মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
বর্তমানকালে মুসলিম সমাজ যেসমস্ত বিদআতে পরিপূর্ণ তার মাঝে কবরের সাথে সম্পৃক্ত বিদআত সবচেয়ে ভয়াবহ। কবরের উপর গম্বুজ নির্মাণ করা, কবর পাকা করা, কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করা, কবর থেকে বরকত হাসিলের জন্য এবং মৃত অলীদের উসীলা দেয়াসহ অন্যান্য শির্কী উদ্দেশ্যে কবর যিয়ারত করা, মহিলাদের কবর যিয়ারত করা এসব কিছুই বিদআত। রাসূল (সাঃ) কবর যিয়ারতকারিনী মহিলা এবং কবরের উপর মসজিদ নির্মাণকারী ও কবরে প্রদীপ প্রজ্জলনকারীদের উপর লানত করেছেন।
রাসূল (সাঃ) শির্কের সকল পথই বন্ধ করে দিয়েছেন এবং শির্ক থেকে উম্মতকে সতর্ক করেছেন। তিনি কবরের ব্যাপারে আরও কঠোরভাবে সাবধান করেছেন এবং আওলীয়া ও সৎ লোকদেরকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন। কেননা সৎ লোকদেরকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করাই তাদের ইবাদতের দিকে নিয়ে যায়। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করা থেকে সাবধান থাকবে। কেননা দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করেই অতীত জাতিসমূহ ধ্বংস হয়েছে। [- আহমাদ, তিরমিজী।] তিনি আরও বলেন, খৃষ্টানরা যেমন মরিয়মের পুত্র ঈসা (আঃ) কে নিয়ে বাড়াবাড়ি করেছে, তোমরা আমাকে নিয়ে তেমনভাবে বাড়াবাড়ি করনা। আমি আল্লাহর একজন বান্দা। সুতরাং তোমরা আমাকে আল্লাহর বান্দা এবং রাসূল বল। [- বুখারী।] তিনি কবরের উপর প্রাচীর নির্মাণ এবং ঘর-গম্বুজ নির্মান করতে নিষেধ করেছেন। আবুল হাইয়াজ আল-আসাদী বলেন, আমাকে আলী (রাঃ) বললেন, আমাকে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) যে কাজ দিয়ে পাঠিয়েছিলেন, আমি কি তোমাকে সে কাজ দিয়ে পাঠাবনা? তা এই যে কোন মূর্তি পেলে তা ভেঙ্গে ফেলবে এবং মাটি থেকে উঁচু কোন কবর পেলে তা ভেঙ্গে মাটির সমান করে দিবে। [- মুসলিম।] এমনিভাবে রাসূল (সাঃ) কবরের উপর চুনকাম করতে এবং তার উপর কোন প্রকার নির্মাণ কাজ করতে নিষেধ করেছেন। জাবের (রাঃ) রাসূল (সাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূল (সাঃ) কবরের উপর চুনা লাগাতে, কবরের উপর বসতে এবং তার উপর কিছু নির্মান করতে নিষেধ করেছেন। [- মুসলিম।]
রাসূল (সাঃ) কবরের কাছে নামায আদায় করতে নিষেধ করেছেন। উম্মুল মুমেনীন আয়েশা (রাঃ) বলেন,
অর্থঃ রাসূল (সাঃ) যখন মৃত্যুকালিন সময়ে উপনীত হলেন, তখন তাঁর মুখমন্ডল একটি চাদর দিয়ে ঢাকা ছিল। তাঁর অবস্থা যখন একটু ভাল হত, তখন মুখের উপর থেকে চাদরটি সরাতেন এবং বলতেন ইয়াহুদ-নাসারাদের উপর আল্লাহর লানত, তারা তাদের নবীদের কবরসমূহকে মসজিদে পরিণত করেছে। তাদের মত করা থেকে সাবধান করার জন্যই তিনি একথা বলেছেন। তাঁর কবরকে মসজিদে পরিণত করার ভয় না থাকলে মুমেন জননী আয়েশা (রাঃ) এর ঘরে কবর না দিয়ে তাঁকে ঘরের বাইরে কবর দেয়া হত। [- বুখারী, মুসলিম] রাসূল (সাঃ) আরও বলেন,
অর্থঃ জেনে রাখা উচিৎ যে, তোমাদের পূর্বের লোকেরা তাদের নবীদের কবরসমূহকে মসজিদে পরিণত করত। সাবধান! তোমরা কবরগুলোকে মসজিদে পরিণত করোনা। আমি তোমাদেরকে তা থেকে নিষেধ করছি। [- মুসলিম।] কবরকে মসজিদে পরিণত করার অর্থ হল কবরের কাছে নামায আদায় করা। যদিও তার উপর মসজিদ নির্মাণ করা হয়নি। মূলতঃ নামাযের জন্য কোন স্থানে গমণ করাই উক্ত স্থানকে মসজিদে রূপান্তরিত করার শামীল।
বর্তমান কালে অধিকাংশ মুসলিম সমাজ রাসূল (সাঃ) এর নিষেধ অমান্য করে চলেছে। রাসূল (সাঃ) যা নিষেধ করেছেন, তারা তাতেই লিপ্ত হয়েছে। এতে করে তারা বড় শির্কে লিপ্ত হয়েছে। কবরের উপর নির্মাণ করেছে মসজিদ, গম্বুজ। কবরকে পরিণত করেছে মাযার বা যিয়ারতের স্থানে। লিপ্ত হয়েছে তার কাছে পশু যবেহ করা, কবরবাসীর কাছে দুহআ করা, তাদের কাছে আশ্রয় চাওয়া, তাদের নামে মানতি পেশ করাসহ শির্কের প্রতিটি প্রকারে।
রাসূল (সাঃ) কবরের কাছে বা কবরের দিকে মুখ করে নামায আদায় করতে নিষেধ করেছেন। মুসলমানেরা তাঁর নিষেধ অমান্য করে কবরকে নামাযের স্থানে পরিণত করেছে। তিনি কবরকে মসজিদে পরিণত করতে নিষেধ করেছেন। তারা তাকে মসজিদে পরিণত করেছে। তিনি কবরে প্রদীপ জ্বালাতে নিষেধ করেছেন। তারা তাতে বাতি জ্বালিয়ে হাজার হাজার টাকা অপচয় করছে। রাসূল (সাঃ) মাযারের (কবরের) পাশে ওরশ (উৎসব) করতে নিষেধ করেছেন। এরা কবরের পাশে প্রতি বছর ঈদের মত উৎসব পালন করে চলছে। রাসূল (সাঃ) উঁচু কবরকে মাটির সাথে সমান করে দিতে বলেছেন। সহীহ মুসলিম শরীফে ইমাম মুসলিম আবুল হাইয়াজ আল আসাদী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, আবুল হাইয়াজ আল আসাদী (রাঃ) বলেন,
অর্থঃ আমাকে আলী (রাঃ) বললেন, রাসূল (সাঃ) আমাকে যে কাজের জন্য পাঠিয়েছিলেন, আমি কি তোমাকে সে কাজের জন্য পাঠাবো না? তা এই যে কোথাও কোন মূর্তি দেখতে পেলে তা ভেঙ্গে ফেলবে। কোন উঁচু কবর পেলে তা মাটির সাথে সমান করে দিবে। [- মুসলিম।] সহীহ মুসলিম শরীফে ছুমামা বিন শুফাই (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, আমরা একদা ফুজালা বিন উবাইদের সাথে রোম দেশের বারদুস অঞ্চলে ছিলাম। সেখানে আমাদের একজন সঙ্গী মৃত্যু বরণ করলেন। ফুজালা (রাঃ) তাঁর কবরকে মাটির সাথে সমান করে রাখতে বললেন। কবর পূজারীরা হাদীছের বিরোধীতা করে কবরকে ঘরের মত উঁচু করে থাকে।
প্রিয় পাঠক ভাই! লক্ষ্য করুন! কবরের ব্যাপারে রাসূল (সাঃ) কি বলেছেন, আর এরা করছে কি। তারা রাসূল (সাঃ)এর সুন্নাতের সম্পূর্ণ বিপরীত পথে চলছে। তাদের বিদআতী কাজ-কর্মের বর্ণনা দিয়ে শেষ করা যাবে না।
প্রিয় পাঠক ! আরো লক্ষ্য করুন! রাসূল (সাঃ) আমাদেরকে কেন কবর যিয়ারত করতে বলেছেন? আমাদেরকে কবর যিয়ারত করতে বলেছেন যাতে কবর আমাদেরকে আখেরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় এবং যাতে আমরা কবরের পাশে গিয়ে কবরবাসীর জন্য দুহআ করতে পারি, তার জন্য আল্লাহর রহ্মত ও ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারি। বর্তমান যুগের নামধারী মুসলমানেরা কবর যিয়ারতের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ পালটিয়ে দিয়েছে। দ্বীনকে পরিবর্তন করে ফেলেছে। বর্তমানে তাদের কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্য হল তথায় গিয়ে শির্কে লিপ্ত হওয়া, কবরবাসীর কাছে দুহআ করা, তার উসীলা দিয়ে আল্লাহর কাছে দুহআ করা, কবরবাসীর কাছে প্রয়োজন পূর্ণ করার আবেদন করা, কবর থেকে বরকত তালাশ করা ইত্যাদি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/255/29
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।