hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

কবীরা গুনাহ

লেখকঃ ইমাম শামসুদ্দীন আয-যাহাবী রহ.

৫১
৪৭ নং কবীরা গুনাহ: স্বামীর অবাধ্য হওয়া
স্বামীর অবাধ্য হওয়া

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَٱلَّٰتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَٱهۡجُرُوهُنَّ فِي ٱلۡمَضَاجِعِ وَٱضۡرِبُوهُنَّۖ فَإِنۡ أَطَعۡنَكُمۡ فَلَا تَبۡغُواْ عَلَيۡهِنَّ سَبِيلًاۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيّٗا كَبِيرٗا﴾ [ النساء : ٣٤ ]

“আর তাদের স্ত্রীদের মধ্যে অবাধ্যতার আশংকা কর তাদের সদুপদেশ দাও তাদের শয্যা ত্যাগ করো এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা অনুগত হয়ে যায় তবে তাদের জন্যে কোনো পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার ওপর শ্রেষ্ঠ।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৩৪]

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«اذا دعا الرجل امرأته الى فراشه فأبت فباتت غضبان عليها لعنتها الملائكة حتى تصبح» .

“যদি কোনো পুরুষ তার স্ত্রীকে বিছানায় আহ্বান করে আর স্ত্রী অস্বীকার করার ফলে স্বামী রাগান্বিত অবস্থায় রাত্রিযাপন করে তখন ঐ স্ত্রীর ওপর ফিরিশতারা অভিশাপ করতে থাকে।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৯৯৮।]

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«لو كنت آمر أحدا أن يسجد لغير الله لآمرت المرأة أن تسجد لزوجها والذي نفس محمد بيده لا تؤدي المرأة حق ربها حتى تؤدي حق زوجها كله لو سألها نفسها وهي على قتب لم تمنعه» .

“যদি তাদেরকে আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সাজদাহ করার আদেশ দিতাম তাহলে নারীদের প্রতি আদেশ দিতাম আরা যেন তাদের স্বামীদের সাজদাহ করে। ঐ সত্তার শপথ করে বলছি যার হাতে আমার জীবন, মহিলারা ঐ পর্যন্ত আল্লাহর হক আদায় করতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে স্বামীর হক আদায় না করে, এমনকি স্বামী যদি যাত্রা পথে ঘোড়ার পৃষ্ঠেও তাকেও আহ্বান করে তখনও তাকে বাধা না দেয়।” [আহমদ, হাদীস নং ১০৭৯।]

সুতরাং তাদেরকে আল্লাহর ছাড়া অন্য কাউকে সাজদাহ করার আদেশ দিতাম তাহলে নারীদের প্রতি আদেশ দিতাম তারা যেন তাদের স্বামীদের সাজদাহ করে। ঐ সত্তার শপথ করে বলছি, যার হাতে আমার জীবন, মহিলারা ঐ পর্যন্ত আল্লাহর হক আদায় করতে পারে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে স্বামীর হক আদায় না করে, এমনকি স্বামী যদি যাত্রা পথে ঘোড়ার পিঠেও তাকে আহ্বান করে তখনও তাকে বাধা না দেয়।” [আহমদ, সহীহ আল-জামে।]

সুতরাং নারীদের কর্তব্য, তারা সর্বাবস্থায় স্বামীর সন্তুষ্টি অর্জনে সচেষ্ট হবে এবং তার অসন্তুষ্টি থেকে বেচে থাকবে, কখনো স্বামীকে জৈবিক চাহিদা পূরণে বাধা দেবে না। তবে যদি শর‘ঈ কোনো আপত্তি থাকে তবে যেমন, হায়েয নিফাস অথবা ফরয সাওম ইত্যাদি অবস্থায় শুধু সহবাস থেকে নিষেধ করতে পারে। মহিলাদের জন্য কর্তব্য হল সর্বদা স্বামীর নিকট লজ্জাবতী হওয়া, তার আদেশের আনুগত্য করা, তার সকল প্রকার অপছন্দনীয় কাজ হতে বিরত থাকা।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«اطلعت في الجنة فرأيت أكثرها أهلها الفقراء واطلعت في النار فرايت أكثر أهلها النساء» .

“আমি জান্নাতে উকি মেরে দেখি, জান্নাতে অধিকাংশ অধিবাসী দরিদ্র এবং জাহান্নামে উকি মেরে দেখি, তার অধিকাংশ অধিবাসী মহিলা।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩০০২।]

অত্র হাদীসের ব্যাখ্যায় ইমাম হাফেয শামসুদ্দীন আয-যাহাবী বলেন, মহিলাদের আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি আনুগত্যের অভাব। স্বামীর অবাধ্যতা এবং পর্দাহীনতাই এর মূল কারণ। মহিলারা যখন ঘর থেকে বের হয় তখন সর্বোচ্চ সুন্দর পোশাক পরে বিশেষ সাজ-সজ্জা অবলম্ভন করে, যা মানুষকে ফিৎনায় পড়তে বাধ্য করে। সে নিজে নিরাপদে থাকলেও মানুষ তার থেকে নিরাপদ থাকে না।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«المرأة عورة، فإذا خرجت استشرفها الشيطان»

“মহিলারা আবরণীয়, কিন্তু যখন তারা রাস্তায় বের হয় তখন শয়তান তাকে মাথা উঁচু করে দেখে।” [তিরমিযী, হাদীস নং ১০৯৩।]

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«المرأة عورة، وإنها إذا خرجت من بيتها اسبشرفها الشيطان، وإنها لا تكون أقرب الى الله منها في قعر بيتها» .

“মহিলারা হলো আবরণীয়, তারা যখন ঘর হতে বের হয় তখন শয়তান তাদেরকে মাথা উচু করে দেখে। তারা যত বেশি ঘরের কোণে অবস্থান করবে ততই আল্লার নৈকট্য লাভ করবে।” [তিরমিযী, হাদীস নং ১০৯৩; সহীহ আল-জামে।]

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«ما تركت بعدي في الناس فتنة أضر على الرجال من النساء» .

“আমার পরে পুরুষদের ওপর মহিলাদের মতো ক্ষতিকর আর কোনো ফিৎনা আমি রেখে যাই নি।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৪০৬।]

মহিলাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ তার ঘর অবস্থান করা। আল্লাহর ইবাদত, স্বামীর আনুগত্য, তার অধিকার সর্ম্পকে সচেতন থাকা, স্বামীর ওপর কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি না করা এবং আপন চরিত্রে কোনো প্রকার কলঙ্ক না জড়ানো।

উল্লিখিত প্রতিটি হাদীসে স্ত্রীর কাছে স্বামীর অধিকার যে কত বড় তা বুঝানো হয়েছে। বাস্তবিক পক্ষে এ বিষয়টি বিশ্লেষণ করার কারণে বর্তমানে এটি মহিলাদের জন্যে মহা প্রলয়ংকারী বিপদে পরিণত হয়েছে।

হে মুসলিম ভাইয়েরা! আপনাদের প্রতি আমার বিনীত উপদেশ এই যে, আপনারা এমন নারীদের বিবাহ করবেন যারা মুমিনা, পর্দানশীল, স্বামীর অনুগত, আপনার ধন স্পদ রক্ষাকারিণী এবং সে পর্দাহীনভাবে সাজ-সজ্জা গ্রহণ করে রাস্তায় বের হবে না, আর আপনার আনুগত্য করবে।

যদি আপনার স্ত্রী মুমিনা ও অনুগতা মহিলা হয় তাহলে আপনি হিতাকাঙ্খী হবেন, তার সাথে কোনো রকমের হঠকারিতাপূর্ণ আচরণ করবেন না।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«استوصوا بالنساء خيرا، فإن المرأة خلقت من ضلع، وان أعوج شيئ في الضلع أعلاه، فإن ذهبت تقيمه كسرته، وان تركته لم يزل أعوج، فاستوصوا بالنساء خيرا» .

“তোমরা মেয়েদের সাথে ভালো ব্যবহার করবে। তাদেরকে বাম পাজরের হাড় হতে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাজরের হাড় সবচেয়ে বাকা হয়, যদি তুমি সোজা করতে চেষ্টা কর ভেঙ্গে যাবে, আর যদি ছেড়ে তাও তাহলে সর্বদা বাকা তাকবে। সুতরাং তাদের সাথে সৎ ব্যবহার করতে থাক।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩০৮৪।]

তাদের সাথে সৎ ব্যবহার হলো, আল্লাহর আদেশের আনুগত্য করার নির্দেশ দেওয়া এবং নিষেধ কাজ থেকে বিরত থাকতে আদেশ করা। এগুলো তাদেরকে জান্নাতের পথের নিয়ে যায়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন