মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে তাওবা ও পাপ মোচনকারী কিছু আমল
লেখকঃ মো. আব্দুল কাদের
৮
কোন তাওবাহ কাজে লাগে আর কোনটি কাজে লাগে না?
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/180/8
আহলুস-সুন্নাহর আলেমগণ বলেন: তাওবার শর্ত তিনটি। তাৎক্ষণিকভাবে গোনাহ ছেড়ে দেওয়া, ভবিষ্যতে না করার সংকল্প করা, অতীত কর্মে অনুশোচনা করা। এ জাতীয় তাওবাই মূলত ‘তাওবাতুন নাসূহ’।
হাসান আল-বাসরী (রহ.) বলেন:
ندم بالقلب ، واستغفار باللسان ، وترك بالجوارح ، وإضمار أن لا يعود .
‘তাওবায়ে নাসূহ হলো, হৃদয়ে অনুশোচনার জবাবে ক্ষমা প্রার্থনা করা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মাধ্যমে গোনাহ পরিত্যাগ করা। ভবিষ্যতে না করার দৃঢ় প্রতিক্ষা করা।’ [আল-আদাবুশ-শার‘ঈয়্যাহ, ১ম খন্ড, পৃ. ১১৬।]
‘তাওবা তাদের জন্য নয়, যারা আজীবন মন্দকাজ করে এবং তাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হলে সে বলে, আমি এখন তাওবা করছি এবং তাওবা তাদের জন্যও নয়, যারা মারা যায় কাফির অবস্থায়। এরাই তারা, যাদের জন্য আমি মর্মন্তদ শাস্তির ব্যবস্থা করেছি।’ [সূরা আন-নিসা, ৪:১৮।]
খালিস অন্তঃকরণে তাওবা করলে আল্লাহ তা‘আলা তাওবা কবুল করেন এবং জীবনের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: ‘তুমি যদি এত অধিক পরিমাণ পাপ কাজ করে থাক যে, তা আকাশ সমান উঁচু হয়, এরপর অনুতাপের সাথে ‘তাওবা’ কর, তবুও তোমার তাওবা কবুল হবে, প্রত্যাখ্যাত হবে না। [তিরমিযী: ৩৫৪০।]
এই উম্মতের প্রতি আল্লাহর অসংখ্য নেয়ামতসমূহের মধ্য থেকে একটি নেয়ামত এই যে, তিনি তওবার দরজা বন্ধ করেন নি। বরং জীবনের প্রতি মুহূর্তেই তওবার প্রতি মানুষকে উৎসাহ দিয়েছেন। আল্লাহ্ তা‘আলা যাকে অন্তর্দৃষ্টি দান করেছেন তাকে সর্বদা সন্দেহাতীতভাবে তাওবার প্রতি গুরুত্ববহ থাকতে আদেশ করেছেন।
তওবার প্রতি আল্লাহ্ তা‘আলার উৎসাহ প্রদানের জন্য এতটুকু যথেষ্ট যে, তিনি তওবাকারীর গোনাহগুলোকে নেকী দ্বারা রূপান্তর করে দেবেন। আল্লাহ বলেন:
“কিন্তু যারা তওবা করেছে এবং ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, এদের গোনাহগুলোকে আল্লাহ তা‘আলা নেকী দ্বারা পরিপূর্ণ করে দিবেন। নিশ্চয় আল্লাহ্ ক্ষমাশীল ও দয়ালু।” [সূরা আল-ফুরকান: ৬৯।]
“আপনি বলে দিন! আত্মার প্রতি যুলুমকারী আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা আল্লাহর নেয়ামত হতে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা সকল গোনাহ মোচনকারী। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।” [সূরা আয-যুমার: ৫৩।]
এদিকে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দার তওবা দ্বারা যারপরনাই আনন্দিত হন। যেমনটি হাদীসে এসেছে: ‘খাদেমুন্নবী’ আবু হামযা আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«لله أفرح بتوبة عبده من أحدكم سقط على بعيره ، وقد أضله في أرض فلاة» .
“আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দার তওবা দ্বারা অতখানি খুশী হন যতখানি খুশী হয় বিজন মরুতে হারিয়ে ফেলা উটের মালিক তার উট প্রাপ্তিতে।” [বুখারী: ৬৩০৯; মুসলিম: ২৭৪৭।]
কাজেই কোনও মুসলিম যখন গোনাহে লিপ্ত হয় তখন তার মাটিতে উট পাখির মত কপাল না ঠুকে আল্লাহর কাছে নিজের কৃত গোনাহর স্বীকৃতি দেয়া দরকার। অনুতপ্ত হওয়া দরকার। এর এ কথাটিও মনে রাখা দরকার যে, গোনাহকে তুচ্ছ করার দ্বারা গোনাহকারীর কোনও উপকার হয় না এবং তার গোনাহ সামান্য হালকাও হয় না বরং তা আরো বাড়তে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর পবিত্র নামসমূহের অন্তত দু‘টি গুণবাচক নাম বান্দাহর গোনাহ মাফ করার বৈশিষ্ট্য হিসাবে বরাদ্দ রেখেছেন। তিনি বলেন,
“তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমুখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও তোমাদের কাছে আযাব আসার পূর্বে। এরপর তোমরা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না” [সূরা আয-যুমার: ৫৪।]
আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই তাঁর উচ্চ মহান নামাবলি ও সুস্থ-সুমহান গুণাবলীর বদৌলতে যে, তিনি যেন আমাদের তওবা কবুল করেন, আমৃত্যু এর উপর দৃঢ়পদ রাখেন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা ও উত্তরদাতা।
ইমাম আহমদ প্রখ্যাত সাহাবী আবু সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু- থেকে বর্ণনা করেন:
“নিশ্চয় তোমরা অচিরেই এমন আমল করবে যা তোমাদের চোখে চুলের চেয়েও সূক্ষ্ম ও হালকা মনে হবে অথচ রাসূলের সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুগে আমরা একে ধ্বংসাত্মক মনে করতাম।” [মুসনাদে আহমাদ ৩/৩।]
উপরোক্ত হাদীস দ্বারা আমরা আজকালকার দিনের গোনাহকে হালকা অনুভব ও এর প্রতি বেপরোয়া মনোভাবের কথা অবগত হতে পারলাম। মানুষ গোনাহকে হালকা মনে করতে করতে এক সময় কবিরা গোনাহে লিপ্ত হয়ে যায়। এমনকি কেউ কেউ গোনাহের অনুভূতি পর্যন্ত হারিয়ে ফেলে। একথা স্মরণযোগ্য যে, অনুতাপ হচ্ছে তওবার প্রধান অঙ্গ ও শর্ত। অনেক তওবাকারীর জীবনে এ দিকটির অনুপস্থিতি দেখা যায়। এমনিভাবে গোনাহের প্রতি এ ধরনের উদাসীনতা মানুষকে গোনাহের প্রতি আকর্ষিত ও অভ্যস্ত করে তোলে। এর থেকে তার পরিত্রাণের কোনও সুযোগ থাকে না; যদিও আল্লাহ তা‘আলা এর থেকে পরিত্রাণের ব্যবস্থা রেখেছিলেন তওবা ও ইস্তেগফারের মাধ্যমে। সহীহ হাদীসে উল্লেখ আছে, গোনাহ লেখক বাম কাঁধের ফেরেশতা। বান্দার গোনাহ অন্তত গোনাহ করার পর থেকে ৬ ঘন্টা পর্যন্ত লেখা থেকে বিরত থাকে। এই ৬ ঘন্টার মধ্যে বান্দা যদি অনুতপ্ত হয় ও ইস্তেগফার করে তাহলে ওই গোনাহ মুছে দেন অন্যথা আমলনামায় গোনাহ লেখা হতে থাকে। [সুলায়মান ইবন আহমদ আত তাবারানীর আল-মুজামুল কাবীর, হাদীস নং: ২০৯৭। আর দেখুন, সিলসিলা সহীহা: ১২০৯।]
মুসলিম উম্মাহর আলেমগণ তওবা ও ইস্তেগফারের আবশ্যকতার উপর ঐকমত্য পোষণ করেছেন। ইমাম কুরতুবী (রহ) বলেন, মুসলিম উম্মাহ এ বিষয়ে একমত যে, মুমিন বান্দার উপর তওবা করা ফরয। কাজেই সকলের উপর এ ফরয বর্তাবে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
“কোনো বান্দা যখন গোনাহ করে, তারপর সুন্দররূপে উযু করে দু‘রাকাত সালাত পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, আল্লাহ তার গোনাহ মাফ করে দেন।” [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং: ৫৭৩৮।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/180/8
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।