মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঘর যেন প্রকৃতই সমস্ত আদর্শের প্রাণ কেন্দ্র। যেখান থেকে প্রকাশিত হয় উত্তম আদর্শ, পরিপূর্ণ আদব-শিষ্টাচার, মনোরম সমাজ ও স্বচ্ছ উপাদান। আর তা ছিল চার দেয়ালের অভ্যন্তর কক্ষে যা অন্যান্য মানুষের কেউ তা অবলোকন করেনি। তিনি তো তাঁর অধীনস্থ দাস, খাদেম বা স্ত্রীদের সাথে অবস্থান করতেন। তাদের সাথে উত্তম আচরণ ও অতি বিনয় মূলক ব্যবহার করতেন। যার মধ্যে থাকত না কোন কৃত্রিমতা ও সৌজন্যটা, অথচ তিনি ছিলেন সে ঘরের সরদার ও হুকুম-দাতা ও নিষেধকারী। যারা এ ঘরে অবস্থান করত সবাই তো ছিল তার অধীনস্থ ও দুর্বল। এ উম্মতের রাসূল, পথ নির্দেশক ও মহা নিদর্শনের এত মহত্ত্ব-পূর্ণ এত বড় মান-মর্যাদা ও শানের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তিনি তাঁর বাসগৃহে কেমন ছিলেন কি তাঁর অবস্থা ছিল একটু চিন্তা করে দেখি আমরা!
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ঘরে কি কি কাজ করতেন? তিনি উত্তর দেন:
«كان بشرًا من البشر : يفلي ثوبه ويحلب شاته، ويخدم نفسه» .
তিনি তো [রক্ত, মাংস ও চামড়ার] একজন মানুষই ছিলেন, তিনি তাঁর কাপড় সেলাই করতেন, ছাগলের দুধ দহন করতেন এবং নিজের কাজ নিজেই করতেন। [আহমাদ, হাদিস: ২৬১৯৪]
তিনিই ছিলেন বিনয়ের মূর্ত প্রতীক যার ভিতর ছিল না কোন প্রকার অহংকার, যিনি দিতেন না কাউকে দিতেন না কষ্ট। তিনি ছিলেন প্রতিটি কাজে অংশ গ্রহণকারী মহান ব্যক্তিত্ব এবং সাহায্যকারীর অগ্রনায়ক। মানব জাতির সর্ব শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি এগুলি তিনি নিজে আঞ্জাম দিতেন। তিনি এই মুবারক ঘরে বাস করতেন যেখান থেকে এ দ্বীনের হিদায়েতের আলোক বর্তিকা উদ্ভাসিত হয়ে দিক-বিদিকে ছড়িয়ে আলোকিত করেছে, অথচ সে মহান ঘরে এমন খাবার পর্যন্ত জুটত না যা দিয়ে তাঁর পেট পূর্ণ হবে।
«لقد رأيت نبيكم - صلى الله عليه وسلم - وما يجد من الدقل ما يملأ بطنه» .
“আমি তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এমনও দেখেছি যে, তিনি নিম্ন মানের খেজুরও পেতেন না যা দ্বারা তাঁর পেট পূর্ণ হবে।” [মুসলিম, হাদিস: ২৯৭৭] আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন:
«إن كنا آل محمد نمكث شهرًا ما نستوقد بنار إن هو إلا التمر والماء» .
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবারে আমরা এক মাস ব্যাপী কোন প্রকার চুলা জ্বালাতাম না, তবে আমরা শুধু খেজুর ও পানি দ্বারাই জীবন ধারণ করতাম। [মুসলিম, হাদিস: ২৯৭২]
এর পরেও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর ইবাদাত ও তার অনুসরণ হতে কখনো বিরত হতেন না..। যখনই তিনি মসজিদ হতে আযান ধ্বনি শুনতে পেতেন সে আহ্বানের সাড়া দিয়ে, তখনই তিনি সর্ব প্রকার কাজ ছেড়ে মসজিদ পানে ছুটে যেতেন।
আসওয়াদ বিন ইয়াযিদ বলেন:
سألت عائشة رضي الله عنها، ما كان النبي - صلى الله عليه وسلم - يصنع في البيت؟ قالت : «كان يكون في مهن أهله، فإذا سمع بالأذان خرج» .
“আমি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাড়ীতে কি কি ধরনের কাজ করতেন? উত্তরে তিনি বলেন: “তিনি তার পরিবারের সর্ব প্রকার কাজে নিয়োজিত থাকতেন, তবে আযান শুনার সাথে সাথেই বাড়ী হতে বের হয়ে যেতেন”। [বুখারী, হাদিস: ৬৭৬]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাড়ীতে ফরয সালাত আদায় করেছেন এমন কোন প্রমাণ নেই, তবে তার মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে যখন রোগ অত্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং মসজিদে যেতে অপারগ হয়েছিলেন তখন তিনি বাড়ীতে আদায় করেছেন।
উম্মতের প্রতি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এত মেহেরবানী ও দয়া থাকার পরও যারা জামাতে উপস্থিত না হয়েছে তাদের প্রতি কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, তিনি বলেন:
«لقد هممت أن آمر بالصلاة فتقام ثم آمر رجلاً أن يصلي بالناس ثم أنطلق معي برجال معهم حزم من حطب إلى قوم لا يشهدون الصلاة فأحرق عليهم بيوتهم» .
“আমার ইচ্ছা হয় যে আমি কাউকে নামাযের ইমামতি করার আদেশ দেই আর আমি কাঠসহ কিছু লোককে সাথে নিয়ে ঐ সকল লোকদের বাড়ীতে যাই যারা জামাতের সাথে সালাত পড়ার জন্য উপস্থিত হয়নি। অত:পর তারাসহ তাদের বাড়ী-ঘরকে জালিয়ে দেই। [বুখারী, হাদিস: ৬৪৪; মুসলিম, হাদিস: ৬৫১]
এ সব তো জামাতের সাথে সালাত আদায়ের গুরুত্ব ও মহত্ত্বের প্রমাণই বহন করে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«من سمع النداء فلم يجب فلا صلاة له إلا من عذر»، والعذر خوف أو مرض .
“শরয়ী ওযর ব্যতীত যে ব্যক্তি আযান শুনার পর জামাতের সাথে সালাত আদায় করল না, তার সালাত কবূল হবে না”। [তিরমিযী, হাদিস: ২১৭]
আর ওযর বলতে: শত্রুর ভয় অথবা রোগকে বুঝায়।
হায়রে কোথায় আজ নামাযীরা তারা তো মসজিদ ছেড়ে দিয়ে স্ত্রীকেই প্রাধান্য দিয়ে যাচ্ছে!! কোথায় সেই রোগ বা ভয়ের ওযর!!
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/424/9
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।