HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

দরূদ

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

যেসব স্থানে দরূদ পড়া সুন্নাত
১. সালাতের শেষাংশে দরূদ পাঠ করা সুন্নাত :

عَنْ فُضَالَةَ بْنَ عُبَيْدٍ صَاحِبِ رَسُوْلِ اللهِ يَقُوْلُ سَمِعَ رَسُوْلُ اللهِ رَجُلًا يَدْعُو فِي الصَّلَاةِ وَلَمْ يَذْكُرِ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ وَلَمْ يُصَلِّ عَلٰى النَّبِيِّ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ عَجَّلَ هٰذَا ثُمَّ دَعَاهُ فَقَالَ لَهٗ وَلِغَيْرِه إِذَا صَلّٰى أَحَدُكُمْ فَلْيَبْدَأْ بِتَحْمِيْدِ رَبِّه وَالثَّنَاءِ عَلَيْهِ ثُمَّ لِيُصَلِّ عَلَى النَّبِيِّ ثُمَّ لِيَدْعُ بَعْدُ بِمَا شَاءَ

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথী ফুদ্বালাহ ইবনে উবাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ এক ব্যক্তিকে সালাতে দু‘আ করতে শুনলেন। লোকটি নবী ﷺ-এর উপর দরূদ পাঠ করল না। তখন তিনি বললেন, এই লোকটি তাড়াহুড়া করল। তারপর তাকে ডেকে বললেন, যখন তোমাদের কেউ সালাত পড়বে তখন প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা করবে তারপর নবী ﷺ-এর উপর দরূদ পড়বে। অতঃপর যা ইচ্ছা দু‘আ করবে। (তিরমিযী, হা/৩৪৭৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৯৮২)

২. জানাযার সালাতে দ্বিতীয় তাকবীরের পর দরূদ পড়া সুন্নাত :

عَنْ أَبي أُمَامَةَ بْنُ سَهْلٍ ، أَنَّهٗ أَخْبَرَهٗ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ ، أَنَّ السُّنَّةَ فِي الصَّلَاةِ عَلَى الْجَنَازَةِ : أَنْ يُكَبِّرَ الْإِمَامُ ثُمَّ يَقْرَأُ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ بَعْدَ التَّكْبِيْرَةِ الأُوْلٰى سِرًّا فِي نَفْسِه ثُمَّ يُصَلِّي عَلَى النَّبِيِّ ، وَيَخْلُصُ الدُّعَاءَ لِلْجَنَازَةِ فِي التَّكْبِيْرَاتِ ، لَا يَقْرَأُ فِي شَيْءٍ مِنْهُنَّ

আবু উমামাহ ইবনে সাহল (রহ.) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ এর একজন সাহাবী তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, জানাযার সালাতে সুন্নাত হল, প্রথমে ইমাম তাকবীর বলবে। প্রথম তাকবীরের পর চুপে চুপে সূরা ফাতিহা পাঠ করবে, তারপর (দ্বিতীয়) তাকবীরের পর দরূদ পাঠ করবে এবং তৃতীয় তাকবীরের পর মৃতের জন্য বিশেষভাবে দু‘আ করবে; কিন্তু কুরআন পাঠ করবে না।

(মুসনাদে শাফেঈ, হা/১৬৭০)

৩. আযান শোনার পর দু‘আ পড়ার পূর্বে দরূদ পাঠ করা সুন্নাত :

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّهٗ سَمِعَ النَّبِىَّ - - يَقُوْلُ : إِذَا سَمِعْتُمُ الْمُؤَذِّنَ فَقُوْلُوْا مِثْلَ مَا يَقُوْلُ ثُمَّ صَلُّوْا عَلَىَّ فَإِنَّهٗ مَنْ صَلّٰى عَلَىَّ صَلَاةً صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ بِهَا عَشْرًا ثُمَّ سَلُوْا اللهَ لِىَ الْوَسِيْلَةَ فَإِنَّهَا مَنْزِلَةٌ فِى الْجَنَّةِ لَا تَنْبَغِى إِلَّا لِعَبْدٍ مِنْ عِبَادِ اللهِ وَأَرْجُو أَنْ أَكُوْنَ أَنَا هُوَ فَمَنْ سَأَلَ لِىَ الْوَسِيْلَةَ حَلَّتْ لَهُ الشَّفَاعَةُ

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী ﷺ-কে বলতে শুনেছেন যে, যখন তোমরা মুয়াযযিনের আযান শুনবে তখন তার মত বলো। তারপর আমার উপর দরূদ পড়ো। কেননা যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পড়বে আল্লাহ তা‘আলা তার উপর দশবার রহমত বর্ষণ করবেন। তারপর তোমরা আল্লাহর কাছে আমার জন্য উসীলার দু‘আ করবে। কারণ উসীলা হল জান্নাতে একটি উচ্চতর মর্যাদা, যা আল্লাহর বান্দাদের মধ্য থেকে শুধু একজনই প্রাপ্ত হবে। আশা করি আমিই হব সেই ব্যক্তি। অতএব যে ব্যক্তি আমার জন্য আল্লাহর কাছে উসীলার দু‘আ করবে সে আমার সুপারিশপ্রাপ্ত হবে।

(সহীহ মুসলিম, হা/৮৭৫; তিরমিযী, হা/৩৬১৪)

৪. দু‘আ করার সময় আল্লাহর প্রশংসার পর দরূদ পড়া সুন্নাত :

عَنْ فُضَالَةَ بْنِ عُبَيْدٌ قَالَ بَيْنَا رَسُوْلُ اللهِ قَاعِدًا إِذْ دَخَلَ رَجُلٌ فَصَلٰى فَقَالَ اَللّٰهُمَّ أغْفِرْ لِيْ وَارْحَمْنِيْ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ عَجَّلْتَ أَيُّهَا الْمُصَلِّيْ إِذَا صَلَّيْتَ فَقَعَدْتَ فَاحْمَدِ اللهَ بِمَا هُوَ أَهْلَهٗ وَصَلَّ عَلٰي ثُمَّ ادْعُهٗ قَالَ ثُمَّ صَلّٰى رَجُلٌ اٰخِرٌ بَعْدَ ذٰلِكَ فَحَمِدَ اللهَ وَصَلّٰى عَلَى النَّبِيِّ فَقَالَ لَهٗ النَّبِيِّ أَيَّهُا الْمُصَلِّي أَدْعُ تَجِبْ

ফুদ্বালাহ ইবনে উবাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ বসা ছিলেন- এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি আগমন করে সালাত আদায় করল এবং বলল, হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করো এবং দয়া করো। তখন নবী ﷺ বললেন, হে সালাত আদায়কারী! তুমি তাড়াহুড়া করে ফেলেছো। যখন তুমি সালাত আদায় করতে গিয়ে বসবে তখন আল্লাহর যথাযোগ্য প্রশংসা করবে; তারপর আমার উপর দরূদ পড়বে; তারপর দু‘আ করবে। ফুদ্বালাহ (রাঃ) বলেন, তারপর আর এক লোক সালাত আদায় করল এবং সে আল্লাহর প্রশংসা করল ও নবী ﷺ-এর উপর দরূদ পড়ল। তখন নবী ﷺ বললেন, হে সালাত আদায়কারী! তুমি দু‘আ করো তোমার দু‘আ কবুল করা হবে। (তিরমিযী, হা/৩৪৭৬; নাসাঈ, হা/১২৮৪)

৫. রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নাম শুনা, পড়া কিংবা লেখার সময় দরূদ পড়া সুন্নাত :

عَنْ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِيْ طَالِبٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ اَلْبَخِيْلُ الَّذِيْ مَنْ ذُكِرَتْ عِنْدَهٗ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيَّ

হুসাইন ইবনে আলী ইবনে আবু তালেব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ বলেছেন, সেই ব্যক্তি প্রকৃত কৃপণ, যার কাছে আমার নাম নেয়া হল; কিন্তু সে আমার উপর দরূদ পড়ল না।

(তিরমিযী, হা/৩৫৪৬)

৬. মসজিদে প্রবেশের সময় দরূদ পড়া সুন্নাত :

মসজিদে প্রবেশ করা ও মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় নবী ﷺ-এর উপর সালাম প্রেরণ করা সুন্নাত। হাদীসে এসেছে,

ফাতেমা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ যখন মসজিদে প্রবেশ করতেন তখন দরূদ ও সালাম পাঠ করতেন এবং বলতেন,

رَبِّ اغْفِرْلِيْ ذُنُوْبِيْ وَافْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ

রাবিবগফিরলী যুনুবী ওয়াফতাহলী আবওয়াবা রাহমাতিকা।

হে আল্লাহ! আমার গুনাহ ক্ষমা করুন এবং আমার জন্য আপনার রহমতের দরজা খোলে দিন।

আর যখন মসজিদ থেকে বের হতেন তখনও দরূদ ও সালাম পাঠ করতেন এবং বলতেন,

رَبِّ اغْفِرْلِيْ ذُنُوْبِيْ وَافْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ فَضْلِكَ

রাবিবগফিরলী যুনুবী ওয়াফতাহলী আবওয়াবা ফাদলিকা।

হে আল্লাহ! আমার গুনাহ ক্ষমা করো এবং আমার জন্য আপনার করুণার দরজা খোলে দিন। (তিরমিযী, হা/৩১৪)

৭. জুমার দিন বেশি বেশি দরূদ পড়া সুন্নাত :

عَنْ أَبِيْ مَسْعُوْدٍ اَلْأَنْصَارِيْ  : عَنِ النَّبِيِّ قَالَ : أَكْثَرُوْا عَلَيَّ الصَّلَاةَ فِيْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَإِنَّهٗ لَيْسَ أَحَدٌ يُصَلِّيْ عَلَيَّ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِلَّا عُرِضَتْ عَلَيَّ صَلَاتُهٗ

আবু মাসউদ আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী ﷺ হতে বর্ণনা করে বলেন, তোমরা জুমার দিন আমার উপর বেশি বেশি দরূদ পড়ো; কারণ যে ব্যক্তি জুমার দিন আমার উপর দরূদ পড়বে তার দরূদ আমার কাছে উপস্থাপন করা হয়।

(মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৩৫৭৭)

عَنْ أَوْسِ بْنِ أَوْسٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ - إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِيْهِ خُلِقَ اٰدَمُ وَفِيْهِ قُبِضَ وَفِيْهِ النَّفْخَةُ وَفِيْهِ الصَّعْقَةُ فَأَكْثِرُوْا عَلَىَّ مِنَ الصَّلَاةِ فِيْهِ فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ مَعْرُوْضَةٌ عَلَىَّ . قَالَ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ وَكَيْفَ تُعْرَضُ صَلَاتُنَا عَلَيْكَ وَقَدْ أَرِمْتَ يَقُوْلُوْنَ بَلِيْتَ . فَقَالَ : إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ حَرَّمَ عَلَى الْأَرْضِ أَجْسَادَ الْأَنْبِيَاءِ

আউস ইবনে আউস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, সর্বোত্তম দিনটি হল জুমার দিন। এই দিনে আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনেই তাঁর রূহ কবজ করা হয়েছে, এই দিনেই শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে এবং এই দিনেই লোকেরা বেহুঁশ হবে। অতএব তোমরা এই দিনে আমার উপর বেশি বেশি দরূদ পাঠ কর। কারণ তোমাদের দরূদ আমার কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার কাছে আমাদের দরূদ কীভাবে পৌঁছানো হবে? আপনি তো মাটিতে মিশে যাবেন। তখন তিনি বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা জমিনের উপর নবীদের শরীর হারাম করে দিয়েছেন। (আবু দাউদ, হা/১০৪৯)

৮. প্রত্যেক সকাল-সন্ধ্যায় দরূদ পাঠ করা সুন্নাত :

عَنْ أَبِىْ الدَّرْداءِ قَالَ : قَالَ رَسُوْلَ اللهِ  : مَنْ صَلَّى عَلَيَّ حِيْنَ يُصْبِحُ عَشْرًا ، وَحِيْنَ يُمْسِيْ عَشْرًا أَدْرَكَتْهُ شَفَاعَتِيْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার উপর সকালে দশবার এবং সন্ধ্যায় দশবার করে দরূদ পাঠ করবে, সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ লাভে ধন্য হবে। (জামেউস সগীর, হা/৮৮১১; জামেউল আহাদীস, হা/২২৭৬৪)

৯. প্রতিটি মজলিসে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর দরূদ পাঠ করা সুন্নাত :

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ قَالَ مَا جَلَسَ قَوْمٌ مَجْلِسًا لَمْ يَذْكُرُوْا اللهَ فِيْهِ وَلَمْ يُصَلُّوْا عَلٰى نَبِيِّهِمْ إِلَّا كَانَ عَلَيْهِمْ تِرَةً فَإِنْ شَاءَ عَذَّبَهُمْ وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُمْ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, কোনো সম্প্রদায় যদি কোনো মজলিসে বসে এবং তাতে আল্লাহকে স্মরণ না করে এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ এর উপর দরূদ না পড়ে, তাহলে সেই মজলিস তাদের জন্য অনুতাপের কারণ হবে। অতএব তিনি চাইলে তাদের শাস্তি দিবেন কিংবা তাদের ক্ষমা করে দিবেন।

(তিরমিযী, হা/৩৩৮০)

১০. যেকোন দুঃখ-কষ্টের সময় বেশি বেশি দরূদ পাঠ করা উচিত :

عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ كَانَ رَسُوْلَ اللهِ إِذَا ذَهَبَ ثُلُثًا اللَّيْلِ قَامَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ أُذْكُرُوْا اللهَ أُذْكُرُوْا اللهَ جَاءَتِ الرَّاجِفَةُ تَتَّبِعُهَا الرَّادِفَةُ جَاءَ الْمَوْتُ بِمَا فِيْهِ جَاءَ الْمَوْتُ بِمَا فِيْهِ قَالَ أُبَيْ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهَ إِنِّيْ أَكْثَرُ الصَّلَاةِ عَلَيْكَ فَكَمْ أَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلَاتِيْ ؟ فَقَالَ مَا شِئْتَ قَالَ قُلْتُ الرُبُعُ قَالَ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَّ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ قُلْتُ النِّصْفُ قَالَ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَّ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ قَالَ قُلْتُ فَالثُّلُثَيْنِ قَالَ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَّ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ قُلْتُ أَجْعَلُ لَكَ صَلَاتِيْ كُلُّهَا قَالَ إِذَا تَكْفِىْ هَمَّكَ وَيَغْفِرُ لَكَ ذَنْبَكَ

উবাই ইবনে কা‘ব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাতের দুই তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ ﷺ ঘুম থেকে উঠে যেতেন। অতঃপর তিনি বলতেন, হে মানুষেরা! তোমরা আল্লাহর যিকির করো, তোমরা আল্লাহর যিকির করো, রাজেফা (কিয়ামতের কম্পন) তো প্রায় এসেই গেছে তারপরই রাদেফা আসবে। মৃত্যু তার আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে উপস্থিত, মৃত্যু তার আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে উপস্থিত। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনার উপর বেশি বেশি করে সালাত প্রেরণ করতে চাই। আমি আপনার উপর কতবার সালাত প্রেরণ করব? রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তুমি যা পার। আমি বললাম, আমার সমূদয় (আমল ও দু‘আর) চার ভাগের এক ভাগ? তিনি বললেন, তুমি যা পার; তবে যদি তুমি বাড়াও তাহলে তা তোমার জন্য উত্তম। আমি বললাম, তাহলে কি আমি আমার (আমল ও দু‘আর) অর্ধেক আপনার জন্য সালাত প্রেরণে নিয়োজিত করব? রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তুমি যা পার; তবে যদি তুমি বাড়াও তাহলে তা তোমার জন্য উত্তম। আমি বললাম, তাহলে কি তিনভাগের একভাগ আপনার জন্য সালাত পাঠে ব্যয় করব? তিনি বললেন, তুমি যা পার; তবে যদি তুমি বাড়াও তাহলে তা তোমার জন্য উত্তম। আমি বললাম, তাহলে আমি আমার সমুদয় দু‘আই আপনার জন্য সালাত প্রেরণে কাটিয়ে দেব। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তাহলে তা তোমার দুশ্চিন্তা দূর করবে এবং তোমার গুনাহসমূহ মুছে দেবে। (তিরমিযী, হা/২৪৫৭)

১১. যখনই দরূদ পড়া হয় তখনই তা নবীর কাছে পৌঁছে যায়; তাই সর্বাবস্থায় রাসূলুল্লাহ ﷺ এর উপর দরূদ পাঠ করা উচিত :

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ لَا تَتَّخِذُوْا قَبْرِيْ عِيْدًا وَلَا تَجْعَلُوْا بُيُوْتَكُمْ قُبُوْرًا وَحَيْثُمَا كُنْتُمْ فَصَلُّوْا عَلَيَّ فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ تَبْلُغُنِيْ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ বলেছেন, তোমরা আমার কবরকে ঈদে (মিলন মেলায়) পরিণত করো না। আর তোমরা তোমাদের ঘরকে কবরে পরিণত কর না। তোমরা যেখানেই থাক না কেন আমার উপর দরূদ পড়ো। কারণ তোমাদের দরূদ আমার কাছে পৌঁছে যায়। (মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৮০৪; আবু দাউদ, হা/২০৪৪)

عَنْ عَبْدِ اللهِ ابْنْ مَسْعُوْدٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ إِنَّ لِلّٰهِ مَلَائِكَةً سَيَّاحِيْنَ فِي الْأَرْضِ يُبَلِّغُوْنِي مِنْ أُمَّتِي السَّلَامَ

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহর কতিপয় ফেরেশতা রয়েছেন যারা বিশ্বে ঘুরে বেড়ায়। তারা আমার উম্মতের পক্ষ থেকে আমার কাছে সালাম পৌঁছিয়ে দেন। (সুনানে নাসাঈ, হা/১২৮১)

عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيْقِ قَالَ : قالَ رَسُوْلَ اللهِ : أَكْثِرُوْا الصَّلَاةَ عَلَيَّ ، فَإِنَّ اللهَ وُكِّلَ بِيْ مَلَكًا عِنْدَ قَبْرِيْ ، فَإِذَا صَلَّ عَلَيَّ رَجُلٌ مِنْ أُمَّتِيْ قَالَ لِيْ ذٰلِكَ الْمَلَكُ : يَا مُحَمَّد إِنَّ فُلَانَ بْنَ فُلَانٍ صَلّٰى عَلَيْكَ السَّاعَةَ

আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা আমার উপর বেশি বেশি দরূদ পাঠ করো। কেননা আল্লাহ তা‘আলা আমার কবরের কাছে একজন মালাক (ফেরেশতা) নিযুক্ত করে রেখেছেন। যখনই আমার উম্মতের মধ্যে কোন ব্যক্তি আমার উপর দরূদ পাঠ করে, তখন সেই ফেরেশতা আমাকে বলে, হে মুহাম্মাদ! অমুক, অমুক ব্যক্তি এই সময় আপনার উপর দরূদ পাঠ করেছে। (সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৫৩০)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন