HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
ইখলাছ মুক্তির পাথেয়
লেখকঃ ফয়সাল বিন আলী আল বাদানী
১০
ইখলাছের পথে যা বাধা নয়সৎ লোকদের সাথে থাকার সুযোগে নেক আমল করা :
মানুষ যখন কিছু সংখ্যক মুত্তাকী পরহেযগার লোকদের সাথে একত্র হয়ে বিভিন্ন ইবাদত-বন্দেগী করে তখন কারো কারো মনে এ ধরণের ভাবনা জন্ম নেয় যে, এ কাজটা মনে হয় রিয়ার মধ্যে পড়ে গেল। যদি কাজটা একান্তে সম্পাদন করা হত তা হলে কি ভাল হত না? আসলে ব্যাপারটা এ রকম নয়। জামাআতবদ্ধ থাকলে অনেক সময় অন্যের উৎসাহে বা অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অনেক নেক আমল করা যায়, যা একা একা করার সুযোগ হয় না, বা করতে গেলে অলসতায় পেয়ে বসে। তাই বলে এটা ইখলাছের বিরোধী হওয়ার কোন কারণ নেই।
এক কাজে একাধিক নিয়্যত করা :
একটি নেক আমল করার সময় একাধিক সওয়াবের নিয়্যত করা যেতে পারে। এটাকে বলে তাশরীকুন্নিয়্যাত বা নিয়তের ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব। একাধিক নিয়্যত দু ধরনের হয়ে থাকে :
এক. একটি নেক আমল করার মাধ্যমে দুটো সওয়াব অর্জনের নিয়্যত করা যেতে পারে। এতে ইখলাছের পরিপন্থী কিছু নেই। যেমন কেউ জুমুআর সালাতের পূর্বে গোসল করল দুটো নিয়্যতে; বড় নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জন ও জুমুআর দিনের গোসলের সওয়াব লাভ। এ দুটো নিয়্যত করা সঠিক হয়েছে। এমনিভাবে কেউ মসজিদে প্রবেশ করে দু রাকাআত সালাত আদায় করল কিন্তু সওয়াবের নিয়্যত করল দুটোর; তাহিয়্যাতুল মসজিদের সালাত ও ফজরের সুন্নাতের সালাত। অথচ সালাত মাত্র একটি। এতে সে দু সালাতের সওয়াব অর্জনের নিয়্যত করলে কোন অসুবিধা নেই। এমনিভাবে আত্মীয়-স্বজনকে দান করে আত্মীয়তার সম্পর্ক মজবুত করা ও ছদকার সওয়াব লাভ করার নিয়্যত করা যায়। সালাতের পূর্বে মসজিদে অবস্থান করে সালাতের অপেক্ষার সওয়াব ও এতেকাফের সওয়াবের নিয়্যত করতে অসুবাধা নেই।
দুই . একটি নেক আমল করে একটি সওয়াব ও অন্য একটি আমলের নিয়্যত করা। এতেও কোন সমস্যা নেই। যেমন কেউ অজু করল সালাত আদায়ের নিয়্যতে। কিন' সাথে সাথে সে অজুর মাধ্যমে শরীর ঠান্ডা হবে বা অলসতা কেটে যাবে এ নিয়্যত করল। এতে কোন সমস্যা নেই। এমনিভাবে কেউ হজ্ব করতে গেল। তার নিয়্যত সে হজ্বের সওয়াব অর্জন করবে। সাথে নিয়্যত করল হজ্বে যেয়ে সে কিছু ব্যবসা-বানিজ্য করবে। এতে নাজায়েযের কিছু নেই। মোটকথা, একটি নেক আমল করে একাধিক নেক আমলের সওয়াব অর্জন করার নিয়্যত করা ইখলাছের পরিপন্থী নয়।
রিয়া বা লোক দেখানো আমল দু ধরনের :
যে সকল আমলে রিয়া হয় তা দু ভাগে ভাগ করা যায়।
এক. এমন নেক আমল যা শুধু মানুষকে দেখানোর জন্য বা শোনানোর জন্যই করা হয়েছে। কর্তা কখনো আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার চিন্তা মাথায় স্থান দেয়নি। শুধু পার্থিব স্বার্থ লাভের উদ্দেশ্যে করেছে। এমন ধরনের কাজ মুমিন ব্যক্তি করতে পারে না। যে এমন নিয়্যত করে সে মুনাফিক। মুনাফিকরাই ইবাদত-বন্দেগীসহ অন্যান্য নেক আমল পার্থিব স্বার্থ আদায়ের জন্য করত। এভাবে আমল নি:সন্দেহে বাতিল বলে গণ্য।
দুই. নেক আমল করার সময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়্যত করার সাথে সাথে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যও থাকল। এটাও বাতিল। এটাকেই হাদীসে আল্লাহর রাসূল শিরকে খফী বা ছোট শিরক বলে অভিহিত করেছেন। এ আমলের কোন সওয়াব পাওয়া যাবে না।
যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন :-
. أنا أغنى الشركاء عن الشرك، من عمل عملا أشرك معي فيه غيري تركته وشركه . أخرجه مسلم : 2985
আমি শরীকদের শিরক থেকে মোটেই মুখাপেক্ষী নই। যদি কোন ব্যক্তি কোন আমল করে এবং এতে আমার সাথে অন্য কাউকে শরীক করে তাহলে আমি তাকে ও তার শিরকী কাজকে প্রত্যাখ্যান করি। (বর্ণনায় : মুসলিম, ২৯৮৫)
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে তাঁর জন্যই সকল নেক আমল ও সৎকর্মসমূহ সম্পাদন ও নিবেদন করার তাওফীক দান করুন।
সমাপ্ত
মানুষ যখন কিছু সংখ্যক মুত্তাকী পরহেযগার লোকদের সাথে একত্র হয়ে বিভিন্ন ইবাদত-বন্দেগী করে তখন কারো কারো মনে এ ধরণের ভাবনা জন্ম নেয় যে, এ কাজটা মনে হয় রিয়ার মধ্যে পড়ে গেল। যদি কাজটা একান্তে সম্পাদন করা হত তা হলে কি ভাল হত না? আসলে ব্যাপারটা এ রকম নয়। জামাআতবদ্ধ থাকলে অনেক সময় অন্যের উৎসাহে বা অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অনেক নেক আমল করা যায়, যা একা একা করার সুযোগ হয় না, বা করতে গেলে অলসতায় পেয়ে বসে। তাই বলে এটা ইখলাছের বিরোধী হওয়ার কোন কারণ নেই।
এক কাজে একাধিক নিয়্যত করা :
একটি নেক আমল করার সময় একাধিক সওয়াবের নিয়্যত করা যেতে পারে। এটাকে বলে তাশরীকুন্নিয়্যাত বা নিয়তের ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব। একাধিক নিয়্যত দু ধরনের হয়ে থাকে :
এক. একটি নেক আমল করার মাধ্যমে দুটো সওয়াব অর্জনের নিয়্যত করা যেতে পারে। এতে ইখলাছের পরিপন্থী কিছু নেই। যেমন কেউ জুমুআর সালাতের পূর্বে গোসল করল দুটো নিয়্যতে; বড় নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জন ও জুমুআর দিনের গোসলের সওয়াব লাভ। এ দুটো নিয়্যত করা সঠিক হয়েছে। এমনিভাবে কেউ মসজিদে প্রবেশ করে দু রাকাআত সালাত আদায় করল কিন্তু সওয়াবের নিয়্যত করল দুটোর; তাহিয়্যাতুল মসজিদের সালাত ও ফজরের সুন্নাতের সালাত। অথচ সালাত মাত্র একটি। এতে সে দু সালাতের সওয়াব অর্জনের নিয়্যত করলে কোন অসুবিধা নেই। এমনিভাবে আত্মীয়-স্বজনকে দান করে আত্মীয়তার সম্পর্ক মজবুত করা ও ছদকার সওয়াব লাভ করার নিয়্যত করা যায়। সালাতের পূর্বে মসজিদে অবস্থান করে সালাতের অপেক্ষার সওয়াব ও এতেকাফের সওয়াবের নিয়্যত করতে অসুবাধা নেই।
দুই . একটি নেক আমল করে একটি সওয়াব ও অন্য একটি আমলের নিয়্যত করা। এতেও কোন সমস্যা নেই। যেমন কেউ অজু করল সালাত আদায়ের নিয়্যতে। কিন' সাথে সাথে সে অজুর মাধ্যমে শরীর ঠান্ডা হবে বা অলসতা কেটে যাবে এ নিয়্যত করল। এতে কোন সমস্যা নেই। এমনিভাবে কেউ হজ্ব করতে গেল। তার নিয়্যত সে হজ্বের সওয়াব অর্জন করবে। সাথে নিয়্যত করল হজ্বে যেয়ে সে কিছু ব্যবসা-বানিজ্য করবে। এতে নাজায়েযের কিছু নেই। মোটকথা, একটি নেক আমল করে একাধিক নেক আমলের সওয়াব অর্জন করার নিয়্যত করা ইখলাছের পরিপন্থী নয়।
রিয়া বা লোক দেখানো আমল দু ধরনের :
যে সকল আমলে রিয়া হয় তা দু ভাগে ভাগ করা যায়।
এক. এমন নেক আমল যা শুধু মানুষকে দেখানোর জন্য বা শোনানোর জন্যই করা হয়েছে। কর্তা কখনো আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার চিন্তা মাথায় স্থান দেয়নি। শুধু পার্থিব স্বার্থ লাভের উদ্দেশ্যে করেছে। এমন ধরনের কাজ মুমিন ব্যক্তি করতে পারে না। যে এমন নিয়্যত করে সে মুনাফিক। মুনাফিকরাই ইবাদত-বন্দেগীসহ অন্যান্য নেক আমল পার্থিব স্বার্থ আদায়ের জন্য করত। এভাবে আমল নি:সন্দেহে বাতিল বলে গণ্য।
দুই. নেক আমল করার সময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়্যত করার সাথে সাথে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যও থাকল। এটাও বাতিল। এটাকেই হাদীসে আল্লাহর রাসূল শিরকে খফী বা ছোট শিরক বলে অভিহিত করেছেন। এ আমলের কোন সওয়াব পাওয়া যাবে না।
যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন :-
. أنا أغنى الشركاء عن الشرك، من عمل عملا أشرك معي فيه غيري تركته وشركه . أخرجه مسلم : 2985
আমি শরীকদের শিরক থেকে মোটেই মুখাপেক্ষী নই। যদি কোন ব্যক্তি কোন আমল করে এবং এতে আমার সাথে অন্য কাউকে শরীক করে তাহলে আমি তাকে ও তার শিরকী কাজকে প্রত্যাখ্যান করি। (বর্ণনায় : মুসলিম, ২৯৮৫)
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে তাঁর জন্যই সকল নেক আমল ও সৎকর্মসমূহ সম্পাদন ও নিবেদন করার তাওফীক দান করুন।
সমাপ্ত
রিডিং সেটিংস
Bangla
System
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন