hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

মুসলিম উম্মাহর সংশোধনের গুরুত্ব ও পদ্ধতি

লেখকঃ জাকের উল্লাহ আবুল খায়ের

সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা এ উম্মতের সফলতার চাবিকাঠি:-
সৎ-কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করার গুরুত্ব এত বেশি কেন হবে না? অথচ আল্লাহ তা‘আলা কাজটিকে এ উম্মতের নিদর্শন বানিয়েছেন এবং কল্যাণ ও সফলতার কেন্দ্র বিন্দু নির্ধারণ করেছেন। কাজটি করার মাধ্যমেই উম্মতের কামিয়াবি ও কল্যাণ বলে আখ্যা দিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

﴿كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلَوْ آمَنَ أَهْلُ الْكِتَابِ لَكَانَ خَيْراً لَهُمْ مِنْهُمُ الْمُؤْمِنُونَ وَأَكْثَرُهُمُ الْفَاسِقُونَ﴾

‘‘তোমরা হলে সর্বোত্তম উম্মত, যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। আর যদি আহলে কিতাব ঈমান আনত, তবে অবশ্যই তা তাদের জন্য কল্যাণকর হত। তাদের কতক ঈমানদার। আর তাদের অধিকাংশই ফাসিক’’। [সূরা আলে ইমরান: ১১০]

আর আল্লাহ তা‘আলা সুস্পষ্ট বর্ণনা দেন এ দায়িত্ব পালন করা সৌভাগ্যের প্রতীক ও সফলতার চাবিকাঠি। আর তা ছেড়ে দেয়া হল আল্লাহর রহমত হতে বঞ্চিত হওয়া ও তার আযাবের উপযুক্ত হওয়ার কারণ। এ কারণে আল্লাহ এ কাজের জন্য একটি জামাত থাকার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। একটি বিশেষ জামাত যাতে এ দায়িত্ব পালন করে সে জন্য আল্লাহ তা‘আলা সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের দায়িত্ব পালনের প্রতি তাগিদ দিয়ে বলেন-

﴿وَلْتَكُنْ مِنْكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ﴾

‘‘আর যেন তোমাদের মধ্য থেকে এমন একটি দল হয়, যারা কল্যাণের প্রতি আহবান করবে, ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে। আর তারাই সফলকাম’’। [সূরা আলে-ইমরান: ১০৪]

আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরই সফল বলে আখ্যায়িত করেছেন যারা সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ হতে মানুষদের সতর্ক করে।

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন-

﴿لُعِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ بَنِي إِسْرائيلَ عَلَى لِسَانِ دَاوُدَ وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ ذَلِكَ بِمَا عَصَوْا وَكَانُوا يَعْتَدُونَ﴾

‘‘বনী ইসরাঈলের মধ্যে যারা কুফরী করেছে তাদেরকে দাঊদ ও মারইয়াম পুত্র ঈসার মুখে লা‘নত করা হয়েছে। তা এ কারণে যে, তারা অবাধ্য ছিল এবং তারা সীমালঙ্ঘন করত। তারা পরস্পরকে মন্দ থেকে নিষেধ করত না, যা তারা করত। তারা যা করত, তা কতই না মন্দ’’! [সূরা আল-মায়েদাহ:৭৮-৭৯]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও স্পষ্ট করে বলেন যে, এ কাজের দায়িত্ব পালন করা হলো মুক্তির পূর্বশর্ত আর তা হতে বিরত থাকা ধ্বংসের কারণ। যে ব্যক্তি এ কাজের দায়িত্ব পালন করা ছেড়ে দেবে, তাকে অবশ্যই আল্লাহর পাকড়াও- আযাবের মুখোমুখি হতে হবে এবং সে যখন আল্লাহর দরবারে দু‘আ করবে তার দু‘আ আল্লাহ্‌ তা‘আলা কবুল করবে না।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি দৃষ্টান্ত পেশ করে বলেন-

«مثل القائم على حدود الله والواقع فيها، كمثل قوم استهموا على سفينة، فأصاب بعضهم أعلاها وبعضهم أسفلها، فكان الذين في أسفلها إذا استقوا من الماء مروا على من فوقهم، فقالوا : لو أنَّا خرقنا في نصيبنا خرقاً ولم نؤذِ من فوقنا، فإن يتركوهم وما أرادوا هلكوا جميعاً، وإن أخذوا على أيديهم نجوا ونجوا جميعاً»

‘‘আল্লাহর আদেশ নিষেধ যারা বাস্তবায়ন করে এবং যারা বাস্তবায়ন করে না তাদের দৃষ্টান্ত সে সম্প্রদায়ের লোকদের মত, যারা একটি জাহাজে আরোহণ করল, তাদের কতক নীচ তলায় আবার কতক উপরের তলায় অবস্থান নিলো। নীচ তলার লোকেরা তৃষ্ণার্ত হলে পানির জন্য তাদের উপরের তলার লোকদের উপর দিয়ে চলাচল করতে হত। এতে উপর ওয়ালাদের কিছুটা কষ্টও হত, তাদের কষ্টের কথা চিন্তা করে তারা পরস্পর বলল, আমরা যদি আমাদের নীচ তলায় জাহাজের নীচ দিয়ে ছিদ্র করে দিই, তাহলে পানির জন্য আমাদের আর উপরে যেতে হয় না এবং উপর ওয়ালাদের কষ্ট দেয়ারও প্রয়োজন পড়ে না। (এ চিন্তা করে তারা যখন জাহাজের নিচ দিয়ে ছিদ্র করা আরম্ভ করল) তখন যদি তাদেরকে তাদের ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেয়া হয়, তাহলে জাহাজের সব লোক ধ্বংস হবে। আর যদি তাদের বাধা দেয়া হয়, তবে তারা নিজেরাও (ধ্বংস হতে) নাজাত পাবে এবং উপরের লোকেরাও নাজাত পাবে। [বুখারী: ২৪৯৩]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

وقال -صلى الله عليه وسلم -: «والذي نفسي بيده ! لتأمرن بالمعروف ولتنهوُنَّ عن المنكر أو ليوشكن الله أن يبعث عليكم عقاباً منه، ثم تدعونه فلا يستجاب لكم» .

‘‘যার হাতে আমার জীবন আমি তার শপথ করে বলছি, তোমরা হয় ভালো কাজের আদেশ ও খারাপ কাজ হতে নিষেধ করবে অন্যথায় আল্লাহ তা‘আলা তার নিজের পক্ষ হতে তোমাদের উপর আযাব পাঠাবে। আর তখন তোমরা আল্লাহর নিকট আযাব থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করতে থাকবে তখন তোমাদের প্রার্থনার কোন উত্তর দেয়া হবে না’’।

[তিরমিযি (২১৬৯) এবং আলবানী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।]

আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতে বিশেষ উৎসাহ ও নির্দেশ দেয়া এবং কাজটি ছেড়ে দেয়ার উপর শাস্তির ঘোষণা দেয়ার ফলে, ইতিহাস জুড়ে দেখা যায় মুসলিম মনীষী ও সংস্কারকগণ বিভিন্ন স্থানে হওয়া সত্বেও তারা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির লোকদের এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতেন। তারা তাদের জীবনের মিশন বানিয়ে নিয়েছিলেন। তাদের এ সব কর্ম ও মিশন থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়ার অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এ গুলো সুবিশাল ও সুবিস্তৃত হওয়াতে এ নিবন্ধে তা তুলে ধরা সম্ভব নয়। যার কারণে এখানে শুধু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সীরাত ও তার পবিত্র জীবনী হতে কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করা করা হচ্ছে। তিনি বিভিন্ন শ্রেণির লোকদের কীভাবে সংশোধন করতেন এবং তাদের কীভাবে খারাপ ও মন্দ কাজ হতে বিরত রাখতেন তার কিছুটা এখানে আলোচনা করা হচ্ছে, যাতে আমরা এ সব ঘটনা থেকে শিখতে পারি এবং আমরাও আমাদের সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকদের সংশোধন ও তাদের আল্লাহর রাহে পরিচালনা করতে পারি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন