HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মানব জীবনে ইসলামি আকিদার প্রভাব

লেখকঃ সানাউল্লাহ নজির আহমদ

মুদ্দা কথা
ইউরোপ তার বর্তমান প্রগতি ও উন্নতির মূল রসদ গ্রহণ করেছে ইসলাম থেকে। যদিও বর্তমান যুগে এসে ইসলাম ও মুসলমানের প্রভাব তাদের মধ্যে বলতে গেলে নেই। তারা স্বার্থান্ধাত্যায় ইসলামকে দূরে নিক্ষেপ করেছে।

একটি প্রশ্ন : বর্তমান যুগে মুসলমানদের মধ্যে কিংবা তাদের প্রতিবেশীদের মধ্যে এর কোন প্রভাব লক্ষ্য করা যায় না। তাহলে কী ইসলামি আকিদা স্বীয় ঐতিহ্য ও কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলল?

উত্তর : কস্মিন কালেও না। ইসলাম কোন অংশেই তার কর্ম ক্ষমতা ও কার্যকারিতা হারায়নি। কারণ ইসলাম সবসময়ের জন্য আল্লাহ তাআলা প্রদত্ত মানব জাতির চিরন্তন জীবন বিধান। একমাত্র এর মাধ্যমেই মানব জাতি সঠিক পথে পরিচালিত হতে পারে এবং রাখতে পারে প্রতি পদে সাফল্যের শাশ্বত স্বাক্ষর।

তবে মূল ব্যাপার হল: এটি তখই কাজ করবে মানুষ যখন কায়মনো বাক্যে এ আকিদর বাস্তবায়ন করবে। পবিত্র কুরআনে ঘোষিত হচ্ছে:

إِنَّ اللَّهَ لَا يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّى يُغَيِّرُوا مَا بِأَنْفُسِهِمْ ﴿الرعد :১১﴾

‘‘আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে।’’ [সুরায়ে রাদ : ১১]

এ হল আল্লাহর বিধান, যার কোন পরিবর্তন নেই। প্রচেষ্টা ব্যতীত এবং উপায়-উপকরণ গ্রহণ করা ছাড়া কখনো মানুষের অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়। মানুষের জীবন অধ্যায় পরিচালনার জন্য ইসলামি আকিদার ন্যায় সফল অন্যকোন চালিকা শক্তি নেই। কিন্তু সে তাকে-ই পরিচালনা করবে যে, ইসলামকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবে, তার প্রতি মনোনিবেশন করবে এবং বাস্তব জীবনে তার বাস্তবায়ন কল্পে জীবন-মরণ পণ করবে।

উদাহরণত: বিদ্যুৎ উপাদন কেন্দ্র। সর্বদাই সে সক্রিয় কিন্তু যদি কোন সংযোগ দানকারী না থাকে, তবে কি উপকারে আসবে ?

অথবা মনে করুন সে সক্রিয়। কিন্তু কেউ যদি তার থেকে শক্তি সঞ্চয় না করে তবে কি লাভ হবে? আমরা কি বলব- বিদ্যুৎ প্রভাব শূন্য হয়ে গেছে ? না-কি বলব- মানুষ তার ব্যবহার ছেড়ে দিয়েছে ?

এ হলো ইসলামি আকিদার উদাহরণ। আর সেসব মুসলমানদের উদাহরণ যারা নামে মাত্র ইসলামের অনুসরণ করে। যে ইসলাম দুনিয়া-আখেরাতের কল্যাণের বাহক তারা সে ইসলামকে প্রয়োগ করে না, তার প্রতি ধাবিত হয় না। ফলে তাদের জীবন পতনোন্মুখ। আবার কখনো এর থেকে উত্তরণের চিন্তা করলেও সত্যিকারার্থে ত্রানকর্তার দিকে দৃষ্টি দেয় না। বরং যে পতন ত্বরান্বিত ও গভীর করবে, তার প্রতি-ই ধাবিত হয়।

মুসলমানের সময় এসেছে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের এবং তার মনোনীত ইসলামের সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের। তাদের সময় এসেছে বাস্তব ইসলামের দিকে প্রত্যাবর্তন করার। শয়তান আছরকৃত ব্যক্তির ন্যায় এদিক-সেদিক ঘুরা-ফিরা ছেড়ে, ইসলাম থেকেই জীবনের সঠিক রূপ-রেখা গ্রহণ করা। যার উপর নির্ভর করে এগুবে অভীষ্টলক্ষ পানে।

তবে মুসলিম যুবকদের ভেতর ইসলামি পুনঃজাগরণের যে আন্দোলন দুনিয়া-জুড়ে বিরাজ করছে, অদূর ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি শুভ সংবাদ। যদিও এ ভবিষ্যত প্রচুর ত্যাগ-তিতিক্ষা আর কুরবানির দাবিদার।

তবে যারা দ্বীন পরিত্যাগ করেছে কিংবা দ্বীন থেকে নিজকে চিরতরে মুক্ত করে নিয়েছে, তাদের ব্যাপারে আল্লাহর ওয়াদা প্রযোজ্য নয়। বরং তাদের উপর প্রয়োগ হবে আল্লাহর অশনি সংকেত,

وَإِنْ تَتَوَلَّوْا يَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ ثُمَّ لَا يَكُونُوا أَمْثَالَكُمْ ﴿محمد :৩৮﴾

‘‘যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, আল্লাহ তোমাদের পরিবর্তে এমন এক জাতির সৃষ্টি করবেন যারা তোমাদের মত হবে না।’’ [মুহাম্মাদ : ৩৮]

পক্ষান্তরে যারা এ দ্বীন আকড়ে আছে, এ দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, তারা অতি সত্বর আল্লাহর ওয়াদা প্রত্যক্ষ করবে। পবিত্র কুরআনে ঘোষিত হয়েছে,

وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آَمَنُوا مِنْكُمْ وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَيَسْتَخْلِفَنَّهُمْ فِي الْأَرْضِ كَمَا اسْتَخْلَفَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ وَلَيُمَكِّنَنَّ لَهُمْ دِينَهُمُ الَّذِي ارْتَضَى لَهُمْ وَلَيُبَدِّلَنَّهُمْ مِنْ بَعْدِ خَوْفِهِمْ أَمْنًا يَعْبُدُونَنِي لَا يُشْرِكُونَ بِي شَيْئًا وَمَنْ كَفَرَ بَعْدَ ذَلِكَ فَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ ﴿النور :৫৫﴾

‘‘তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎ কর্ম সম্পাদন করে, আল্লাহ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীর শাসন কর্তৃত্ব দান করবেন। যেমন তিনি শাসন কর্তৃত্ব দান করেছেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন তাদের ধর্মকে, যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়-ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে শান্তি দান করবেন। তারা আমার এবাদত করবে আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না।’’ [নূর : ৫৫]

সমাপ্ত

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন