HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহর উপর আমলের আবশ্যকতা আর তার অস্বীকারকারীর কাফের হওয়া

লেখকঃ আব্দুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বায রহ.

এ বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিস থেকে প্রমাণ:
যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে ছিলেন এবং যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে ছিলেন না কিয়ামত পূর্ব দুনিয়াতে আগমন করবে এমন সবার জন্য আল্লাহর রাসূলের আনুগত্য করা ও তার আনিত দ্বীনের অনুসরণ করা ফরয হওয়া এবং তার নাফরমানি করা নিষিদ্ধ হওয়া বিষয়ে বর্ণিত হাদিসসমূহ মুতাওয়াতির – তথা নিরবিচ্ছিন্নভাবে অগণিত অসংখ্য লোকের বর্ণনার কারণে অকাট্যভাবে প্রমাণিত হওয়ার -পর্যায়ভুক্ত।

তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বুখারি ও মুসলিমে আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

«مَنْ أَطَاعَنِي فَقد أَطَاعَ الله ومَن عَصَانِي فقد عَصَى الله»

“যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করল, সে আল্লাহর আনুগত্য করল আর যে আমার বিরুদ্ধাচরণ করল, সে আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করল।” [বুখারি, জিহাদ অধ্যায়, হাদিস: ২৭৯৭, মুসলিম, ইমারাহ অধ্যায়, হাদিস: ১৮৩৫, আন-নাসায়ী, ৫৫১০, ইবন মাজাহ্‌, জিহাদ অধ্যায়, হাদিস: ২৮৫৯, আহমদ, ৩৮৭/২]

অনুরূপভাবে সহীহ বুখারীতে আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

«كلّ أمَّتي يَدخُلونَ الجنةَ إِلا مَن أَبَى قِيلَ يا رسولَ اللهِ ومَن يَأبَى قَالَ مَن أَطَاعَني دَخَلَ الجنة ومَن عَصَاني فَقد أَبَى»

“যে ব্যক্তি অস্বীকার করে, সে ব্যক্তি ব্যতীত আমার সকল উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করবে; সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন: হে আল্লাহর রাসূল! কোন ব্যক্তি অস্বীকার করে? তখন তিনি বললেন: যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে; আর যে ব্যক্তি আমার অবাধ্য, সে ব্যক্তিই অস্বীকার করে।” [বুখারী, আস-সহীহ: হাদিস নং- ৬/২৬৫৫/ ৬৮৫১, মুসলিম, হাদিস: ১৮৩৫, নাসায়ী, ৫৫১০, ইবন মাজাহ্‌, মুকাদ্দিমা, ৩, আহমাদ, ৩৬১/২]

ইমাম আহমদ, আবু দাউদ ও হাকিম বিশুদ্ধ সনদে মিকদাম ইবনে মা‘দি কারাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন

«ألا إني أوتيتُ هذا الكتاب، ومثلَهُ معهُ، ألا يُوشِكُ رَجُلٌ شَبْعان على أريكته، يقولُ : عليكم بِهذَا القُرآن، فيما وَجدْتُم فيه من حلالٍ فأحِلُّوهُ، وما وجدْتُم فيه من حرام فَحَرِّموهُ» .

“জেনে রাখ, নিশ্চয়ই আমাকে এই কিতাব দেয়া হয়েছে এবং তার সাথে তার অনুরূপ বস্তুও (সুন্নাহ) দেওয়া হয়েছে। সাবধান! অচিরেই কোনো কোনো ব্যক্তি এমন পাওয়া যাবে যে তার খাটের উপর বসে বসে বলবে: তোমাদের উপর আবশ্যক হল এই কুরআনকে গ্রহণ করা; সুতরাং তোমরা তাতে যা হালাল হিসেবে পাবে, তাকে হালাল বলে মেনে নেবে, আর তাতে যা হারাম হিসেবে পাবে, তাকে হারাম বলে ঘোষণা করবে [মুসনাদ আহমাদ ৪/১৩০, তিরমিযী, ইলম অধ্যায়; হাদিস: ২৬৬৪, আবু দাউদ, সূন্নাহ অধ্যায়, হাদিস: ৪৬০৬, ইবন মাজাহ, ১২।]।”

আবু দাউদ ও ইবন মাজাহ বিশুদ্ধ সনদে ইবনে আবু রাফে তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-

«لا أَلْفَينَّ أَحَدَكُم مُتّكِئًا عَلى أَريكتِهِ يَأتِيهِ الأمْرُ مِن أَمْري مَمّا أَمَرْتُ بِهِ أو نَهَيْتُ عَنْهُ فَيقولُ لا ندْري، ما وَجَدْنا في كِتابِ اللهِ اتَّبَعْنَاه » .

“আমি যেন তোমাদের কাউকে এমন দেখতে না পাই যে সে তার খাটের উপর হেলান দিয়ে বসে থাকবে [এ জাতীয় বসার মধ্যে না মানার অহঙ্কার ফুটে উঠবে। সে অহঙ্কারী হওয়ার কারণে রাসূলের হাদীসকে মানতে চাইবে না। [সম্পাদক]], তার নিকট আমার নির্দেশিত অথবা আমার নিষেধকৃত কোনো বিষয় পৌঁছবে, তখন সে বলবে, আমি জানি না, আমরা আল্লাহর কিতাবে যা পাব তা-ই কেবল অনুসরণ করব। [তিরমিযী, ইলম অধ্যায়; হাদিস: ২৬৬৩, আবু দাউদ সূন্নাহ অধ্যায়, হাদিস: ৪৬০৫, ইবন মাজাহ, ১৩, আহমদ: ৮/৬]

হাসান ইবনে জাবের হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মিকদাম ইবন মা‘দি কারাব রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন,

«حَرّمَ رَسولُ الله يومَ خَيْبَر أَشْياءَ ثم قَالَ يُوشِكُ أَحَدُكُم أَن يُكذِّبَني وَهو مُتّكِئ يُحًدّث بحدِيثي فَيقولُ بَيْنَنا وَبَيْنكُم كِتابُ اللهِ فما وَجَدْنَا فِيهِ من حَلالٍ اسْتَحْلَلْنَاهُ وَمَا وَجَدْنا فيه من حَرام حَرّمْنَاهُ أَلا إِنَّ مَا حَرّمَ رسُولُ اللهِ مِثْلُ مَا حَرّمَ الله» أخرجه الحاكم والترمذي وابن ماجه بإِسناد صحيح .

“রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাইবারের দিন কিছু জিনিসকে হারাম করেন। তারপর তিনি বলেন, অচিরেই তোমাদের কেউ কেউ আমাকে অমান্য করার মাধ্যমে মিথ্যারোপ করবে, সে হেলান দেয়া অবস্থায় থাকবে, তার কাছে আমার হাদিস বর্ণনা করা হবে, তখন সে বলবে, আমাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে ফায়সালা কারী আল্লাহর কিতাব। তাতে যে সব জিনিস হালাল পাব তাকে আমরা হালাল মনে করব, আর তাতে যে সব জিনিস হারাম পাব, তাকে আমরা হারাম মনে করব। সাবধান, মনে রাখবে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সব বস্তুকে হারাম বলবে, তা আল্লাহ যে সব বস্তুকে হারাম বলবে তারই মত। [তিরমিযী, ইলম অধ্যায়; হাদিস: ২৬৬৪, আবু দাউদ, সূন্নাহ অধ্যায়, হাদিস: ৪৬০৪, ইবন মাজাহ, ১২, আহমদ: ১৩২/৪, দারেমী ৫৮৬]

তদ্রূপ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অসংখ্য সনদে বর্ণিত যে, তিনি তার সাহাবীদের থেকে যারা উপস্থিত ছিল, তাদের ওসিয়ত করেন, তারা যেন অনুপস্থিত ব্যক্তিদের নিকট দ্বীনের দাওয়াত পৌছিয়ে দেন এবং তিনি তাদের বলতেন, হতে পারে যার নিকট পৌঁছানো হল, সে শ্রোতার চেয়ে অধিক সংরক্ষণকারী বা সমঝদার হবে। যেমন,

বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত, আরাফার দিন বিদায় হজের ভাষণে ও কুরবানির দিনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমবেত সাহাবীদের সম্বোধন করে বলেন,

«فليبلغ الشاهد الغائب فرب من يبلغه أوعى له ممن سمعه »

“উপস্থিত ব্যক্তি অনুপস্থিত ব্যক্তিকে পৌঁছিয়ে দেবে। হতে পারে যার কাছে পৌঁছানো হল, সে যার থেকে শুনেছে তার থেকে অধিক সংরক্ষণকারী হবে।” [বুখারি, হজ অধ্যায়, হাদিস: ১৬৫৪, মুসলিম, ১৯৭৯, ইবন মাজাহ, হাদিস: ২৩৩, আহমদ, হাদিস: ৩৭/৫, দারেমী, হাদিস: ১৯১৬]

যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত যে শুনবে এবং যার কাছে তা পৌঁছবে তার উপর প্রমাণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত না হবে, অনুরূপভাবে যদি রাসূলের সুন্নাত কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী না হবে, তাহলে তিনি সুন্নাতকে মানুষের নিকট পৌঁছানোর জন্য নির্দেশ দিতেন না। রাসূলের নির্দেশ দেওয়া দ্বারা জানা গেল যে, সুন্নাহ্‌ দ্বারা প্রমাণ গ্রহণ করা যারা রাসূলের মুখ থেকে সরাসরি শোনে তাদের ক্ষেত্রে যেমন জরুরী অনুরূপভাবে যাদের নিকট বিশুদ্ধ সনদে সুন্নতটি পৌঁছল তাদের জন্যও জরুরী।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ রাসূলের মুখের থেকে উচ্চারিত কথা ও কর্মগুলিকে যথাযথ সংরক্ষণ করেন এবং তারা তাদের পরবর্তী লোক তাবে‘ঈগণের নিকট তা পৌঁছান, তারপর তাবে‘ঈগণ তাদের পরবর্তী লোকদের নিকট পৌঁছান। এভাবে নির্ভরযোগ্য আলেমগণ প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এবং যুগের পর যুগ রাসূলের সুন্নাহকে মানুষের নিকট পৌঁছানোর ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। তারা লেখনির মাধ্যমে তাদের কিতাবসমূহের মধ্যে সূন্নাহকে সংরক্ষণ করেন। কোনোটি সহীহ বা বিশুদ্ধ আর কোনোটি সহীহ নয় তাও তারা স্পষ্ট করেন। বিশুদ্ধ হাদীস ও দুর্বল হাদীস চেনার জানার জন্য বিভিন্ন ধরনের কায়দা কানুন তারা নির্ধারণ করেন, যাতে কোনোটি সহীহ আর কোনোটি দুর্বল তা জানা যায়। আর আহলে ইলম তথা জ্ঞানীগণ হাদিসের কিতাব বুখারি মুসলিমসহ অন্যান্য কিতাবগুলোকে গ্রহণ করেছেন এবং পরিপূর্ণভাবে হেফয ও সংরক্ষণ করেছেন যেমনিভাবে আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় কিতাবকে বিকৃতকারী নাস্তিক ও বাতিলপন্থীদের হাত থেকে পরিপূর্ণভাবে সংরক্ষণ করেছেন, যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿إِنَّا نَحۡنُ نَزَّلۡنَا ٱلذِّكۡرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ ٩ ﴾ [ الحجر : ٩ ]

“নিশ্চয় আমরা কুরআন নাযিল করছি, আর আমরা অবশ্যই তার সংরক্ষণকারী”। [সূরা আল-হিজর: ৯]

এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতও অবতীর্ণ ওহী। আল্লাহ তা‘আলা যেমনিভাবে স্বীয় কিতাব কুরআনকে হেফাজত ও সংরক্ষণ করেছেন, অনুরূপভাবে সুন্নতকেও হেফাজত ও সংরক্ষণ করেছেন। সুন্নতের হেফাজতের জন্য যুগে যুগে আল্লাহ তা‘আলা বিজ্ঞ আলেমগণের সুব্যবস্থা করেছেন; এ সব আলেম বাতিলপন্থীরা হাদিস ও সুন্নতের মধ্যে যে সব বিকৃতি ও পরিবর্তন করার প্রচেষ্টা চালিয়েছিল, তা প্রতিহত করেন, জাহেল অজ্ঞ লোকদের অপব্যাখ্যাকে রোধ করেন। মিথ্যুক, অজ্ঞ, নাস্তিকরা হাদিস ও সুন্নাহ্‌ সম্পর্কে যে সব অপবাদ দেন, তা দূর করেন। কারণ, আল্লাহ তা‘আলা হাদিসকে কুরআনে করীমের ব্যাখ্যা হিসেবে নির্ধারণ করেছেন, কুরআনের যে সব বিধান সংক্ষেপে বর্ণিত তার ব্যাখ্যা ও বিস্তারিত আলোচনা হাদিসই তুলে ধরেছে এবং কুরআনে যে সব আহকাম বর্ণিত হয় নি সেগুলো হাদিসেই আলোচনা করা হয়। যেমন, কোনো মহিলার দুধ পান সংক্রান্ত বিধি-বিধান, মিরাসের অনেক বিধান, স্ত্রীর সাথে তার ফুফু অথবা খালাকে একত্রে বিবাহ করা নিষিদ্ধ হওয়া সহ বিভিন্ন বিধানগুলোর আলোচনা শুধু হাদিসেই এসেছে। কুরআনে এ সব বিধান নিয়ে কোনো আলোচনা করা হয়নি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন