মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যথার্থ অনুসরণ করা হলো ভালোবাসার দাবি
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/237/8
আল্লাহ তাআলা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কেন রাসূল হিসেবে প্রেরণ করলেন? তার প্রতি আমাদের করণীয় কী? আল্লাহ তা‘আলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ জন্য পাঠিয়েছেন যে, আমরা যেন তার অনুসরণ করি। তার নির্দেশনা মতো আল্লাহর হুকুম মান্য করি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন,
‘‘আমরা রাসূলকে এ জন্যই পাঠিয়েছি যে, আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে তার আনুগত্য করা হবে।’’ [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৬৪]
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসা ও তাকে মুহাব্বত করা হবে ঈমানের দাবী। যার মধ্যে রাসূলের ভালোবাসা নেই সে ঈমানদার নয়। রাসূলের ভালোবাসার পরিচয় দিবেন কীভাবে? এর দু’টি পদ্ধতি রয়েছে।
এক. আল্লাহর নির্দেশ মতো জীবনের সর্বক্ষেত্রে তার অনুসরণ করে ও এর জন্য যে কোনো ত্যাগ ও কুরবানী স্বীকারে প্রস্তুত থেকে।
দুই. তাঁকে অনুসরণ না করে, তার গুণাগুণ ও প্রশংসা বর্ণনায় ব্যস্ত থেকে, মীলাদ পড়ে, মীলাদুন্নবী উদযাপন করে।
আসলে ভালোবাসা প্রমাণ করার কোন পদ্ধতিটি সঠিক? আমার মনে হয় মতলববাজ ব্যতীত সকল মানুষ উত্তর দিবে সঠিক হলো প্রথমটিই।
আবূ লাহাব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসতেন। এতটাই ভালোবাসতেন যে, তাঁর জন্মের সুসংবাদ যে ক্রীতদাসীর কাছে শুনলেন, আনন্দের অতিশয্যে সে ক্রীতদাসী সুয়াইবাকে মুক্ত করে দিলেন এবং নবুওয়াত পূর্ব পূর্ণ চল্লিশ বছর তার ভালোবাসা ছিল অক্ষত। কিন্তু রাসূলের আনুগত্য না করার কারণে পাল্টে গেল আবু লাহাবের পুরো চেহারা।
আবু তালিবের কথা কারো অজানা নয়। আল্লাহর রাসূলের একেবারে শৈশব থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স পর্যন্ত তাকে নিজ সন্তানের মতো ভালোবেসেছেন। লালন-পালন করেছেন আদর, স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা দিয়ে। আর এ ভালোবাসতে গিয়ে অনেক কষ্ট স্বীকার করেছেন। দীর্ঘ তিন বছর খেয়ে না খেয়ে উপোষ থেকে শো‘আবে আবু তালিব উপত্যকায় নির্বাসিত জীবন-যাপন করেছেন তাঁরই জন্য। ছায়ার মতো সাথে থেকেছেন বিপদ-আপদে। রাসূল মুহাম্মাদের অনুসরণ করা দরকার এটি মুখে স্বীকারও করেছেন। কবিতাও রচনা করেছেন তাঁর উদ্দেশ্যে। কিন্তু অনুসরণ করলেন না তাঁর আনীত দাওয়াত ও পয়গামের। ফলে সবকিছুই বৃথা গেল। তার জন্য দো‘আ-প্রার্থনা করতেও নিষেধ করা হলো।
পশ্চিমা বহু লেখক ও চিন্তাবিদরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব বলে স্বীকার করেন। কিন্তু তিনি যে সকল মানুষের জন্য অনুসরণীয়-অনুকরণীয় নির্ভুল আদর্শ, তাঁর নির্দেশিত পথই একমাত্র মুক্তির পথ, এ বিষয়টি তাদের কাছে বোধগম্য হয়ে উঠে না।
গ্যেটে কারলাইল থেকে শুরু করে অদ্যাবধি অতি সাম্প্রতিক মাইকেল হার্ট (দি-হান্ড্রেড লেখক) পর্যন্ত বহু লেখক, গবেষক, চিন্তাবিদ ও রাজতৈনিক নেতা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে অনেক সপ্রশংস- উক্তি, সীমাহীন ভক্তির নৈবদ্য পেশ করেছেন, অকুণ্ঠ চিত্তে স্বীকার করেছন, আবহমান পৃথিবীর সর্বকালীন প্রেক্ষাপটে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই সর্বোত্তম ব্যক্তি।
কিন্তু প্রশ্ন হলো তাদের এ প্রশংসা ও ভালোবাসার দাবি কি কোনো কল্যাণে আসবে?
আজকে যারা নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুহাব্বত ও ভালোবাসার দাবি নিয়ে তাঁরই নির্দেশ লংঘন করে বিভিন্ন বিদ‘আতী কাজ-কর্মের প্রসারে লিপ্ত। তাঁর দীনে যা তিনি অনুমোদন করে যান নি, তারা যা অনুমোদন করতে ব্যস্ত তাদের পরিণতি কী হবে? এর আলোকে বিষয়টি বিবেচনা করার দাবি অসঙ্গত হবে না।
এ ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি বাণী পেশ করা যেতে পারে।
‘‘শুনে রাখো! হাউজে কাউসারের কাছে তোমাদের সাথে আমার দেখা হবে। তোমাদের সংখ্যার আধিক্য নিয়ে আমি গর্ব করব। সেদিন তোমরা আমার চেহারা মলিন করে দিও না। জেনে রাখো! আমি সেদিন অনেক মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করার চেষ্টা চালাব, কিন্তু তাদের অনেককে আমার থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়া হবে। আমি বলব: হে আমার রব! তারা তো আমার প্রিয় সাথী-সংঙ্গী, আমার অনুসারী। কেন তাদের দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে? তিনি উত্তর দিবেন: আপনি জানেন না, আপনার চলে আসার পর তারা দীনের মধ্যে কী কী নতুন বিষয় আবিস্কার করেছে।” [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩০৫৭।]
অবশ্যই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসতে হবে। তার জন্য বেশি বেশি করে দুরূদ ও সালাম পেশ করতে হবে। তার প্রশংসা করতে হবে। সর্বোপরি তাঁর সকল আদর্শ ও সুন্নাতের অনুসরণ অনুকরণ করতে হবে। কিন্তু এগুলো করতে যেয়ে তিনি যা নিষেধ করেছেন আমরা যেন তার মধ্যে পতিত না হই। যদি হই তাহলে বুঝে নিতে হবে ভালো কাজ করতে গিয়ে শয়তানের ফাঁদে আমরা পা দিয়েছি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/237/8
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।