HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহর দিকে আহ্বান ও দাঈর গুণাবলি

লেখকঃ শাইখ আব্দুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বায রহ.

চতুর্থ বিষয়: দা‘ঈর জন্য আবশ্যকীয় চরিত্র ও গুণাবলির বিবরণ:
দা‘ওয়াতী ময়দানে সফল হবার জন্যে একজন দা‘ওয়াত কর্মী তথা দা‘ঈর যেসব গুণাবলি থাকা প্রয়োজন; আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন স্থানে সেসব বিষয় নানাভাবে উল্লেখ করেছেন। তন্মধ্য এখানে কিছু উল্লেখ করা হলো,

প্রথমত: ইখলাস বা আন্তরিক হওয়া:

একজন দা‘ঈর জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বিষয় হচ্ছে আল্লাহর জন্য আন্তরিক হওয়া। লোক দেখানো, খ্যাতি লাভ, প্রশংসা কুড়ানোর মনোবৃত্তি তার উদ্দেশ্য হওয়া কাম্য নয়। দা‘ঈ মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করবে কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিলের জন্য। আল্লাহ বলেন:

﴿ قُلۡ هَٰذِهِۦ سَبِيلِيٓ أَدۡعُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِۚ ﴾ [ يوسف : ١٠٨ ]

‘তুমি বলঃ এটাই আমার পথ, আল্লাহর প্রতি মানুষকে আমি আহ্বান করি’ [সূরা ইউছুফ, ১০৮।]। মহান আল্লাহ আরও বলেন,

﴿ وَمَنۡ أَحۡسَنُ قَوۡلٗا مِّمَّن دَعَآ إِلَى ٱللَّهِ﴾ [ فصلت : ٣٣ ]

‘ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা কথায় কে উত্তম যে আল্লাহর দিকে মানুষকে আহ্বান করে।’ [হা-মীম আসসাজদাহ, ৩৩।]

সুতরাং দা‘ঈ হিসাবে আপনার কর্তব্য হচ্ছে দা‘ওয়াত কর্মে ইখলাস তথা একমাত্র আল্লাহর জন্য নিষ্ঠা সহকারে তা সম্পন্ন করা। এটাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, এটাই হচ্ছে বড় গুণ, দা‘ওয়াতের ক্ষেত্রে যার প্রয়োজন সর্বাধিক। দা‘ওয়াতি কাজে আপনার কামনা হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালের সফলতা।

দ্বিতীয়ত: দা‘ওয়াত হতে হবে জ্ঞান ভিত্তিক। যে বিষয়ে আপনি দা‘ওয়াত দিবেন সে বিষয়ে আপনার পূর্ণ বুৎপত্তি থাকা বাঞ্ছনীয়। সে সম্পর্কে আপনার অজানা থাকা চলবে না।

﴿ قُلۡ هَٰذِهِۦ سَبِيلِيٓ أَدۡعُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِۚ عَلَىٰ بَصِيرَةٍ ﴾ [ يوسف : ١٠٨ ]

‘তুমি বল: এটাই আমার পথ, আল্লাহর প্রতি মানুষকে আমি আহ্বান করি সম্পূর্ণ জেনে-বুঝে। [সূরা ইউসুফ: ১০৮।]

অতএব জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা অনিস্বীকার্য। ইসলামে জ্ঞান অর্জনকে ফরয করা হয়েছে, অজ্ঞতায় থেকে দা‘ওয়াত দেয়া থেকে সাবধান। না জানা বিষয়ে কথা বলা থেকে সাবধান। অজ্ঞ-মূর্খরা বিনাশ করে, গঠন করতে পারে না। নষ্ট করে, সংশোধন করে না। হে আল্লাহর বান্দা আল্লাহকে ভয় করুন, আল্লাহ সম্পর্কে না জেনে কথা বলা থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন। একটি বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা না নিয়ে অপরকে দা‘ওয়াত দিবেন না। আর প্রকৃত জ্ঞান তো সেটিই যা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল বলেছেন। সুতরাং সচেতন ও জ্ঞানবান হওয়া জরুরি।

একজন শিক্ষার্থী ও দা‘ওয়াত কর্মীর প্রথম কর্তব্য হচ্ছে, যে বিষয়ে দা‘ওয়াত দিচ্ছে তা নিরীক্ষণ করা, বিষয়বস্তু ও দলীলের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা। যদি বিষয়বস্তুর সত্যতা সুস্পষ্ট ও বোধগম্য বলে অনুভূত হয় তবেই কেবল দা‘ওয়াত দিবে। সেটি বাস্তবায়নধর্মী হোক কিংবা বর্জনধর্মী। সুতরাং বিষয়টি যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্যধর্মী হয় তাহলে বাস্তবায়ন করার জন্য আহ্বান করবে, আর যদি আল্লাহ বা রাসূল কর্তৃক নিষিদ্ধ হয় তাহলে পরিত্যাগ করার প্রতি দা‘ওয়াত দিবে, তবে করতে হবে সম্পূর্ণরূপে দলীল-প্রমাণ ও জ্ঞানের ভিত্তিতে।

তৃতীয়ত: দা‘ওয়াত কর্মী বা দা‘ঈ হিসাবে আপনাকে অতিমাত্রায় সহনশীল ও কোমল মনোভাবাপন্ন হতে হবে। হতে হবে পরমত সহিষ্ণু ও ধৈর্যশীল। যেমনটি ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাড়াহুড়ো, কঠোরতা ও রূঢ় নীতি গ্রহণ করা হতে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে কঠিনভাবে। এ প্রসঙ্গে আমরা পূর্বেও বেশ কয়েকটি দলিল উপস্থাপন করে বিষয়টির বিশ্লেষনের চেষ্টা করেছি। যেমন:

﴿ٱدۡعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِٱلۡحِكۡمَةِ وَٱلۡمَوۡعِظَةِ ٱلۡحَسَنَةِۖ وَجَٰدِلۡهُم بِٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُۚ﴾ [ النحل : ١٢٥ ]

‘তুমি তোমার প্রতিপালকের দিকে আহ্বান কর হিকমত ও সদুপদেশের মাধ্যমে এবং তাদের সাথে বিতর্ক কর উত্তম পন্থায়।’ [সূরা নাহল, ১২৫।]

আল্লাহ তা‘আলা মূসা ও হারুন আলাইহিমাস সালামকে যখন ফির‘আউনের কাছে দা‘ওয়াত দানের উদ্দেশ্যে পাঠালেন তখন তাদেরকে ফেরাউনের সাথে সাথে নম্র্তা বজায় রেখে কথা বলার জন্য আদেশ করলেন, অথচ সে ছিল সবচে’ বড় সীমালঙ্ঘনকারী।

আল্লাহ বলেন:

﴿ فَقُولَا لَهُۥ قَوۡلٗا لَّيِّنٗا لَّعَلَّهُۥ يَتَذَكَّرُ أَوۡ يَخۡشَىٰ ٤٤ ﴾ [ طه : ٤٤ ]

‘তোমরা তার সাথে কোমল কথা বলবে, হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে, অথবা ভয় করবে। [সূরা ত্বাহা, ৪৪।]

এ ছাড়াও নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিষয়ে বললেন:

﴿ فَبِمَا رَحۡمَةٖ مِّنَ ٱللَّهِ لِنتَ لَهُمۡۖ وَلَوۡ كُنتَ فَظًّا غَلِيظَ ٱلۡقَلۡبِ لَٱنفَضُّواْ مِنۡ حَوۡلِكَۖ﴾ [ ال عمران : ١٥٩ ]

‘অতঃপর আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতের কারণে আপনি তাদের জন্য কোমল হয়েছিলেন। আর যদি আপনি হতেন কঠোর স্বভাবের, কঠিন হৃদয়সম্পন্ন, তবে তারা আপনার আশপাশ থেকে সরে পড়ত’।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

«اللهم من ولي من أمر أمتي شيئا فرفق بهم فارفق به و من ولي من أمر أمتي شيئا فشق عليهم فاشقق عليه» . خرجه مسلم في الصحيح

‘হে আল্লাহ! যার উপর আমার উম্মতের কোনো দায়িত্ব অর্পিত হল এবং সে তাদের উপর সদয় আচরণ করল আপনি তার প্রতি সদয় ব্যবহার করুন, আর যার উপর আমার উম্মতের কোনো দায়িত্ব অর্পিত হল এবং সে তাদের প্রতি নির্দয় আচরণ করল, আপনিও তার প্রতি নির্দয় আচরণ করুন।’ [মুসলিম।]

সুতরাং হে আল্লাহর বান্দা! তাই আপনার উপর কর্তব্য হচ্ছে, দা‘ওয়াত কর্মে কোমল হওয়া, মানুষের উপর কঠোর হবেন না। তাদেরকে দ্বীন থেকে বীতশ্রদ্ধ করবেন না। আপনার রূঢ় আচরণ ও অজ্ঞতার দ্বারা, কঠোর-কষ্টদায়ক ও ক্ষতিকর আচার-আচরণের মাধ্যমে তাদেরকে দ্বীন থেকে দূরে সরিয়ে দিবেন না। আপনাকে ধৈর্য ও সহনশীল হতে হবে। হতে হবে নেতৃত্বে সাবলীল, কোমল কথা ও উত্তম বাণীসম্পন্ন। যাতে আপনার মুসলিম ভাইয়ের অন্তরে প্রভাব পড়ে, আর যাতে ‘মাদউ’ অর্থাৎ যাকে দা‘ওয়াত দিচ্ছেন তার অন্তরে দাগ কাটে, আর যাতে সে আপনার দা‘ওয়াতের প্রতি উৎসুক হয় এবং সেটার জন্য কোমল হয়, আর সেটা দ্বারা প্রভাবিত হয়, সেটার জন্য আপনার প্রশংসা করে, সেটার উপর আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ হয়। মনে রাখবেন রূঢ়তা অপরকে নিজ হতে বিচ্ছিন্ন করে-দূরে ঠেলে দেয়, কাছে আনে না। পৃথক করে দেয়, একত্রিত করে না।

দা‘ঈর জন্য বাঞ্ছনীয় বরং আবশ্যক গুণাবলীর মধ্যে এটিও একটি যে, লোকদেরকে যে বিষয়ের প্রতি দা‘ওয়াত দিবে নিজের মধ্যে আগে তা বাস্তবায়ন করবে। তাকে সে বিষয়ে ‘কুদওয়া’ তথা আদর্শ হতে হবে। এমন হওয়া চলবে না, যে অপরকে হকের দা‘ওয়াত দিল, কোন ভাল কাজ করতে বলল আর নিজে তা থেকে দূরে সরে রইল অথবা কোন বিষয়ে নিষেধ করল এরপর নিজে তাতে জড়িয়ে পড়ল। এটা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের কাজ।

মূলত: সফল মুমিন ও স্বার্থক দা‘ঈ তারাই, যারা আহ্বানকৃত বিষয়ে শ্রদ্ধাশীল থেকে- নিজেরা আমল করে বরং এক্ষেত্রে অন্যদের চেয়ে অগ্রসর থাকে, আর নিষেধকৃত বিষয়াদি হতে নিজেরা দূরে থাকে এবং বর্জনের দিক দিয়ে অন্য সবার থেকে এগিয়ে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لِمَ تَقُولُونَ مَا لَا تَفۡعَلُونَ ٢ كَبُرَ مَقۡتًا عِندَ ٱللَّهِ أَن تَقُولُواْ مَا لَا تَفۡعَلُونَ ٣ ﴾ [ الصف : ٢، ٣ ]

‘হে মু’মিনগণ! তোমরা যা কর না তা তোমরা বল কেন? তোমরা যা কর না তোমাদের তা বলা, আল্লাহর নিকট অতিশয় অসন্তোষজনক।’ [সূরা সাফফ:২-৩।]

আল্লাহ তা‘আলা ইয়াহুদীদের ভৎর্সনা করেছেন যে, তারা মানুষকে কল্যাণের কথা বলে, অথচ নিজেদের ভুলে থাকে:

﴿ ۞أَتَأۡمُرُونَ ٱلنَّاسَ بِٱلۡبِرِّ وَتَنسَوۡنَ أَنفُسَكُمۡ وَأَنتُمۡ تَتۡلُونَ ٱلۡكِتَٰبَۚ أَفَلَا تَعۡقِلُونَ ٤٤ ﴾ [ البقرة : ٤٤ ]

‘তবে কি তোমরা লোকদেরকে সৎকার্যে আদেশ করছো এবং তোমাদের নিজেদের ভুলে যাচ্ছ- অথচ তোমরা গ্রন্থ পাঠ কর; তবে কি তোমরা হৃদয়ঙ্গম করছো না?’ [সূরা বাকারা:৪৪।]

বিশুদ্ধ সনদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম হতে বর্ণিত হয়েছে, ‘কেয়ামতের দিন একজন লোককে নিয়ে আসা হবে, এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে, অত:পর তার পেটের নাড়ীভূড়ী বেরিয়ে আসবে, তাতে সে ঘোরতে থাকবে যেমন গাধা চাক্কি নিয়ে ঘোরে, এরই মাঝে জাহান্নামিরা একত্র হবে এবং তাকে বলবে; হে অমুক তোমার কি হয়েছে? তুমি কি আমাদের সৎকাজের আদেশ এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করতে না? সে বলবে হ্যাঁ, আমি তোমাদের সৎকাজের কথা বলতাম, তবে আমি নিজে তা করতাম না, অসৎ কাজে নিষেধ করতাম এবং নিজে করতাম।’ এ হচ্ছে ঐ ব্যক্তির অবস্থা যে মানুষকে ভাল কাজের দিকে আহ্বান করে ও খারাপ কাজে নিষেধ করে। অতঃপর তার কথা কাজের এবং কাজ কথার বিপরীত হয়। আল্লাহর কাছে আমরা এ অবস্থা থেকে আশ্রয় কামনা করছি।

সুতরাং সকলের নিকট স্পষ্ট হল যে একজন দা‘ঈর জন্য যে সব গুণাগুণ থাকতে হবে তার মধ্যে সবচে’ গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, মানুষকে যে বিষয়ের দা‘ওয়াত দিবে তা আগে নিজে আমল করা এবং যা নিষেধ করবে তা থেকে সর্বাগ্রে নিজে বিরত থাকা। তাকে প্রশংসনীয় চরিত্রের অধিকারী, ধৈর্যশীল, বিপদে অবিচল, ও দা‘ওয়াত কর্মে আন্তরিক হতে হবে। যে সব কাজ করলে মানুষের কল্যাণ হয়, হক তাদের নিকট দ্রুত পৌঁছে যায় এবং বাতিল দূর হয় সেসব কাজের জন্য চেষ্টা করা। উপরন্তু তাদের হিদায়াতের জন্য দো‘আ করা। এ সবই হচ্ছে একজন আদর্শ দা‘ঈর আখলাকের অংশ।

দা‘ওয়াত কর্মীকে আরও একটি বিষয়ে যত্নবান হতে হবে। আর তা হচ্ছে, দা‘ওয়াত পেশকৃত ব্যক্তির জন্যে দো‘আ করা। বলবে:

هَدَاكَ الله . ‘আল্লাহ তোমাকে হিদায়াত দিন’

وَفَّقَكَ اللهُ لِقُبُوْلِ الحَقِّ . ‘আল্লাহ তোমাকে হক গ্রহণের তাওফিক দিন।’

أعَانَكَ اللهُ على قُبُوْلِ الْحَقِّ আল্লাহ তোমাকে হক গ্রহণে অনুগ্রহ করুন।

তাকে দা‘ওয়াত দিবেন, দিক-নির্দেশনা দিবেন, সে কোন কষ্ট দিলে সহ্য করবেন, সাথে সাথে তার জন্য হিদায়েতের দো‘আ করবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যখন ‘দাউস’ গোত্র সম্পর্কে বলা হল, যে তারা দ্বীন অমান্য করেছে, তিনি বললেন:

«اللهم اهدِ دوساً وائت بهم»

‘হে আল্লাহ, দাউসদেরকে হিদায়াত দাও এবং তাদের দ্বীনের পথে নিয়ে আস’। তার হেদায়াতের জন্য, হক গ্রহণ করার তাওফীক লাভের জন্য দো‘আ করবেন, এর উপর ধৈর্যধারণ করবেন, অপরকে ধৈর্যের উপর অবিচল থাকবেন, কখনও নিরাশ ও হতাশ হবেন না। ভালো ও কল্যাণকর ছাড়া অন্য কিছু বলবেন না, কোন কঠোরতা বা তিরস্কার করবেন না। তাদের প্রতি কোনো খারাপ কথা বলবেন না; যাতে হক গ্রহণে তাদের মধ্যে ঘৃণার উদ্রেক হয়। তবে হ্যাঁ কেউ জুলুম বা সীমা লঙ্ঘন করলে ভিন্ন কথা। যেমন আল্লাহ বলেন:

﴿ ۞وَلَا تُجَٰدِلُوٓاْ أَهۡلَ ٱلۡكِتَٰبِ إِلَّا بِٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُ إِلَّا ٱلَّذِينَ ظَلَمُواْ مِنۡهُمۡۖ ﴾ [ العنكبوت : ٤٦ ]

‘তোমরা উত্তম পন্থা ব্যতীত কিতাবীদের সাথে বিতর্ক করবে না, তবে তাদের সাথে করতে পার, যারা তাদের মধ্যে সীমালঙ্ঘনকারী....’ [সূরা আনকাকুত, ৪৬।]

সুতরাং অত্যাচারী ব্যক্তি যে বিদ্বেষ, কষ্ট ও অনাচারের মাধ্যমে দা‘ওয়াতকে প্রতিহত করতে চায় তার বিধান ব্যতিক্রম। তাকে এর জন্য গ্রেফতার ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষা দেয়া যেতে পারে। আর এ শাস্তি অত্যাচার বা অন্যায়ের আনুপাতিক হারে হবে। কিন্তু যতক্ষণ সে কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকবে ততক্ষণ আপনার উপর কর্তব্য হবে তার উপর ধৈর্যধারণ করা এবং সওয়াবের আশা করা, আর উত্তম পদ্ধতিতে তার সাথে বিতর্ক করা, আপনার ব্যক্তির সাথে যে সকল কষ্টদায়ক বিষয় সে সম্পৃক্ত করে দেয় তার জন্য তাকে ক্ষমা করে দেওয়া, যেমন ধৈর্যধারণ করেছিলেন রাসূল ও তাদের উত্তম অনুসারীগণ।

আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, হে আল্লাহ! আমাদের সকলকে আপনার রাস্তায় উত্তমভাবে দা‘ওয়াত দেয়ার তাওফীক দিন। আমাদের অন্তরসমূহ ও আমাদের কর্মকাণ্ডগুলো সংশোধন করে দিন। আমাদের সকলকে দ্বীনের বিশুদ্ধ ফিকহ তথা বুঝ দান করুন। দ্বীনের উপর অবিচল রাখুন। আমাদেরকে হিদায়াতপ্রাপ্ত ও হিদায়েতের পথপ্রদর্শক- নেককাজ কারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন। নিশ্চয়ই আপনি বড় দয়ালু, মহান দাতা।

সালাত ও সালাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর সাহাবীগণ এবং কিয়ামত পর্যন্ত যারা উত্তমভাবে তাঁর অনুসরণ করবে তাদের সকলের উপর।

সমাপ্ত

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন