hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাত (দরূদ) পড়ার অর্থ, ফযিলত, পদ্ধতি ও স্থানসমূহ

লেখকঃ জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের

৬২
দরূদ সম্পর্কীয় দুর্বল হাদিসসমূহ
عَنْ أَنَسٍ رَضِي اللهُ عَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُولَ اللهِ صلي الله عليه وسلم : مَنْ صَلَّي عَلَيَّ يَوْمَ الْجُمْعَةِ ثَمَانِيْنَ مَرَّةً غَفَرَ اللهُ لَهُ ذَنُوْب َثَمَانِيْنَ عَامًا , فَقِيْلَ لَهُ : كَيْفَ الصَّلاَةُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ ؟ قَالَ : تَقُوْلُ : اللَّهُمَّ صلِّ عَلَي مُحَمَّدٍ وَنَبِيِّكَ وَرَسُوْلِكَ النَّبِيِّ الأُمِّيِّ وَتَعْقِدُ وَاحِدًا . رواه الخطيب

দুই- আনস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুমার দিন আমার উপর আশিবার দরূদ পাঠ করবে আল্লাহ তা‘আলা তার আশি বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন”। তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার উপর দরূদ কিভাবে পাঠ করা হবে? বললেন: বল -“আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া নাবীয়্যিকা ওয়া রাসূলিকান নবীয়্যিল উম্মিয়্যি”।

ফায়েদা: এই হাদিসটি জাল। বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন -সিলসিলা যয়ীফাহঃ ১/ হা/নং ২১৫।

عَنْ يُوْنُسَ مَوْلَي بَنِي هَاشِمٍ قَالَ : قُلْتُ لِعَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَوْ ابْنِ عُمَرَ كَيْفَ الصَّلاَهُ عَلَي النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم ؟ قَالَ : اللَّهُمَّ اجْعَلْ صَلَوَاتِكَ وَبَرَكَاتِكَ وَرَحْمَتِكَ عَلَي سَيِّدِ الْمُرْسَلِيْنَ وَإِمَامِ الْمُتَّقِيْنَ وَخَاتِمِ النَّبِيِّيْنَ مُحَمَّدٍ عَبْدِكَ وَرَسُوْلِكَ وَإِمَامِ الْخَيْرِ وَقَائِدِ الخير اللَّهُمَّ ابْعَثَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مَقَامًا مَحْمُوُْدًا يَغْبِطْهُ الأَوَّلُوْنَ وَالآخِرُوْنَ وَصَلِّ عَلَي مُحَمَّدٍ وَعَلَي آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَي إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَي آلِ إِبْرَاهِيْمَ . رواه إسماعيل القاضي في فضل الصلاة النبي صلي الله عليه وسلم

দুই- হাসেম গোত্রের আযাদকৃত দাস ইউনুস বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞেস করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দরূদ পড়ার নিয়ম কি? তিনি বললেন: “আল্লাহুম্মাজ‘আল ছালাওয়াতিকা ওয়া বারাকাতিকা ওয়া রাহমাতিকা আলা সাইয়িদিল মুসলিমীনা ওয়া ইমামিল মুত্তাকীনা ওয়া খাতামিন্নাবিয়্যীনা মুহাম্মাদিন আব্দিকা ওয়া রাসুলিকা ওয়া ইমামিল খাইরি ওয়া কায়িদিল খাইরি, আল্লাহুম্মাবআ’ছহু ইয়াউমাল কিয়ামাতি মাকামান মাহমূদান ইয়াগবিতুহুল আউওয়ালূনা ওয়াল আখিরুনা, ওয়া ছাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন কামা ছাল্লাইতা আলা ইবরাহীমা ওয়া আলা আলি ইবরাহীম”।

ফায়েদা: এই হাদিসটি দুর্বল। বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন, ‘ফদ্বলুচ্ছালাত আলান্নাবী’ হা/নং ৬১।

مَنْ صَلَّي عَلَيَّ مَرَّةً لَمْ يَبْقِ مِنْ ذُنُوْبِهِ ذَرَّةٌ .

তিন- “যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে তার কোনো গুনাহ থাকবে না”।

ফায়েদা: এই হাদিসটি জাল। বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন, কাশফুল খাফা, হা/নং ২৫১৬।

مَنْ حَجَّ حَجَّةَ الإِسْلاَمِ وَزَارَ قَبْرِي وَغَزَا غَزْوَةً وَصَلَّ عَلَيَّ فِي الْمُقَدِسِ لَمْ يَسْأَلْهُ اللهُ فِيْمَا افْتِرَضَ عَلَيْهِ .

চার- যে ব্যক্তি ইসলামের হজ্জ আদায় করে আর আমার কবর যিয়ারাত করে আর যুদ্ধ করে এবং বাইতুলমুকাদ্দাসে আমার উপর দরূদ পড়েছে তাকে আল্লাহ তা‘আলা ফরয বিধানাবলি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন না।

ফায়েদা: এই হাদিসটি যয়ীফ। বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন- ফদ্বলুচ্ছালাতি আলান্নাবিয়্যি: শায়খ আলবানী, হা/নং ৬১।

الصَّلاَةُ عَلَي النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم أَفْضَلُ مِنْ عِتْقِ الرِّقَابِ . رواه التيمي

পাঁচ “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দরূদ পড়া দাস মুক্ত করার চেয়ে উত্তম।

ফায়েদা: এই হাদিসটি জাল। বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন, আল মাকাছিদুল হাছানাহঃ হা/নং ৩৬০।

عَنْ سَهْلٍ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلي الله عليه وسلم قَالَ : لاَوُضُوْءَ لِمَنْ لم يُصَلِّ عَلَي النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم . رواه الطبراني

ছয়- সাহাল ইবনু সাআ’দ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দরূদ পড়েনি তার ওযু হবেনা। -তাবরানী।

ফায়েদা: এই হাদিসটি যয়ীফ তথা দুর্বল। বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন: যয়ীফুল জামিউসসাগীর, আলবানী, ২/ হা/নং ৬৩৩১।

كُلُّ الأَعْمَالِ فِيْهَا الْمَقْبُوْلُ وَالْمَرْدُوْدُ إِلاَّ الصَّلاَةُ عَلَيَّ فَإِنَّهَا مَقْبُوْلَةٌ غَيْرَمَرْدُوْدَةٍ

সাত- সকল আমলের কিছু গ্রহণযোগ্য হয় আর কিছু অগ্রহণযোগ্য। কিন্তু আমার জন্য পঠিত দরূদ কখনো অগ্রাহ্য হয়না। বরং সর্বদা গৃহিত হয়।

ফায়েদা: এই হাদিসটি যয়ীফ। বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন: আলফাওয়ায়িদুল মাজমূ‘আঃ হা/নং ১০৩১।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহব্বত লাভ করা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সূন্নাতের অনুসরণ তার আদেশ নিষেধসমূহের বাস্তবায়ন দ্বারাই হয়ে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ قُلۡ إِن كُنتُمۡ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِي يُحۡبِبۡكُمُ ٱللَّهُ وَيَغۡفِرۡ لَكُمۡ ذُنُوبَكُمۡۚ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٣١ قُلۡ أَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَۖ فَإِن تَوَلَّوۡاْ فَإِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ ٱلۡكَٰفِرِينَ ٣٢ ﴾ [ ال عمران : ٣١، ٣٢ ]

বল, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাস, তাহলে আমার অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু, বল, তোমরা আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য কর। তারপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ কাফিরদেরকে ভালোবাসেন না। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৩১, ৩২]

এ আয়াত দ্বারা বুঝা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহকে মহবব্বত করে বলে দাবী করে অথচ সে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শের অনুসরণ করে না, সে অবশ্যই স্বীয় দাবীতে মিথ্যুক। তাকে অবশ্যই যাবতীয় কর্মে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সূন্নাতের অনুসরণ করতে হবে। যেমন, বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَنْ عَمِلَ عَمَلًا لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ» ( رواه البخاري ومسلم )

‘যে ব্যক্তি দ্বীনের মধ্যে এমন কোনো কাজ করেছে যার ভিত্তি শরীয়তে নেই, সেই কাজ পরিত্যাজ্য’। [বুখারী: ২৫৫০, মুসলিম: ১৭১৮] (বুখারী, মুসলিম)

এ কারণেই আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

قُلۡ إِن كُنتُمۡ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِي يُحۡبِبۡكُمُ ٱللَّهُ

অর্থাৎ, তোমাদের জন্য তাকে মহব্বত করার চেয়েও বড় জিনিষটি লাভ হবে। আর তা হল, তিনি তোমাদের মহব্বত করবেন। আর এটি অবশ্যই প্রথমটি হতে উত্তম। হাসান বাসরী রহ. ও অন্যান্য সালফে সালেহীনগণ বলেন, অনেক মানুষ দাবী করে আমরা আল্লাহ তা‘আলাকে ভালোবাসী। আল্লাহ তা‘আলা তাদের এ আয়াতের মাধ্যমে যাচাই করেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

قُلۡ إِن كُنتُمۡ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِي يُحۡبِبۡكُمُ ٱللَّهُ

তারপর আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَيَغۡفِرۡ لَكُمۡ ذُنُوبَكُمۡۚ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٞ

অর্থাৎ, তোমরা যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করবে, তখন তোমাদের জন্য আল্লাহর আয়াতে ঘোষিত পুরস্কার লাভ হবে। তারপর আল্লাহ তা‘আলা সবাইকে সম্বোধন করে বলেন,

قُلۡ أَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَۖ فَإِن تَوَلَّوۡاْ أي : خالفوا عن أمره فَإِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ ٱلۡكَٰفِرِينَ

আয়াত দ্বারা বুঝা যায়, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শের বিরোধিতা করা কুফর। আর যারা কুফরি করে তাদের আল্লাহ তা‘আলা মহব্বত করেন না। যদিও সে এ দাবী করে যে, সে আল্লাহকে মহব্বত করে এবং তার নৈকট্য লাভ করে। কিন্তু রাসূল সা. এর ইত্তেবা ছাড়া সে মুমিন হতে পারবে না। রাসূল জ্বীন ও মানুষ উভয় সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত রাসূল তার সবার উপর তার ইত্তেবা করা ফরয। এমন কি যদি কোনো নবী বা রাসূল ও বড় কোনো মনীষীও তার যুগে আগমন করত তাহলে তার উপর রাসূলে উপর ঈমান আনা, তার ইত্তেবা করা ও তার আনীত দ্বীনের অনুসরণ করা ওয়াজিব হত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন