HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
মানব জীবনে ইসলামি আকিদার প্রভাব
লেখকঃ সানাউল্লাহ নজির আহমদ
৩
তওহিদ : এটি ইসলামি আকিদার মূল ভিত্তির একটি।ইতিহাস পর্যালোচনার মাধ্যমে আমাদের নিকট স্পষ্ট হয়েছে যে, মানব জীবনে সব চেয়ে বেশী প্রভাব সৃষ্টিকারী হচ্ছে এ তওহিদ। এ আকিদা গ্রহণকারী একজন মানুষ যে পরিমান ত্যাগ ও কঠিন কর্ম সম্পাদন করতে পারে, তা এ আকিদাশূণ্য অন্যকারো পক্ষে সম্ভব নয়। তবে, তাওহিদের প্রভাব সে ব্যক্তির মধ্যেই বিকশিত হবে, যে একে আলিঙ্গন করবে এবং এর রঙে রঙিন হবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, একটি ব্যাটারী বিদ্যুৎ থেকে যে পরিমাণ চার্জ সংগ্রহ ও ধারণ করতে পারবে, সে সে পরিমাণ-ই দায়িত্ব আঞ্জাম দিতে পারবে। এটাই খাটি তওহিদে বিশ্বাসী একজন পূর্ণ ঈমানদার ব্যক্তির উদাহরণ; যে ইসালামি আকিদা থেকে শক্তি সঞ্চয় করে এবং প্রানবন্তভাবে নিজ দায়িত্ব আঞ্জাম দেয়। সেই হচ্ছে শাশ্বত দিক্ষায় দীক্ষিত প্রকৃত মুসলমান।
ইসলাম তার প্রথম যুগের অনুসারীদের দ্বারা যে দৃষ্টান্ত পেশ করেছে, তা সমগ্র মানব ইতিহাসে বিরল ও দুর্লভ। যা শুধু আবু বকর, ওমর, ওসমান, আলী কিংবা এদের মত উজ্জ্বল কতক নক্ষত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি, যদিও তারা গৌরবময় মানব ইতিহাসের মধ্যমণি। তদুপরি তারা ছাড়াও হাজার ব্যক্তি ও উদাহরণ বিদ্যমান রয়েছে। ইতিহাস যাদের উপাখ্যান লিপিবদ্ধ করতে অক্ষম-অপরাগ। বোধ করি এ কারণেই ঐতিহাসিকগণ এ জাতির সমৃদ্ধ ইতিহাস আদ্যপান্ত লিপিবদ্ধ করার পরিবর্তে শুধু ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে এক পর্বে থেকে অন্য পর্বের আলোচনায় প্রবৃত্ত হয়েছে। তাদের দৃষ্টিতে এ আকিদার উর্বর ভূমি থেকে এ ধরনের অস্বাভাবিক দৃষ্টান্ত বিকশিত হওয়া স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছিল। কয়েকটি উদাহরণ নিম্নে প্রদত্ত হল :
একজন মুজাহিদ যিনি আল্লাহর রাস্তায় জেহাদের জন্য নিজ হাতে বিদ্যমান কয়েকটি খেজুর এ বলে ফেলে দিয়েছিলেন, ‘এগুলো খাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা আমার জন্য দীর্ঘ জীবনের আশা করা বৈকি’। অতঃপর তা নিক্ষেপ করে শাহাদাতের অদম্য স্পৃহায় যুদ্ধের ময়দানে ঝাপিয়ে পড়েন, একপর্যায়ে শাহাদাতের স্বর্গীয় সুধা পান করে পার্থিব জীবনের ইতি টানেন।
আরো উল্লেখ করা যায় সে যানবাজ লড়াকুর কথা যিনি পারস্যের মোকাবিলায় জিহাদের জন্য বর্ম পরিধান করেন, অন্য সাথীরা বর্মে ছিদ্র দেখে সাবধান করে তা পালটাতে বললেন। উত্তরে তিনি হেসে বলে উঠলেন, এ ছিদ্র জনিত আঘাতে মারা গেলে অবশ্যই আমি আল্লাহর কাছে আদৃত হব। এরপর বিলম্ব না করে ময়দানে ঝাপিয়ে পড়লেন। সে ছিদ্র দিয়ে হঠাৎ আঘাত হানে একটি তীর, ফলে সহাস্যবদনে সেখানেই তিনি শাহাদাতকে আলিঙ্গন করেন। শাহাদাতের স্বতঃস্ফুর্ত আলিঙ্গনে এভাবেই তিনি আল্লাহর পানে ছুটে চলেন।
উল্লেখ করা যায় মেহমানদারির নজিরবিহীন সে ঘটনার কথা, যার বর্ণনা পবিত্র কুরআনেও উদ্ধৃত হয়েছে। যাদের সংগ্রহে ছিল সামান্য কিছু খেজুর। রাতে হঠাৎ মেহমান এসে হাজির হয়। মেহমানসহ খেতে বসে বাতি নিভিয়ে দেন আর মিছে মুখ নেড়ে খাওয়ার ভান করে যান। এদিকে তারাও খাচ্ছেন ভেবে মেহমান তৃপ্তিসহকারে খেতে থাকেন। এভাবেই নিজেরা না খেয়ে মেহমানকে খাওয়ানোর মত উদারতা প্রদর্শন করেন। তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন :
وَالَّذِينَ تَبَوَّءُوا الدَّارَ وَالْإِيمَانَ مِنْ قَبْلِهِمْ يُحِبُّونَ مَنْ هَاجَرَ إِلَيْهِمْ وَلَا يَجِدُونَ فِي صُدُورِهِمْ حَاجَةً مِمَّا أُوتُوا وَيُؤْثِرُونَ عَلَى أَنْفُسِهِمْ وَلَوْ كَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ وَمَنْ يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ ﴿الحشر :৯﴾
‘‘আর মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে যারা মদীনাকে নিবাস হিসেবে গ্রহণ করেছিল এবং ঈমান এনেছিল (তাদের জন্যও এ সম্পদে অংশ রয়েছে), আর যারা তাদের কাছে হিজরত করে এসেছে তাদেরকে ভালবাসে। আর মুহাজরিদেরকে যা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য এরা তাদের অন্তরে কোন ঈর্ষা অনুভব করে না। এবং নিজেদের অভাব থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ওপর তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়। যাদের মনের কার্পণ্য থেকে রক্ষা করা হয়েছে, তারাই সফলকাম।’’ [হাশর : ৯]
মানব কল্যাণ, পরার্থপরতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার বিবিধ ক্ষেত্রে এরূপ অনেক নজির রয়েছে, যা অন্য আকিদায় বিশ্বাসী কোন মানুষের মধ্যে পাওয়া যায়না। ইতিহাস এমন নজির গড়তে ব্যর্থ হয়েছে বারবার।
ইসলাম তার প্রথম যুগের অনুসারীদের দ্বারা যে দৃষ্টান্ত পেশ করেছে, তা সমগ্র মানব ইতিহাসে বিরল ও দুর্লভ। যা শুধু আবু বকর, ওমর, ওসমান, আলী কিংবা এদের মত উজ্জ্বল কতক নক্ষত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি, যদিও তারা গৌরবময় মানব ইতিহাসের মধ্যমণি। তদুপরি তারা ছাড়াও হাজার ব্যক্তি ও উদাহরণ বিদ্যমান রয়েছে। ইতিহাস যাদের উপাখ্যান লিপিবদ্ধ করতে অক্ষম-অপরাগ। বোধ করি এ কারণেই ঐতিহাসিকগণ এ জাতির সমৃদ্ধ ইতিহাস আদ্যপান্ত লিপিবদ্ধ করার পরিবর্তে শুধু ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে এক পর্বে থেকে অন্য পর্বের আলোচনায় প্রবৃত্ত হয়েছে। তাদের দৃষ্টিতে এ আকিদার উর্বর ভূমি থেকে এ ধরনের অস্বাভাবিক দৃষ্টান্ত বিকশিত হওয়া স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছিল। কয়েকটি উদাহরণ নিম্নে প্রদত্ত হল :
একজন মুজাহিদ যিনি আল্লাহর রাস্তায় জেহাদের জন্য নিজ হাতে বিদ্যমান কয়েকটি খেজুর এ বলে ফেলে দিয়েছিলেন, ‘এগুলো খাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা আমার জন্য দীর্ঘ জীবনের আশা করা বৈকি’। অতঃপর তা নিক্ষেপ করে শাহাদাতের অদম্য স্পৃহায় যুদ্ধের ময়দানে ঝাপিয়ে পড়েন, একপর্যায়ে শাহাদাতের স্বর্গীয় সুধা পান করে পার্থিব জীবনের ইতি টানেন।
আরো উল্লেখ করা যায় সে যানবাজ লড়াকুর কথা যিনি পারস্যের মোকাবিলায় জিহাদের জন্য বর্ম পরিধান করেন, অন্য সাথীরা বর্মে ছিদ্র দেখে সাবধান করে তা পালটাতে বললেন। উত্তরে তিনি হেসে বলে উঠলেন, এ ছিদ্র জনিত আঘাতে মারা গেলে অবশ্যই আমি আল্লাহর কাছে আদৃত হব। এরপর বিলম্ব না করে ময়দানে ঝাপিয়ে পড়লেন। সে ছিদ্র দিয়ে হঠাৎ আঘাত হানে একটি তীর, ফলে সহাস্যবদনে সেখানেই তিনি শাহাদাতকে আলিঙ্গন করেন। শাহাদাতের স্বতঃস্ফুর্ত আলিঙ্গনে এভাবেই তিনি আল্লাহর পানে ছুটে চলেন।
উল্লেখ করা যায় মেহমানদারির নজিরবিহীন সে ঘটনার কথা, যার বর্ণনা পবিত্র কুরআনেও উদ্ধৃত হয়েছে। যাদের সংগ্রহে ছিল সামান্য কিছু খেজুর। রাতে হঠাৎ মেহমান এসে হাজির হয়। মেহমানসহ খেতে বসে বাতি নিভিয়ে দেন আর মিছে মুখ নেড়ে খাওয়ার ভান করে যান। এদিকে তারাও খাচ্ছেন ভেবে মেহমান তৃপ্তিসহকারে খেতে থাকেন। এভাবেই নিজেরা না খেয়ে মেহমানকে খাওয়ানোর মত উদারতা প্রদর্শন করেন। তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন :
وَالَّذِينَ تَبَوَّءُوا الدَّارَ وَالْإِيمَانَ مِنْ قَبْلِهِمْ يُحِبُّونَ مَنْ هَاجَرَ إِلَيْهِمْ وَلَا يَجِدُونَ فِي صُدُورِهِمْ حَاجَةً مِمَّا أُوتُوا وَيُؤْثِرُونَ عَلَى أَنْفُسِهِمْ وَلَوْ كَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ وَمَنْ يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ ﴿الحشر :৯﴾
‘‘আর মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে যারা মদীনাকে নিবাস হিসেবে গ্রহণ করেছিল এবং ঈমান এনেছিল (তাদের জন্যও এ সম্পদে অংশ রয়েছে), আর যারা তাদের কাছে হিজরত করে এসেছে তাদেরকে ভালবাসে। আর মুহাজরিদেরকে যা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য এরা তাদের অন্তরে কোন ঈর্ষা অনুভব করে না। এবং নিজেদের অভাব থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ওপর তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়। যাদের মনের কার্পণ্য থেকে রক্ষা করা হয়েছে, তারাই সফলকাম।’’ [হাশর : ৯]
মানব কল্যাণ, পরার্থপরতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার বিবিধ ক্ষেত্রে এরূপ অনেক নজির রয়েছে, যা অন্য আকিদায় বিশ্বাসী কোন মানুষের মধ্যে পাওয়া যায়না। ইতিহাস এমন নজির গড়তে ব্যর্থ হয়েছে বারবার।
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন