hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

জান্নাতের পথে

লেখকঃ আবু আব্দির রহমান

লাভ-লোকসানের মাঝে একজন মুসলিমের একটি মূল্যবান দিন
প্রিয় ভাই!

আল্লাহ তা‘আলার হক আদায়ে সচেষ্ট হোন। আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে হিফাযত করবেন।

আপনি কি ফজরের সালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করেছেন? ফজরের সালাতে আল্লাহ তা‘আলার যে সকল হক রয়েছে দিবসের শুরুতে তা কি আপনি যথাযথ আদায় করেছেন? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ বিষয়ে বলেছেন:

«مَنْ صَلَّى الْفَجْرَ فِيْ جَمَاعَةٍ فَهُوَ فِيْ ذِمَّةِ اللهِ»

“যে ব্যক্তি ফজরের সালাত জামা‘আতের সাথে আদায় করল, আল্লাহ স্বয়ং ঐ ব্যক্তির হিফাযতকারী হয়ে যান।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৫৭]

আপনি কি পাঁচ ওয়াক্তের সালাত আল্লাহর ধ্যানে ভয় ও বিনয় নম্রতা এবং একাগ্রচিত্তে (অর্থাৎ খুশু-খুযুর সাথে) আদায় করেছেন?

মহান আল্লাহ বলেন:

﴿حَٰفِظُواْ عَلَى ٱلصَّلَوَٰتِ وَٱلصَّلَوٰةِ ٱلۡوُسۡطَىٰ وَقُومُواْ لِلَّهِ قَٰنِتِينَ ٢٣٨﴾ [ البقرة : ٢٣٨ ]

‘‘তোমরা সালাতের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী (‘আসরের) সালাতের এবং আল্লাহর সামনে (সালাতে) তোমরা বিনম্রচিত্তে দাঁড়াও।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৩৮]

পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের পূর্বে ও পরে যে সমস্ত সুন্নাত সালাত রয়েছে আপনি কি সেগুলো সঠিকভাবে আদায় করেন? আপনি কি প্রতিদিন বার বার তাওবাহ্ করেন এবং বেশি বেশি ইসতিগফার ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন? মহান আল্লাহ এ বিষয়ে বলেন:

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ تُوبُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ تَوۡبَةٗ نَّصُوحًا﴾ [ التحريم : ٨ ]

‘‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবাহ কর---খাঁটি ও বিশুদ্ধ (খালেস) তাওবাহ।” [সূরা আত-তাহরীম, আয়াত: ৮]

হে মুসলিম! আপনার শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গের প্রতিটি জোড়ার জন্য সাদকাহ দেওয়া আবশ্যক। আর আপনার জন্য এটি খুব সহজেই সম্ভব। (কেননা) চাশতের সময় দু’রাকাত সালাত আদায় করলে তা জোড়াগুলোর (সাদকাহ হিসেবে) গণ্য হয়ে যায়। যা মহান আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী সত্যবাদী লোকদের সালাত।

যে দিনটিতে আপনি কুরআন থেকে কিছুই পাঠ করেন নি সে দিনটি আপনার জন্য একটি অন্ধকার দিন, যাতে কোন বরকত বা কল্যাণ নেই। কারণ, সময়ের বরকত নেবেন তো কুরআন পড়েই নেবেন। আল্লাহ বলেন,

﴿كِتَٰبٌ أَنزَلۡنَٰهُ إِلَيۡكَ مُبَٰرَكٞ لِّيَدَّبَّرُوٓاْ ءَايَٰتِهِۦ وَلِيَتَذَكَّرَ أُوْلُواْ ٱلۡأَلۡبَٰبِ ٢٩﴾ [ص: ٢٩ ]

‘‘এক কল্যাণময় কিতাব আমরা তোমার প্রতি নাযিল করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহ অধ্যয়ন ও অনুধাবন করে এবং বোধশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তিরা এত্থেকে গ্রহণ করে উপদেশ।” [সূরা সাদ, আয়াত: ২৯]

কঠিন হৃদয় একটি মারাত্মক ও বিপদজনক বিষয়। আর এ কঠিন হৃদয়কে বিগলিত করার ঔষধ হলো: মহান আল্লাহর যিকির ও তার স্মরণ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿أَلَا بِذِكۡرِ ٱللَّهِ تَطۡمَئِنُّ ٱلۡقُلُوبُ ٢٨﴾ [ الرعد : ٢٨ ]

‘‘জেনে রাখ, আল্লাহর স্মরণেই মনে প্রশান্তি আসে।” [সূরা আর-রা‘আদ, আয়াত: ২৮]

অনুরূপভাবে কঠিন হৃদয় থেকে পরিত্রাণের আরও যে পথ আছে তা হলো, সালাতে পঠিত যিকির-আযকার এবং সকাল-সন্ধায় আল্লাহর যিকির করা।

হে মুসলিম! কীভাবে আপনার ঈমানের নিরাপত্তা অর্জিত হতে পারে অথচ আপনি হারাম দৃশ্যের দিকে জেনে শুনেও তাকিয়ে থাকেন? অথচ আল্লাহ বলেন,

﴿قُل لِّلۡمُؤۡمِنِينَ يَغُضُّواْ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِمۡ وَيَحۡفَظُواْ فُرُوجَهُمۡۚ﴾ [ النور : ٣٠ ]

‘‘মুমিনদেরকে বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩০]

সেটিই হবে আপনার জন্য বরকতময় দিন, যেদিন আপনি কোন অভাবীকে কিছু দান খয়রাত করতে পেরেছেন, অথবা সেবাদানের মাধ্যমে কান মুসলিমের মন জয় করতে পেরেছেন কিংবা দু’জন বিবাদমান মানুষের মাঝে ঝগড়াঝাটি মীমাংসা করে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿لَّا خَيۡرَ فِي كَثِيرٖ مِّن نَّجۡوَىٰهُمۡ إِلَّا مَنۡ أَمَرَ بِصَدَقَةٍ أَوۡ مَعۡرُوفٍ أَوۡ إِصۡلَٰحِۢ بَيۡنَ ٱلنَّاسِ﴾ [ النساء : ١١٤ ]

‘‘তাদের অধিকাংশ গোপন পরামর্শের মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই, তবে কল্যাণ আছে ঐ লোকের মধ্যে যে ব্যক্তি নির্দেশ দেয় দান-খয়রাত, সৎকাজের ও মানুষের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে দেওয়ার কাজে।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১১৪]

আপনি কিন্তু আখিরাতের পথে পা বাড়িয়ে দিনে দিনে এগিয়ে চলছেন। সুতরাং সে পথের জন্য পাথেয় নিতে ভুলে যাবেন না।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿وَتَزَوَّدُواْ فَإِنَّ خَيۡرَ ٱلزَّادِ ٱلتَّقۡوَىٰ﴾ [ البقرة : ١٩٧ ]

‘‘এবং (পরকালের জন্য) তোমরা পাথেয় সংগ্রহ কর, আর তাক্বওয়া অর্জন করা হলো শ্রেষ্ঠ পাথেয়।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৯৭]

রাত জেগে সালাত আদায়, নফল সাওম পালন, রোগীদের সেবা-সুশ্রূষা, কবর যিয়ারত, জানাযার লাশের সাথে যাওয়া, যিকির-কারের মজলিসে যাওয়া (অর্থাৎ কুরআন-হাদীস চর্চা ও আলোচনার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ), আল্লাহর ভয়ে কান্নাকাটি করা, মহান আল্লাহর নিদর্শনসমূহে চিন্তা-গবেষণা করা, অন্তরে সহীহ আকীদা পোষণ করা, জিহবার হিফাযত করা এবং নেককার লোকদের প্রতি ভালবাসা স্থাপন- এসবগুলোতে রয়েছে এমন নূর বা আলো যা আপনার ঈমানের নূরকে আরও বৃদ্ধি করে দেয়। আল্লাহ তাঁর নূরের দিকে যাকে ইচ্ছা তাকে হিদায়াত করে থাকেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন