মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“আল্লাহ অবশ্যই সেসব লোকের তাওবা কবুল করবেন যারা ভুলবশত মন্দ কাজ করে এবং সত্বর তাওবা করে, ওরাই তারা, যাদের তাওবা আল্লাহ কবূল করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।” [সুরা আন-নিসা : ১৭।]
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম মুহাম্মদ ইবন জারীর আত-তাবারী (রহ.) বলেন: অত্র আয়াতাংশ: ﴿ إِنَّمَا ٱلتَّوۡبَةُ عَلَى ٱللَّهِ لِلَّذِينَ يَعۡمَلُونَ ٱلسُّوٓءَ بِجَهَٰلَةٖ﴾ এর মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা ঘোষণা করেছেন যে, মু’মিনগণের মধ্যে যারা অসতর্কতাবশত গুণাহর কাজ করে অবিলম্বে যথা সময় যদি তারা আল্লাহর দরবারে তাওবা করে ক্ষমা প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাদের ছাড়া অন্য কারও তাওবা কবুল করেন না। অর্থাৎ যে সকল লোক তাদের মহান প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ঈমান রাখে তারা ভুলবশতঃ গুনাহর কাজ করার পর যদি যথাসময়ে সে গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর দরবারে লজ্জিত হয়ে তাওবা করে এবং আল্লাহর আদেশ নিষেধ অনুযায়ী চলার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এমনিভাবে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে যে, সে মৃত্যু পর্যন্ত কৃত পাপ কার্য দ্বিতীয়বার করবে না, আল্লাহ তা‘আলা তাদের গুণাহসমূহ ক্ষমা করেন, এদের ব্যতীত অন্য কারও গুনাহ ক্ষমা করেন না। অত্র আয়াতে من قريب দ্বারা এ কথাই বুঝায়। [তাবারী, পৃ.১১২]
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবা কর বিশুদ্ধ তাওবা; তাহলে তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের মন্দ কর্মগুলো মোচন করে দিবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যারা পাদদেশে নদী প্রবাহিত।” [সূরা তাহরীম: ৭।]
“তবে কি তারা আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করবে না ও তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে না? আর আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [সূরা আল-মায়েদাহ: ৭৪।]
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় মুহাম্মদ ইবন জারীর আত-তাবারী (রহ.) বলেন: “এই দুই কাফির দল, যাদের একদল বলে, মরিয়ম-তনয় মাসীহ-ই আল্লাহ; আরেক দল বলে, আল্লাহ তিনজনের মধ্যে একজন। তারা কি তাদের এ উক্তি থেকে ফিরে আসবে না? করবে না তাওবা এরূপ কুফরী কথাবার্তা থেকে? প্রার্থনা করবে না এজন্য আল্লাহর ক্ষমা? যে সকল বান্দা তাওবা করে এবং অবাধ্যতা পরিহার করে আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্যে ফিরে আসে, তিনি তাদের অপরাধ ক্ষমা করেন। সেই সাথে আল্লাহ তা‘আলার অপছন্দ কাজ পরিহার করে পছন্দজনক কাজের দিকে ফিরে আসে, তাদের তাওবা ও প্রত্যাবর্তনকে তিনি কবুল করে নেন। ফলে নিজ কৃপায় তাদের পাপরাশি ক্ষমা করে দেন।
“তারা কি জানে না যে, আল্লাহ তার বান্দাদের তাওবা কবুল করেন এবং সাদাকা গ্রহণ করেন এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [সূরা আত-তাওবা: ১০৪।]
মুহাম্মদ ইবন জারীর আত-তাবারী (রহ.) বলেন: এটা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতে একটা ঘোষণা। মুনাফিকদের মধ্য হতে কেউ তাওবা করলে তার সে তাওবা কবুল করা হয় তাদের সাদাকা গ্রহণ করা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইখতিয়ারাধীন নয়। যারা মু’মিনগণের সঙ্গী হয়ে যুদ্ধে যোগদান হতে পিছিয়ে থাকার পর নিজেদেরকে খুঁটির সাথে বেঁধে রাখে এবং বলে, যে পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে আমাদেরকে মুক্ত করেন, আমরা নিজেরা নিজেদেরকে মুক্ত করব না, তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নিজেদের পেশকৃত সাদাকাহ গ্রহণের অুনরোধ জানায়, তারা কি জানে না যে, তা করবার ইখতিয়ার মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নেই। জানে না তারা যে, সেটা কেবল আল্লাহ তা‘আলার ইখতিয়ারাধীন? আল্লাহ তা‘আলা চাইলে তার বান্দার তাওবা কবুল করেন কিংবা প্রত্যাখ্যান করেন। কোন বান্দা সাদাকা পেশ করলে আল্লাহ তা‘আলাই ইচ্ছা হলে তা গ্রহণ করেন অথবা রদ করেন। এ বিষয়ে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন ইখতিয়ার নেই। কাজেই, তারা আল্লাহ তা‘আলার অভিমুখী হয়ে তাওবা করতে হবে এবং তাঁর সমীপেই সাদাকা নিবেদন করতে হবে। আর এর দ্বারা যেন আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টিই তাদের লক্ষ্য হয়, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বা অন্য কারও সন্তুষ্টি নয়। তাদের উচিত একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ তা‘আলার কাছে তাওবা করা এবং নিজেদের সাদাকা দ্বারা তাঁকেই খুশি করার চেষ্টা করা। তারা কি জানে না যে, ﴿ وَأَنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ﴾ আল্লাহ তা‘আলাই তাওবা কবুলকারী ও পরম দয়ালু? অর্থাৎ বান্দাগণ যখন তাওবা করে ও তাঁর অভিমুখী হয় তখন তিনি তাতে সাড়া দেন এবং তাদের অপরাধ ক্ষমা করে দেন। তারা যখন তাঁর অভিমুখী হয় ও তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করে, তখন তিনি তাদের প্রতি দয়া করেন এবং তাদেরকে শাস্তি হতে অব্যাহতি দান করেন।
‘যে গোনাহ করে কিংবা নিজের উপর যুলুম করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পায়।’ [. সূরা আন-নিসা, ৪:১১০।]
আল্লাহর রহমত অবারিত
বহু মানুষ নানা ধরনের গোনাহে লিপ্ত। এদেরকে যখন বলা হয়, তোমরা তওবা করে তখন এরা বলে, আমি এ থেকে কেন তওবা করব? তওবা করে করবটা কি (শুনি)! আমার গোনাহ অনেক ও বিশাল। এদের উদ্দেশ্যে বলব: মহান আল্লাহ বলেন: “আত্মার প্রতি যুলুমকারী আমার বান্দারা। তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। তিনি সকল গোনাহ মাফ করে দেবেন। কেননা তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।” (সূরা যুমার:৫৩)
সাওবান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, উপরোক্ত: আয়াতে কারীমাই আমার কাছে দুনিয়া ও এর মাঝে যা কিছু তার চেয়ে সেরা।
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন: أكثراية فى القران فرحابهذه الاية المبا ركة কুরআনে বর্ণিত সর্বাধিক খুশীর আয়াত এটি।
“আমার বান্দাদের জানিয়ে দিন, আমি অতিশয় ক্ষমাশীল ও দয়ালু, আর আমার আযাব হচ্ছে পীড়াদায়ক আযাব।” (সুরা হিজর: ৪৯-৫০)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/180/4
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।