HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে তাওবা ও পাপ মোচনকারী কিছু আমল

লেখকঃ মো. আব্দুল কাদের

তওবাতুন নাসূহ-এর আবশ্যকতা
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, তওবাতুন নাসূহ বা পরিশুদ্ধ তওবা প্রতিটি গোনাহগারের উপর ফরয। এটি আল্লাহর হক আদায়ে উদাসীনতার দরুনই তিনি এই নির্দেশ করেন। পাপরাশিকে নেকীতে রূপান্তরিত হবার ওয়াদা এবং কল্যাণ ও বিজয়স্বরূপ জান্নাতে প্রবেশ করানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। উক্ত কথার উদ্দেশ্য এই যে, ব্যাপক তওবা সকল মুসলিমের জন্যই সাব্যস্ত। সকল গোনাহের জন্যও তওবা জরুরী -যেগুলো করতে আল্লাহ নিষেধ করেন, যেগুলো পরিহার ছাড়া আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যাবে না। আল্লাহ বলেন,

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ تُوبُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ تَوۡبَةٗ نَّصُوحًا عَسَىٰ رَبُّكُمۡ أَن يُكَفِّرَ عَنكُمۡ سَيِّ‍َٔاتِكُمۡ وَيُدۡخِلَكُمۡ جَنَّٰتٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ ﴾ [ التحريم : ٨ ]

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা কর- আন্তরিক তওবা। আশা করা যায়, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মন্দ কর্মসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত।” [সূরা আত-তাহরীম: ৮।]

আয়াতের মর্ম হলো, তোমরা তওবা করো, কেননা তোমরা ভুল-ত্রুটির উর্ধ্বে নও। আল্লাহ প্রদত্ত ফরয-ওয়াজিব আদায়ে তোমাদের থেকে গাফিলতি হতেই পারে। সুতরাং কোনও অবস্থায়ই তওবা ছেড়ো না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘যারা তওবা করেনা, তারা যালেম।’ এসব আয়াতই বলে দেয় যে, বান্দার তওবা করা ওয়াজিব।

তাওবার অন্যতম শর্ত হলো যদি মানুষের অধিকার লঙ্ঘন হয়, তবে মানুষের অধিকারগুলো ঠিক ঠিক দিয়ে দেওয়া। যার অধিকার নষ্ট করেছেন আপনার সে ভাইয়ের জন্য ইস্তেগফার করা, তার কেউ নিন্দা করলে তার গুণ গাওয়া। সুতরাং মানুষ দু’প্রকার; আত্মার প্রতি যুলুমকারী, তওবাকারী। যে তাওবা করে সে সফলকামী, আর যে গোনাহকরে সে ক্ষতিগ্রস্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন: وان استغفروا ربكم “তোমাদের কৃত গোনাহ থেকে প্রভুর কাছে ক্ষমা চাও।” ثم توبوا اليه “এরপর তার কাছে তওবা করো তোমাদের ভবিষ্যত কর্মসমূহের ব্যাপারে। যাতে ভবিষ্যতে তোমরা তার কাছে প্রত্যাবর্তিত হতে পারো।”

অনুরূপভাবে আবূ মুসা আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

««إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ يَبْسُطُ يَدَهُ بِاللَّيْلِ لِيَتُوبَ مُسِيءُ النَّهَارِ، وَيَبْسُطُ يَدَهُ بِالنَّهَارِ لِيَتُوبَ مُسِيءُ اللَّيْلِ، حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْ مَغْرِبِهَا»

“নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা রাত্রিবেলা তাঁর হস্ত প্রসারিত করেন যাতে দিবাভাগের গোনাহগুলোর তওবা কবুল করতে পারেন। ওদিকে দিনের বেলায় হস্ত প্রসারিত করেন যাতে রাতের গোনাহ তওবা গ্রহণ করতে পারেন। [সহীহ মুসলিম: ২৭৪৭।]

ওলামায়ে উম্মাহ তওবা ওয়াজিব হবার ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেন। ইমাম কুরতবী (রহ.) বলেন, সমগ্র মুমিনের জন্য তওবা করা ফরয। [আহকামুল কুরআন, দারুল কিতাবিল আরাবী, খ.৫, পৃ.৯০।] ইবনে কুদামা আল-মাকদিসী(রহ) বলেন, তওবা ফরয হওয়ার ব্যাপারে ইজমা রয়েছে। কেননা পাপরাশি ধ্বংসাত্মক হয়ে থাকে এবং আল্লাহর রহমত থেকে দূরে রাখে। সুতরাং এ থেকে দ্রুত পলায়ন করা দরকার।

তাছাড়া মানুষ মাত্রই গোনাহে লিপ্ত হবার সম্ভাবনা আছে। তাই মুসলিম ভাইগণ! গোনাহ-গোনাহই। একে ছোট, তুচ্ছ ও হেয় মনে করতে নেই।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন