hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামী আন্দোলনে বিজয়ের স্বরূপ

লেখকঃ ডঃ নাছের বিন সোলায়মান আল-ওমর

১৫
একের পর এক এতসব বিজয়ের মুকুট যে সবই বিজয়
ঘটনার চূড়ান্ত রূপ ধরা পড়েছে বালকের মৃত্যুর পরক্ষণে তার প্রভুর উপর জনগণের ঈমান আনয়নে। তারা এক আল্লাহর উপর ঈমান এনেছিল এবং ত্বাগূতকে অস্বীকার করেছিল। আর তখনই রাজার পাগলামি স্ব-রূপে আত্মপ্রকাশ করেছিল। সে হয়ে পড়েছিল দিশেহারা। ফলে সে তার দোর্দন্ডপ্রতাপ বজায় রাখতে এবং মানুষকে তার দাসানুদাসে পরিণত করতে ভয়ভীতি প্রদর্শনের সকল পন্থাই অবলম্বন করেছিল। কিন্তু কোনটাতেই কিছু না হওয়ায় সে অনেকগুলি পরিখা খনন করে তাতে আগুন প্রজ্জ্বলিত করেছিল এবং নিজের জল্লাদ বাহিনীকে মুমিনদের ধরে ধরে আগুনে নিক্ষেপ করতে আদেশ দিয়েছিল। কাউকে কিছু বুঝে উঠার সুযোগ না দিয়েই হঠাৎ করে আগুনের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। বর্ণনায় এমন কিছু পাওয়া যায় না যে, এতসব ভীতিকর ব্যবস্থা সত্ত্বেও একজন মানুষ দ্বীন থেকে ফিরে গিয়েছিল কিংবা কাপুরুষতা দেখিয়েছিল। বরং তাঁদের মাঝে সাহসিকতা ও বাহাদুরীর বহিঃপ্রকাশই আমরা দেখতে পাই'। তাঁরা জড়াজড়ি করে আগুনের পানে এগিয়ে গেছে। বালকটি যেন তাদের মাঝে বীরত্ব ও দৃঢ়তার বীজ বপন করে গিয়েছিল। তাই তারা সেই দুরন্ত পথিকের সাথে মিলিত হ’তে এক পায়ে খাড়া হয়েছিল। যেন তারা দ্বীন রক্ষার্থে তাদের জীবন উৎসর্গ করতে খুব মজা পাচ্ছিল। আসলেই তো এ নশ্বর দেহ বিনাশী কিন্তু আত্মা অবিনাশী অমর। আল্লাহ বলেন,

وَلاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِيْنَ قُتِلُواْ فِيْ سَبِيْلِ اللّهِ أَمْوَاتاً بَلْ أَحْيَاءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُوْنَ -

‘যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয় তাদের তোমরা মোটেও মৃত মনে করো না। বরং তারা জীবিত, তাদের প্রভুর নিকট থেকে তার জীবিকা প্রাপ্ত হয়’ (আলে ইমরান ৩/১৬৯)। কবি বলেন,

مَنْ لَّمْ يَمُتْ بِالسَّيْفِ مَاتَ بِغَيْرِهِ + تَنَوَّعَتِ الْأَسْبَابُ وَالْمَوْتُ وَاحِدٌ -

‘তলোয়ারে মৃত্যু না হ’লে তব ভিন্ন পথে মরণ হবেই হবে,

কারণ যতই বিভিন্ন হোক মৃত্যু তোমার একই রবে’।

এই ঘটনার বর্ণনায় একটি অনন্য অবস্থার উল্লেখ রয়েছে। এক দুগ্ধবতী মা তার দুগ্ধপোষ্য শিশুর জন্য আগুনে ঝাঁপ দিতে ইতস্তত করছিল। কিন্তু সে জানত না যে, শুধু দুধ পান করানো নয়, বরং সাথে সাথে সে শিশুটিকে ঈমান, বীরত্ব ও সাহসিকতাও পান করিয়ে চলেছিল। ফলে ঐ শিশুই তাকে এগিয়ে যেতে অনুরোধ করল। তাই সে দৃপ্তপদে আগুনের পানে এগিয়ে গেল।

এ কোন্ সে উম্মাত, আর কোন্ সে জাতি? এরা তো তারাই, যারা দীর্ঘকাল ধরে কুফর ও শিরকের অন্ধকারে কাটিয়েছে। বছরের পর বছর ঐ রাজা তাদেরকে ক্রীতদাস বানিয়ে রেখেছিল। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যে যেই তারা ঈমানের পরিচয় পেল অমনি সঠিক কর্মনীতি কোনটা তা বুঝে ফেলল। যেন তারা ঈমানের পথে ঐ সাধুর মত সারাটি জীবনই কাটিয়েছে। অথবা ঈমানের প্রশিক্ষণ পেয়েছে যেমন করে ঐ বালক প্রশিক্ষণ পেয়েছিল। এরই নাম ঈমান। এই ঈমান যখন হৃদয়ের সাথে মিশে যায় এবং আত্মাকে আলিঙ্গন করে তখন সে অদ্ভুত অদ্ভুত কাজ করে।

আমরা সাধু, অন্ধ ও বালকের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত বিজয় প্রত্যক্ষ করেছি, কিন্তু মুমিনদের এই ঘটনায় সমষ্টিগত বিজয় লক্ষ্য করা যায়। ইতিহাসে এ ঘটনার নযীর খুব কমই মেলে। এরই নাম আক্বীদার নিষ্কলুষতা, কর্মনীতির দ্ব্যর্থহীনতা, পদ্ধতির খুঁত হীনতা এবং বিজয়ের তাৎপর্যের যথোপযুক্ত উপলব্ধি। এই কাহিনী শেষ করার আগে আমাদের মনে কতকগুলি প্রশ্ন জাগে-

উক্ত রাজা তার চেলাচামুন্ডা ও সৈন্য-সামন্তের পরিণতি কী দাঁড়িয়েছিল? মুমিনদের হত্যাকারীদের থেকে কি আল্লাহ কোন প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি? তাদের রক্ত কি বৃথা গিয়েছিল? আমরা অবশ্য এই যালিমদের পরিণতি সম্পর্কে কুরআন ও হাদীছে আর কোন তথ্য পাই না। তবে মুমিনদের কষ্ট দানের পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করে পরবর্তী আয়াতে বলা হয়েছে,

إِنَّ الَّذِيْنَ فَتَنُوْا الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَتُوْبُوْا فَلَهُمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ وَلَهُمْ عَذَابُ الْحَرِيْقِ

‘নিশ্চয়ই যারা বিশ্বাসী পুরুষ ও বিশ্বাসী নারীদেরকে নির্যাতন করেছে অতঃপর তওবা করেনি, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি এবং জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি’ (বুরূজ ৮৫/১০)।

হাসান বছরী (রঃ) বলেন, ‘দেখ, কী করুণা ও বদান্যতা! তারা তাঁর প্রিয়জনদেরকে হত্যা করেছে অথচ তিনি তাদের তওবা ও ক্ষমার দিকে আহবান জানাচ্ছেন’।[1]

ঘটনার চূড়ান্ত পর্যায় বিজয়ের একটি বিশেষ অর্থ ফুটিয়ে তুলেছে। এখানে বিজয়ী কে? যে নিজের বিশ্বাস ও প্রভুর দ্বীনকে সাহায্য করতে গিয়ে কয়েক মিনিট আগুনে পুড়ল, তারপর জান্নাতুন নাঈমে প্রবেশ করল সেই, না যে দুনিয়ার ক’টা দিন আরাম আয়েশে কাটিয়ে তওবা না করে মারা গেল এবং জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করল সে?

এখানে কি আগুনে পোড়া প্রথম দল ও দ্বিতীয় দলের মধ্যে কোন তুলনা চলে? নাকি তুলনা চলে আখেরাতের আগুনে পোড়ার সাথে দুনিয়ার আগুনে পোড়ার? দু’য়ের মধ্যে কত তফাৎ, কী বিশাল পার্থক্য!

যেসব মুমিন দুনিয়ার আগুনে জ্বলল তাদের জন্য মঞ্জুর করা হ’ল জান্নাত, যার পাদদেশ দিয়ে স্রোতস্বীনি বয়ে চলেছে। তাদের এই অবিসংবাদিত ফল লাভ ঘোষণা করছে ‘উহা এক বিরাট সাফল্য’ (বুরূজ ৮৫/ ১১)।

[1]. তাফসীর ইবনে কাছীর ৪/৪৯৬ পৃ:।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন