hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

বিদআত থেকে সাবধান

লেখকঃ শাইখ সালেহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান (রহঃ)

২০
২) বিশেষ স্থান এবং জীবিত বা মৃত ওলীর কাছ থেকে বরকত হাসিল করাঃ
কোন বস্তুতে স্থায়ীভাবে কল্যাণ থাকা এবং তা বৃদ্ধি হওয়ার নাম তাবার্‌রুক। কাজেই যে বস্তুতে বরকত নেই এবং যে ব্যক্তি বরকতের ক্ষমতা রাখেনা, তা থেকে বরকত লাভের আশা করা বৈধ নয়। বরকতের সঠিক অর্থ অনুযায়ী একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনই সকল বরকতের মালিক। তিনিই বরকত নাযিল করেন এবং তা স্থায়ী করেন। কোন সৃষ্টি জীবের পক্ষে বরকত দান করা অথবা বরকত তৈরী করা সম্ভব নয়। তেমনিভাবে কোন মাখলুকের পক্ষে বরকত স্থায়ীভাবে ধরে রাখা বা আটকিয়ে রাখাও সম্ভব নয়। সুতরাং কোন স্থান, স্মারক চিহ্ন অথবা জীবিত কিংবা মৃত আওলিয়া থেকে বরকত গ্রহণ করা বৈধ নয়। কেউ যদি এবিশ্বাস করে যে, কোন মাখলুক বরকত দিতে সক্ষম, তাহলে এ ধরণের বিশ্বাস শির্কে পরিণত হবে। আর যদি বিশ্বাস করে যে, অমুক স্থান যিয়ারত করলে অথবা স্পর্শ করার কারণে আল্লাহর পক্ষ হতে বরকত লাভ হবে, তাহলে তা সরাসরি শির্ক না হলেও শির্কের পথকে উম্মুক্ত করবে এবং পরবর্তীতে শির্কের দিকে নিয়ে যাবে। তবে হাজরে আসওয়াদের কথা ভিন্ন। কারণ হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করা মুস্তাহাব। কারণ এ ব্যাপারে নবী (সাঃ) থেকে দলীল রয়েছে। শুধু তাই নয়, নবী (সাঃ) এর যে কোন সুন্নাত পালনের মাধ্যমে বরকত লাভের আশা করা বৈধ।

কোন কোন লোক শায়খ বা পীরদের শরীর, অযুর পানি এবং পাগড়ীসহ অন্যান্য বস্তু থেকে বরকত নেয়ার পক্ষে সাহাবাগণ কর্তৃক রাসূল (সাঃ)এর উচ্ছিষ্ট বস্তু থেকে বরকত গ্রহণ করাকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করে থাকে। তাদের এ দলীল গ্রহণ সঠিক নয়। কারণ সাহাবাগণ কর্তৃক রাসূল (সাঃ)এর শরীরের লোম, মুখের থুথু এবং শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে বরকত গ্রহণ শুধু রাসূল (সাঃ)এর সাথে নির্দিষ্ট ছিল। তাও আবার রাসূল (সাঃ) জীবিত থাকাবস্থায়। মৃত্যুর পর নয়। যদি প্রশ্ন করা হয়, রাসূল (সাঃ)এর সাথে খাছ বা নির্দিষ্ট ছিল, এ কথার দলীল কি? উত্তর হল, রাসূল (সাঃ) এর ওফাতের পর সাহাবাগণ তাঁর ঘর-বাড়ীর আসবাব পত্র এবং কবর শরীফ থেকে বরকত হাসিল করার চেষ্টা করেন নি। রাসূল (সাঃ) যে সমস্ত স্থানে নামায আদায় করতেন এবং যেখানে তিনি বসতেন, সে সকল স্থানেও তারা বরকতের জন্য গমণ করতেন না। অথচ রাসূল (সাঃ)এর ওফাতের পর সাহাবাদের বরকতের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যায় নি। বরং অনেক ক্ষেত্রে আরো বেশী প্রয়োজন ছিল। তা সত্বেও কোন সাহাবী রাসূল (সাঃ)এর রেখে যাওয়া কোন জিনিষ থেকে বরকত লাভ করার চেষ্টা করেন নি। কারণ তারা ভাল করেই জানতেন যে বরকত লাভের ধারাবাহিকতা রাসূল (সাঃ)এর ওফাতের পর শেষ হয়ে গেছে। রাসূলের (সাঃ) জীবিতাবস্থায় তাঁর শরীর থেকে বরকত লাভ করাকে দলীল হিসাবে গ্রহণ করে আওলীয়াদের ব্যবহৃত বস্তু থেকে বরকত লাভ করা বৈধ মনে করা আরও কঠিনভাবে নিষিদ্ধ। কারণ সাহাবাগণ তাঁদের মধ্যকার সৎ লোক যেমন আবু বকর, উমার এবং অন্যান্য সম্মানিত সাহাবাদের কারও নিকট থেকে বরকত লাভ করেন নি। জীবিত সাহাবীদের কাছ থেকেও নয় এবং মৃত্যুবরণকারী সাহাবীদের কাছ থেকেও নয়। তাঁদের কেউ নামায আদায় কিংবা দুহআ করার জন্য গারে হেরা বা হেরা পাহাড়েও যেতেন না, যেখানে রাসূল (সাঃ)এর উপর অহী নাযিল হয়েছিল। তেমনিভাবে তারা নামায পড়া অথবা দুহআ করার জন্য তুর পাহাড়েও যেতেন না, যেখানে মূসা (আঃ)এর সাথে আল্লাহ তায়ালা কথা বলেছেন। যেসমস্ত পাহাড়ের কিছু কিছু স্থানে নবী ও অলীদের অবস্থানের কথা প্রমাণিত আছে, সেসমস্ত স্থানে তাঁরা যেতেন বলেও কোন প্রমাণ নেই। রাসূল (সাঃ) মদীনাতে সবসময় যেস্থানে নামায আদায় করতেন, সাহাবীদের কেউ সেখানে গিয়ে তা স্পর্শ করেছেন বা চুম্বন করেছেন বলে প্রমাণিত নেই। এমনিভাবে মক্কা বা অন্যান্য স্থানের ক্ষেত্রেও অনুরূপ। সুতরাং যে সমস্ত স্থানে রাসূল (সাঃ) সম্মানিত পা দুহটি দিয়ে হেঁটেছেন, যেখানে তিনি নামায আদায় করেছেন উম্মতের জন্য সে সমস্ত স্থান স্পর্শ বা চুম্বন করা যদি বৈধ না হয়, তাহলে অন্য কোন অলীর নামায বা ঘুমানোর স্থানে বরকতের জন্য স্পর্শ করা বা চুম্বন করা কিভাবে বৈধ হতে পারে? মোট কথা মুসলিম উম্মার উলামা সমপ্রদায় এ ব্যাপারে একমত যে, বরকতের জন্য কোন স্থান স্পর্শ বা চুম্বন করা মুহাম্মাদ (সাঃ)এর নিয়ে আসা শরীয়তের কোন অংশ নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন