক নিয়ে এলো আরও কিছু কাঠ। একসময় বিশাল কাঠের স্তুপ জমা হলো। লোকেরা আগুন ধরাল। অতঃপর সে আগুনে তারা তাদের খাবার নিক্ষেপ করল এবং সেটা দ্বারা খাবার পাকিয়ে নিল। [মুসনাদে আহমাদ ১/৪০২; ৩৮১৮। সহীহুল জামে‘ হাদীস নং ২৬৬৭।] অতএব, তোমরা গোনাহর অপেক্ষায় থেকো না বরং গোনাহর প্রায়শ্চিত্ত নিয়ে ভাবো।
২. কোনো কোনো গোনাহকে মানুষ ছোট মনে করে অথচ আল্লাহর কাছে তা বড় হিসেবেই গণ্য।
কারণ; ছোট মনে করার দ্বারা মানুষ এতে খুব সহজেই লিপ্ত হয়ে পড়ে। কেননা তারা এমন গোনাহে অনেককেই লিপ্ত হতে দেখেছে, প্রকাশ্যে ওই গোনাহ করতে দেখেছে। নাউযুবিল্লাহ এগুলো সবই হয়েছে গোনাহকে ছোট মনে করার দরুন। ইমাম আহমদ প্রখ্যাত সাহাবী আবু সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু- থেকে বর্ণনা করেন:
“নিশ্চয় তোমরা অচিরেই এমন আমল করবে যা তোমাদের চোখে চুলের চেয়েও সূক্ষ্ম ও হালকা মনে হবে অথচ রাসূলের সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুগে আমরা একে ধ্বংসাত্মক মনে করতাম।” [মুসনাদে আহমাদ ৩/৩।]
কাজেই গোনাহকে তুচ্ছ মনে করা থেকে সতর্ক থাকুন। যদিও মানুষ একে ছোট/তুচ্ছ মনে করে তথাপিও আপনি এমনটা করা থেকে বিরত থাকুন।
আর এতে কোন সন্দেহ নাই যে, নানা কারণে ছোট গোনাহ বড় গোনাহে রূপ নেয়। তন্মধ্যে একটি হলো, গোনাহটি বার বার করা ও সর্বদা করতে থাকা। এজন্যই বলা হয়, ‘বারবার করলে সে গোনাহটি আর সগিরা থাকে না। এ থেকে ইস্তিগফার করলে কবিরা গোনাহ থাকে না।’ কাজেই একটি কবিরা গোনাহ যেভাবে অস্তিত্বে আসতে পারে সেভাবে অস্তিত্ব থেকে মুছেও যেতে পারে। তবে শর্ত হলো, ওই গোনাহ অনুরূপ অন্য গোনাহ যেন না করা হয়। হ্যাঁ যদি গোনাহ করার ইচ্ছা জাগে (বাস্তবায়ন না করলে) তাহলে তা ক্ষমার্হ। লাগাতর সগিরা গোনাহ বান্দাকে ক্ষতি করে যেমন, ফোঁটা ফোঁটা পানি যদি পাথরের উপর পড়ে তাহলে তাতে প্রতিক্রিয়া হবে। পক্ষান্তরে যদি অনেক পানি এক সাথে পাথরে পড়ে তাহলেও তাতে ওই প্রতিক্রিয়া হবে না, যা হয় ফোঁটা ফোঁটা পানির বেলায়।
আর এ কথা সর্বজনস্বীকৃত যে, বস্তুর পরিচিতি লাভ হয় বিপরীতমুখী বস্তু দ্বারা। কাজেই কবিরা গোনাহ আর এর তওবা দ্বারা অন্তর্লোক আলোকিত হওয়া খুবই ফলপ্রদ। কিন্তু সগিরা গোনাহ অন্তর্লোককে খুব তাড়াতাড়িই অধিক হারে ক্ষতিসাধন করতে পারে।
৩. প্রকাশে গোনাহ করা থেকে সতর্ক থাকা এবং বিগত দিনের কৃত গোনাহ মানুষের কাছে প্রকাশ না করা।
এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ভাষ্য:
‘প্রকাশকারীর গোনাহ ছাড়া আল্লাহ তা‘আলা আমার উম্মতের সবাইকে মাফ করবেন। প্রকাশ করার এক ধরণ হচ্ছে, মানুষ রাতের বেলা কোনো গোনাহ করে বসল, আল্লাহ সেটাকে গোপন করেছে; কিন্তু সে নিজে সেটাকে প্রকাশ করার জন্য বলল, ‘হে অমুক! আমি রাতের বেলা এই এই গোনাহ করেছিলাম।’ অথচ এর মাধ্যমে আল্লাহ সেটা রাতে গোপন করেছে আর সে আল্লাহর গোপন করা বস্তুকে প্রকাশ করে দিয়েছে।’ [বুখারী: ৬০৬৯; মুসলিম: ২৯৯০।]
গোনাহ প্রকাশ করার কাজটি খারাপ হবার একটি কারণ এই যে, এর দ্বারা মানুষের সামনে গোনাহকে হালকা বানানো হয় এবং এতে সে নিজেও গোনাহকে হালকা জ্ঞান করে। এর দ্বারা গোনাহর বিকাশ ঘটে, অশ্লীলতার প্রসার পায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
‘যারা ঈমানদারদের মাঝে ব্যভিচার প্রসার লাভ করা পছন্দ করে; তাদের জন্য ইহকাল ও পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে। আল্লাহ জানেন তোমরা জানো না।’ [সূরা আন-নূর: ১৯।]
অনেকে মনে করে নিজ অপরিচিত মহল বা দূর দরাজে কিংবা নিরিবিলি থাকলে গোনাহ করা যায়-এ ধারণাটি ঠিক নয়। যদি এমনটি হয়েও যায় তথাপি তা মানুষের কাছে প্রকাশ করা জায়েয নেই। নিজের গোনাহ নিজের মনেই লুকিয়ে রেখে সেটার জন্য তাওবাহ করাই হচ্ছে সঠিক কাজ। মানুষের সামনে সেটা কোনোভাবেই ঘোষণা করতে নেই।
অতএব গোনাহ প্রকাশ করা থেকে সাবধান হোন। মানুষের সামনে গোনাহ প্রকাশ করা থেকে দূরে থাকুন। তবে আমরা প্রকাশ করি আর না করি আল্লাহ তা‘আলা সবই ভালো করে জানেন। তাই গোপনে তার কাছে তাওবা করা উচিত।
৪. তওবা করতে বিলম্ব প্রসঙ্গে সতর্ক থাকা
কেননা আপনি জানেন না কবে মৃত্যুর ডাক এসে পড়বে। মৃত্যু খুবই নিকটতম একটি বিষয়। আচমকাই বিনা নোটিশে এসে পড়বে। মুখে মরণ গোঙানী শুরু হলে তওবা করে কোনও লাভ নেই। রূহ কণ্ঠনালীতে এসে পড়লে তওবা কিসের? আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
অতএব আপনাকে দ্রুতই তওবার দিকে এগুতে হবে। এক্ষেত্রে কিছুতেই কাল বিলম্ব করা চলবে না। আল্লাহ তা‘আলা নিজেও বান্দাদেরকে দ্রুত তওবার প্রতি আহবান জানান। আল্লাহ বলেন:
‘তারা যখন কোনো অনৈতিক কাজ করে কিংবা তাদের আত্মার প্রতি যুলুম করে’ অর্থাৎ তারা ইস্তেগফারের উদ্দেশ্য প্রতিযোগিতা করে। গোনাহর জন্য মাগফেরাত কামনা করে। গোনাহ মাটিচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে গোনাহ গোপন রাখে এবং অনুতপ্ত হয়। এর পরবর্তী আয়াতে বলা হচ্ছে:
“জেনে বুঝে তারা কৃতকর্মের পুনরাবৃত্তি করে না।” [আলে ইমরান: ১৩৫।]
৬. সবাই যা করে তা না করা
মানুষ যখন অনেক জরুরী কাজ ছেড়ে দেয় এবং হারামে লিপ্ত হয় তখন তার মাঝে শয়তান বাসা বাঁধে। শয়তান নানাভাবে তাকে বুঝাতে থাকে যে, ‘দেখো! এটি করা তোমার জন্য ওয়াজিব নয়। ওটা হারাম নয়। কারণ এটা তো সবাই করে। এভাবে শয়তান ভেতরে ভেতরে রীতিমত যুদ্ধ করে। অর্থাৎ তার মনকে শরীয়াতবিরোধী কাজে উৎসাহ ও প্রেরণা যোগায়। শাস্তির ভয় থেকে উদাসীন করে তোলে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, অন্তরে কী আছে সে বিষয়ে আল্লাহই সবজান্তা। অতএব আপনার অন্তরকে শয়তানের অনুপ্রবেশ থেকে মুক্ত রাখুন।
৭. আল্লাহ প্রদত্ত বৈধ নেয়ামতের মোকাবেলায় ক্ষণস্থায়ী বা সাময়িক অবৈধ নেয়ামতের ধোঁকায় না পড়া
আপনার থেকে যদিও কখনো গোনাহ হয়ে যায় তথাপিও এটা মনে করবেন না যে, আপনি ভালো আছেন। এই অবস্থায় আপনার থাকাটায় আত্মতৃপ্তির কিছু নেই। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
‘যখন দেখবে আল্লাহ তা‘আলা কোন বান্দাকে দুনিয়া দান করেছেন তখন মনে করতে হবে এটি আল্লাহর ধারাবাহিকতার একটি পর্যায়ে।’ [মুসনাদে আহমাদ ৪/১৪৫। সহীহুল জামে‘,নাসিরুদ্দিন আলবানী,আল মাকতাবুল ইসলামী, ৩য় প্রকাশ, হাদীস নং: ৫৬১।]
‘আল্লাহ তা‘আলা যাকে ভালোবাসেন কিংবা নাই বাসেন; তাকে সম্পদ প্রদান করেন। কিন্তু প্রিয়জন ছাড়া কাউকে তিনি ঈমান প্রদান করেন না। যখন কোনো বান্দাকে আল্লাহ ভালোবাসেন তখন তাকে তিনি ঈমান প্রদান করেন। সুতরাং যে কেউ সম্পদ ব্যয় করতে কুণ্ঠাবোধ করে, শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদ করতে ভয় পায় এবং রাতে দাঁড়ানোতে কষ্ট বোধ করে, সে যেন বেশি বেশি করে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, আলহামদুলিল্লাহ ও সুবহানাল্লাহ’ পড়ে।’ [মাজমা‘উদ যাওয়ায়েদ ১০/৯০।]
‘বলে দিন! হে আল্লাহর বান্দারা, যারা তোমাদের আত্মার উপর যুলুম করেছ, তারা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সব গোনাহ মাফ করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।’ [সূরা যুমার: ৫৩।]
এরপরও আল্লাহ তা‘আলা বান্দাকে দ্রুত তাঁর দিকে ধাবিত হতে হুঁশিয়ারী উচ্চারণপূর্বক বলেন:
‘তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমুখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও, তোমাদের কাছে আযাব আসার পূর্বে। এরপর তোমরা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না।’ [সূরা যুমার: ৫৪।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/180/10
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।