hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল গুরুত্ব ও তাৎপর্য

লেখকঃ আব্দুল্লাহ শহীদ আবদুর রহমান

হাদীস থেকে শিক্ষা ও মাসায়েল:
এক. কেয়ামত সংঘটিত হবার পর হাশরের ময়দানে যা ঘটবে, তার কিছু চিত্র আল্লাহ আহকামুল হাকেমীন তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখিয়েছেন।

দুই. হাশরের ময়দানে উম্মতের সংখ্যার বিচারে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মত সংখ্যাগরিষ্ঠ হবেন। অন্য এক হাদীসে এসেছে তিনি উম্মাতের সংখ্যাধিক্য নিয়ে গর্ব করবেন।

তিন. অনেক নবী এমন হবেন, যাদের কোনো অনুসারী থাকবে না। এটাকে তাদের ব্যর্থতা বলে গণ্য করা হবে না। কারণ, তারা উম্মাতের হিদায়াতের জন্য যথাসাধ্য মেহনত করেছিলেন। ফলাফল তো তাদের আয়ত্বে ছিল না।

চার. উম্মতে মুহাম্মাদীর থেকে সত্তর হাজার লোক বিনা হিসাবে ও বিনা শাস্তিতে জান্নাতে যাবে। কারণ, তারা তাওয়াক্কুলের পরীক্ষায় প্রথম স্থান লাভ করেছে।

পাঁচ. তাদের তাওয়াক্কুলের প্রকাশ ছিল এমন যে, তারা কারো ঝাড়-ফুঁক করে নি। ঝাড়-ফুঁকের জন্য কারো কাছে যায় নি। তারা অশুভ লক্ষণে বিশ্বাস করে নি। অন্য বর্ণনায় আরেকটি গুণের কথা আছে। আর তা হলো, তারা আগুনের ছ্যাকা দেয় নি।

ছয়. ইসলাম কোনো কিছুকে অশুভ লক্ষণ মনে করা অনুমোদন করে না। মানুষের সমাজে অনেক অশুভ লক্ষণের ধারনা আছে। যেমন, কালো বিড়ালকে অশুভ ভাবা হয়। তের সংখ্যাকে অশুভ ধরা হয়। কোনো কোনো তারিখকে অশুভ বলে গণ্য করা হয়। কখনো কখনো পশু পাখির হাক ডাককে অশুভ ধারনা করা হয় ইত্যাদি। যত প্রকার অশুভ লক্ষণ বলে মানুষ ধারণা করে, সব ইসলাম বাতিল করে দিয়েছে।

সাত. ঝাড়-ফুঁক দু ধরণের। শরী‘আত অনুমোদিত ঝাড়-ফুঁক আর শরী‘আত পরিপন্থী ঝাড়-ফুঁক। যে সকল ঝাড়-ফুঁক কুরআন বা সহীহ হাদীস অনুযায়ী হবে তা জায়েয। আর যা এর বাহিরে হবে তা শির্ক বলে বিবেচিত হবে। যারা জায়েয ঝাড়-ফুঁক-কেও পরিহার করে চলে এ হাদীসে তাদের প্রশংসা করা হয়েছে । না জায়েয ঝাড়-ফুঁকতো শুধু তাওয়াক্কুলেরই খেলাফ নয়। তা তাওহীদেরও খেলাফ। এ হাদীসে যে ঝাড়-ফুঁককে তাওয়াক্কুলের খেলাফ বলা হয়েছে তাহল জায়েয ঝাড়-ফুঁক। আর না জায়েয ঝাড়-ফুঁক করলে তো তাওয়াক্কুল দূরের কথা ঈমানই থাকে না।

আট. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী ও হাদীস নিয়ে গবেষণা করার বৈধতা প্রমাণিত হলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশায় সাহাবায়ে কেরাম তাঁর কথা ও বাণী নিয়ে আলোচনা ও গবেষণা করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাতে বাধা দেন নি। বরং সেই সত্তর হাজার লোক কারা হবে, তা প্রথমে বলেন নি। বিষয়টি গোপন রেখে তাদের গবেষণা ও চিন্তা-ভাবনা করতে উৎসাহিত করেছেন।

নয়. যে সকল ঝাড়-ফুঁক বৈধ, তাহল, কুরআনের আয়াত, হাদীসে বর্ণিত কোনো দো‘আ দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করা। কেউ এ রকম ঝাড়-ফুঁক করলে কোনো গুনাহ হবে না। যদি কেউ ঝাড়-ফুঁকের জন্য আসে তখন তাকে বৈধ পন্থায় ঝাড়-ফুঁক না করে ফিরিয়ে দেওয়াও ঠিক হবে না।

দশ. ভালো কাজে সাহাবায়ে কেরাম প্রতিযোগিতা করতেন। কেউ পিছনে থাকতে চাইতেন না। উক্কাশা রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর দো‘আ চাওয়া ও অন্যান্য সাহাবীদের এ মর্যাদা কামনা করার মাধ্যমে এটা আমাদের বুঝে আসে।

এগার. কোনো নেককার আলিম, বুযুর্গ ব্যক্তিকে ‘আমার জন্য দো‘আ করুন’ বলা না জায়েয নয়। সাহাবায়ে কেরাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ রকম বলেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলে যাওয়ার পর সাহাবীগণ এ রকম বলতেন। যেমন, উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলেছিলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবিত থাকাকালে আমরা দো‘আ করার সময় তার উসীলা নিতাম। মানে তাকে দো‘আ করতে বলতাম। এখন তিনি নেই। আমরা আপনার উসীলা নিচ্ছি, বৃষ্টির জন্য আপনাকে দো‘আ করতে অনুরোধ করছি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন