HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শির্কের সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ

লেখকঃ সালেহ ইবন ফাওযান আল-ফাওযান

১১
দ্বিতীয় প্রকার: গোপন শির্ক
এ প্রকার শির্কের স্থান হলো ইচ্ছা, সংকল্প ও নিয়তের মধ্যে। যেমন, লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ও প্রসিদ্ধি অর্জনের জন্য কোনো আমল করা। অর্থাৎ আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায় এমন কোনো কাজ করে তা দ্বারা মানুষের প্রশংসা লাভের ইচ্ছা করা। যেমন, সুন্দরভাবে সালাত আদায় করা কিংবা সদকা করা এ উদ্দেশ্যে যে, মানুষ তার প্রশংসা করবে, অথবা সশব্দে যিকির-আযকার পড়া ও সুকণ্ঠে তিলাওয়াত করা যাতে তা শুনে লোকজন তার গুণগান করে। যদি কোনো আমলে রিয়া তথা লোক দেখানোর উদ্দেশ্য সংমিশ্রিত থাকে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তা বাতিল করে দেন। আল্লাহ বলেন,

﴿فَمَن كَانَ يَرۡجُواْ لِقَآءَ رَبِّهِۦ فَلۡيَعۡمَلۡ عَمَلٗا صَٰلِحٗا وَلَا يُشۡرِكۡ بِعِبَادَةِ رَبِّهِۦٓ أَحَدَۢا ١١٠﴾ [ الكهف : ١١٠ ]

“অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেনো সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার ইবাদতে কাউকে শরীক না করে।” [সূরা আল-কাহাফ, আয়াত: ১১০]

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«إِنَّ أَخْوَفَ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمُ الشِّرْكُ الْأَصْغَرُ قَالُوا : وَمَا الشِّرْكُ الْأَصْغَرُ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ : الرِّيَاءُ»

“তোমাদের ওপর আমি যে জিনিসের ভয় সবচেয়ে বেশি করছি তা হলো শির্কে আসগর। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! শির্কে আসগর কী? তিনি বললেন: রিয়া (লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে আমল করা)”। [মুসনাদ আহমাদ, হাদীস নং ২৩৬৩।]

পার্থিব লোভে পড়ে কোনো আমল করাও এ প্রকার শির্কের অন্তর্গত। যেমন, কোনো ব্যক্তি শুধু মাল-সম্পদ অর্জনের জন্যেই হজ করে, আযান দেয় অথবা লোকদের ইমামতি করে কিংবা শর‘ঈ জ্ঞান অর্জন করে বা জিহাদ করে।

নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«تَعِسَ عَبْدُ الدِّينَارِ، وَعَبْدُ الدِّرْهَمِ، وَعَبْدُ الخَمِيصَةِ، إِنْ أُعْطِيَ رَضِيَ، وَإِنْ لَمْ يُعْطَ سَخِطَ»

“দীনার, দিরহাম এবং খামিসা-খামিলা (তথা উত্তম পোশাক-পরিচ্ছদ)-এর যারা দাস, তাদের ধ্বংস। তাকে দেওয়া হলে সে সন্তুষ্ট হয়, আর না দেওয়া হলে অসন্তুষ্ট হয়”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৮৮৭]

ইমাম ইবনুল কাইয়্যেম রহ. বলেন, সংকল্প ও নিয়তের শির্ক হলো এমন এক সাগর সদৃশ যার কোনো কূল-কিনারা নেই। খুব কম লোকই তা থেকে বাঁচতে পারে। অতএব, যে ব্যক্তি তার আমল দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কিছু ও গায়রুল্লার কাছে ঐ আমলের প্রতিদান প্রত্যাশা করে, সে মূলতঃ উক্ত আমল দ্বারা তার নিয়ত ও সংকল্প নিয়ত খালেসভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা। এটাই হলো সত্যপন্থা তথা ইবরাহীমের মিল্লাত, যা অনুসরণ করার জন্য মহান আল্লাহ তাঁর সকল বান্দাদের নির্দেশ দিয়েছেন এবং এতদ্ব্যতীত তিনি কারো কাছ থেকে অন্য কিছু কবুল করবেন না। আর এ সত্য পন্থাই হলো ইসলামের হাকীকত।

﴿وَمَن يَبۡتَغِ غَيۡرَ ٱلۡإِسۡلَٰمِ دِينٗا فَلَن يُقۡبَلَ مِنۡهُ وَهُوَ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٨٥﴾ [ ال عمران : ٨٥ ]

“কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো দীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনও কবুল করা হবে না এবং সে হবে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫]

উপরের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বাবে বুঝা যাচ্ছে যে, শির্কে আকবার ও শির্কে আসগারের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। সেগুলো হলো:

১. কোনো ব্যক্তি শির্কে আকবারে লিপ্ত হলে সে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের হয়ে যায়; পক্ষান্তরে শির্কে আসগারের ফলে সে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের হয় না।

২. শির্কে আকবরে লিপ্ত ব্যক্তি চিরকাল জাহান্নামে অবস্থান করবে; পক্ষান্তরে শির্কে আসগারে লিপ্ত ব্যক্তি জাহান্নামে গেলে চিরকাল সেখানে অবস্থান করবে না।

৩. শির্কে আকবার বান্দার সমস্ত আমল নষ্ট করে দেয়, কিন্তু শির্কে আসগার সব আমল নষ্ট করে না; বরং রিয়া ও দুনিয়া অর্জনের উদ্দেশ্যে কৃত আমল শুধু তৎসংশ্লিষ্ট আমলকেই নষ্ট করে।

৪. শির্কে আকবারে লিপ্ত ব্যক্তির জান-মাল মুসলিমদের জন্য হালাল; পক্ষান্তরে শির্কে আসগারে লিপ্ত ব্যক্তির জান-মাল কারো জন্য হালাল নয়।

সমাপ্ত

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন