HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
ইসলামী নীতিমালার আলোকে বরকত অর্জন
লেখকঃ সালেহ ইবন আবদুল আযীয ইবন মুহাম্মাদ আলে শাইখ
৫
সৎ ব্যক্তিবর্গের ব্যক্তিসত্তার দ্বারা বরকত অর্জনইতোপূর্বে বলা হয়েছে যে, ব্যক্তিসত্তার বরকত শুধু ঐ ব্যক্তির জন্যই প্রযোজ্য হতে পারে যাকে এ বরকত দেওয়ার কথা আল্লাহ উল্লেখ করেছেন। যেমন, নবী ও রাসূলগণ।
কিন্তু তারা ব্যতীত আল্লাহর অন্যান্য সৎ বান্দাগণের বরকত হচ্ছে আমলের বরকত। অর্থাৎ এ বরকত তাদের ইলম, আমল ও অনুসরণ থেকে উদ্ভূত, তাদের ব্যক্তিসত্তা থেকে নয়। সৎকর্মশীল ব্যক্তিদের বরকতের মধ্যে রয়েছে মানুষকে কল্যাণের দিকে আহ্বান করা, তাদের জন্য দোয়া করা এবং সৎ নিয়তে সৃষ্টির প্রতি ইহসান করার মাধ্যমে উপকার পৌঁছানো প্রভৃতি।
তাদের আমলের বরকতের মধ্যে রয়েছে ঐ সব কল্যাণ যা আল্লাহ তাদের কারণে দান করেছেন এবং তাদের সংস্কার কাজের বরকতে যে শাস্তি ও ব্যাপক আযাব আল্লাহ প্রতিরোধ করেছেন। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَمَا كَانَ رَبُّكَ لِيُهۡلِكَ ٱلۡقُرَىٰ بِظُلۡمٖ وَأَهۡلُهَا مُصۡلِحُونَ ١١٧﴾ [ هود : ١١٧ ]
“আর আপনার প্রভু এমন নয় যে, তিনি অন্যায়ভাবে জনপদ ধ্বংস করবেন অথচ তার অধিবাসীরা সংশোধনকারী”। [সূরা হূদ, আয়াত: ১১৭]
আর এমন বিশ্বাস করা যে, তাদের ব্যক্তিসত্তা বরকতময় হওয়ার কারণে বরকতের উদ্দেশ্যে সর্বদা তাদেরকে স্পর্শ করা, তাদের উচ্ছিষ্ট পান করা ও তাদের হাতে চুমু খাওয়া এবং তদনুরূপ আমল করা যেতে পারে- মূলতঃ এ ধরণের বিশ্বাস নবীগণ ছাড়া অন্যদের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ। তার কারণ হলো:
প্রথমত: কোনো ব্যক্তিই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে পৌঁছতে পারেন নি। অতএব, বরকতে ও মর্যাদায় কিভাবে তিনি তাঁর সমকক্ষ হবেন?
দ্বিতীয়ত: এমন কোনো শর‘ঈ দলীল পাওয়া যায় নি যদ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্যরাও শারীরিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দ্বারা বরকত অর্জনের ক্ষেত্রে তাঁর সমকক্ষ। অতএব, এ বিষয়টি তাঁর অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের মতোই তাঁর সাথেই সুনির্দিষ্ট।
তৃতীয়ত: অলী হওয়ার দিক দিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর অন্যদেরকে কিয়াস করার আলোচনায় ইমাম শাতেবী রাহেমাহুল্লাহ তার আলই‘তেসাম গ্রন্থে (খ. ২, পৃ. ৬-৭) বলেন, “এ (কিয়াসের) ক্ষেত্রে একটি নিশ্চিত (ভাষ্যের দিক থেকে) শক্তিশালী দলীল আমাদের বিরোধিতা করছে, যা উক্ত কিয়াস বাস্তবায়নের অন্তরায়। আর তা হলো, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর তাঁর কোনো খলীফার ব্যাপারে কোনো সাহাবীর পক্ষ থেকেই এমন কিছু ঘটেনি। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মাতের মধ্যে তাঁর পর আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর চাইতে উত্তম কাউকে রেখে যান নি। অতএব, তিনিই ছিলেন তাঁর খলীফা। অথচ তার দ্বারা (বরকত লাভের) ঐ সব কিছুই করা হয় নি। আর উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু দ্বারাও করা হয়নি, অথচ তিনি ছিলেন আবু বকরের পর উম্মাতের সর্বোত্তম ব্যক্তি। অনুরূপভাবে উসমান, আলী ও সকল সাহাবীদের কারো দ্বারাই বরকত লাভের কোনো ঘটনা সংঘটিত হয় নি, উম্মাতের মধ্যে যাদের চেয়ে উত্তম কেউ নেই। তদুপরি জানা বিশুদ্ধ পন্থায় তাদের কারো ক্ষেত্রেই এটা সাব্যস্ত হয়নি যে, বরকত অর্জনে প্রত্যাশী কোনো ব্যক্তি উপরোক্ত কিংবা অনুরূপ কোনো পন্থায় তাদের কারো দ্বারা বরকত লাভের প্রয়াস পেয়েছেন [এখানে তিনি শরীরের ঘাম, চুল ও অযুর পানি ইত্যাদি দ্বারা বরকত অর্জন বুঝিয়েছেন।]। বরং তারা এ সকল সাহাবীদের ক্ষেত্রে সে সব আমল, কথা ও সীরাতের অনুসরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছেন যেগুলোতে তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামেরই অনুসরণ করেছিলেন। মূলতঃ এ ছিল উক্ত জিনিসসমূহ পরিহারের ব্যাপারে তাদের ইজমা‘ তথা সর্বসম্মত মত”।
অনুরূপভাবে হাসান ও হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমা এবং ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহার ক্ষেত্রেও তারা উক্ত আমল করেন নি।
সুতরাং ব্যক্তিসত্তার বরকত বীর্য দ্বারা স্থানান্তরিত হয় না। চরমপন্থি শিয়া ও তাদের অনুসারী অন্যান্য মোকাল্লেদরাই এ ছাড়া ভিন্ন মত পোষণ করে থাকে।
চতুর্থত: ‘সাদ্দুয যারায়ে’ তথা হারামে লিপ্ত হওয়ার পথ রুদ্ধ করা শরী‘আতের একটি বড় মূলনীতি। এ ব্যাপারে আল-কুরআনের বিভিন্ন স্থানে দলীল রয়েছে। আর সুন্নাহেও এ সম্পর্কে বহু বিশুদ্ধ দলীল রয়েছে, যা একশতের কাছাকাছি পৌঁছবে। সম্ভবত এ কারণেই সৎ ব্যক্তিবর্গের ব্যক্তিসত্তা দ্বারা বরকত লাভের ব্যাপারটি ধারাবাহিকতা পায় নি, বরং তা নবীদের সাথেই খাস ছিল।
পঞ্চমত: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্য কারো দ্বারা এ ধরনের বরকত অর্জনের কাজটি সাধিত হলে তা ঐ ব্যক্তিকে ফেতনা থেকে মুক্ত থাকার কিংবা তদ্বারা আত্মপ্রসাদ লাভ থেকে মুক্ত থাকার কোনো নিরাপত্তা দেয় না। ফলে এ দ্বারা সে ব্যক্তি গৌরব, অহংকার, লোক দেখানো ও আত্মপ্রশংসায় ব্যাপৃত হয়ে যেতে পারে। এ সবই অন্তর দ্বারা কৃত হারাম কাজসমূহের অন্তর্ভুক্ত।
কিন্তু তারা ব্যতীত আল্লাহর অন্যান্য সৎ বান্দাগণের বরকত হচ্ছে আমলের বরকত। অর্থাৎ এ বরকত তাদের ইলম, আমল ও অনুসরণ থেকে উদ্ভূত, তাদের ব্যক্তিসত্তা থেকে নয়। সৎকর্মশীল ব্যক্তিদের বরকতের মধ্যে রয়েছে মানুষকে কল্যাণের দিকে আহ্বান করা, তাদের জন্য দোয়া করা এবং সৎ নিয়তে সৃষ্টির প্রতি ইহসান করার মাধ্যমে উপকার পৌঁছানো প্রভৃতি।
তাদের আমলের বরকতের মধ্যে রয়েছে ঐ সব কল্যাণ যা আল্লাহ তাদের কারণে দান করেছেন এবং তাদের সংস্কার কাজের বরকতে যে শাস্তি ও ব্যাপক আযাব আল্লাহ প্রতিরোধ করেছেন। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَمَا كَانَ رَبُّكَ لِيُهۡلِكَ ٱلۡقُرَىٰ بِظُلۡمٖ وَأَهۡلُهَا مُصۡلِحُونَ ١١٧﴾ [ هود : ١١٧ ]
“আর আপনার প্রভু এমন নয় যে, তিনি অন্যায়ভাবে জনপদ ধ্বংস করবেন অথচ তার অধিবাসীরা সংশোধনকারী”। [সূরা হূদ, আয়াত: ১১৭]
আর এমন বিশ্বাস করা যে, তাদের ব্যক্তিসত্তা বরকতময় হওয়ার কারণে বরকতের উদ্দেশ্যে সর্বদা তাদেরকে স্পর্শ করা, তাদের উচ্ছিষ্ট পান করা ও তাদের হাতে চুমু খাওয়া এবং তদনুরূপ আমল করা যেতে পারে- মূলতঃ এ ধরণের বিশ্বাস নবীগণ ছাড়া অন্যদের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ। তার কারণ হলো:
প্রথমত: কোনো ব্যক্তিই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে পৌঁছতে পারেন নি। অতএব, বরকতে ও মর্যাদায় কিভাবে তিনি তাঁর সমকক্ষ হবেন?
দ্বিতীয়ত: এমন কোনো শর‘ঈ দলীল পাওয়া যায় নি যদ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্যরাও শারীরিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দ্বারা বরকত অর্জনের ক্ষেত্রে তাঁর সমকক্ষ। অতএব, এ বিষয়টি তাঁর অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের মতোই তাঁর সাথেই সুনির্দিষ্ট।
তৃতীয়ত: অলী হওয়ার দিক দিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর অন্যদেরকে কিয়াস করার আলোচনায় ইমাম শাতেবী রাহেমাহুল্লাহ তার আলই‘তেসাম গ্রন্থে (খ. ২, পৃ. ৬-৭) বলেন, “এ (কিয়াসের) ক্ষেত্রে একটি নিশ্চিত (ভাষ্যের দিক থেকে) শক্তিশালী দলীল আমাদের বিরোধিতা করছে, যা উক্ত কিয়াস বাস্তবায়নের অন্তরায়। আর তা হলো, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর তাঁর কোনো খলীফার ব্যাপারে কোনো সাহাবীর পক্ষ থেকেই এমন কিছু ঘটেনি। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মাতের মধ্যে তাঁর পর আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহুর চাইতে উত্তম কাউকে রেখে যান নি। অতএব, তিনিই ছিলেন তাঁর খলীফা। অথচ তার দ্বারা (বরকত লাভের) ঐ সব কিছুই করা হয় নি। আর উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু দ্বারাও করা হয়নি, অথচ তিনি ছিলেন আবু বকরের পর উম্মাতের সর্বোত্তম ব্যক্তি। অনুরূপভাবে উসমান, আলী ও সকল সাহাবীদের কারো দ্বারাই বরকত লাভের কোনো ঘটনা সংঘটিত হয় নি, উম্মাতের মধ্যে যাদের চেয়ে উত্তম কেউ নেই। তদুপরি জানা বিশুদ্ধ পন্থায় তাদের কারো ক্ষেত্রেই এটা সাব্যস্ত হয়নি যে, বরকত অর্জনে প্রত্যাশী কোনো ব্যক্তি উপরোক্ত কিংবা অনুরূপ কোনো পন্থায় তাদের কারো দ্বারা বরকত লাভের প্রয়াস পেয়েছেন [এখানে তিনি শরীরের ঘাম, চুল ও অযুর পানি ইত্যাদি দ্বারা বরকত অর্জন বুঝিয়েছেন।]। বরং তারা এ সকল সাহাবীদের ক্ষেত্রে সে সব আমল, কথা ও সীরাতের অনুসরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছেন যেগুলোতে তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামেরই অনুসরণ করেছিলেন। মূলতঃ এ ছিল উক্ত জিনিসসমূহ পরিহারের ব্যাপারে তাদের ইজমা‘ তথা সর্বসম্মত মত”।
অনুরূপভাবে হাসান ও হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুমা এবং ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহার ক্ষেত্রেও তারা উক্ত আমল করেন নি।
সুতরাং ব্যক্তিসত্তার বরকত বীর্য দ্বারা স্থানান্তরিত হয় না। চরমপন্থি শিয়া ও তাদের অনুসারী অন্যান্য মোকাল্লেদরাই এ ছাড়া ভিন্ন মত পোষণ করে থাকে।
চতুর্থত: ‘সাদ্দুয যারায়ে’ তথা হারামে লিপ্ত হওয়ার পথ রুদ্ধ করা শরী‘আতের একটি বড় মূলনীতি। এ ব্যাপারে আল-কুরআনের বিভিন্ন স্থানে দলীল রয়েছে। আর সুন্নাহেও এ সম্পর্কে বহু বিশুদ্ধ দলীল রয়েছে, যা একশতের কাছাকাছি পৌঁছবে। সম্ভবত এ কারণেই সৎ ব্যক্তিবর্গের ব্যক্তিসত্তা দ্বারা বরকত লাভের ব্যাপারটি ধারাবাহিকতা পায় নি, বরং তা নবীদের সাথেই খাস ছিল।
পঞ্চমত: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্য কারো দ্বারা এ ধরনের বরকত অর্জনের কাজটি সাধিত হলে তা ঐ ব্যক্তিকে ফেতনা থেকে মুক্ত থাকার কিংবা তদ্বারা আত্মপ্রসাদ লাভ থেকে মুক্ত থাকার কোনো নিরাপত্তা দেয় না। ফলে এ দ্বারা সে ব্যক্তি গৌরব, অহংকার, লোক দেখানো ও আত্মপ্রশংসায় ব্যাপৃত হয়ে যেতে পারে। এ সবই অন্তর দ্বারা কৃত হারাম কাজসমূহের অন্তর্ভুক্ত।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন