HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহর দিকে আহ্বান ও দাঈর গুণাবলি

লেখকঃ শাইখ আব্দুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বায রহ.

প্রথম বিষয়: আল্লাহর দিকে আহ্বানের হুকুম ও ফযিলত।
দা‘ওয়াতের হুকুমঃ

দা‘ওয়াত ইলাল্লাহ তথা আল্লাহর পথে আহ্বান অন্যান্য ফরযের ন্যায় একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ফরয। কুরআন ও হাদীসের অসংখ্য দলীল এটির প্রমাণ বহন করে। যেমন আল্লাহর বাণী:

﴿ وَلۡتَكُن مِّنكُمۡ أُمَّةٞ يَدۡعُونَ إِلَى ٱلۡخَيۡرِ وَيَأۡمُرُونَ بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَيَنۡهَوۡنَ عَنِ ٱلۡمُنكَرِۚ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ ١٠٤ ﴾ [ ال عمران : ١٠٤ ]

‘আর যেন তোমাদের মধ্য হতে এমন একটি দল হয়, যারা কল্যাণের প্রতি আহ্বান করবে, ভাল কাজের আদেশ দিবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে। আরা তারাই সফলকাম।’ [সূরা আলে ইমরান, ১০৪।]

অনুরূপভাবে আল্লাহর বাণী:

﴿ٱدۡعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِٱلۡحِكۡمَةِ وَٱلۡمَوۡعِظَةِ ٱلۡحَسَنَةِۖ وَجَٰدِلۡهُم بِٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعۡلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِۦ وَهُوَ أَعۡلَمُ بِٱلۡمُهۡتَدِينَ ١٢٥ ﴾ [ النحل : ١٢٥ ]

‘তুমি তোমার রবের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান কর এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক কর। নিশ্চয় একমাত্র তোমার রবই জানেন কে তাঁর পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়েছে এবং হিদায়াতপ্রাপ্তদের তিনি খুব ভাল করেই জানেন।’ [সূরা নাহল:১২৫]

অনুরূপ আল্লাহর বাণী:

﴿وَٱدۡعُ إِلَىٰ رَبِّكَۖ وَلَا تَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ ٨٧ ﴾ [ القصص : ٨٧ ]

‘তুমি তোমার রবের দিকে আহ্বান কর এবং কিছুতেই মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।’ [সূরা কাসাস, ৮৭।]

তদ্রূপ মহান আল্লাহর বাণী:

﴿ قُلۡ هَٰذِهِۦ سَبِيلِيٓ أَدۡعُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِۚ عَلَىٰ بَصِيرَةٍ أَنَا۠ وَمَنِ ٱتَّبَعَنِيۖ﴾ [ يوسف : ١٠٨ ]

‘তুমি বল: এটাই আমার পথ, আল্লাহর প্রতি মানুষকে আহ্বান করি সজ্ঞানে, আমি এবং যে আমার অনুসারী...’ [সূরা ইউসুফ, ১০৮।]

উল্লেখিত আয়াতগুলোতে আমরা দেখলাম আল্লাহ তা‘আলা বলছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসারীগণই দা‘ঈ ইলাল্লাহ এবং তারাই দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করা, তাঁর মতাদর্শের উপর চলা গুরুত্বপূর্ণ ফরয। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ لَّقَدۡ كَانَ لَكُمۡ فِي رَسُولِ ٱللَّهِ أُسۡوَةٌ حَسَنَةٞ لِّمَن كَانَ يَرۡجُواْ ٱللَّهَ وَٱلۡيَوۡمَ ٱلۡأٓخِرَ وَذَكَرَ ٱللَّهَ كَثِيرٗا ٢١ ﴾ [ الاحزاب : ٢١ ]

‘তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ [সূরা আহযাব, ২১।]

প্রাজ্ঞ ওলামায়ে কেরাম ষ্পষ্ট করে বলেছেন, দা‘ঈগণ যে অঞ্চলে দা‘ওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করেন সে অঞ্চল অনুপাতে দা‘ওয়াত ইলাল্লাহ ফরযে কিফায়া; কারণ প্রতিটি অঞ্চলে দা‘ওয়াত ও দা‘ওয়াতের নানাবিধ তৎপরতা বিদ্যমান থাকা জরুরি। এ দা‘ওয়াত ফরযে কিফায়া। যদি কোন অঞ্চলে প্রয়োজনীয়তা অনুপাতে যথেষ্ট পরিমাণ লোক দা‘ওয়াতী কাজে আত্মনিয়োগ করেন তাহলে সে অঞ্চলে বসবাসকারী অন্যদের উপর থেকে আবশ্যকীয়তা রহিত হয়ে যাবে। তাদের ক্ষেত্রে এটি সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ও একটি অতি উন্নত নেক আমল হিসেবে বিবেচিত হবে।

আর যদি সে অঞ্চলে দা‘ওয়াতী কোন তৎপরতাই না থাকে, কেউই এ দায়িত্বের প্রতি গুরুত্ব না দেয় তাহলে, সকলেই অপরাধী বলে গণ্য হবে। সাথে সাথে দা‘ওয়াতীকর্ম সকলের উপরই ফরয হিসেবে বর্তাবে, সকলকেই সামর্থ অনুযায়ী দা‘ওয়াতকর্মের সাথে নিজেকে জড়াতে হবে। হ্যাঁ সামগ্রিকতার বিচারে পুরো দেশের জন্যে একটি জামাআত থাকতে হবে; থাকা ওয়াজিব, যারা সর্বত্র আল্লাহর বাণী পৌঁছে দেবে, সাধ্যমত আল্লাহর আদেশ-নিষেধ সম্বন্ধে লোকদের অবহিত করবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন নেতৃবর্গ ও রাষ্ট্র প্রধানের কাছে দা‘ঈ প্রেরণ করেছেন, পত্র দিয়েছেন এবং তাদেরকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করেছেন।

বর্তমান যুগে আল্লাহ তা‘আলা দা‘ওয়াতী কাজকে আমাদের জন্য বিভিন্নভাবে সহজ করে দিয়েছেন, যা আমাদের পূর্বেকার লোকদের জন্য ছিল না। আজকের যুগে ইসলাম প্রচার, দা‘ওয়াতকর্ম পরিচালনা ও মানুষের কাছে দলিল প্রমাণ উপস্থাপন অনেক দিক দিয়েই সহজ। বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে দা‘ওয়াত ও প্রচার কর্ম আরোও সহজ হয়ে গিয়েছে। একাজে বর্তমানে রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্রসহ নানা মাধ্যমের সাহায্যে অতি সহজে কর্মে অগ্রগতী সাধন করা যায়।

অতএব জ্ঞানবান, ঈমানদার ব্যক্তিবর্গ ও নায়েবে রাসূলদের উপর অবশ্য কর্তব্য হচ্ছে, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ কাজে আত্মনিয়োগ করা, পরস্পর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আল্লাহর বার্তা তাঁর বান্দাদের নিকট পৌঁছে দেয়া। এ মহৎ কাজে জড়িত হলে চারিদিক থেকে অসহযোগিতা, বাঁধা ও ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের সম্মুখীন হতে হবে তখন এসব আমলে না নিয়ে নির্ভয়ে সম্মুখপানে এগিয়ে যাওয়া। এ দায়িত্ব পালনকালে বড়-ছোট ধনী-গরীবে কোন ভেদাভেদ ও তারতম্য সৃষ্টি না করা। বরং আল্লাহর হুকুম যেভাবে আল্লাহ অবর্তীণ করেছেন, যেভাবে প্রবর্তন করেছেন ঠিক সেভাবে তা আল্লাহর বান্দাদের নিকট পৌঁছে দেয়া।

অবস্থার আলোকে কখনো কখনো এ দা‘ওয়াতী কাজ ‘ফরযে আইন’ হয়ে থাকে। যেমন আপনি যদি এমন কোন স্থানে অবস্থান করেন যেখানে আপনি ছাড়া এ দায়িত্ব পালনের অন্য কেউ নেই, যে সৎ কাজের আদেশ দেবে, অসৎ কাজে বাধা দেবে তখন এটি আপনার জন্যে ফরযে আইন হবে। আবার অবস্থাভেদে কখনো কখনো ফরযে কেফায়া, ইতঃপূর্বে আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করে এসেছি। সুতরাং যখন আপনি এমন স্থানে থাকবেন, যেখানে আপনি ব্যতীত এ দায়িত্ব পালনের উপর আর কারও ক্ষমতা থাকবে না, তখন এতে আত্মনিয়োগ করা আপনার জন্যে অবশ্য কর্তব্য হয়ে যাবে। আর অন্য কেউ দা‘ওয়াত, প্রচার, আদেশ-নিষেধের কাজে রত থাকলে, আপনার জন্য হবে সুন্নত। আর যদি আপনি সে কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং এর প্রতি যত্নবান হন, তবে আপনি হয়ে যাবেন সৎকর্মে প্রতিযোগিতাকারী।

দা‘ওয়াত ‘ফরযে কিফায়া’ এর দলিল হিসাবে নিম্নোক্ত আয়াত পেশ করা যায়। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন :

﴿وَلۡتَكُن مِّنكُمۡ أُمَّةٞ يَدۡعُونَ إِلَى ٱلۡخَيۡرِ﴾ [ ال عمران : ١٠٤ ]

‘এবং তোমাদের মধ্যে এরূপ একটি দল থাকা উচিৎ যারা কল্যাণের দিকে আহ্বান করবে।’ [সূরা আলে ইমরান:১০৪]

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় হাফেয ইবনে কাসির এবং ওলামাদের বিরাট একদল যা বলেছেন তার অর্থ হচ্ছে: এ মহান কাজে তোমাদের মধ্য থেকে একটি দল নিয়োজিত থাকা চাই। যারা আল্লাহর দিকে আহ্বান করবে, তাঁর দ্বীন প্রচার করবে, তাঁর আদেশ-নিষেধ বান্দাদের নিকট পৌঁছাবে। এ কথা সকলেরই জানা আছে যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর দিকে আহ্বান করেছেন, সাধ্যানুযায়ী মক্কায় আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নে আত্মনিয়োগ করেছেন। অনুরূপভাবে তাঁর সাহাবীরাও একাজে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের সামর্থানুপাতে। হিজরতের পর এর চেয়েও অধিক দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাতের পর বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিলেন এবং শক্তি-সামর্থ্য ও ইলমী যোগ্যতা অনুযায়ী এ দায়িত্ব চালিয়ে গিয়েছেন নিরলসভাবে।

দা‘ওয়াত কর্মীর স্বল্পতা, অন্যায়-অশ্লীলতা বৃদ্ধি, অজ্ঞতার প্রাবল্যের সময় -যেমন আমাদের এ সময়ের কথাই বলা যায়- দা‘ওয়াতের হুকুম হবে ফরযে আইন। প্রত্যেক মুসলিমকেই অত্যাবশ্যকীয়ভাবে এতে অংশগ্রহণ করতে হবে। হ্যাঁ কেউ যদি নির্দিষ্ট কোন গ্রাম, শহর বা এ জাতীয় কোন স্থানে বসবাস করে আর সেখানে এ কাজের দায়িত্বভার গ্রহণকারী কাউকে পাওয়া যায় এবং সে ব্যক্তি দা‘ওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহর বিধান মানুষের নিকট এমনভাবে প্রচার করেছে যে সেস্থানে বসবাসকারী সকলের পক্ষ হতে যথেষ্ট, এমতাবস্থায় অন্যদের জন্য এ প্রচার-প্রসার সুন্নাত, কারণ অন্যের হাতে এর প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে, তার হাত ছাড়াও অন্য হস্তে আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়িত হয়েছে। কিন্তু (যেখানে এ অবস্থা নেই বা পর্যাপ্ত দা‘ওয়াত দাতা নেই) অন্যান্য স্থানে, অন্য মানুষের কাছে এ দা‘ওয়াতের দায়িত্ব আলেমদের উপর তাদের সাধ্যানুযায়ী অত্যাবশ্যকীয়, অনুরূপভাবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত প্রশাসকদের উপরও ক্ষমতা ও সাধ্য অনুসারে তা নিয়ে দাঁড়ানো অত্যাবশ্যক।

এতে বুঝা যায় দা‘ওয়াত ইলাল্লাহ ফরযে আইন বা ফরযে কিফায়া হওয়াটা আপেক্ষিক বিষয়। কোনো কোনো সম্প্রদায় ও কোনো কোনো ব্যক্তির জন্য এটা ফরযে আইন আবার কোনো সম্প্রদায় ও কোনো কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে তা ফরযে কিফায়া; যখন সেখানে ও সে অবস্থানে এ কাজটির জন্য পর্যাপ্ত পরিমান লোক দাঁড়িয়ে যাবে এবং তারা তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে।

তবে শাসক এবং সামর্থবান ব্যক্তির উপর এ ক্ষেত্রে দায়িত্বটা আরো বড়। তাদের উপর অবশ্যই করণীয় হচ্ছে তাদের সাধ্যমত পৃথিবীর সকল প্রান্তে আল্লাহর রিসালত পৌঁছে দেয়া সম্ভাব্য সকল পন্থায়, মানুষের ব্যবহৃত সকল ভাষায়। এতে করে পৃথিবীর সকলের কাছে তাদের নিজস্ব ভাষায় দ্বীন পৌঁছে যাবে। সে লোক আরবী ভাষা ভাষী হোক কিংবা অন্য কোনো ভাষা ভাষী। কেননা আমরা কিছু পূর্বেও উল্লেখ করেছি যে, বর্তমানে আগের তুলনায় দা‘ওয়াতী প্রচারণা খুবই সহজ হয়ে গিয়েছে রেডিও, টেলিভিশন ও সংবাদপত্র (ইন্টারনেট) সহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের উদ্ভাবনের কারণে; যা পূর্বে সম্ভব ছিল না। এমনিভাবে ওয়ায়েজ, খতিব ও বক্তাদের উপরও অবশ্য কর্তব্য মাহফিল, সমাবেশ জুম‘আ ইত্যাদিতে সাধ্যমত আল্লাহর বিধান প্রচার করা, সাধ্য ও জ্ঞান অনুযায়ী আল্লাহর দ্বীন প্রচার-প্রসার করা।

বর্তমান সময়ে ইসলামী আকীদা বিরোধী নানাবিধ ষড়যন্ত্র, তাদের বিশ্বাসের মৌলিকত্ব বিনাশ, নাস্তিকতার দিকে আহ্বান, প্রতিপালক, রিসালাত ও পরকালকে অস্বীকার এবং বহুদেশে খৃষ্টধর্মের দিকে দা‘ওয়াতের বহুবিধ কর্মসূচির বিস্তৃতিসহ বহু ভ্রান্ত আহ্বানের ব্যাপকতার কারণে দা‘ওয়াত ইলাল্লাহ এযুগে সকল মুসলিমের উপর ব্যাপকভাবে ফরয হয়ে পড়েছে। সর্বস্তরের আলেম ও ইসলামে বিশ্বাসী সকল শাসক-প্রশাসকের উপর অবশ্য পালনীয় ফরয হয়ে গিয়েছে যে, তারা নিজ নিজ সাধ্যমত লেখনি, বক্তৃতা, বিবৃতি এবং প্রচারযন্ত্রসহ সকল মাধ্যমে আল্লাহর দ্বীন প্রচার করবে। এতে গড়িমসি বা অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই, অন্য ব্যক্তিবর্গের উপর নির্ভর করারও অবকাশ নেই। বরং এক্ষেত্রে সহযোগিতা, অংশগ্রহণ ও পরস্পর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানো পূর্বের তুলনায় বর্তমানে আরো অধিক প্রয়োজন। কারণ ইসলামের শত্রুরা যাবতীয় উপায়-উপকরণাদির মাধ্যমে লোকদের দ্বীন থেকে দূরে সরানো, দ্বীন বিষয়ে জনমনে সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি ও তাদের ধর্মের প্রতি অন্য ধর্মাবলম্বী বিশেষত:মুসলিমদের আকৃষ্ট করার উদ্দেশে একে অপরকে সাহায্য- সহযোগিতা ও কাঁধে কাধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সুতরাং তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে ইসলামপন্থীদেরও প্রয়োজন এসব ক্ষেত্রে তৎপর হওয়া এবং শত্রুদের এহেন ভ্রান্ত তৎপরতার ও দ্বীন-বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডের মোকাবেলায় সকল ক্ষেত্রে হকের দা‘ওয়াতকে জোরদার করতে সদা কর্মতৎপর থাকা, দ্বীনের প্রচার-প্রচারণাকে ব্যাপকতা দানের লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্য গ্রহণ করে সকল পর্যায়ে দ্বীনের পয়গাম পৌঁছিয়ে দেয়ার ব্রত সম্পন্ন করা। দা‘ওয়াত কর্মে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার এবং এর মাধ্যমে দা‘ওয়াতী কর্মসূচির ব্যাপকতা দান আল্লাহ কর্তৃক তাঁর বান্দার উপর ফরযকৃত আল্লাহর দিকে দা‘ওয়াতেরই অংশ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন